নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে চাঙ্গা নেতাকর্মীরা

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেত্রকোনা জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ২৯ নভেম্বর। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক মাঠে কাজ করছেন দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ডজন খানেকের বেশি নেতা। তারা দলীয় প্রধান ও হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন ঢাকায়—পদপ্রাপ্তির আশায় চালাচ্ছেন চেষ্টা-তদবির।

জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ছবিসহ কেন্দ্রীয় নেতা এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পদপ্রার্থীদের ছবিসংবলিত তোরণ।

জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নেত্রকোনা সদর, মদন, খালিয়াজুরী, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের চমক এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা সম্মেলনে কে হচ্ছেন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড পর্যন্ত লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা।

জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কমিটির সভাপতি মতিয়র রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লে. কর্নেল (অব.) আবদুর নূর খান, সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান খান রতন।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ নুর খান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-৩ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শামছুর রহমান ভিপি লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান নোমান, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকারের নাম আলোচনায় রয়েছে।

২৯ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।




চর এলাহীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মোঃবদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮নং চর এলাহী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) চর এলাহী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ২ রা ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এ মত বিনিময় সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন মেম্বারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনির সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহাব উদ্দিন।
মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা।
জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান। সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল। আওয়ামীলীগ নেতা পিপুল। আওয়ামীলীগ নেতা নাজমুল হক নাজিম। উপজেলা আওয়ামীলীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মহরম আলী। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মালেক মেম্বার। চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান

সভায় বক্তারা বলেন, গত দুইবছর উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে যে বিরোধ ছিল তা এখন শেষ হয়ে গেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের বিরোধ ইউনিয়ন গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেটা নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই আমাদের আজকের এই মত বিনিময়সভা।

ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, চর এলাহী ইউনিয়ন অতীতে ও আওয়ামীলীগের ঘাটি ছিল এখনো আছে, তবে মাঝখানে বিরোধের কারণে কিছুটা এলোমেলো ছিল। আজ থেকে তা আবার ঠিক হয়ে যাবে। এসময় তারা বলেন, আপনারা ভুলে গেলে চলবে না আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই বিএনপি জামাত নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রকে রুখতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। এছাড়াও আগামী নির্বাচনে এ আসন থেকে পুনরায় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের আপনাদের প্রিয় নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি। তাই তার সম্মান রক্ষার্তে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পরিশেষে সবাইকে আগামী ২ ডিসেম্বরের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, এ সম্মেলন হবে কোম্পানীগঞ্জের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সম্মেলন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবারও আহবান জানাবো
আমাদের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদেরকে যেন তৃতীয় বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।




মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন

মোঃবদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার তুষি গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ও মিসেস ফাতেমা বেগম-এর ৪র্থ পুত্র মোঃ নিজাম উদ্দিন (জিটু) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে SAFETY-NET PROGRAMS FOR WOMEN WORKERS IN READYMADE GARMENT (RMG) SECTOR IN BANGLADESH বিষয়ে এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

তাঁর এই ডিগ্রী গত ১২ অক্টোবর ২০২২ তারিখের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভার আদেশক্রমে প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় ২য় হয়ে ১ম শ্রেণিতে এমএসএস ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সকলের দোয়াপ্রার্থী।




স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাবেন যেভাবে

ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে ওজন ঠিক থাকে। যারা জাঙ্কফুডে অভ্যস্ত তাদের ওজন বেশি হয়ে থাকে।

ক্যালরি হচ্ছে ওজন পরিমাপের উপায়। যদি ওজন কমাতে হয় তবে প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয় তার থেকে কম পরিমাণ ক্যালরি সমপরিমাণ খাবার খেতে হবে অর্থাৎ কম ক্যালরি খেতে হবে বা কম ক্যালরিযুক্ত খাবার পরিমাণমতো খাওয়া যাবে।

সে ক্ষেত্রে কোন কোন খাবারে ক্যালরি কম থাকে তা জানতে হবে ও সে অনুযায়ী কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে ওজন কমাতে গেলে দেখা যায় কিছু দিন বা কয়েকদিন পরই প্রচণ্ড ক্ষুধার কারণে এই পদ্ধতি বাদ দেয় ও আগের অবস্থায় ফিরে আসে, তাই ওজন কমাতে কিছু টেকসই ও কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যা নিম্নরূপ-

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেডিনোভা মেডিকেলের অধ্যাপক মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. তৌফিকুর রহমান ফারুক।

প্রোটিন জাতীয় খাবারে ক্যালরি কম

খাবারে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি সবচেয়ে সহজ, কার্যকরী, মুখরোচক, বৈজ্ঞানিক ও কম কষ্টের। প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে অল্প খাবারে তাড়াতাড়ি তৃপ্তি আসে অর্থাৎ ক্ষুধার অনুভূতি তাড়াতাড়ি কমে এবং আমাদের শরীরের মেটাবলিক রেট বা শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার হার বাড়ে, কারণ প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার হজম করতে ও মেটাবলিজম হতে বা খাবার ভেঙে শক্তি উৎপাদনে বা অন্যান্য কাজে অনেক বেশি শক্তি ব্যয় হয়।

প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার হজম বা মেটাবলিজমে বেশি শক্তি অর্থাৎ ৮০-১২০ ক্যালরি শক্তি বেশি ব্যয় হয়। একজন ব্যক্তি যদি খাবারের ৩০ ভাগ প্রোটিন জাতীয় খাবার খায় তবে সে প্রতিদিন ৪৪১ ক্যালরি সমপরিমাণ খাবার কম গ্রহণ করল।

তাই খাবারে পরিমিত পরিমাণ প্রোটিন যোগ করে একদিকে যেমন শরীরে ক্যালরি কম প্রবেশ করে তেমনি ক্যালরি খরচও বেশি হয়। প্রোটিন জাতীয় খাবার আমাদের ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয়।

যারা ডায়েট করেন ও না খেয়ে ওজন কমাতে চান তাদের মাঝেমাঝে তীব্র ক্ষুধার অনুভূতি হয়, ফলে তারা আর না খেয়ে থাকতে পারেন না, ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে ও আবার ওজন আগের মতোই বাড়তে থাকে। প্রোটিন জাতীয় খাবার এ ধরনের হঠাৎ ক্ষুধার তীব্র অনুভূতি কমিয়ে দেয়।

এক গবেষণায় দেখা যায়, খাবারে যদি ২৫ ভাগ প্রোটিন বা আমিষ থাকে তবে এই প্রোটিন বা আমিষ মস্তিষ্কে খাবারের চিন্তা ৬০ ভাগ কমিয়ে দেয় ও রাতের গভীরে বা ভোর রাতে ø্যাক্স বা নাস্তা খাবার ইচ্ছা বা প্রবণতা ৫০ ভাগ কমিয়ে দেয়।

তাই যদি কেউ ওজন কমোনোর কর্মসূচি কার্যকরী ও টেকসই বা স্থায়ী করতে হয় ও কম কষ্টে ওজন কমাতে চায় তবে খাবারে কমপক্ষে ৩০ ভাগ প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাবার রাখতে হবে, এটা ওজন কমানোর পাশাপাশি ওজন যাতে আবার না বাড়ে তা নিশ্চিত করবে।

সুগারযুক্ত কোমল পানীয় ও ফলের রস বর্জন করতে হবে

সোডা, ফলের রস, চকোলেট দুধ ও অন্যান্য কোমল পানীয় যেমন কোকাকোলা, ফান্টা, মিরিন্ডা, পেপসি যেখানে অতিরিক্ত চিনি বা সুগার যোগ করা হয় তা ক্ষতিকর ও বর্জনীয়, কারণ সুগার বা চিনির মাধ্যমে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি ঢোকে ও তা আমাদের ওজন বাড়ায়।

বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে বা মোটা হওয়ার রিস্ক ৬০ ভাগ বেড়ে যায় যদি প্রতিদিন সুগারযুক্ত কোমল পানীয় পান করে। ওজন বাড়ার পাশাপাশি এ সুগারযুক্ত কোমল পানীয় নানাবিধ রোগ তৈরি করে।

প্রাকৃতিক জুস বা ফলের রস স্বাস্থ্যকর কিন্তু জুসের সঙ্গে যদি অতিরিক্ত চিনি যোগ করা হয় তবে তা ক্ষতিকর। এসব সুগারযুক্ত পানীয়ের আসলে কোনো লাভজনক দিক তো নেয়ই বরং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর।

বেশি করে পানি পান করলে ওজন কমে

ওজন কমানোর জন্য অন্যতম ট্রিক হচ্ছে প্রতিদিন বেশি পরিমাণ পানি পান করা। বেশি পরিমাণ পানি পান করলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয়। প্রতিদিন ৪ গ্লাস বা ২ লিটার পানি পান করলে ৯৬ ক্যালরি শক্তি অতিরিক্ত খরচ হয় কোনো কায়িক পরিশ্রম ছাড়াই।

তাছাড়া খাবার আগে খালি পেটে পানি পান করলে তাতে পেট আংশিক ভর্তি হবে এবং ক্ষুধা কমবে ও কম পরিমাণ খাবারে পেট ভরে যাবে, তাতে অটোমেটিক্যালি কম ক্যালরি শরীরে ঢুকবে।

১২ সপ্তাহব্যাপী এক গবেষণায় দেখা গেছে খাবার ১-২ ঘণ্টা আগে ১-২ লিটার পানি খেলে ৪৪ ভাগ বেশি ওজন কমে, তাই ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবারের পাশাপশি বেশি পরিমাণে পানি পান করা কার্যকরী। যেসব পানীয় ক্যাফেইনযুক্ত যেমন গ্রিন টি, কফি স্বাস্থ্যক ও ওজন কমাতে সহায়ক কারণ এ পানীয়গুলো শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে সাহায্যকারী।

নিয়মিত ব্যায়াম করা

আমরা যখন কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাই, তখন আমাদের শরীর শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে চায়, শক্তি কম খরচ করে শক্তি জমা রাখতে চায়। তাই দীর্ঘমেয়াদি ওজন কমান কর্মসূচি বা ডায়েটিং করলে বা কম খেলে আমাদের শরীরে মেটাবলিকজনিত বা শারীরবৃত্তীয়জনিত ক্যালরি খরচ কমে যায়।

তাছাড়া এতে আমাদের শরীরের মাংসপেশীগুলো শুকিয়ে যায়, তাই ওজন কমানোর জন্য বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার পাশাপাশি মাংসপেশী ঠিকভাবে রাখার জন্য ভারোত্তোলন বা ওজন লিফটিংও করতে হবে, এতে মাংসপেশী শুকিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ হবে ও মেটাবলিক কার্যক্রম ঠিক থাকবে।

তাই ওজন কমানোর জন্য আমরা শুধু শরীরের চর্বিই কমাতে চাইব না, আমাদের শারীরিক গঠনও যাতে ঠিক থাকে, আমাদের যাতে দেখতে অসুন্দর না লাগে, শুকনা শুকনা না লাগে, বরং দেখতে ভালো যাতে লাগে। ওয়েট লিফটিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত এরোবিক ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাঁতার কাটা ও জগিং করতে হবে।

রিফাইন্ড সুগার ও কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হবে

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে, তাই খাবারে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, আলু, চিনি, মিষ্টি, মধু, কোমল পানীয় কম খেতে হবে।

গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার অর্থাৎ কম কার্বোহাইড্রেট ও কম চর্বিযুক্ত খাবার ওজন কমাতে ২-৩ গুণ অধিক কার্যকর। তাছাড়া কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিন্ড্রোম রোগ প্রতিরোধ করে, তবে ফাইবারযুক্ত কমপ্লেক্সে বা জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন ঢেঁকিছাঁটা লাল চাল শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং উপকারী।




জয়ের পর মেসি যা বললেন

১৯৮৬ থেকে ২০২২। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে পেরিয়ে গেছে ৩৬টি বছর। এর মাঝে স্বাদ নেওয়া হয়নি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের। এমন হিসেব-নিকেশ পুঁজি করেই আয়োজক দেশ কাতারে এবার পা রেখেছিল লিওনেল মেসির দল।

তবে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে সেই আশায় গুড়ে বালি হয়েছিল আলবেসেলিস্তাদের। কিন্তু পরক্ষনেই সেই প্রেক্ষাপট পাল্টে বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করেছে লিওনেল মেসির দল। যার শুরুটা হয়েছে আজকের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের দারুণ জয় দিয়ে।

কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে আজ মাঠে নামে লিওনেল স্ক্যালোনির দল। টিকে থাকার লড়াইয়ে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না মেসিদের। এমন সমীকরণের ম্যাচে জয়ের নায়ক ‘লিওনেল মেসি’। গোল করে দলকে যেমন দিয়েছেন বিশ্বকাপে টিকে থাকার সম্ভাবনার, ঠিক তেমনি তরুণ অ্যানো ফার্নান্দেসকে দিয়েও করিয়েছেন অনবদ্য এক গোল।

মেক্সিকোর বিপক্ষে দারুণ এই জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেন, ‘আমরা জানতাম আজ আমাদের জিততেই হতো। এটা বিশ্বকাপে আমাদের জন্য নতুন এক শুরু আর আমরা এটা করতে পেরেছি। আমরা ছেড়ে দিতে পারি না। আমাদের এমন থাকতে হবে’।

এই ম্যাচে গোল করে কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার পাশে নাম বসিয়েছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ২১ ম্যাচে এই দুইজনের গোলসংখ্যা সমান আটটি করে।

ম্যাচ শেষে মেসি আরও জানান, ‘প্রথম ম্যাচে নানা কারণে আমাদের হারতে হয়েছে। আমরা জানতাম আজকে জিততেই হবে ও কীভাবে জিতব সেটাও জানতাম। আজ আমাদের বিশ্বকাপ শুরু হলো’। মেক্সিকোর বিপক্ষে এই জয়ে ‘সি’ গ্রুপে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পোল্যান্ড। আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের পয়েন্ট সমান ৩ করে। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে দুই’য়ে আছে স্ক্যালোনির দল।




তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা , হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বিগত কিছুদিন ধরে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিশেষ করে দিনে বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে উঠে যায়। পঞ্চগড়ে এ কারণে দিনে গরম অনুভূত হয়। পরবর্তীতে শেষ বিকেল থেকে তাপমাত্রা নিচের দিকে কমতে শুরু করে এবং যা সকালে ১২-১৩ সেলসিয়াস নেমে যায়।

রাতে কোনও কোনও দিন কুয়াশা বেশি পড়ে। ঠাণ্ডা সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত থাকে। দিনের বেলা সূর্যের তাপে ঠাণ্ডা কমে গিয়ে গরম অনুভুত হলেও সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পড়ে বের হতে হচ্ছে। আর রাতে কাঁথা-কম্বল ছাড়া থাকা যাচ্ছে না।

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বির্পযস্ত করছে। শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাইয়ের প্রকোপ বাড়ছে। এ সময়ে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এরই মধ্যে শীতজনিত নানা রোগে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জনসাধারণকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।




কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশু মৃত্যু

সাব্বির মামুন, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাঃ

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন,রৌমারী উপজেলার বানছার চর গ্রামের সাইফুদ্দীনের ছেলে আরাফাত (১৩) এবং রাজিবপুর উপজেলার বড়াই ডাঙ্গী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে রিদন (৩)।

ঘটনা ঘটে শনিবার (২৬ নভেম্বর২০২২) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইডাঙ্গী এলাকায় এক পুকুরে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,শিশু দুটি বাড়ির পাশের পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলো।একপর্যায়ে তারা সবার অজান্তে পানিতে পড়ে যায়।পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাদের না পেয়ে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় তাদের পায়ের জুতা ভাসছে। তাৎক্ষণিক তাদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আব্দুস সামাদ শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করে।

এ প্রসঙ্গে রাজিবপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন,শিশু দুটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত করা হয়নি। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে




নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামকে আধুনিকায়ন করার ঘোষণা

মোঃ বদিউজ্জামান( তুহিন) নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীতে নব নির্মিত টেনিস কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এরআগে শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে সেটিকে আধুনিকায়ন করার ঘোষণা দেন।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে টেনিস কমপ্লেক্স মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

২ কোটির টাকা ব্যয়ে নির্মিত কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে একটি টেনিস কোর্ট, এক তলা বিশিষ্ট প্যাভিলিয়ন ভবন, একটি সারফেস ড্রেন, প্রধান ফটক ও টেনিস কোর্টের চারদিকে গ্রীল ফেন্সিং।

প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল আরো বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ দেশের উন্নয়ন করেনি। আওয়ামী লীগ এক দিনে যা করেছে, বিএনপি ৫ বছরেও এত সেতু নির্মাণ করতে পারেনি। এসবের নেপথ্যে যিনি কাজ করছেন আপনাদের এলাকার কৃতিসন্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব।

জেলা শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প অচিরেই বাস্তবায়ন হবে। প্রায় ২০ কোটি টাকার এ প্রকল্পে থাকবে ৩ তলা বিশিষ্ট মিডিয়া সেন্টার, ৩ তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি ভবন, ১১ ধাপের ৫০০ ফিট গ্যালারি, আউটার স্টেডিয়ামে ভলিবল ও ব্যাডমিন্টনসহ বিদ্যমান প্যাভিলিয়ন ভবনের অধিকতর উন্নয়ন কাজ।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ১৮৬টি স্টেডিয়াম ১ হাজার ৬শ ৫০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হবে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, সুবর্ণচর, কবিরহাট, হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে




ভাসমান শীতার্তদের পাশে নেত্রকোণার পুলিশ সুপার

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

শহর ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্রহীন ছিন্নমুল শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন নেত্রকোণা জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মো ফয়েজ আহমেদ। তিনি শহরের বড় স্টেশন ও কোর্ট স্টেশন এলাকায় মাঝরাতে শীতার্থ মানুষদের গায়ে জরিয়ে দিচ্ছেন কম্বল।

গত রাত শহরের দুটো স্টেশনের ৩০ জন ভাসমান শুয়ে থাকা অসহায়দের কম্বল পরিধানে সাথে ছিলেন সদর উপজেলার মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ। শীতের শুরুতেই শহর এবং গ্রামের ভাসমান শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ দেখে অন্যান্য মানুষেরাও পুলিশের প্রশংসা করছেন। বিশেষ করে মানবিক সংগঠনগুলো বলছেন সমাজের উর্ধতন কর্মকর্তারা এভাবে প্রতিটি কাজে এগিয়ে আসলে বিত্ত বৈভবের মালিক যারা তারা অন্তত শিখবে।

এদিকে কম্বল পেয়ে দারুণ খুশি অসহায় শীতার্থরা। বয়সের ভারে অনেকে শীতে বেশি কাবু হয়ে পড়েন। তাদের কেথাও স্বজন আত্মীয় নেই। এদের পাশে এভাবে হঠাৎ শীত বস্ত্র নিয়ে হাজির হওয়ায় আনন্দে উদ্বেলিত তারাও। সদর উপজেলার মডেল থানাধীন শহরের বড় স্টেশন এবং কোর্ট স্টেশন এলাকায় শনিবার ভোর রাতে কম্বল এসকল বিতরণ করা হয় বলে জানান মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ। তিনি বলেন, ঠান্ডায় স্টেশন চত্বরে কুকড়ে শুয়ে থাকা শীতবস্ত্রবিহীন ছিন্নমুল মানুষুগুলোর গায়ে পড়িয়ে দেয়া হয় কম্বলগুলো।

পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ জানান, দুটো স্টেশনে ঘুরে মাত্র ৩০ জন শীতার্থদের মাঝে দিয়েছি। একেবারে বেশি কিছু না। কিন্তু এই মানুষগুলো শীতে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলো। এছাড়াও জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া তদন্ত কেন্দ্র, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, বারহাট্টার ফকিরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে, পুলিশ লাইন্সে সর্বমোট আড়াই শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এরই মাঝে।

তিনি বলেন, শীত চলে আসছে পুরোপুরি। কিন্তু স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখছি রাতে গায়ের পাতলা লুঙ্গি অথবা শাড়িটা প্যাচিয়ে খোলা জায়গায় মানুষ শুয়ে আছে। এটা খুব কষ্টের। যে কারণে আমরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে এমন ছিন্নমুল অসহায়দের গায়ে অন্তত কিছুটা শীত নিবারনের জন্য একটি করে কম্বল দিয়ে আসছি।




আজ মাঠে নামলেই যে রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি

কাতার বিশ্বকাপে শুরুতেই বড় হোঁচট খায় এবারের আসরের অন্যতম ফেবারিট আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের সঙ্গে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রাতে মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে লিওনেল মেসির দল।

লুসাইলে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। মেসির আজ দিবাগত রাতে মাঠে নামবেন এটা শতভাগ নিশ্চিত। কারণ, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ফলে আজ রাতে মাঠে নামলেই ম্যারাডোনার একটি রেকর্ড  ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।

রেকর্ড কী?  সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে নিজের ২০তম ম্যাচটি খেলেন মেসি। আর আজ মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসি মাঠে নামলে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে ২১টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়বেন তিনি। এই  রেকর্ড এতদিন শুধু ম্যারাডোনার দখলে ছিল।

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার। ’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তি ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই ম্যাচগুলো খেলেছিলেন তিনি। এর আগে সৌদি আরবের বিপক্ষে আরেকটি রেকর্ড করেন মেসি। ইতিহাসের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড়দের তালিকায় নাম লেখান তিনি। পরে পর্তুগালের হয়ে মাঠে নেমে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও এ রেকর্ড করেছেন। তবে বিশ্বকাপে মেসির চেয়ে কম তথা ১৮ ম্যাচ খেলেছেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো।

এ ক্ষেত্রে জার্মানির লোথার ম্যাথাউসের রেকর্ডটি সর্বোচ্চ। তিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলেছেন।