আরও ৪ দিন বাড়ল বান্দরবানে নিষেধাজ্ঞা

যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও চার দিন বাড়িয়েছে সরকার।

জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, আলীকদম ও থানচি উপজেলায় আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি জানানো হয়।




কোনো বাধাই দমিয়ে রাখতে পারেনি তাদের

আব্দুর রহমান ঈশান,নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নীল ভৌমিকের বাসায় কোনো দাবার বোর্ড ছিল না। কিন্তু ছিল দাবা খেলার খুব শখ। ঘরের ফ্লোরে চক দিয়ে দাবার বোর্ড আঁকত নীল। আর মাটি দিয়ে বানাত দাবার ঘুঁটি। এরপর সেই বোর্ডে স্কুলশিক্ষক বাবা হৃষিকেশ ভৌমিকের সঙ্গে দাবা খেলত। পড়া নষ্ট হবে ভেবে স্কুলশিক্ষিকা মা নীল আর তাঁর বাবার দাবা খেলা খুব একটা পছন্দ করতেন না। তাই শোবার চৌকির নিচে গিয়ে বাবা-ছেলে দাবা খেলতেন। দাবার প্রতি এই ভালোবাসার প্রতিদান পেয়েছে নীল। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া নীল ভৌমিক ময়মনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন স্কুল নেত্রকোনা জেলার আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নীলের জন্য গর্বিত বাবা হৃষিকেশ ভৌমিক বলেন, ‘দাবার বোর্ড কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না আমাদের। কিন্তু দাবা খেলার প্রতি নীলের আগ্রহের কারণে কিছুতেই দমিয়ে রাখতে পারিনি নীলকে।’

এর আগেও স্কুল–দাবা প্রতিযোগিতায় নাম নিবন্ধন করে খেলতে পারেনি জয়ন্ত সরকার। কারণ, জয়ন্ত লম্বায় ছোট। খুব মন খারাপ করে বাসায় ফিরে আসে খুদে এই দাবাড়ু। তখন থেকেই জয়ন্তর মনের মধ্যে জেদ কাজ করে। দাবার বোর্ডের মাধ্যমেই জবাব দেবে উচ্চতায় ছোট বলে খেলতে না দেওয়ার বেদনার। অবশেষে সুযোগ হলো নেত্রকোনা জেলার আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়ন্ত সরকার মাহীর। ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতায় শুধু নাম নিবন্ধন করেই বসে থাকেনি জয়ন্ত। দলগতভাবে তার স্কুলকে ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন করিয়ে প্রমাণ দিয়েছে নিজের যোগ্যতার।

‘দাবা খেলতে হয় মাথা দিয়ে, শরীরের কাঠামো দিয়ে দাবা খেলা যায় না।’ এক নিমেষে ফোনের ওপ্রান্ত থেকে কথাগুলো বলে জয়ন্ত। ছোটবেলা থেকে দাবা ভালো খেলত। পরিবারের সবার একসঙ্গে দাবা খেলা দেখতে দেখতেই তার বেড়ে ওঠা। ‘আমার জন্মদিনে বড়দিদি একটি দাবার বোর্ড উপহার দিয়েছিলেন। খুব খুশি হয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত ওটাই আমার জীবনের সেরা উপহার।’ ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতাকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে দাবার বোর্ডে নিজেকে বারবার প্রমাণ করতে চায় খুদে এই দাবাড়ু।

আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দাবা–দলের অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ খানের দাবা–প্রতিভা পরিবার থেকেই। ইশতিয়াক জানান, ‘দাবা খেলার সঙ্গে পরিচয় করান আমার মা। প্রতিনিয়ত মায়ের সঙ্গে খেলে হেরে যাওয়া থেকে আমার দাবা খেলা শেখার আগ্রহ জন্মায়। মাকে একবার হারিয়ে দেওয়াই ছিল তখনকার একমাত্র লক্ষ্য। আস্তে আস্তে শিখতে থাকি দাবার খুঁটিনাটি নিয়ম। দাবা খেলার মানসিক লড়াইয়ের বিষয়টা আমাকে মুগ্ধ করে। অল্প সময়ের মধ্যে মাকে খেলায় হারিয়ে দিয়েও থেমে থাকিনি। চ্যাম্পিয়ন হয়েছি ময়মনসিংহ বিভাগে। এবার দেশ সেরা হওয়া লড়াই।’

দলের আরেক সদস্য নবম শ্রেণি পড়ুয়া ফাইয়াজ রহমানের দাবার কোনো উপকরণ ছিল না। স্কুল বা পাড়ার কাউকে দাবা খেলতে দেখলেই দাঁড়িয়ে পড়ত ফাইয়াজ। দাবার সাদা-কালো ৩২টি ঘুঁটির দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতেন। দাবার প্রতি এমন ভালোবাসা দেখেই ছোট খালা একটা পুরোনো দাবার বোর্ড উপহার দেন তাকে। এরপর আর ফাইয়াজকে কে পায়…। অবসর কাটানোর অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে যায় বুদ্ধিবৃত্তিক এই খেলাটি। ফাইয়াজ জানায়, ‘আমার বাবা-মা দাবা খেলা পছন্দ না করলেও আমাকে খেলতে বাধা দিতেন না। তবে শর্ত ছিল একটাই, পড়াশোনা যেন নষ্ট না হয়। এভাবে কয়েক বছর গেল দাবার চালগুলো আয়ত্তে আনতে। একদিন আমার দাবার শিক্ষক ছোট খালাকে হারিয়ে দিলাম। কী যে আনন্দ পেয়েছিলাম সেদিন।’ অসুস্থতার কারণে জেলা পর্যায়ে খেলায় অংশ নিতে পারেনি ফাইয়াজ রহমান। স্কুল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে সুযোগ পায় বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেওয়ার। সেখানেই বাজিমাত করে ফাইয়াজ। চ্যাম্পিয়ন হয় ফাইয়াজের স্কুল।

দলের আরেক সদস্য শ্রীজিৎ সরকার শ্রীয়মের গল্পটা একটু ভিন্ন। যে মানুষটি তাকে দাবা খেলায় সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিতেন, সেই মানুষটি হঠাৎ না–ফেরার দেশে চলে যান। দাবা খেলার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে শ্রীজিৎ। মায়ের উৎসাহেই নাম লেখায় ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতায়। তবে শ্রীজিৎ সরকার শ্রীয়মের শুরুটা ছিল সুন্দর একটি গল্পের মতোই। ‘যখন আমার বয়স মাত্র সাত বছর, আমি প্রথম আমার একজন মামাকে দাবা খেলতে দেখি। খেলাটি দেখে আমার মনে খুবই আগ্রহ জন্মায়। তখনই আমি মামার কাছে খেলাটি শিখতে চাই।’ শ্রীজিৎ জানায়, ‘মামাও আমাকে আনন্দের সঙ্গে খেলাটি শিখিয়ে দেন৷ আমি নিয়মিত আমার মামার সঙ্গে চর্চা করতাম৷ পরিবারের পক্ষ থেকে আমি কখনোই বাধার সম্মুখীন হইনি৷ তবে বাবাই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী ও কোচ।’ মা ও শিক্ষকদের উৎসাহে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ময়মনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীজিৎ সরকার শ্রীয়মের স্কুল। ‘এ সাফল্য বাবা দেখে যেতে পারলে অনেক খুশি হতেন…’ বলতে বলতেই গলা ভারী হয়ে ওঠে শ্রীয়মের।

‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ ময়মনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন স্কুল আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অন্য সদস্য হলো অনিরুদ্ধ গুণ।

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে এবং আবুল খায়ের গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে চলছে ‘মার্কস অ্যাকটিভ স্কুল চেস চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতা। ‘হয়ে ওঠো আগামীর গ্র্যান্ডমাস্টার’ স্লোগানে প্রতিযোগিতাটি দেশের স্কুলভিত্তিক দাবার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। প্রতিযোগিতায় নিজ নিজ স্কুল বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছে ৬৪টি জেলার শিক্ষার্থীরা।




ফুল আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার

ফরিদপুর প্রতিনিধি-
নিজ কার্যালয়ের সহকর্মী আর সর্বস্তরের মানুষের ফুল আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সদ্য পদোন্নতি পাওয় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। তিনি টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান অতুল সরকার ২১তম বিসিএস ক্যাডারের সরকারের সহকারি কমিশনার হিসাবে যোগ দান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই মেয়ে ও এক পুত্র সন্তানের জনক।

গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এবিএম ইফতোখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উপ-সচিব থেকে যুগ্ম সচিবে পদোন্নতির ওই তথ্য জানানো হয়।

তার এই কর্মজীবনের পদোন্নতি পাওয়ার খবরে জেলার বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর হাস্যউজ্জল কর্মবীর প্রিয় এই সরকারি কর্তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এসময় কেউ কেউ তাকে মিষ্টি মুখ করিয়ে তার আগামী কর্মজীবনের আরো সাফল্য কামনা করে দোয়া করেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অতুল সরকারকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ‍মিষ্টিমুখ করার জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। এর পর সরকারির বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, লাইফেল্স ক্লাব, সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, ক্রীড়া সংস্থাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।

এসময় অতুল সরকার বলেন, আপনাদের এই ভালবাসা আমার জীবনের বড় ঋণী করে ফেললো। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করেছি সরকারি দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে। মানুষের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করতে । আজকের এই জেলার মানুষের ভালবাসা পেয়ে আমি সত্যিকার অর্থে আবেগআপ্ফুল্য। আমি সকলের কাছে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারের আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া ও আর্শিবাদ চাই। আমি যেন আগামীতে মুক্তিযুদ্ধে আদর্শকে ধারন করে আমার উপর অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারি।




বিশ্বে করোনায় মৃত্যু আরও ৭৪৪ জনের

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪৪ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ১ হাজার ১২০ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৪ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৫০২ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৭৫ জন এবং মারা গেছেন ১৬৪ জন।




বরগুনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ কিশোরের মৃত্যু

বরগুনার বেতাগীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোকামিয়া-বেতাগী সড়কের খানেরহাট নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৩ কিশোরের মধ্যে কাজিরাবাদ ইউনিয়নের মো. কবিরের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৩) ও মোকামিয়া ইউনিয়নের রফিক মৃধার ছেলে মোহাম্মদ রাব্বির (১৬) পরিচয় পাওয়া গেলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপর এক কিশোরের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বেতাগী থানা পুলিশ জানান, উপজেলার মোকামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ময়দানে মরহুম হাঁচান উদ্দিন রহঃ এর ওফাত দিবস উপলক্ষে মাহফিল থেকে ৩ কিশোর বন্ধু বাড়ি ফেরার পথে খানেরহাট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন কিশোরকে উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন কিশোরকেই মৃত্যু ঘোষণা করেন।

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন,, ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিন কিশোরকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।




সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ

পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে লংমার্চ পালনের অংশ হিসেবে বুধবার ওয়াজিরাবাদে সমাবেশ করছিলেন ইমরান। সেখানে তাকে লক্ষ্য করে তিন থেকে চারটি গুলি করেছেন অজ্ঞাত এক বন্দুকধারী।

ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আজ ওয়াজিরাবাদে লং মার্চের সময় ইমরান খানের পা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে এক অস্ত্রধারী।




কমলনগরে জেল হত্যা দিবসে দোয়া ও আলোচনা

নিজস্ব সংবাদঃ লক্ষ্মীপুর কমলনগরে জাতীয় জেলা হত্যা দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এ দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। এর আগে ১৫ আগস্টের পর এ চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

৩ নভেম্বরের (বৃহস্পতিবার) উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগে সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম দোলনসহ সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা সবাই জাতীয় চার নেতাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন, এর সাথে সকল পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।




২৭ শিশুকে পুরুস্কৃত করলো বরগুনা প্রেসক্লাব

মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনা প্রেসক্লাব আয়োজিত শিশু আনন্দমেলা ২০২২ এর বিষয় ভিত্তিক শিশু প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বরগুনা পৌরসভার ভিআইপি মিলোনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাংকন, সংবাদ পাঠ, লোকসংগীত, হামদ নাত ও কুরআন তিলাওয়াতসহ নয়টি বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় তিনজন করে সর্বমোট ২৭ বিজয়ীকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়া বিনামূল্যে শিশুদের ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প এবং মহাকাশ বিষয়ে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে মহাকাশ ক্যাম্প আয়োজনের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উৎসর্গ ও বরগুনা সায়েন্স সোসাইটিকেও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ মোঃ মতিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট সদস্য বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক চিত্তরঞ্জন শীল এবং বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মুনির জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. সঞ্জীব কুমার দাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সোহেল হাফিজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা। অনুষ্ঠানের শেষদিকে তালতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ শিক্ষক আঃ মান্নান-এর মৃত্যুতে এবং জেলা হত্যাকাণ্ডে নিহত জাতীয় চার নেতার স্মরণে সংক্ষিপ্ত দোয়া-মোনাজাত করা হয়।

প্রসঙ্গত করোনা অতিক্রান্ত শিশুদের  মনস্তাত্ত্বিক বিকাশের পাশাপাশি বরগুনা প্রেসক্লাব ভবনের চতুর্থ তলায় বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন নির্মাণের লক্ষ্যে মাসব্যাপী এ শিশু আনন্দমেলার আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী বরগুনা প্রেসক্লাব। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বরগুনা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এসময় বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




লক্ষ্মীপুরে শনাক্ত ১৩৯ ডেঙ্গু রোগী

লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা। জেলায় এ পর্যন্ত ১৩৯ জন রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১০ জন শিশু রয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ জন রোগী।

ডেঙ্গু আক্রান্ত ইমতিয়াজের মা শারমিন আক্তার জানান, মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে ইমতিয়াজ পড়ালেখা করে। সেখানে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকবার বমি করেছিল। জানতে পেরে তাকে এনে হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়েছি। পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে এ মৌসুমে ১৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ১৩২ জন সদর হাসপাতালে ও ৭ জন কমলনগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই ৬৯ জন রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সদর হাসপাতালে ৪ জন শিশুসহ ১৪ জন রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন জানান, গত ১ মাসে সদর হাসপাতালে ৬৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এতে কয়েকজন শিশুও ছিল। অধিকাংশ রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন (সিএস) আহম্মদ কবির জানান, ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ। মশার কামড় থেকে এ রোগটি ছড়ায়। মশা নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশা ধ্বংসে আমরা জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের সঙ্গে সভা করেছি। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।

অপরদিকে ডেঙ্গু রোধে গত দুইদিন লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের চক বাজার, উত্তর স্টেশন ও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করতে দেখা গেছে।




লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই কাপড় দোকান

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এক কাপড়ের দোকান আগুনে পুড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ভোর রাতে পৌরসভার পশ্চিম লাহারকান্দি এলাকায় খাঁগো মসজিদ সংলগ্ন  ‘শাখাওয়াত টেইলর্স অ্যান্ড বস্ত্রালয়’ এ আগুন লাগে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘পরিকল্পিতভাবে এ আগুন লাগানো হয়েছে। দোকানে থাকা আমার জায়গাজমির দলিল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পুড়ে গেছে। খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর-আগেই দোকানের সবকিছু পড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।’

লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল আলম বলেন-, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।