রামগঞ্জে দরবেশপুর ইউপিতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরন উদ্ভোধন
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরন উদ্ভোধন করা হয়েছে। ২০নভেম্বর (রবিবার) সকালে উপজেলার ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদে ওই বিতরন কার্যক্রের উদ্ভোধন করা হয়।
মোঃ মোবারক হোসেন, নরসিংদী প্রতিনিধি:
” সত্যের পথে অবিরাম যাত্রা’ স্লোগানকে সামনে রেখে ” নরসিংদীর পলাশে “পজেটিভ বাংলা টিভি’র” প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর ) সন্ধ্যা ৬টায় পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবে অনলাইন চ্যানেলটির দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“পজেটিভ বাংলা টিভির” সম্পাদক বিল্লাল হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব শরীফুল হক, পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম শফি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুল্লাহ (মনা) দৈনিক পাবলিক বাংলার সম্পাদক কবি শাহ্ বোরহান মেহেদী,দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর কবির,দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান, মানবকণ্ঠ প্রতিনিধি হাজী জাহিদ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি প্রতিনিধি মাহাবুব সৈয়দ, দৈনিক স্বপ্ন প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সফিকুল ইসলাম, নরসিংদীর কন্ঠস্বরের সম্পাদক মোঃ সাব্বির হোসেন, দৈনিক অধিকারের প্রতিনিধি নাসিম আজাদ, মানবজমিনে প্রতিনিধি রুবেল সারোয়ার, খোলা কাগজ প্রতিনিধি সিয়াম সরকার, নরসিংদী টিভির প্রতিনিধি তাহমিনা শশি, দৈনিক মতপ্রকাশ প্রতিনিধি নাজমুল হক মনি, ভোরের ধনীর স্টাফ রিপোর্টার মুঞ্জুর হোসেন খান, সাংবাদিক কামরুল সহ এশিয়ান টিভির, আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি গন উপস্থিত ছিলেন। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন ‘সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে জাতির কাছে মুখোশ উন্মোচন হয়। কোনো প্রকার মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ আছে কিনা তার সকল তথ্য আমি জানি না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারি।’
পজেটিভ বাংলা টিভির প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকল সাংবাদিকদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। উক্ত অনুষ্ঠানের লেখক, কবি, সাহিত্যিক, কলামিস্টসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শরীরে নানাভাবে রোগ-জীবাণু প্রবেশ করে। শীতের সময় ত্বক সংবেদনশীল থাকে। ত্বক মূলক রোগ জীবাণু প্রবেশে বাধা দেয়।
শীতের সময় শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেশি দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ত্বকেরও বিভিন্ন রোগব্যাধি হওয়ার আশংকাও বাড়ে। শীতের শুরুতেই যদি এ সম্পর্কে জানা যায় ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করা যায় তাহলে ত্বকের এসব রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
শীতের রোগবালাই নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ত্বক ও যৌনব্যাধি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাশেদ মো. খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম।
* শীতে ত্বকের কী কী সমস্যা বা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে?
* শীতে যেহেতু পরিবেশে আর্দ্রতা ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়, এ কারণে প্রধান সমস্যাই হচ্ছে ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে যাওয়া। এর ফলে চুলকানি, ঠোঁট ও পায়ের চামড়া ফেটে যাওয়া, হাতের চামড়া উঠে যাওয়াসহ খুশকির সমস্যা বাড়ে। যাদের ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, লিভার ও কিডনির সমস্যা বা জন্মগত চামড়ার কিছু রোগ থাকে তাদের এ ড্রাইনেসের তীব্রতা বেশি হয়। আরেকটি হচ্ছে ঠান্ডা পরে যাওয়ার কারণে হাত ও পায়ের আঙুল লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, একে রেনড ফেনোমেনং বলে।
* ত্বকের এই শুষ্কভাব দূর করার উপায় কী?
*মেডিকেল গ্রেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাই হচ্ছে প্রধান চিকিৎসা। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ক্রিম বা অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার দেবেন, যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লোশন বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এটি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ত্বক যেন তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ময়েশ্চারাইজার যে ত্বক তৈলাক্ত করে, তা কিন্তু নয়। শীতে খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার না করে কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ের জন্য গোসল করা যেতে পারে। প্রতিদিন গোসল না করলেও চলে, একদিন পরপর করা যায়। কারণ এ সময় আমরা ফুল হাতা জামা-কাপড় ব্যবহার করি তাই ত্বকে খুব বেশি ময়লা, ধুলাবালি পড়ে না।
গোসলের পর পর শুকনো সুতি কাপড়ের তোয়ালে দিয়ে ত্বক চাপ দিয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা বা সমস্যা বুঝে দিনে ৩-৪ বারও ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন খারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে সপ্তাহে ২-৩ দিন সুগন্ধিহীন ও বর্ণহীন সাবান, সিনথেটিক ডিটারজেন্ট বা বাথজেল ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি ঘষা-মাজা করে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের তৈলাক্ত বা ন্যাচারাল ময়েশ্চার উঠে গিয়ে ত্বক শুষ্ক হয় ও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস শরীরে প্রবেশের সুযোগ পায়।
* এ সময় ত্বকের কী কী রোগ হওয়ার বা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে?
* স্ক্যাবিস বা খোস-পাঁচড়া শীতে আমাদের দেশে প্রধান সমস্যা। একসঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো হয়ে থাকলে যেমন মাদ্রাসা, হলে অবস্থানকারীদের একজন থেকে আরেকজনে এ রোগ দ্রুত ছড়ায়। কারণ এটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে। হাতের আঙুলের ভাঁজে, নাভির চারপাশে, শরীরের ভাঁজযুক্ত স্থানে, মহিলাদের ব্রেস্টের নিচে এবং প্রজনন অঙ্গের আশপাশের গোটাযুক্ত বিচি বা ফোসকা, যাতে রাতে চুলকানি বাড়ে এবং তা দিয়ে খোস-পাঁচড়া শনাক্ত করা যায়।
চিকিৎসার প্রধান শর্ত হচ্ছে যাদের এ সমস্যা হয়েছে তাদের ও তার সঙ্গে থাকা সবার চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসা নেওয়ার পরও চুলকানি ভালো হতে দুই সপ্তাহ লেগে যায়। শিশুদের যদি এ রোগ শনাক্ত করা না যায় বা চিকিৎসা না করা হয় বা বারবার খোস-পাঁচড়ায় আক্রান্ত হয় তাহলে এর জটিলতায় কিডনির সমস্যা গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস হতে পারে।
প্রত্যেকের ব্যবহার্য জামা-কাপড়, লেপ-তোশক, বালিশের কভার, চাদর সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বা ইস্ত্রি করে ব্যবহার করতে হবে। ইকথায়োসিস নামের জন্মগত ত্বকের রোগে হাঁটু থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত খোসার মতো ত্বকে উঠে যাওয়ার সমস্যায় বার বার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার এবং ডাক্তারের পরামর্শে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মাত্রার স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। কোল্ড অ্যার্টিকেরিয়ায় ত্বকে চাকা চাকা হয়ে সারা শরীরে চুলকানি হতে পারে। যা ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনে যাদের দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রোগ সোরিয়াসিস, প্যারাসোরিয়াসিস বা লাইকেন প্ল্যানাস আছে তাদেরও রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।
* শিশুর ত্বকের যত্নের ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?
*কিছু শিশু জন্মগতভাবে শুষ্ক ত্বক নিয়ে জন্মায়। এরা ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, সর্দি, শ্বাসকষ্টে ভুগে। এদের এটোপিক বেবি বলে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। চুলকানি কমানোর জন্য ছোট-বড় সবাই নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
তবে সরিষার তেল ব্যবহার করবেন না। এর ফলে অ্যালার্জি, ইরিটেশন বা ত্বকে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টক বা সাইট্রাস ফল অর্থাৎ ভিটামিন সি প্রতিদিন গ্রহণ করা ভালো। সুতির কাপড় ব্যবহার করবে, সিনথেটিক বা পশমী সোয়েটার, মাফলার, টুপি ব্যবহার করলে এদের অ্যালার্জির প্রকোপ আরও বেড়ে যায়।
শীতের শাক-সবজি, ফলমূল প্রচুর গ্রহণ করতে হবে কারণ এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে যা এন্টি এজিং ও ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। কম্বলের পরিবর্তে লেপ ব্যবহার করবে।
* খুশকি এ সময় অন্যতম সমস্যা। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় জানাবেন?
** ডেনড্রাফ যাদের বেশি হয় তারা আসলে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস নামে একটি রোগে ভোগে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা কিটোকোনাজল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করবেন। শ্যাম্পু যেন সালফেটমুক্ত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। স্ক্যাল্প বা মাথার তালুতে কোনো তেল ব্যবহার করার দরকার নেই। এর ফলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ রোগটি আসলে নিয়ন্ত্রণযোগ্য, তবে পুরোপুরিভাবে ভালো হয় না।
* ঘরের বাইরে বের হওয়ার আগে বিশেষ কোনো প্রস্তুতির দরকার হয় কি?
** এ সময়ও কিন্তু সূর্যের রশ্মি আমাদের ত্বকে সরাসরি পরে। তাই সানস্ক্রিন এসপিএফ ৩০-৫০ এর মধ্যে ব্যবহার করে বের হবেন। অনেকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুনে বা রোদে ত্বক পোড়ান। এর ফলে সান বার্ন বা সান ইনজুরি হতে পারে।
কাতার বিশ্বকাপ এখনও মাঠে গড়ায়নি, এর আগেই ইনজুরির তালিকা বাড়ছে আর্জেন্টিনা দলের। অনুশীলন চলাকালীন ইনজুরিতে পড়েন দলটির ফরোয়ার্ড নিকোলাস গন্সালেস। বিশ্বকাপ থেকে তার ছিটকে যাওয়ার ঠিক এক ঘণ্টা পরই খবর আসে দলটির আরেক ফরোয়ার্ড হোয়াকেন কোরেয়াও ছিটকে গেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) অনুশীলন করার সময় পায়ের পেশিতে চোট পান নিকো। পরে স্ক্যান করালে সেখানে চিঁড় ধরা পড়ে। যে কারণে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেলেনে ফিওরেন্তিনার এই ফরোয়ার্ড। তার বদলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের আনহেল কোরেয়া।
ঘণ্টাখানেক পরই খবর আসে এই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন হোয়াকেন কোরেয়াও। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অবশ্য মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ৫-০ ব্যবধানের সেই বড় জয়ে গোল পেয়েছেন ইন্টার মিলানের এই ফরোয়ার্ডও।
তবে ম্যাচটির পরেই বাঁ পায়ের হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। পরবর্তীতে জানানো হয় খেলতে পারবেন না এবারের আসরে। তার বদলি হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন আতালান্তার থিয়াগো আলমাদা।
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ কহিনূর বেগম (৩০) হত্যার দায়ে তার স্বামী মো.মিল্লাদের (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো.মিল্লাদ সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরমজিদ গ্রামের মো.শাহজাহানের ছেলে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক সামছুদ্দিন খালেদ এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী শিশু ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মর্তুজা আলী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, আসমি মিল্লাদ রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। ২০১৭ সালের ২ মার্চ বিকালে রিকশা নিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী তাকে পান আনতে বলেন। একই দিন রাতে রিকশা চালিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে পান না নেওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিল্লাদ তার স্ত্রীর ওড়না দিয়ে তাকে গলায় প্যাঁচ দিয়ে হত্যা করে। শেষে বসত ঘরে স্ত্রীকে মাটি চাপা দিয়ে সে জেলা শহর মাইজদী গিয়ে গা ঢাকা দেয়। মিল্লাদের বাড়ির পাশে তার শ্বশুর বাড়ি। সেখান থেকে তার বাচ্চা এসে মাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে।
খবর পেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসে বসত ঘর থেকে গৃহবধূ কহিনূরের লাশ উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মিল্লাদকে ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করে সমাজের লোকজন। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই বেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে মিল্লাদকে আসামি করে চরজব্বর থানায় হত্যা মামলা করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো.মিরাজ উদ্দি জুয়েল বলেন, আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। কোন সাক্ষী সংজ্ঞায়িত ভাবে বিষয়টি প্রমাণ করতে পারে নাই। তারা বিষয়টি দেখেনি,শুনেছেন। কিন্তু আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত শুনানি শেষে মিল্লাদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাতে কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই নারীদের উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আটক ছিদ্দিককে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আবু বক্কর ছিদ্দিক সোহেল আন্তর্জাতিক মানব পাচার দলের সদস্য। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের পেশকারহাট এলাকার হারুনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভাবে থাকা সুনামগঞ্জ জেলার ৪ নারীকে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিবে বলে কৌশলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে একটি পাচার চক্র। গত ১২ নভেম্বর শনিবার বিদেশে নেওয়ার কথা বলে ওই চার নারীকে প্রথমে বাড়ি থেকে ঢাকায় ও পরে সেখান থেকে পাসপোর্ট তৈরির জন্য এনআইডি কার্ড করার কথা বলে বুধবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আনা হয়। তারপর পাচারকারী চক্রের সদস্য সোহেলের মাধ্যমে তার বাড়িতে রেখে জাতীয় পরিচয় পত্র করার জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভোটারের জন্য ছবি তুলতে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তারা তাদের স্থায়ী নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। পরে তাদের কৌশলে আটক করে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।
ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনায় উদ্ধার করা ভুক্তভোগী ছামিরা আক্তার বাদী হয়ে আটক ছিদ্দিকসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৫ জনকে আসামি করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ সকালে আটকদের ছিদ্দিককে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সয়াবিন তেল ও চিনির দাম আরও বেড়েছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটির সংকটের মধ্যেই দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হবে ১৯০ টাকা। আগের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে ১২ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি কেজিতে ১৩ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০৮ টাকা।
আজ থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
জানা গেছে, ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বুধবার সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। একইভাবে গতকালই চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এতোদিন বোতলজাত সয়াবিন ১৭৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। নতুন মূল্য অনুযায়ী আজ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯২৫ টাকায়। এত দিন দাম ছিল ৮৮০ টাকা, তার মানে নতুন করে বাড়ছে ৪৫ টাকা।
অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম হচ্ছে ১৭২ টাকা। এত দিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ১৫৮ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হবে ১২১ টাকায়।
অন্যদিকে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি আজ থেকে ১০৮ টাকায় বিক্রি হবে। আগে দাম ছিল ৯৫ টাকা। নতুন দর অনুযায়ী ৫০ কেজির চিনির বস্তার দাম হবে ৫ হাজার ১০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম পড়বে ১০২ টাকা।
কাতারে বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে বাকি আর মাত্র তিন দিন। এর আগে দুঃসংবাদ পেলেন রবার্ট লেভানডভস্কি। রেফারির প্রতি ‘অসম্মানজনক’ আচরণের অভিযোগে লা লিগায় তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বার্সেলোনার এই স্ট্রাইকারকে। ৮ নভেম্বর লা লিগার ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে মাঠে নামেন লেভা। ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
মাঠ ছাড়ার সময় তাকে নাকে হাত দিয়ে বের হতে দেখা যায়। এর সঙ্গে রেফারিকে একটি ইঙ্গিত করেন এই বার্সা ফুটবলার, যা রেফারি গিল মানজানোর প্রতি অসম্মানজনক আচরণ হিসেবে দেখা হয়েছে।
ম্যাচটিতে লাল কার্ড দেখায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন লেভানডভস্কি। তবে ম্যাচ অফিশিয়ালের প্রতি ‘অসম্মানজনক আচরণে’র জন্য তাকে আরও দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)।
বলিউড তারকা নোরা ফাতেহির ঢাকা আসা নিয়ে একের পর জটিলতা তৈরি হয়। তবে সব জটিলতা কাটিয়ে বাংলাদেশের ভিসা পেয়েছেন তিনি। উইমেন্স লিডারশিপ করপোরেশন স্বত্ত্বাধিকারী ইশরাত জাহান মারিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলন এটা জানানো হয়।
এর আগে বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির স্টেজ শো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ অনুষ্ঠান বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার রাখে না।
হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এনবিআর অবশ্যই ট্যাক্স-ভ্যাট আদায় করার এখতিয়ার রাখে। তবে যেখানে সরকার অর্থাৎ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে, সেখানে অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার এনবিআর রাখে না।’