আইটেম গানে কার কত পারিশ্রমিক?

কখনও ‘চিকনি চামেলি’ আবার কখনও ‘টিঙ্কু জিয়া’, বলিউডের মশলাদার গান কিংবা আইটেম গানে চাহিদা কিন্তু দর্শকদের বেশ তুঙ্গে। মালাইকা অারোরা খান কিংবা গওহর খানদের সঙ্গে এখন সিনেমার আইটেম গানে দেখা যাচ্ছে কারিনা কাপুর খান, ক্যাটরিনা কাইফদের মত প্রথম সারির অভিনেত্রীদের। কিন্তু, জানেন কি, এক একটি আইটেম গানের জন্য বলিউড অভিনেত্রীরা কত করে পারিশ্রমিক নেন?

এক একটি আইটেম গানের জন্য মালাইকা নাকি এক কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন। সে দাবাং-এর ‘মুন্নি বদনাম’ হোক কিংবা ‘আনারকলি ডিস্কো চলি’ হোক।

অভিনয়ের পাশাপাশি আইটেম গানের জন্য সোনাক্ষী সিনহার দাবি ৬ কোটি করে।

‘বেবি ডল’-খ্যাত সানি লিওন তাঁর আইটেম গানের জন্য ৩ কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন।

‘রামলীলা’-য় ‘গালিও কি রাসলীলা’-র জন্য প্রিয়াঙ্কা নাকি ৬ কোটি করে নিয়েছিলেন।

কারিনা কাপুর খান আইটেম গানের জন্য নেন ৫ কোটি করে। তাঁর ‘ফেভিকল’ এবং ‘মেরা নাম মেরি’ বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় আইটেম গান।

‘শিলা কি জওয়ানি’ এবং ‘চিকনি চামেলি’খ্যাত ক্যাটরিনা কাইফ এক একটি আইটেম গানের জন্য ৩.৫ কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন।




জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণায় আজ হেফাজতের বিক্ষোভ

মুসলমানদের পবিত্র শহর আল কুদসকে (জেরুজালেম) ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। শুক্রবার বাদ জুমা দেশেব্যাপী তারা এ বিক্ষোভ করবেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় সংগঠনটি।

তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হওয়ার জন্য হেফাজত নেতাকর্মী, ওলামায়ে কেরাম ও জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক অধিকৃত ফিলিস্তিনের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে একতরফাভাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিবাদ জানান তারা।

বিবৃতিতে তারা বলেন, পবিত্র মসজিদুল আকসাকে ঘিরে গড়ে ওঠা জেরুজালেম নগরীকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অন্যায়ভাবে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট একজন মস্তিষ্কবিকৃত লোক। তার একের পর এক নানা বিতর্কিত ও আগ্রাসনমূলক সিদ্ধান্তে বিশ্বশান্তি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। তার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিশ্ব মুসলিম নেতারা ও জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটা কখনো কোনো ইহুদি গোষ্ঠীর হতে পারে না।




পবিত্রভূমি জেরুজালেমের জন্য আত্মত্যাগে প্রস্তুত ফিলিস্তিনিরা

র্মীয় এবং রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর স্থান জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের ঘোষণা ভালোভাবে নেয়নি বিশ্বনেতারা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক দেয়া ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জেরুজালেমকে নিজেদের করে পেতে আত্মত্যাগে প্রস্তুত ফিলিস্তিনও।

বুধবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত স্বীকৃতির বিরুদ্ধে পরের দিন বৃহস্পতিবার শত শত ফিলিস্তিনি বেথেলহাম জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পুরো ফিলিস্তিন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বিক্ষোভ দমাতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। একটি ছোট শিশুসহ কমপক্ষে সাতজন এতে আহত হন। নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সবাই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম জুড়ে সবাই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। রাবি আলসোস (৩২) নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘জেরুজালেম ও আল-আকসা (মসজিদ) আমাদের সবার কাছে অনেক কিছু।
যুক্তরাষ্টের সিদ্ধান্ত অনেক বড় একটি ভুল। ‘

১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। ওই সময় সাত লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। সূত্র : আল জাজিরা




লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ প্রাঙ্গনে কলেজ শাখার আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেস, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিব হোসেন লোটাস, সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক করিমুল হক কনক ক্বারী, কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম রকি, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া প্রমূখ।




লক্ষ্মীপুরে সেই এডিসি ও চিকিৎসকের সমঝোতা!

লক্ষ্মীপুরে সমঝোতার বৈঠক শেষে ৪ ডিসেম্বরের ঘটনার ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেই এডিসি ও সাবেক সিভিল সার্জন। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন ও চিকিৎসকবৃন্দের মধ্যে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে এ সমঝোতার কথা জানানো হয়। এসময় তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ক্যামেরাবন্দী হন।
জানা যায়, দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ সার্কিট হাউজের দোতলায় বৈঠকে বসেন। দুপুর দেড়টায় বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন সবাই।
এসময় ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে যে দূরুত্ব সৃষ্টি হয়েছে সেটি নিরসন করেছি। প্রশাসনকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ওএসডিকৃত এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, এখন আমরা একে অপরকে চিনেছি, জেনেছি, বুঝেছি। একে অপরকে চিনতে না পারায় ঘটনাটি ঘটেছে। এখন আমরা লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নের স্বার্থে ৪ তারিখের ঘটনা ভুলে গেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম, পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তফা খালেদ আহমদ, ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. জাকির হোসেন ও বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: গত ৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরের দিন মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন এবং বুধবার খালাস দেয়া হয়।
এসব ঘটনায় এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরজ্জামানকে তলব করে হাইকোর্ট। এ ঘটনায় এডিসিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ে পদায়ন করা হয়।




লক্ষ্মীপুরের সেই এডিসিকে ওএসডি

লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামকে ওএসডি করা হয়েছে। তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে পদায়ন করা হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৯ টার দিকে শহরের জেলা প্রশাসকের বাস ভবন এলাকার কাকলি শিশু অঙ্গনের (বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) প্রবেশমুখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও সাবেক সিভিল সার্জন সালাহ উদ্দিন শরীফের মধ্যে বাকবিতণ্ডার পর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সালাহ উদ্দিনকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠান। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। মঙ্গলবার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ওই চিকিৎসককে জামিন দেয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর শওকত হোসেন।

এদিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সালাহ উদ্দিন শরীফকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।




লক্ষ্মীপুরের এডিসি ও ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব

ঢাকা: সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড  দেওয়ার ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার ইউএনও(উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে তলব করেছেন  হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির এ বিষয়ে তাদের  ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী ও আশফাকুর রহমান।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম।

আদেশের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পত্র পত্রিকায় এসেছে লক্ষ্মীপুরের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টে একজন প্রাক্তন সিভিল সার্জনকে সাজা দিয়েছেন। এডিসি জেনারেলের সাথে ওই ডাক্তারের ব্যক্তিগতভাবে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেটা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। পরে তাকে ডিসি অফিসে নিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।

ব্যারিস্টার আজীম বলেন, ওই রিপোর্টটা আসার পর দুইজন আইনজীবী সংক্ষুব্ধ হয়ে, এখানে যে আইনের শাসনের ব্যত্যয় হয়েছে সে জন্য রিট দায়ের করেছেন।  রিটের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ব্যক্তি আক্রোশের কারণে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমের যে অপব্যবহার, সেটা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। এবং ১৩ ডিসেম্বর এডিসি ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হয়ে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রও সাথে আনতে বলেছেন।ওই সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনও ব্যক্তিগতভাবে আসবেন। এবং আদালতের সামনে ওনার বক্তব্য রাখতে পারবেন।

ব্যারিস্টার আজীম আরও বলেন, মোবাইল কোর্টের যে ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়েছে সেটা সম্পূর্ণরূপে অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত একটা আক্রোশের কারণে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম যেভাবে তারা পরিচালনা করেছেন এবং যেভাবে একজন চিকিৎসককে অপদস্থ করা হয়েছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এতে আইনের শাসনের চরম ব্যত্যয় হয়েছে।

ওনার এটা হয়েছে তাহলে একজন সাধারণ মানুষের বেলায় কি হতে পারে? ।

উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে এনে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠায়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।

অবশ্য পরদিন মঙ্গলবার তার জামিন মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর শওকত হোসেন।




আ স ম রবের নতুন রাজনৈতিক জোট ‘যুক্তফন্ট’ : প্রধান বি চৌধুরী

ঢাকা : বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে প্রধান করে নতুন রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। সোমবার রাতে উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় এক বৈঠকে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামে এই জোট গঠন করা হয়। প্রাথমিকভাবে যুক্তফ্রন্টে চারটি দল রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।

দলগুলো হলো- সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য।

আব্দুল মালেক রতন বলেন, ‘আজকের বৈঠকে বি. চৌধুরীকে প্রধান করে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। এই জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করতে আরও সপ্তাহ দুই সময় লাগবে।’ তখনই জোটের সঙ্গে আরও কারা আছে, তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

অবশ্য জোট গঠনের লক্ষ্যে এই দলগুলোর নেতারা আগেও একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সোমবার রাতের বৈঠকে চারটি দলের শীর্ষস্থানীয় চার নেতা ছাড়াও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরী, জেএসবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতনসহ দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।




এবার ‘ভায়াগ্রা পান’, মূল্য ৫০০০ রুপি

বিয়ের পর মা একটি বিশেষ পান খাইয়েছিলেন ভারতের আওরঙ্গবাদের মোহাম্মদ সিদ্দিকীকে। এরপরই সেই পানের প্রেমে পড়েন সিদ্দিকী। এক পর্যায়ে এই বিশেষ পান বানিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সময়ের পরিক্রমায় সেই পান ভারতে পরিচিতি পেয়েছে ‘ভায়াগ্রা’ ও ‘কোহিনুর’ এই দুটি নামে। এর দামও আকাশছোঁয়া। সিদ্দিকী একটি পান বিক্রি করতে দাম ৫ হাজার রুপি। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৬ হাজার টাকারও বেশি।

৫০ বছর ধরে ওই দোকানটিতে পানের ব্যবসা করে আসছেন তিনি। আওরঙ্গাবাদে ওই পানের দোকানটির নাম ‘তারা পান সেন্টার’। তার দোকানের পানের মেন্যুতে রয়েছে প্রায় ৫১ ধরনের পান। এর মধ্যে নববিবাহিতদের জন্য আছে এক রকম পান।
একে বলা হয় স্টার পান। এই পানের কদর অনেক বেশি। এই পানটিই স্থানীয়ভাবে ‘ভারতের ভায়াগ্রা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে এ পানটি ‘কোহিনুর’ পান নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

এই দোকানে কোহিনুর পান বানানো হয় বিশেষ সব উপাদান মিশ্রিত করে। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরনের কস্তুরি, যার প্রতি কিলোগ্রামের দাম ৭০ লাখ রুপি। মিশানো হয় জাফরান, যার প্রতি কেজির দাম ৭০ হাজার রুপি। মিশানো হয় গোলাপ, যার প্রতি কেজির দাম ৮০ হাজার রুপি। এ ছাড়া এই পানে মিশানো হয় বিশেষ তরল। তাতে আছে ভিন্ন মাত্রার সুঘ্রাণ। এ জিনিসটি শুধু পশ্চিমবঙ্গেই পাওয়া যায়।

এরপরে যে জিনিসটি মিশানো হয় সেটিই এই পানের বিশেষত্ব। কি সেই উপাদান সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করে না। ব্যবসায়িক স্বার্থে তারা এ বিষয়টি গোপন রেখেছেন। এমনকি ওই দোকানে যেসব কর্মচারী কাজ করেন তারা পর্যন্ত জানেন না কি সেই গোপন উপাদান। এ গোপন উপাদানটি সম্পর্কে জানেন শুধু দু’জন। একজন হলেন দোকানের মালিক মোহাম্মদ সিদ্দিকী ও তার মা।

সিদ্দিকীর মা-ই এই ব্যবসার মূলে। তিনিই তার ছেলে সিদ্দিকীকে গোপন রেসিপি দিয়েছেন। সেই রেসিপি অনুসরণ করে তারা এখন ভারতজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন। এমনকি বিদেশি অনেক অতিথিও তাদের দোকানে ভিড় জমান।

বিশেষ করে ‘ভারতীয় ভায়াগ্রা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় নবদম্পতি এবং যারা যৌন জীবনে অসুখী তারা পর্যন্ত ছুটে যান ওই দোকানে।

সিদ্দিকী বলেন, আমি বিয়ের আগে এই পান বিক্রি করি নি। আমার বিয়ের পর মা আমাকে এই পান দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এটা আমার খাওয়া উচিত। তারপর যদি আমার পছন্দ হয় তাহলে আমাকে এটা বিক্রি করার জন্য বলেন। তারপর থেকেই এই পানের ভক্ত হয়ে যান সিদ্দিকী। তিনি এই পানকে তার দোকানের মেন্যুতে যুক্ত করেন। ফলে তার দোকানে প্রতিনিয়ত ভিড় লেগে থাকে কোহিনুর পানের জন্য। কিন্তু দামটা একটু বেশিই হয়ে যায়। তাই কম দামেও এটি বিক্রি করার একটি বিকল্প পন্থা আবিষ্কার করেছেন সিদ্দিকী। এর দাম রাখা হয় ৩০০০ রুপি।

তার দোকানের একজন কর্মচারী বলেন, ৩০০০ রুপির একটি পান যদি আপনি খান তাহলে তার প্রভাব থেকে যায় তিন দিন। এই তারা পান সেন্টারে পুরুষদের পাশাপাশি আছে নারীদের জন্য কোহিনুর পান। প্রতিদিন এই দোকান থেকে বিক্রি হয় ১ হাজার পান।




কারামুক্ত হলেন লক্ষ্মীপুরের সেই সিভিল সার্জন

লক্ষ্মীপুরে ভ্রাম্যামাণ আদালতে ৩ মাসের সাজা আদেশের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হলেন সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন শরীফ।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক মীর শওকত হোসেন ৫ হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে কারাগার থেকে স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে আসেন ।

এসময় সাবেক সিভিল সার্জন তার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় এবং সিনিয়র চিকিৎসক যেন অসম্মানিত ও অপমানিত না হন এ জন্য জোর দাবী জানাই। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টের নামে যে তৎপরতা চালানো হচ্ছে অবশ্যই এটি বন্ধ করাসহ যারা এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. নিজাম উদ্দিন, ডা. জাকির হোসেন, ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. হামিদ প্রমুখ।

সালাউদ্দিনের আইনজীবি রাসেল মাহমুদ মান্না জানান. অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ডা. সালাউদ্দিন শরীফের জামিন আবেদন করলে আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকা দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের বড় ছেলে মিনহাজের সঙ্গে বাক বিতন্ডা হয়। এসময় ডা. সালাহ উদ্দিন এগিয়ে এসে পরিচয় জানতে চান। কিন্তু এডিসি পরিচয় না দিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন।

এক পর্যায়ে এডিসিকে থাপ্পড় মারেন ডাক্তার।
বাবা ছেলে ও এডিসি’র মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ ডেকে ডাক্তারকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষনের মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় ডাক্তারকে। খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত চিকিৎসকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছুটে যান। বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা প্রশাসনের সকল সেবা কার্যক্রম ও সকল হাসপাতাল ক্লিনিক বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে নিঃশর্তভাবে ওই চিকিৎসকের মুক্তি দাবিকরেন।

জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগমের সঙ্গে প্রায় আধা ঘন্টার মতো রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তারা। তবে বৈঠকে চিকিৎসকরা তড়ি ঘড়ি করে সাজা দেয়ার বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসককের কাছে প্রশ্ন তোলেন। এসময় জেলা প্রশাসক আপিল করলে সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন বলে জানান চিকিৎসকরা।