আধুনিক শিক্ষার প্রসার করাই সরকারের লক্ষ্য: আনোয়ার খান এমপি

Abu Taher, Ramganj Correspondent:

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, গবেষণাগার তৈরি করে দিচ্ছে, বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে। গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে যেন আধুনিক শিক্ষাকে কাজে লাগানো যায়, সে শিক্ষার প্রসার করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। কারণ সার্টিফিকেট ভিত্তিক শিক্ষা কোন কাজে আসে না”।

রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাওয়ালীডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে শেখ হাসিনার মতো শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী আর আসে নি উল্লেখ করে আনোয়ার খান এমপি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে শিক্ষা খাতে বাজেট অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। শুরু হয়েছিলো লুটপাট, ষড়যন্ত্র, গুণ্ডামি ও মাস্তানি। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছে।

তিনি বলেন, গবেষণা ও অধ্যায়নের মাধ্যমে যুগোপযোগী পাঠদান পদ্ধতি দ্বারা শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তুলতে হবে। সরকার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের মধ্যে দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। মেধাবী গবেষকদের নতুন নতুন তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাঙ্খিত উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। আমি আশা করি কাওয়ালীডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন পেলে এখানকার শিক্ষার্থীরা লেখা-পড়ায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। এ প্রতিষ্ঠানের সকল উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন ।

কাওয়ালীডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম খানের সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য নূর হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বেলাল আহম্মেদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন (বাচ্ছু), কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মোল্লা প্রমুখ।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কাওয়ালীডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন করেন এমপি আনোয়ার খান। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।




সাধারণ মানুষের রোগশোকের একমাত্র অবলম্বন রামগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: আনোয়ার খান এমপি

Abu Taher, Ramganj Correspondent: 

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান বলেছেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। রোগীদের সেবাদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও নার্সদের আরও আন্তরিক হতে হবে। রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এবং নির্ভরতার প্রতীক। সাধারণ মানুষের রোগশোকের একমাত্র অবলম্বন। তাই সেবার মান উন্নত করার ওপর আরও মনোযোগী হওয়া দরকার। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীরা যাতে হাসপাতালে এসে কোন ধরনের হয়রানীর শিকার না হয় সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান এমপি।

রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে হাসপাতালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সেবার মান উন্নোয়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার খান এমপি এসব কথা বলেন।

এমপি আনোয়ার খান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। তৃণমূলের মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. গুনময় পোদ্দারের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বেলাল আহম্মেদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা তোছাদ্দেক হোসেন মানিক মাল, কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দন খান, রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ কাউছার হোসেন, রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালের ডাঃ মোহাম্মদ সাইফুল আমিন, পরিসংখ্যানবীদ মোঃ গিয়াস উদ্দিন মানিক, ষ্টোরকিপার মোঃ কামাল হোসেন, নার্সিং সুপারভাইজার সাবিত্রী দেবী, সিনিয়র ষ্টাফ নার্স মোছাঃ সুলতানা জাহান, অফিস সহায়ক মোঃ সৈয়দ আহম্মেদ প্রমূখ।

সভার শুরুতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে আনোয়ার খান এমপি’র নিজ উদ্যোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেট্রেটর, পালস্ অক্সিমিটার, মাক্স, গ্লাভস সরবরাহ, সেল কাউন্টার মেশিনসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করায় উপস্থিত সকলেই হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার খান এমপিকে ধন্যবাদ জানান। পরে সেবার মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে নার্স সংকট সমস্যা সমাধান, এক্সরে মেশিন, রেডিও গ্রাফার ও ২০জন নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের আবেদন জানান হয়। এছাড়া ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। পরে হাসপাতালের পরিদর্শন করেন এমপি।




ফরিদপুরে বন্ধ হচ্ছে না চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ

ফরিদপুর  প্রতিনিধি –

ফরিদপুরে আবারও চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। মাঝখানে বেশ কিছুদিন বিরতির সাম্প্রতিক সময়ে আবারও এমন ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে বিভিন্নস্থানে বিক্ষিপ্তভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুঁড়ে মারায় যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও যেকোন মুহুর্তে আশঙ্কাজনক কিছু ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার পথে পুখুরিয়া স্টেশন ছাড়ার এক মিনিট পরে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারার ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন লুবনা বেগম (২০) নামে একজন নারী।

অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ঘটনার অধিকাংশই থানা কিংবা রেল পুলিশকে জানানো হয় না বলেও দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়না।

ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল মান্নান মুন্নু জানান, সাম্প্রতিককালে ফরিদপুরের এই রেল রুটে কমপক্ষে ১০ জনের মতো রেলযাত্রী এভাবে পাথর ছুড়ে মারায় আহত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, গত বছর এভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে যাত্রীদের আহত করার পর জেলা প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাাহিনীর অভিযান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তৎপরতা এবং স্থানীয়দের সচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হয়। এর ফলে দীর্ঘদিন চলন্ত ট্রেনে এভাবে পাথর নিক্ষেপ করা বন্ধ ছিলো। এরপর গত মাসাধিককালযাবত আবার শুরু হয়েছে। রেললাইনের মাটি ধ্বস রোধে স্লিপারের নিচে ফেলে রাখা মুজদকৃত পাথর কুড়িয়ে নিয়ে সেসবই নিক্ষেপ করা হচ্ছে। চলন্ত ট্রেনে ছুড়ে মারা এসব পাথর গুলির বেগে এসে বিদ্ধ হচ্ছে অনেকের চোখেমুখে।

আবু বকর সিদ্দিকী নামে একজন রেলযাত্রী জানান, এর আগে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি তালমা স্টেশন ত্যাগ করার পরে তার সামনেই এভাবে পাথর ছুড়ে একজন যাত্রীকে আহত করার ঘটনা ঘটে। এতে ওই যাত্রীর কপাল ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যান।রেলওয়ে পুলিশ পাথর ছুঁড়ে মারার সাথে জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য দিলে নগদ টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে। নানাভাবে এর বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। তবুও থামছেনা এসব ঘটনা।এ ব্যাপারে ভাঙ্গা রেলস্টেশন মাস্টার মো: শাহজাহান জানান, অতি সম্প্রতি আবারও পাথর ছুড়ে রেলযাত্রীদের আহত করার কয়েকটি ঘটনার খবর জেনেছেন তিনি। ফরিদপুরের পুখুরিয়া থেকে তালমার মাঝামাঝি জানদি গ্রাম ছাড়িয়ে এ ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া পুখুরিয়া পেরোনোর পরে এবং বাখুন্ডার কাছাকাছি কিছু ঘটনার খবরও জানা গেছে। বিশেষ করে সন্ধার গাড়িতে এসব বেশি হয়।

তিনি জানান, এসব ঘটনার পরে আহতরা লিখিত অভিযোগ দেননা বলে নির্দিষ্ট করে এর সংখ্যার প্রকৃত হিসাব জানা থাকেনা। তবে এসব ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। সিআরপি থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে জনমত তৈরির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারার পর মৃত্যুর নজিরও রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে জনসচেতনা বাড়াতে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপকারীর সম্পর্কে তথ্য দিলে কিংবা ধরিয়ে দিলে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ৩০২ ধারা অনুযায়ী পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও বাস্তবে তেমন কারও শাস্তি হয়েছে- এমন নজির খুব একটা নেই। তবে এব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অনেকে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন বলেন, এরকম ঘটনা এখন পর্যন্ত রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। যদি রেল কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সহকারে পুলিশের সহযোগিতা চায় তবে পুলিশ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা করবে।

এ ব্যাপারে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, এ ধরণের ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। বিশেষ করে সন্ধার পর অন্ধকারে পাথর ছুড়ে মারা হয়। বিশেষ করে পুখুরিয়ার ওই দিকটাতে বেশি হয়। তবে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা না হওয়ায় বেশিরভাগ সময়েই পুলিশকে জানায়না ভুক্তভোগীরা। আমরা মাঝেমধ্যে রেলের ডিউটিরত পুলিশের মাধ্যমে খবর পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেই।

তিনি জানান, এর আগে ফরিদপুরের ডিবি পুলিশকে দিয়ে অভিযান চালানোর পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিলো। তবে আমরা সোমবারে আবার সেখানে যাবো এবং স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। রেলযাত্রা নিরাপদ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




নরসিংদীর মাধবদী থানা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি

“সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আচার যত চর্চা হবে, মানব চাহিদায় লাগবে তত পরিবর্তনের ছোঁয়া”। জানতে পারবে, বুঝতে পারবে, শিখতে পারবে নতুন কিছু। উন্নত জীবনশৈলী, সমৃদ্ধ সাহিত্য ও সাংস্কৃতি, দক্ষ ও নবীণ লেখক তৈরি করণ, সৃজনশীল চিন্তা চেতনা অনুভব, মানসম্পন্ন মেধা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে সবার মাঝে। সাহিত্য চর্চা ও সাংস্কৃতি লালন পালনে নরসিংদী জেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ মাধবদী থানা শাখার অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শনিবার (১৫ ই অক্টোবর ) সন্ধ্যায় মাধবদীর কিচেন রেস্টুরেন্টে মাধবদী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক বেলাল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ মাধবদী থানা শাখার প্রধান উপদেষ্টা ও বাবুরহাট গ্রীনফিল্ড কলেজের অধ্যাপক মো. ঈসমাইল ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাধবদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এর গভর্নিং বডির মেম্বার মো. শফিকুল ইসলাম গাজী। অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ মাধবদী থানা শাখার উপদেষ্টা ও মাধবদী স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম এর সভাপতি আল-আমিন রহমান। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ এর সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারা হোসেন, জেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, মাধবদী থানা শাখার উপদেষ্টা, উপ পরিচালক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় মোস্তফা আজিজুল করিম। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদা বেগম, মাধবদী কলেজের সাবেক ভিপি মো. হাফিজুর রহমান, হাজী মফিজ উদ্দিন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম, সাপ্তাহিক খোরাক পত্রিকার সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম খোকন, মাধবদী কালচারাল ক্লাবের সভাপতি হাজী আল-আমীন চৌধুরী, এড. রেহেনা পারভিন, তানিন শারমিন বিণাসহ জেলার নেতৃবৃন্দ এবং মাধবদী থানা শাখার কমিটির সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, উক্ত অভিষেক অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ মাধবদী থানা শাখার সভাপতি প্রভাষক মারুফ হোসেন।




চৌমুহনীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ,পুড়ে ছাই ২০ দোকান

মোঃবদিউজ্জামান  ( তুহিন) নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীর মহেশগঞ্জ বাজারে আগুন লেগে ২০ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের ডিউটিম্যান মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বাজারের নৈশ প্রহরীদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হন। খবর পেয়ে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে
চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আসতে বিলম্ব হয়।
স্হানীয় ব্যবসায়িদের দাবি  আগুনের  সূত্রপাত হয়েছে বৈদ্যুতিক তাঁর থেকে  এতে প্রায়  কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি। মেসার্স জামাল উদ্দিন এন্ড আদার্স ও মেসার্স ভাই ভাই রাইচ এজেন্সির প্রোঃ হাজী জামাল বলেন গত তিন বছর আগেও আগুন লাগে আমরা একই ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হই,মেসার্স রহমত উল্লাহ  এন্ড আদার্সের দুটি দোকান রয়েছে।
ইনসুরেন্সের কোম্পানির কর্মকর্তারা বলেন  আমরা ক্ষতি গ্রস্ত ব্যবসায়িদের পাশে থাকবো প্রয়োজনিয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবো বলে জানিয়েছেন।



অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান

বদিউজ্জামান তুহিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:

বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ঢাকা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তার সুযোগ্য সন্তান নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইমরান নূর রফি দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।




বরগুনায় জেলা প্রশাসনের লুটপাট স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

 মইনুল আবেদীন খান,বরগুনা প্রতিনিধি:

অন্যায়ভাবে জেলা প্রশাসন কতৃক শত বছরের পুরনো বরগুনা পৌর শহরের ভূমি মালিকদের রেকর্ডিয় সম্পত্তি খাস খতিয়নভূক্ত করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে গন সংবাদ সম্মেলন করেছেন বরগুনা শহর বৈধ ভূমি রক্ষা আন্দোলন কমিটি। বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে শহরের কয়েকশত ব্যবসায়ী ও ভূমি মালিকরা সংবাদ সম্মেলনে অংশ গ্রহন করেন।

লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, দীঘ্য বছর ধরে আমরা বৈধভাবে বসবাস এবং ব্যবসা-বানিজ্য করে আসছি। এর সপক্ষে সরকারের কোষাগারে দাখিলা কেটে খাজনাও দিয়ে আসছি। কিন্তু আকস্মিক ভূমি অফিসের কতিপয় অসৎ কর্মচারীর যোগসাজশে এবং চক্রান্তের অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে আমাদের খাজনা বন্ধ করে দেয় ভূমি অফিস। এরপর সম্প্রতি বৈধ ভূমির মালিকদের নোটিশ দিয়ে এসব ভূমি সরকারী ১ নং খাস খতিয়ানে খতিয়ানভূক্ত অপচেষ্টা শুরু করে।

এসব ভূমি মালিকরা ব্যাংক থেকে সিসি লোন নিয়ে ব্যবসা-বানিজ্য করে জীবীকা নির্বাহ করছেন। সেক্ষেত্রে ভূমির মালিকানা সত্বের প্রমান হিসেবে খাজনার হাল নাগাদ দাখিলা ব্যাংকে জমা দিয়ে লোন নবায়ন করানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু খাজনা না নেয়ার কারনে ভূমি মালিকরা লোন নবায়ন করতে পারছেন না। দুই বছর করোনার কারনে ব্যবসা-বানিজ্য মন্দাভাব হবার কারনে ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়েচেন। এরপর চলমান যুদ্ধপরিস্থিতির কারনে বিশ্বব্যাপী আরেক দফা মন্দার প্রভাব পড়েছে। আমরা জানতে পেরেছি , সরকার বা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কোনো ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই ভূমি অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারী বৈধ ভূমি মালিকদের জিম্মি করে অথ লুটপাটের জন্য প্রশাসনকে এই কাজে প্ররোচিত করেছে। রাস্ট্রের সকল আইনে নাগরিকদের সম্পদের নিরাপত্তা , হেফাজত, এবং রক্ষা করা হয়েছে। আবাসস্থল থেকে সরিয়ে দেয়া মৌলিক অধিকার পরিপন্থী যা সংবিধান লংঘন। অতীতে এই শহরবাসী তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পরাজিত হয়নি । কোনো অপশক্তি কখনোই এই মহরবাসীকে পরাজিত করতে পরেনি। এবারেও পারবে না।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ১৮ অক্টোবব জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও, ১৯ অক্টোবর বরগুনা শহর বৈধ ভূমি রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বিভাগী কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ

২৩ অক্টোবর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্তরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষনা দেন বরগুনা শহর বেধ ভূমি রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এবং তারা জানান, ২৩ অক্টোবর তাদের পক্ষ থেকে কঠোর কমসূচী ঘোষনা দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব হুমায়ূন কবির, বরগুনার পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, প্যানেল মেয়র ও পৌর কাউন্সিলর রইসুল অঅলম রিপন , বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো: কিসলু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি সকলের সাথে একসাথে বলবো।




লেখককে গ্রেপ্তার করা হবে এবং প্রকাশকের ব্যবসা সমাপ্ত

গতকাল, আইন প্রয়োগকারী নিশ্চিত করেছে যে তারা “বর্না প্রকাশনী”, পুরানা পল্টন, মালিক ও সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে এবং জামিন দিয়েছে, এবং তার ব্যাবসা বন্ধ করে দিয়েছে, একটি বইয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর মোঃ শফিক মিয়ার লেখা “প্লেগ”, প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের জুলাইতে।

কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে তারা “বর্না প্রকাশনী” এর অফিসে অভিযান চালিয়েছে এবং এর অনুলিপিগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে বই এবং নথি, যা তাদের লেখকের পরিচয় নির্ণয়ে সহায়তা করেছিল। জিজ্ঞাসা থেকে, কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে লেখক বর্তমানে বিদেশে আছেন, তবে একটি গুরুতর গ্রেপ্তারযোগ্য অপরাধ করার কারনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হবে।

আইন প্রয়োগকারী আরও নিশ্চিত করেছে যে লেখকদের বিতর্কিত বই প্রকাশে সহায়তা করার জন্য হুসেনকে ইতিমধ্যে তদন্ত করা হচ্ছে এবং তারা জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য তার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। মিঃ হুসেন দাবি করেছিলেন যে তিনি নির্দোষ ছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি আইন অনুসরণ করেছিলেন যখন বই প্রকাশ করা হয়েছিলো, নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

আইন প্রয়োগকারী জনসাধারণের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছে যে প্রকাশক সমস্ত অবিক্রীত মুদ্রণ মার্কেটপ্লেস থেকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করছে।

 




নরসিংদীতে হত্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাজানো নাটক

Md. Mobarak Hossain, Narsingdi Correspondent:

নরসিংদীতে আলোচিত হত্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাজানো নাটকের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শনিবার (১৫ আক্টোবর) নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আল-আমিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান যে, গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) নরসিংদী জেলার মাধবদী থানাধীন সজীব মিয়া কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার বন্ধু মামুনকে সাথে নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার নাটক সাজানো হয়। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মাধবদী থানায় পাঁচদোনা এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে।একজন ব্যাক্তিকে গুলি করা হয়েছে মর্মে মিডিয়ার মাধ্যমে জেলা পুলিশ নরসিংদীর দৃষ্টিগোচর হয়।

সংবাদ প্রাপ্তির পর তাৎক্ষনিক ভাবে নরসিংদী জেলা পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তদন্তে নামে। তদন্তকালে জানা যায় মোঃ সজিব মিয়া (৩০), পিতা-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুলাল মিয়া, সাং-আসমান্দীর চর (মুক্তিযোদ্ধা আর্দশ গ্রাম), থানা-মাধবদী, জেলা-নরসিংদী উক্ত ঘটনার স্বীকার হইয়াছে। ঘটনা ঘটার পর পরই উক্ত ব্যক্তি প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায় এবং সেখানেও চিকিৎসা গ্রহন করে। উক্ত ঘটনার ঘটনাস্থল হিসাবে সজিব পাঁচদোনা বাজারে বাসপট্টি আনিস ট্রেডার্স এর সামনে বলিয়া উল্লেখ করে এবং ঘটনার সময় তার সহিত তার বন্ধু মামুন(২৬), পিতা- মৃত কালাম, সাং- পাথরপাড়া (আঃ আলী মেম্বারের পাশের বাড়ী শ্বশুড় মতি মিয়া), থানা- মাধবদী, জেলা- নরসিংদী উপস্থিত ছিল বলিয়া জানায়।

জেলা পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পর্যালোচনাকালে ঘটনার কোন অস্থিত্ব পায় না। তবে উক্ত সময়ে তাদেরকে স্বাভাবিক ভাবেই হেটে যেতে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় এবং আর কাউকেই আশপাশে দেখা যায় নাই। পরবর্তিতে উল্লেখিত সজিব মিয়ার বন্ধু মামুনকে জেলা পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে জানায় প্রকৃত পক্ষে উল্লেখিত মোঃ সজিব মিয়া(৩০), শিবপুর থানার মামলা নং-১(৪)১৫, ধারা-৩০২/৩৪ এর স্বাক্ষী। গত ইং-১১/১০/২২ তারিখ উক্ত মামলার নরসিংদী কোর্টে স্বাক্ষী ছিল। পরবর্তিতে ইং ১২/১০/২২ তারিখে উল্লেখিত সজিব মিয়া মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানার জিডি নং-৭৬২ তারিখ-১২/১০/২২ ইং দাখিল করে, সেখানে টিটু, মোস্তফা, মাসুম ও পলাশদের বিরুদ্ধে তাকে উক্ত সাক্ষীর কারনে হুমকী প্রদান করা হয়েছে মর্মে জানায় । মূলত এই বিষয়টি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করার জন্য মাধবদী থানাধীন পাঁচদোনা দাসপাড়া সাকিনস্থ প্রফুল্ল এর পুকুরপাড়ের এক কোনায় নির্জন স্থানে সঙ্গীয় বন্ধু মামুনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সজিব মিয়া নিজেই তার শরীরের ডান পাশে বুকের উপর ছুরি দিয়ে চিরে কালো এক ধরনের ব*স্তু প্রবেশ করায় এবং শরীরে আরও কয়েকটা স্থানে ছু*রি দিয়ে নিজেই পো*চ দেয় এবং মামুনকে বলে এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়া যেতে। পরবর্তিতে তারা নরসিংদী সদর হাসপাতালে যায় এবং সেখানে ডাক্তারকে সে গু*লিবিদ্ধ হয়েছে মর্মে উপস্থাপন করলে তাকে পরবর্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে তাৎক্ষনিক ছেড়ে দেন। মাধবদী আসলে সজীবকে তার বন্ধু মামুনের বক্তব্য অনুযায়ী মুখোমুখি করলে সে পুরো ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং বলে জিডিতে উল্লেখিত আসামীদের শায়েস্তা করা এবং পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য উক্ত ঘটনা সাজিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, সজীব মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানার মামলা নং-৫৩(৪)২০০৯, জিআর নং-২২৭/২০০৯, ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড পাওয়া যায়।
উল্লেখ্যা, শিবপুর থানা মামলা নং-১(৪)১৫, ধারা-৩০২/৩৪
এর বাদী রোমান পাঠান বলেন, আমার ভাইকে (আরিফ পাঠান) বরইতলা আদুরী কমপ্লেক্স (ঢাকা-সিলেট) মহাসড়ক এলাকায় প্রকাশ্যে গু*লি করে হত্যা করা হয়। সেদিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন সজীব মিয়া। তিনি সেখানকার এক “স” মিলের কর্মচারী ছিলেন। গু*লির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এসে তিনি আসামীদের দেখতে পান। তাই আরিফ হ*ত্যা মামলায় তাকে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আসামী টিটু, মাসুদ ও পলাশ বর্তমানে আদালত থেকে জামিনে আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার আরিফ হোসেন পাঠান তার নিজ এলাকা কারারচর (বরইতলা) আদুরী কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে টিটু, মোস্তফা, মাসুদ, পলাশ ওরফে পলাশ, আনোয়ার গং প্রকাশ্যে দিবালোকে এলোপাতাড়ি গু*লিতে নি*হত হন। নি*হত আরিফ পাঠান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হওয়ায় জনসাধারণের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার মৃ*ত্যুর খবরে ওইসময় জনসাধারণ ক্ষোভে রাস্তায় নেমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ করে। ছিল। পরে সংবাদটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে হ*ত্যাটি আলোচিত হত্যাকান্ডে রুপ নেয়। পরদিন তার ছোট ভাই রোমান পাঠান বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি হ*ত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অন্যতম সাক্ষী করা হয় সজিব মিয়াকে।




Human chain formed to protest attack on teacher in Barguna

মইনুল আবেদীন খান,বরগুনা  প্রতিনিধি:

বরগুনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও আসামিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির সভাপতি আব্দুল আলীম লিটন, সন্ত্রাসী হামলা শিকার শিক্ষক রাকিবুল হাসান রকিবের স্ত্রী মুনিয়া আক্তার মুন্নি, আন্দোলন কর্মসূচি সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম স্বপ্ন, এসএসসি ২০০৪ ব্যাচের আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান রকিব প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বরগুনা শহরের ধানসিড়ি সড়কে সৎ ভাই ক্রোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাকিবুল হাসানের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে কুপিয়ে জখম করে। গত ১০ অক্টোবর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রিপনের ধানসিড়ি বাসার সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

 সন্ত্রাসী হামলার শিকার রাকিবুলের স্ত্রী মুনিয়া আক্তার মুন্নী জানান, কয়েকদিন যাবৎ রিপন তার ছোট ভাইকে মোবাইল করে টাকা দাবি করে আসছিল। রাকিবুল তাকে বলে বাবার জায়গা বিক্রি করলে তাকে টাকার ব্যবস্থা করা হবে। সোমবার সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে রিপনের বাসার সামনে গিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। শেষে যাওয়ার সময় তাকে রামদা দিয়ে কোপ দেয় রিপন। হাত দিয়ে কোপ থামাতে গেলে রাকিবুলের বাম হাতে দুটি কোপ লেগে রগ কেটে যায়। পরে আহত অবস্থায় রাকিবুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মানববন্ধনে ভক্তরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।