Sanitary napkins distributed to create awareness among students in Kamalnagar

Lakshmipur: Sanitary napkins have been distributed among secondary school students in Kamalnagar, Lakshmipur to increase health awareness.

Sanitary napkins were distributed among 800 students of Smriti Girls High School in Hazirhat Towaha on Wednesday (September 13) afternoon.

During this time, Kamalnagar Upazila Chairman Advocate Syed Mohammad Shamsul Alam, Upazila Executive Officer (UNO) Mohammad Masudur Rahman Molla, Hazirhat Union Parishad (UP) Chairman Md. Nizam Uddin, Upazila Secondary Education Officer Md. Touhidul Islam, and school headmaster AKM Zahid Billah delivered awareness speeches.

Kamalnagar Upazila Executive Officer (UNO) Mohammad Masudur Rahman Molla said that sanitary napkins have been distributed from ADP funds to make girl students aware. In the future, sanitary napkins will be distributed among girl students in secondary level educational institutions of the upazila.




Human chain protesting torture of disabled student in Lakshmipur

লক্ষ্মীপুরে প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত নির্যাতনকারী মোরশেদুল ইসসলাম মহসিনের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার কামানখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয় কামানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামানখোলা পলিটেকনিক হাই স্কুল ও কামানখোলা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা।

বক্তব্য দেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহম্মদ ভূইয়াঁ, সহকারি প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন কামাল, মাদ্রাসা সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মারুফ হোসেন সুজন প্রমুখ।

গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে বাড়ির সামনের দোকানদার মোরশেদুল ইসলাম মহসিন চকলেটের লোভ দেখিয়ে যৌনর্নিযাতন করে। এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তকে মহসিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।




This time, evidence of abortion found in Ram Rahim's Dera

বিস্ফোরক, নিজস্ব মুদ্রা, যৌন গুহার পর এবার রাম রহিমের ডেরায় মিলল গর্ভপাতের প্রমাণ। অপরাধের আখড়া হয়ে উঠেছিল রাম রহিমের ডেরা।
বাবা জেলে যাওয়ার পর থেকেই তার একের পর এক অবৈধ ক্রিয়াকলাপ সামনে আসছে।

বাবার গোপন ডেরায় যথেচ্ছ যৌনাচারের প্রমাণ মিলেছিল আগেই। এবার জানা গেল এ চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডেরার মধ্যে এক হাসপাতালে অবাধে চলত গর্ভপাত।
প্রায় ৬০০ একর জায়গা জুড়ে থাকা বাবার আশ্রমে হানা দিয়ে এই ঘটনার একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। প্রায় ৩০-৪০ জন সাধ্বী যে বাবার যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন, তা জানা গিয়েছিল আগেই। বিলাসের জন্য জলের তলায় সেক্স কেভ বানিয়েছিল রাম রহিম। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর গর্ভনিরোধক ও কন্ডোম।

এ অবস্থায় অবৈধ গর্ভপাতের মতো ঘটনা সামনে আসার পরেও অবাক হচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। শাহ সতনম জি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রেকর্ড বুকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়েছে। ডেপুটি কমিশনার প্রভোজৎ সিং এই অসঙ্গতির কথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সাধারণ যে নিয়মকানুন রয়েছে, তা বাবার ডেরায় মানা হতো না। ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ভাবেই গর্ভপাত হত ওই হাসপাতালে, সন্দেহ এমনটাই।

মনে করা হচ্ছে, অন্তত ছ’টি ক্ষেত্রে এই কাজ করা হয়েছে এবং এর শিকার হয়েছে মূলত সাধ্বীরাই। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




Prime Minister calls on Myanmar to immediately stop violence in Rakhine

অবিলম্বে রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ এবং তাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও মিয়ানমারের প্রতি চাপ দিতে আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যেন কষ্ট না হয়, তাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে কেউ যেন ভাগ্য গড়তে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।

এর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে আজ ১১টা ৩০মিনিটে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায় দেশটির একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ, তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ নানা নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নির্মম নির্যাতন, স্বজনের মৃতদেহ রেখে টানা না খেয়ে প্রাণ নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক নতুন,পুরাতন মিলে ৭লাখ রোহিঙ্গা।




Resolution in Parliament calling for end to push-in and repatriation of Rohingyas

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন ও পুশইন বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়ার আহবান জানিয়ে জাতীয় সংসদ সর্বসম্মতভাবে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করেছে।
এ রেজুলেশনে মিয়ানমার সরকারের উপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রেজুলেশনটি জাতিসংঘ, মায়ানমারসহ বিশ্বের জাতিসংঘের সব সদস্য দেশে প্রেরণ করা হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে সংসদে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ ও তাদের ফিরিয়ে নিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে আনীত ডা. দীপুমনির প্রস্তাবের (সাধারণ) ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে এই রেজুলেশন গৃহীত হয়। সরকার ও বিরোধী দলের ২২ জন সংসদ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। এরআগে রেজুলেশন গ্রহণের ফলে কী লাভ হবে জানতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেন, রেজুলেশনটি জাতিসংঘ, মায়ানমারসহ বিশ্বের জাতিসংঘের সব সদস্য দেশে প্রেরণ করা হবে। এর মাধ্যমে বিষয়টি আইনগত ভিত্তি পাবে এবং মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক সমাজ চাপ প্রয়োগ করার নৈতিক দায়ের সৃষ্টি হবে।
প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু ও ড. আলমীগর খান মহিউদ্দীন, জাসদের নির্বাহী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম, এ বিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জাসদের বেগম শিরীন আক্তার, ফখরুল ইমাম, মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহহাব (অব:), কক্সবাজারের এমপি সাইমুম সারোয়ার কমল প্রমুখ।
কার্য প্রণালী বিধির ১৪৭ (১) ধারা অনুসারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপুমনি এই প্রস্তাব গ্রহণের জন্য রবিবার নোটিশ প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর অব্যাহত নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ, তাদের নিজ বাসভূমি থেকে বিতারণ করে বাংলাদেশে পুশইন করা থেকে বিরত থাকা এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্বের অধিকার দিয়ে নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা গ্রহণে মিয়ানমার সরকারের উপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো ক‚টনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহবান জানানো হোক।
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি মানুষ হিসেবে। মুসলমান হিসেবে। ভারত এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন রোহিঙ্গারা আমাদের মেহমান। তবে যেভাবে তারা আসছে, তা আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। ওদের সাথে অস্ত্র চলে আসছে। মাদকও আসছে। এ বিষয়ে সরকারের আরো নজরদারি বাড়ানো উচিত। তাদের একটি জায়গায় রাখা উচিত। পরিচয়পত্র দেওয়া উচিত। চিকিৎসা ও খাদ্যের ব্যবস্থা করা উচিত। অবশ্য এ বিষয়ে এরমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যেসব উদ্যো নেওয়া হয়েছে এবং হবে এর মাধ্যমে সমাধানের একটি পথ বেরিয়ে আসবে। তিনি নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সমালোচনা করে বলেন, তিনি কী করে এমন অমানবিক কাজ করতে পারেন।
মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, রোহিঙ্গাদের মানুষ হিসেবে আশ্রয় দিয়েছি। মুসলমান হিসেবে নয়। ওদের সিদ্ধান্ত, ‘কিল দেম অল বার্ণ দেম অল’। তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, পাপুয়া নিউ গিনিতে আপনারা ৯৯ সালে ভোটাধিকারের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। ওদের চামড়া সাদা ছিল। রোহিঙ্গাদের চামড়া কালো বলে ওদের আপনারা মানুষই মনে করছেন না। কিন্তু ওরাও মানুষ ওদের নাগরিকত্ব ও ভোটধিকারের ব্যবস্থা করুন। তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছেন। ঠিক আছে। কিন্তু বাংলাদেশকে বিপদ মুক্ত রাখুন। আমরা সংঘাত চাই না।
ডা. দীপুমনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর অব্যাহত নির্যাতন নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করায় সেখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির লাখ লাখ লোক ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিষ্ঠুর নির্মমতার শিকার কেউ অর্ধমৃত, কেউ গুলিবিদ্ধ, কেউ বা আবার ক্ষত বিক্ষত হাত পা নিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু কোনো মতে জীবন নিয়ে ঢলের মতো প্রতিদিন বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। নাফ নদীতে ভাসছে সারি সারি রোহিঙ্গার লাশ। নিজ ভূমি থেকে রোহিঙ্গা জন গোষ্ঠিকে জাতিগতভাবে নির্মূলের লক্ষ্যে চালানো অব্যাহত নৃশংসতার গর্ভবতী মা বোনসহ দুগ্ধপোষ্য শিশুকেও রেহায় দিচ্ছেন এ সকল বাহিনী। তাদেরকে আখ্যায়িত করা হচ্ছে বাঙালি সন্ত্রাসী হিসেবে। এদের প্রতিটির বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে যাতে নিজভূমিতে ফিরতে না পারে। মানবিক কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্দশাগ্রস্থ এই জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অধিবাসী। তারা ৫’শ বছরের অধিক সময় ধরে আরাকান রাজ্যে বসবাস করছেন। তিনি আরাকান রাজ্যের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে আরাকান ছিল স্বাধীন মুসলিম রাজ্য। ১৪০৪ সাল থেকে ১৬১২ সাল পর্যন্ত ১৬ জন মুসলিম সম্রাট আরাকান শাসন করেছেন। রাজা বোধাপোয়া ১৭৮৪ সালে আরাকান দখল করে তৎকালীন বার্মার সঙ্গে যুক্ত করেন। ১৯৪৮ সালে ইউনিয়ন অব বার্মা বৃটিশদের কাছ থকে স্বাধীনতা লাভের সময়ও আরাকান বার্মার অংশ থেকে যায়।




Kolkata stands by the Rohingya, city blockaded by huge procession

রোহিঙ্গাদের সমর্থনে ভারতের কলকাতায় মিছিল করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানিয়ে সমাবেশ হয়েছে ধর্মতলায়।
এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সমাবেশে যোগ দেয় বাম ও কংগ্রেসও।

মিছিলের জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনে ব্যস্ত সময়ে তীব্র যানজট দেখা যায়। চরম নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের।

রোহিঙ্গাদের ঘাড়ধাক্কা দিলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকেও ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হবে। এই স্লোগান উঠল ধর্মতলার সমাবেশ থেকে। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধিকেও মঞ্চে উপস্থিত করা হয়। তিনি মিয়ানমার থেকে এসেছেন। সে দেশে তাকে কী পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের সমর্থনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। এটা মুসলমানদের সমস্যা বলে এখানে আসিনি। এটা মানবতার লজ্জা। মানবতার জন্যই এখানে এসেছি। ‘ একই সুর শোনা যায় সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও।




Madrasa student sentenced to 1 year in prison for using proxy in Ramgati exam

Lakshmipur:

লক্ষ্মীপুুরের রামগতিতে প্রবাসী বড়ভাই আনোয়ার হোসেনের ফাযিল পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেনকে ১বছর কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষা চলাকালীন সময় আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অজিব দেব তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসার ফাজিল ২য় বর্ষের ছাত্র ও রামগতি পৌরসভার চর সেকান্তর এলাকার আবুল কালামের ছেলে।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফাযিল ২য় বর্ষের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন তার বড় ভাই ফাযিল ৩য় বর্ষের ছাত্র প্রাবসী আনোয়ার হোসেনের পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। সকালে ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে তাকে এক বছরের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করে।

 

 




UN peacekeeping forces should be sent to Myanmar's Rakhine region…………………..A.S.M. Abdur Rab

 

 

 

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্বিচার হত্যা, খুন, নির্যাতনের মাধ্যমে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে জোরপূর্বক বাংলাদেশে প্রেরনের প্রতিবাদে ১০ আগষ্ট রবিবার, বিকেল ৪ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডিসহ সমমনাদল সমূহের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিতহয়। এতে বক্তব্য রাখবেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব,বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর মহাসচিব মেজর(অব:) এম এ মান্নান,নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না,জেএসডি সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক রতন,গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী,নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মমিনুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর নেতা শাহ আহমেদ বাদল, জেএসডি নেতা আতাউলকরিম ফারুক, গণফোরাম নেতা মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুররব তার বক্তব্যে বলেন, মিয়ানমার বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে বর্বরোচিত হত্যা, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতনের মধ্যদিয়ে লাখো লাখো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে বাধ্য করছে। বর্তমানে এ সমস্যাতীব্র আকার ধারন করেছে। কোন কুটনৈতিক সমঝোতা, আনানকমিশনের তদন্ত রিপোর্ট কোন কিছুকেই তারা আমলে নিচ্ছেনা। এঅমানবিক ও উদ্ধত আচরণ থেকে মিয়ানমারকে বিরত করা ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে তাদের বাস্তু ভিটায় ফেরৎ
যাওয়ার পথ নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে জাতিসংঘশান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরন করতে হবে। রব বলেন, এ বিষয়ে সরকারেরকুটনৈতিক তৎপরতায় ভ্রান্তি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সরকারকে অবিলম্বেতা কাটিয়ে উঠতে হবে। জেএসডি সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, রোহিঙ্গাইস্যুতে সৃষ্ট সমস্যা জাতীয় সংকটের রূপ নিয়েছে। এমতাবস্থায় দলীয়স্বার্থ চিন্তা ভুলে গিয়ে সরকারকে অবিলম্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলারজন্য উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।




Prime Minister goes to Ukhia to monitor Rohingya situation

মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা ও বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রবিবার গণভবনে সরকার ও দলের উচ্চপর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৫ আগস্ট ভোররাত থেকে রাখাইনে সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘাত শুরু হয়। এতে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন। এর মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বাকিরা আনসার সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভিযানের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িঘরে আগুনসহ নানা নির্যাতন শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৭ লাখ ছাড়িয়েছে বলে আজ রবিবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা মানুষের সংখ্যা ৭০০,০০০ ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে গত ১৫ দিনে এসেছে প্রায় ৩০০,০০০। ‘




Protest rally in Kamalnagar against genocide in Myanmar

লক্ষ্মীপুর : মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও গনহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদর হাজিরহাট বাজারে জাতীয় ইমাম সমিতির উদ্যেগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়। এতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জায়েদ হোছাইন ফারুকী, জাতীয় ইমাম সমিতির কমলনগর উপজেলা সভাপতি মাওলানা আলী হোছাইন, ওলামালীগের কেন্দ্রিয় সাধারন সম্পাদক মাওলানা ই¯্রাফিল, হাজিরহাট হামেদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান, হাজিরহাট জামে মসজিদের খতিব ক্বারী গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ হেলালীসহ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে নিতে ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। পরে মায়ানমারের মুসলমানের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।