অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ১১ কর্মকর্তা পেলেন পদায়ন

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ১১ কর্মকর্তাকে পদায়ন করেছে সরকার।

আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে নোয়াখালী বদলি আদেশাধীন) পঙ্কজ বড়ুয়াকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) কাজী মহুয়া মমতাজকে কিশোরগঞ্জে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব মাহফুজুল আলম মাসুমকে ময়মনসিংহে, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস বগুড়ার চার্জ অফিসার (সহকারী নিয়ন্ত্রক, সিসিএ অফিস ঢাকা হিসেবে বদলির আদেশাধীন) এস এম জাকির হোসেনকে নওগাঁয় বদলি করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক রুবেল মাহমুদকে কিশোরগঞ্জ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. মামুনুল করিমকে গাজীপুর, কিশোরগঞ্জের ইটনার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সহকারী রেজিস্ট্রার সিসিএ অফিস ঢাকা হিসেবে বদলির আদেশাধীন) নাফিসা আক্তারকে টাঙ্গাইল, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আতিকুল ইসলামকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক করা হয়েছে।

এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) অজিত দেবকে নোয়াখালী, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বরগুনা বদলি আদেশাধীন) বেগম রুম্পা সিকদারকে বরিশাল এবং লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল কাদেরকে পঞ্চগড়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলি কর্মকর্তাকে তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে (পদায়িত জেলায়) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।




Hiding to buy iPhone: Ransom demands from mother

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরে আইফোনের জন্য স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন এক কিশোর। তবে তার মায়ের অভিযোগ পেয়ে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মালেক লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা। তবে পুলিশ তার বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি।

পুলিশ জানান, মঙ্গলবার সকালে এক নারী তার ছেলে তাওছিফ ইবিনে মালেককে অপহরণের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় তিনি জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা তার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। একটি মোবাইল নম্বর থেকে তার কাছ থেকে মুক্তিপণের দাবি করা হয়। পরে মোবাইল নম্বরটি পুলিশকে দেন তিনি।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা নিখোঁজ কিশোর উদ্ধার করেছি। মালেক অপহরণ হয়নি। আইফোন কেনার জন্য সে নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল।

এ বিষয়ে ক্ষ্মীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা বলেন, মঙ্গলাবার রাতেই উদ্ধারকৃত কিশোরকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




লক্ষ্মীপুরের গভীররাতে নদীতে ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ: নিখোঁজ এক

লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে গভীররাতে জলদস্যুদের হামলায় ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় মহিউদ্দিন (৩৫) নামে এক জেলেকে নিয়ে গেছে দস্যুরা।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে নদীতে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৪টার দিকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে মৎস্য আড়ৎদাররা।

বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) ফেরদৌস আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন— মো. আব্বাস মাঝি (২৮), মো. ফারুক (৩৫) ও মো. ইউসুফ (২৭)। আব্বাস কমলনগর উপজেলার চরফলকন এলাকার তসির আহম্মদের ছেলে, ইউসুফ রামগতির পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের মো. ইউনুসের ছেলে ও ফারুক নোয়াখালীর সুবর্ণ চরের আলমগীর ফরাজির ছেলে।

 

 

নিখোঁজ মহিউদ্দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার নানু ফরাজির ছেলে।

আহত আব্বাস মাঝি বলেন, ‘আমরা নদীতে জাল ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দূর থেকে আমাদের নৌকাতে জলদস্যুরা গুলি ছোঁড়ে। এতে আমরা তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। আমাদের সহকর্মী মহিউদ্দিনকে দস্যুরা নিয়ে গেছে।’

কমলনগরের লুধুয়া মাছঘাটের মৎস্য আড়ৎদার মো. লিটন জানান, মধ্যরাতে আব্বাস মাঝির নৌকাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ ও আলেকজান্ডার কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডারকে (সিসি) জানিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন গেলে কোস্টগার্ড যাবে বলে জানিয়েছেন। এতে তাদেরকে জানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীরা নিজেরাই ঘটনাস্থল থেকে আহত জেলেদের উদ্ধার করে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক একে আজাদ বলেন, তিনজন গুলিবিদ্ধ রোগী এসেছেন। তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ভোলার দৌলতখান এলাকার মেঘনা নদীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাতেই ঘটনাটি শুনেছি।

এদিকে, বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এ ঘটনায় কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। পরে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে আহতদের ও নিখোঁজ জেলের তথ্য নেন।




দুই লাল কার্ডের ম্যাচে বার্সার জয়

পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে মাঠে না নেমেই লাল কার্ডের দেখা পেলেন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। তাছাড়াও অহেতুক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার রবার্ট লেভানডস্কি।

এমন আরও ঘটন-অঘটনের জন্ম দিয়ে বিশ্বকাপ বিরতির আগে শেষ ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

ওসাসুনার মাঠে দাভিদ গার্সিয়ার গোলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্সে হেড করে গোলটি নিশ্চিত করেন ওসাসুনার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার গার্সিয়া।

ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে থাকলেও তেমন কোন কার্যকরী আক্রমণ শানাতে পারে নি জাভির দল।

উল্টো ম্যাচের ৩১ মিনিটে দলকে বিপদে ফেলেন রবার্ট লেভানডস্কি। মাঝমাঠে স্বাগতিকদের গোলদাতা গার্সিয়াকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন তিনি। এতে ম্যাচের বাকি সময় দশ জনের দল নিয়ে খেলতে হয় বার্সার।




সুবর্ণচরে বাবা-মাকে মারধর করে মেয়েকে ধর্ষণ, থানায় মামলা গ্রেপ্তার ২

মোঃ বদিউজ্জামান ( তুহিন),নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বাবা-মাকে মারধর করে ঘরের বাইরে আটক রেখে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে উপজেলার চরজব্বার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন—পশ্চিম চর মজিদের হাসান আহম্মদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৫) ও মফিজুর রহমানের ছেলে দিদার হোসেন (৩০)।

সুবর্ণচরের পশ্চিম চর মজিদ আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় গত রোববার রাতে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী ভুক্তভোগীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। সন্ত্রাসীরা গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা তাদের মেয়েকে দুইজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে চরজব্বার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন জানান, মামলার এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেন ও দিদার নামে ২ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




নেত্রকোণায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী শিলা হাজং এর পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী শিলা হাজং এর পাশে দাঁড়িয়েছে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন। রোববার নেত্রকোণা জেলার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এই শিক্ষার্থীকে তার কার্যালয়ে এনে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা তুলে দেন।

কিছুদিন আগে একটি দৈনিকে “তিন বছরের বেতন ও হোস্টেল ভাড়ার প্রায় দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত শিক্ষার্থীর” – এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে নেত্রকোণার জেলা প্রশাসকের। এরপর তিনি দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজীব-উল-আহসান এর মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সার্বিক খবর নেন।

জানা গেছে,শিলা হাজং ময়মনসিংহের ব্রাহ্ম পল্লি এলাকার স্কুলার নার্সিং ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী । তার বাড়ি দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নে। শিলার বড় ভাই পোশাক শ্রমিক, রঘুনাথ হাজং, তিনি জানান,তিনি পোশাক কারখানায় চাকরি করে যে টাকা পান তা দিয়ে তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা আর সংসারের ভরণপোষণ কোনভাবে চলে। কিন্তু একমাত্র বোন শিলাকে উচ্চশিক্ষিত করার ইচ্ছা তার। রঘুনাথ বলেন, তার বাবা রবীন্দ্র হাজং দিনমজুরি করে যে সামান্য অর্থ উপার্জন করেন তাতে সংসারের ব্যয়ভার বহন করা ও শিলার পড়াশোনার খরচ জোগানো সম্ভব নয়। তাই নার্সিং ইনস্টিটিউটে এতো বড় অঙ্কের বকেয়া পড়ে গিয়েছিলো। তবে সম্মানিত জেলা প্রশাসক যে সহযোগিতা করেছেন তাতে শিলার পড়াশোনায় আর কোন বাধা রইলো না। আমরা তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন,“ওই শিক্ষার্থীর পড়াশুনার যাবতীয় খরচ বহন করবে জেলা প্রশাসন।
এসময় তিনি শিলা হাজংকে নার্সিং এর মহান পেশার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একইভাবে সেবার দ্বারা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান৷

জেলা প্রশাসনের সহায়তা পেয়ে শিলা হাজং বলেন,“আমি কথা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।জেলা প্রশাসক স্যারকে আমার ধন্যবাদ কিংবা কৃতজ্ঞতা দেওয়ার মত কোন ভাষা নেই। তিনি আমাদের কাছে ঈশ্বরের মতো হয়ে এসেছেন। এই টাকা না পেলে আমার পরীক্ষা দেয়া হতো না।আমি তার এই মহানুভবতার কথা সারাজীবন মনে রাখব।”




বশেমুরবিপ্রবিতে উপস্থিত না হয়েই মাস্টাররোল কর্মচারী নিচ্ছেন ‘দৈনিক মানবিক বেতন ‘

মোঃফজলে রাব্বি,বশেমুরবিপ্রবি­ প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী ইমদাদুলের বিরুদ্ধে চাকরি না করেই বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনে কর্মরত আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন ‘বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব ‘ এর এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, লাইব্রেরি শুক্রবার বন্ধ থাকলেও তিনি শুক্রবারে উপস্থিতি দেখিয়ে মজুরি নেন। এছাড়া পূজা,ঈদ ও রমজান মাসের ছুটিতেও উপস্থিতি দেখিয়ে তিনি বেতন তোলেন। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর মাসের উপস্থিতি খাতায় দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা ও শুক্রবারের ছুটির দিনেও তিনি উপস্থিতি দেখিয়েছেন।

এমনকি অক্টোবর মাসে পূজার ছুটি থাকা ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্তও উপস্থিতি দেখান মাস্টার রোলে কর্মরত এই কর্মচারী। শুধু সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসই নয় বরং কয়েক বছর ধরে এভাবেই ছুটির দিনেও উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন তোলেন তিনি। এমনকি কয়েকদিন পরে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে পূর্বে উপস্থিত না হওয়ার দিনগুলোতে স্বাক্ষর করেন তিনি।

এ বিষয়ে ইমদাদুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরুদ্দিনের আমল থেকেই এমন বেতন দেওয়া হচ্ছে । আমি রাতে ওভারটাইম করি বিধায় সেই সময়টুকু বিবেচনা করে শুক্রবার উপস্থিতি দেখানো হয়।

সেক্ষেত্রে ঈদ পূজার মত বড় বড় ছুটিতেও কেন উপস্থিতি দেখানো হয়েছে এমন প্রশ্নে ইমদাদুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মানবিক কারণে আমাকে এ বেতন দিতে পারে।

এ বিষয়ে লাইব্রেরিয়ান ভারপ্রাপ্ত মোঃ নাছিরুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো অক্টোবর মাসের বেতন করিনি। ইমদাদুল নামের মাস্টার রোলের কর্মচারী কেন এভাবে স্বাক্ষর করেছে আমি জানিনা। আমাকে না জানিয়ে সে উপস্থিত খাতায় স্বাক্ষর করেছে। বিষয়টি আমি তার কাছ থেকে জানতে চাইব।

এ বিষয়ে রেজিস্টার মোঃ দলিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। রিজেন্ট বোর্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি তিনি পড়ে দেখবেন বলে জানান।




চরভদ্রাসনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জমিরানা

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-

চরভদ্রান উপজেলা সদর বাজার ও আশপাশের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে সোমবার দিবাগত রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন ইউএনও তানজিলা কবির ত্রপা।
তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চালনা ও রাত ৮ টার পর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইলেক্টিসিটি ব্যাবহারের দায়ে নগদ মোট ৭ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করেছেন। অভিযানের অন্যান্যরা হলেন-, মোবাইল কোর্ট পেশকার সাদ্দাম হোসেন, অফিস সহায়ক বাবুল বিশ্বাস ও আনসার ব্যাটলিয়ন সদস্যবৃন্দ।

জানা যায়, বালু বহনকারী গাড়ির ড্রাইভারের মিরাজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও লাইসেন্স না থাকায় নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।একই সাথে উপজেলার আশপাশে রাত ৮টার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ইলেক্ট্রিসিটি ব্যাবহারের দায়ে মার্সেল শোরুমের মালিক সোহেলকে ও একটি লেপের দোকানের মালিক আব্দুল মান্নানকে আরও ২ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা ধার্য করেন ভ্রাম্যমান আদালত।এসব জরিমানার মোট ৭ হাজার ৫শ’ টাকা নগদ আদায়ের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি দেখান ভ্রাম্যমান আদালত।




নেত্রকোণায় Movers Programme এবং GEEP এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

৬ই নভেম্বর নেত্রকোণা জেলাত আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে Movers Programme এবং Gender Equity &Empowerment Project (GEEP) এর একটি সম্মিলিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় বক্তারা Leadership In Actoin, নারীদের নিরাপদ ভ্রমণ, বয়সন্ধীকালীন নারী স্বাস্থ্য, বাংলাদেশের পরিবেশ ও মুক্তিযুদ্ধ,
ভালো স্পর্শ -খারাপ স্পর্শ সহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন Movers Programme, Gender Equity & Empowerment Project(GEEP) এর নেত্রকোণা জেলার সদস্যবৃন্দ, বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী এবং উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ­ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ

নারীদের আত্বরক্ষার কৌশল প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা,কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরষ্কার এবং কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।




সন্তানের বাড়ন্ত বয়সে যা যা শেখাবেন

অনেক সময় গুরুজনদের বলতে শোনা যায়, মানুষের মতো মানুষ হও। শিশুর সুন্দর আচরণ তার মধ্যে মানবিকতা, আত্মবিশ্বাস, সামাজিকতাসহ আরও বেশ কিছু অসাধারণ গুণে গড়ে তোলো।তাই শিশু বড় হওয়া সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভালো আচরণ শেখানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের বাড়ন্ত বয়সে শেখানো উচিত এমন কিছু মৌলিক আচরণ নিয়েই আজকের এ প্রতিবেদন।

সহযোগিতা: ছোটবেলায় কোনও শিশু যদি যথাযথ শিক্ষা পায়, তবে অনেকটাই সহজ হয় এই মানুষের মতো মানুষ হওয়ার পথ। শৈশব থেকেই কিছু কিছু গুণ রপ্ত করতে সহযোগিতা করা হবে সন্তানকে। সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মতো গুণ ছোটবেলা থেকেই তৈরি হওয়া বাঞ্ছনীয়। এগুলো এমন অপরিহার্য মানবিক বৈশিষ্ট্য যা সমাজকে সম্প্রীতির দিকে চালিত করে। সহযোগিতা ও সহমর্মিতা ছাড়া কোনও মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে পারে না।

ভাগ করে নিতে শেখা: মানুষ সামাজিক জীব। সন্তানকে শেখান, সমাজের এক জন সদস্য হিসেবে তোমার জন্য যা প্রাপ্য, তা বন্ধু ও স্বজনদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত। এতে শিশুমনে দ্বেষ ও লোভ জন্ম নিতে পারে না।

শুনতে শেখা: ছোট থাকতেই শিশুকে শেখান তোমার যেমন মতামত প্রকাশ করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই অন্যরা যা বলছেন তা মনযোগসহ কারে শোনাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ছোট থেকে অন্যের মতামত ও ভাবনার স্বাধীনতাকে সম্মান করতে শেখা।

সামাজিকতা: শিশুদের শেখানো দরকার কীভাবে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। অন্যের কথার মাঝে বাধা না দেওয়া এবং অন্যের মতামতকে সম্মান করতে শেখাতে হবে ছোট থেকেই।

চাপ সামলা শেখা: ছোট থেকেই সন্তানকে শেখাতে হবে, সুখ ও দুঃখ হাত ধরাধরি করেই চলতে হয়। কোন বিষয় মনকে ভারাক্রান্ত করলেও, নিজেকে শান্ত রাখা এবং চাপে কাবু না হয়ে পড়লে তবেই সেই চাপ অতিক্রম করা যায়।

একে-অপরকে অনুপ্রাণিত করা: অনুপ্রেরণা শুধু নিজের নয়, অন্যদের জন্যেও জরুরি, এই কথা শিশুদের ছোট থেকেই শেখানো জরুরি। ছোট থেকেই এই শিক্ষা পেলে কঠিন সময়ে ভেঙে পড়বে না সন্তান।

অন্যদের নিয়ে মজা না করা: সবাই নিজের মতো করে সুন্দর। অনেক সময় ছোটরা না বুঝেই সহপাঠীর কোনো দুর্বলতার জায়গায় আঘাত করে ফেলে। তাই সন্তানকে শেখান, যে যখন যাই বলুক না কেন, কারও সম্পর্কে কখনও কোনো অবমাননাকর মন্তব্য করা উচিত নয়।