21 promises of A. League in the manifesto

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহারে ২১টি অঙ্গীকার তুলে ধরেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

আজ মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার পাঠ শুরু করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যেসব লক্ষ্য ও অঙ্গীকার তুলে ধরেছে, সেগুলো হচ্ছে:

১. প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ

২. তরুণ যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা

৩. দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ

৪. নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ

৫. পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা

৬. সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও মাদক নির্মূল

৭. মেগা প্রকল্পগুলোর দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন

৮. গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা

৯. দারিদ্র নির্মূল

১০. সব স্তরে শিক্ষার মানবৃদ্ধি

১১. সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চিয়তা

১২. সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার

১৩. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা

১৪. আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা- লক্ষ্য যান্ত্রিকীকরণ

১৫. দক্ষ ও জনসেবামুখী প্রশাসন

১৬. জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা গড়ে তোলা

১৭. ব্লু-ইকোনমি- সমুদ্র সম্পদ উন্নয়ন

১৮. নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা

১৯. প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিজম কল্যাণ

২০. টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ

২১. সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি




কমলনগরে বিজয় দিবস পালিত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, ১০৪জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, বিশেষ প্রার্থনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রোববার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। ওই সময় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ প্রশাসন, আ.লীগ, যুবলীগ, জেএসডি ও হাজিরহাট উপকূল সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ মাঠে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি ও শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। চলছে ডিসপ্লে প্রদর্শনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। এসব উপভোগ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।




আ স ম রবের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর, তালা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এরপর ওই অফিসে তালা মেরে দেওয়ার দাবিও করা হচ্ছে জেএসডির তরফ থেকে।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রামগতি উপজেলার বড়খেরী ও চরগাজী ইউনিয়নে রবের নির্বাচনী অফিস দু’টিতে ভাঙচুর চালিয়ে তালা মেরে দেওয়া হয়। এজন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দোষারোপ করছে ঐক্যফ্রন্ট।

এ বিষয়ে জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের অফিস ভাঙচুর করে তালা দেয়। তারা জেএসডি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়তে হুমকি দিচ্ছে। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মহড়া দিচ্ছে। এ বিষয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিছুল হক বলেন, হামলা-ভাঙচুর নয়। অফিসে তালা দিয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মহাজোটের শরিক বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান




সড়ক সংস্কারে অনিয়ম, কমলনগরে বাঁধার মুখেও কাজ করছেন প্রভাবশালী ঠিকাদার!

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কে ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে দিয়ে সংস্কার কাজ চলছিলো। নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সিডিউল বহিঃভূতভাবে দরপত্রের শর্তভঙ্গ করে কাজ করায় স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষের কাছে। ৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিন গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ১০দিন কাজ বন্ধ রেখে কৃর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ঠিকাদার শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত শুরু করে। রাতের আধাঁরে আবারও নিন্মমানের কাজ করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এজিইডি) কমলনগর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই সড়কে ২ হাজার ৫ মিটার সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়। যার প্রাক্কলিত ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০লাখ টাকা। কাজটি পায় রেভ আরসি লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে কাজটি করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা ঠিকাদার মোহাম্মদ সবুজ। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো সিডিউল অনুসরণ না করে নিয়ম বহিঃভূতভাবে দায়সারাভাবে কাছ করছিলেন। নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের সংস্কার কাজ করায় স্থানীয়রা কাছে বাঁধা দেয় ও অভিযোগ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই সড়কের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা বলেন, সংস্কার নিন্মমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। নামেমাত্র বিটুমিন দিয়ে কাছ করছে; তাও নিন্মমানের। রাস্তায় পাতলা করে কার্পেটিং দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক অনিয়মের মধ্যে দিয়ে নিন্মমানের কাজ হওয়ায় অল্পকয়েক দিনের মধ্যে সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এতে দুর্ভোগের অন্ত থাকবে না।
কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন গিয়ে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষ জানানো হয়েছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ থাকার কথা। ফের কাজ শুরু হওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। দরপত্রের চুক্তির শর্ত অনুযায়ী রাস্তার কাজ ঠিকঠাকমতো বুঝে নেওয়া হবে।
ঠিকাদার সবুজ বলেন, বেশ কিছুদিন তিনি অসুস্থ থাকায় কাজ বন্ধ ছিলো। সুস্থ হওয়ায় আবারও কাজ শুরু হয়েছে। কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো চিঠি পাননি বলে জানান তিনি।




লক্ষ্মীপুরে বিজয় দিবস উদযাপিত

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল দিবসটি উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহাজাহান কামাল।

এছাড়াও স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা শহীদদের বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

সকাল ০৭ টায় শহরের বাগবাড়িস্থ গণকবরের পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সকাল ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়ামে শতাধিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।




জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তারা ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কয়েক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয় এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকার দলীয় শীর্ষ নেতারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। এরপর সকাল ৭টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।




লক্ষ্মীপুরে মহাজোট রেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা, ৪ নেতা বহিষ্কার

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে মহাজোটের লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগে চার নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার ও শুক্রবার জেলা আওয়ামী লীগের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া চার নেতা হলেন, রায়পুর পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি জুয়েল মৃধা, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইফতেখার রায়হান, কেরোয়া ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মো. কামাল হোসেন ও পৌর ২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্ত ইসলাম।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও শ্রমিক লীগের চার নেতা দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ ইসলাম পাপুলের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এতে করে তাদের দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। অভিযুক্ত ওই চার নেতাকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য জেলা ও কেন্দ্র বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল খোকন বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগ এবং মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অপরাধে চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে যে কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।




ভোটকক্ষে ছবি তোলা যাবে, লাইভ নয়: সিইসি

Dhaka:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষের ভেতরে ফটো তোলা যাবে। কিন্তু সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সিইসি বলেন, আচরণ বিধি, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকরা কি কার্যক্রম চালাবেন বা সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আচরণ বিধি প্রতিপালন নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে টেলিভিশনগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার হবে।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভোটকক্ষের ভেতরে কোনো লাইভ প্রচার করা যাবে না। কেন্দ্রে সীমিত আকারে সাংবাদিকেদের যেতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণে কর্মকর্তাদের অসুবিধা না হয়। বাংলাদেশি পর‌্যবেক্ষকদের পাশাপাশি বিদেশিদের জন্যও নীতিমালা আছে। সেগুলো মানতে হবে। কেন্দ্রের ভেতরে বেশিক্ষণ থাকতে পারবেন না। লাইভ সংবাদ প্রচার করতে পারবেন না। তবে, ভোটকক্ষের বাইরে করতে পারবেন।

সিইসি বলেন, ভোটকক্ষের ভেতরে। ঘরের মধ্যে। কেন্দ্র মানে ঘর। শুধু ঘরের মধ্যে। মাঠ নয়। ঘরে মধ্যে থেকে লাইভ করা যাবে না। গোপন কক্ষের ফটো তোলা যাবে না। বিষয়টি পরিস্কার। তবে, মোবাইল ফোনে ফটো তোলা যাবে।

যেখানে ভোট পরিচালনা করা হয়, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরা বসেন, সেখানে লাইভ করা যাবে না। বারান্দায় এসে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না হয়, এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটকক্ষে যদি ৩০-৪০ জন যান, একসঙ্গে গেলেতো তারা (প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্ট) কাজ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনার ওপর রেসপ্যাক্ট থাকতে হবে। তার কথা মানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটকক্ষের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। তবে মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

আচরণ বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ১২২টি। তাদের কাছে অভিযোগ করলে ভালো হয়। নির্বাচনের দায় দায়িত্ব বেশিরভাগ রিটার্নিং কর্মরকর্তাদের হাতে। এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তাদের কাছেও অভিযোগ দেওয়া যাবে।

বিরোধী দলগুলোর ওপর পুলিশি হামলা ও হয়রানির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মহাপুলিশ পরিদর্শককে কাল-পরশুর মধ্যেই চিঠি দেবো। যেন নিষ্পপ্রয়োজনে কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মীদের ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলে যেন হয়রানি, গ্রেফতার না করা হয়।

নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে বলেও মনে করার কথা জানান সিইসি। তিনি বলেন, প্রার্থীরা প্রচার কাজ চালাতে পারছে। আমি মনে করি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, সেনাবাহিনী সিআরপিসি (ফৌজদারি কার্যবিধি) অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুবু তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।




ড. কামালের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধন আজ

গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের সাংবাদিকদের নিয়ে অবমাননাকারী বক্তব্য ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান ড. কামাল হোসেন। এসময় সাংবাদিকরা ‘আগামী নির্বাচনে জামায়াত প্রশ্নে ঐক্যফন্টের অবস্থান’ জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের র্ভৎসনা করেন এবং অসম্মানের সঙ্গে উল্টো জিজ্ঞাসা করেন ‘কতো টাকা পেয়েছো? কাদের টাকায় এসব বেহুদা প্রশ্ন করছো, তোমার নাম কী? দেখে নেবো, কোন টিভি/পত্রিকায় কাজ করো, চিনে রাখব’। এই মর্মে হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। যা বাংলাদেশের কোটি কোটি দর্শক দেখেছেন।

এ নিয়ে কুষ্টিয়ার ইবি থানায় ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। সাংবাদিকদের হুমকি-ধামকি ও ভয়-তীতি প্রদর্শনের অভিযোগে এ জিডি করা হয়।




তামিম-সৌম্যর ব্যাটে সিরিজ জয় টাইগারদের

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান। ১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮.৩ ওভারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। যার ফলে ২-১ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা।

শুরুটা দারুণ করেও প্রতিপক্ষকে ফের একবার নিজের উইকেট উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ৩৩ বলে ২৩ রান করে দলীয় ৪৫ রানের মাথায় কিমো পলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন লিটন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চারের মার। এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌম্য সরকার। তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের ৪৪তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরির তুলে নেন। ৬৪ বলে চার হাঁকিয়ে ৫০ পূর্ণ করেন এই বাংলাদেশি বাঁহাতি ওপেনার। তামিমের সঙ্গী সৌম্য সরকারও তার ওয়ানডের ৭ম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ৬২ বলে এই হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় সৌম্য সরকারের বিদায়ে ভাঙ্গে ১৩১ রানের জুটি। ততক্ষনে বাংলাদেশের জয় বলা যায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। নিজের হাফসেঞ্চুরির পর যেন ঝড় তুলেছিলেন সৌম্য। সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কিমো পলের ফুল লেংথ বল ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য। বিদায়ের আগে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৮১ বলে ৮০ করে ফিরলেন সৌম্য। ৩৫.২ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ২ উইকেটে ১৭৬। এরপর ক্রিজে আসেন মুসফিকুর রহিম। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তামিম ১০৪ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। আর মুশফিক ১৪ বলে ১৬ রান করেন।

এর আগে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মিরাজ, মাশরাফি ও সাকিবদের বোলিং দাপটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান করে। যদিও টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ক্যারিবীয়দের দায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নেন শাই হোপ। তিনি করেন অপরাজিত ১০৮ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চতুর্থ ওভারে তার ঘূর্ণিতে মিঠুনকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৯ রানে মাঠ ছাড়া হন চন্দরপল হেমরাজ। এরপর ব্যক্তিগত ৬.৪ বলে বোল্ড করে ড্যারেন ব্রাভোকে ফেরান এই টাইগার স্পিনার। ২৬ বলে ১০ রান করে ফেরেন এই উইন্ডিজ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

এরপর দলীয় ২৩ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে মারলন স্যামুয়েলসকে সরাসরি বোল্ড করেন রুবেল হোসেনের বদলে এই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরে শিমরন হেটমায়ারকে শূন্য রানে এলবির ফাঁদে ফেলে নিজের তৃতীয় উইকেট দখল করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ৯৯ রানে ক্যারিবীয় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকেও ফেরান মিরাজ। ১ রান করে মুশফিকের তালুবন্দি হন তিনি। এরপর রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান। তুলে মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে বাউন্ডারি লাইনে থাকা সৌম্য সরকারের ক্যাচে মাঠ ছাড়েন চেজ। পরে নতুন ব্যাটসম্যান ফ্যাবিয়েন অ্যালেনও সাকিবের শিকার পরিণত হন। মোহাম্মদ মিঠুন দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান তাকে।

দলীয় ১৭১ রানে ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যক্তিগত ১২ রানে কেমো পলকে বোল্ড করে বিদায় করেন তিনি। এরপর কেমার রোচকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন এই টাইগার তারকা। ৩ রানে এলবিডব্লিউ হন কেমার রোচ।