লক্ষ্মীপুরে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেয়া নিয়ে সংঘর্ষ

লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির প্রচারণায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এ্যানিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তির হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ছেড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।




যেভাবে জানা যাবে জেডিসি/জেএসসির ফল

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোবাইলে এসএমএস করে এবং অনলাইনে ফল দেখা যাবে।

মোবাইল এসএমএসের পদ্ধতি:
যে কোন মোবাইল অপারেটরের মেসেজ অপশনে যান। পরীক্ষার নাম JSC অথবা JDC লিখুন। স্পেস দিন। সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে। আবার স্পেস দিন। এরপর রোল নম্বর লিখুন। আরেকটি স্পেস দিন। পরীক্ষার বছর অর্থাৎ 2018 লিখুন। বোর্ডের নামের ক্ষেত্রে Dhaka Board হলে DHA, Comilla Board-COM, Rajshahi Board-RAJ, Jessore Board-JES, Chittagong Board-CHI, Barisal Board-BAR, Sylhet Board-SYL, Dinajpur Board-DIN এবং Madrassah Board হলে MAD লিখতে হবে। জেএসসি’র পুরো মেসেজটি যেমন হবে: JSC<স্পেস>DHA<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>2018। আর জেডিসি’র মেসেজটি যেমন হবে: JDC<স্পেস>MAD<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>2018। এবার মেসেজটি পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএস এ পরীক্ষার্থীদের ফল জানিয়ে দেয়া হবে।

অনলাইনে ফল জানার পদ্ধতি:
ব্রাউজারে এড্রেস বারে লিখুন www.educationboard.gov.bd। ওয়েবসাইটের মাঝে Examination এর সামনে JSC/JDC সিলেক্ট করুন। Year 2018 সিলেক্ট করুন। এরপর নিজের শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করুন। রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখুন। এরপর দুটি সংখ্যা যোগ করতে বলা থাকবে। যোগফল লিখুন। লেখাগুলো সঠিক থাকলে নিচের ডানে সাবমিট বাটন প্রেস করুন। এরপরই রেজাল্ট ভেসে উঠবে।  এই পেইজটি প্রিন্ট করা যাবে।




৩৮৯ উপজেলায় সেনা, ১৮ উপজেলায় নামছে নৌবাহিনী

Dhaka:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দায়িত্ব পালনে নামছে সশস্ত্র বাহিনী। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী দেশের ৩৮৯ উপজেলায় এবং নৌবাহিনী ১৮ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান বিষয়টি জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। নির্বাচনের ছয় দিন আগে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে ইসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

পরিপত্রের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা সহায়তা চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা-থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিযুক্ত হবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনাকক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ইসির কাজে যাবতীয় সহায়তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনা বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই বাহিনী।’

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী কাজ করবে সশস্ত্র বাহিনী। অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ডাকা হলে এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায়ে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না গেলে ঘটনাস্থলে থাকা সর্বোচ্চ পদের ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন। জরুরি পরিস্থিতিতে যদি কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতে পারবেন। সামরিক শক্তি প্রয়োগের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত নির্দেশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব তা লিখিত আকারে দেবেন।’

‘ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে কম-বেশি করা যাবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিবেচনায় প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনাসদস্য সংরক্ষিত হিসেবে মোতায়েন থাকবেন। বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান জননিরাপত্তা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে উড্ডয়নে সহায়তা করবে।’

এদিকে নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের ৬টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে। ওই ৬টি কেন্দ্রেও সেনাবাহিনী টেকনিক্যাল টিম হিসেবে কাজ করবে। সেজন্য ইসি একটি পরিপত্র জারি করেছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘যে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেখানে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য ৩ হাজার ৩শ’র মতো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। বাহিনীর সদস্য পোশাকে থাকবেন, কিন্তু কোনো ধরনের অস্ত্র-গোলাবারুদ বহন করবেন না। ইভিএম কেন্দ্রে যেসব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নিকটতম টহল দল ও স্থানীয় ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি কেন্দ্রীয় কো-অর্ডিনেশন সেল থাকবে। সেলের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুরূপ জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেল স্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় সেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ২৭ ডিসেম্বর স্থাপিতব্য জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেল এ জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন।’ যোগ করা হয় পরিপত্রে।




নির্বাচন ঘিরে যান চলাচলে বিধিনিষেধ

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব ধরনের যান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। রবিবার এক প্রজ্ঞাপনে এ বিধিনিষেধ জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর (রবিবার) মধ্য রাত পর্যন্ত সড়কপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এর আগে, ২৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) মধ্য রাত পর্যন্ত মোটরসাইকেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।




কাল নামছে সেনাবাহিনী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও পরে শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আগামীকাল থেকে মাঠে নামছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তারা আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন থাকবেন। নির্বাচনে ‘ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী কাজ করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তারা জেলা/উপজেলা/মহানগর এলাকার সংযোগস্থলে (নডাল পয়েন্ট) ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্রে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার সহায়তা চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তারা সহায়তা করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে বা ভোট গণনাকক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ইসির কাজে যাবতীয় সহায়তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ডাকা হলে, তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায়ে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না গেলে ঘটনাস্থলে থাকা সর্বোচ্চ পদের ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন। জরুরি পরিস্থিতিতে যদি কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতে পারবেন। সামরিক শক্তি প্রয়োগের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত নির্দেশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব তা লিখিত আকারে দেবেন। পরিপত্র অনুযায়ী, যে ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে, সেখানে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। তবে তারা কোনো ধরনের অস্ত্র-গোলাবারুদ বহন করবেন না, কিন্তু বাহিনীর পোশাকে থাকবেন। ইভিএম কেন্দ্রে যেসব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নিকটতম টহল দল ও স্থানীয় ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।




সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে ইসির ‘নিষেধাজ্ঞা’

Dhaka: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিক নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাংবাদিকরা যাতে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ করতে না পারেন, সে ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে।

নীতিমালায় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা, ভিডিও করা এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারার কথা বলা আছে। তবে একসঙ্গে একাধিক সাংবাদিক একই ভোটকেন্দ্রের একই ভোটকক্ষে একসঙ্গে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরাসির প্রচার করা যাবে না।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ শাখা) এসএম আসাদুজ্জামানের ২১ ডিসেম্বরের স্বাক্ষরে জারি করা ওই নীতিমালায় সাংবাদিক এক ডজনের বেশি দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা অমান্য করলে বা ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন, বিধি ও কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে নীতিমালায়।

নীতিমালাটি ইতিমধ্যে সংসদ নির্বাচনের সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভোটগ্রহণের দিনসহ বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা যাতে সহজে নির্বিঘ্নে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা দেওয়ার প্রয়োজন আছে, তবে তা অবশ্যই নির্বাচনের সময়, ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনার সময় প্রযোজ্য বিধি নিষেধ মেনে করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য ভোটকেন্দ্রের সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সাংবাদিকদের বিশেষ কার্ড সরবরাহ করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার কার্ড দেবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সাংবাদিকদের কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা দিতে পারবেন। এছাড়া ঢাকা থেকে যেসব সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে যাবেন, তাদের কার্ড নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া হবে। সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশন অনুমোদিত এবং অনুমোদন সূচক স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। মোটরসাইকেল ব্যবহার করার জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না।

সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলের স্টিকার না দেওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম। তবে অন্য যানবাহন ব্যবহার করলে স্টিকার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের সময় মোটরসাইকেল চালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এক্ষেত্রে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ক্ষেত্রবিশেষ আরো অধিককাল মোটরসাইকেল বা অনুরূপ যানচলাচলের নিষেধ থাকবে। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে পরে মোট ৪ দিন সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারছেন না।

ভোটের দিন ঢাকা থেকে গণমাধ্যগুলোর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট করেসপন্ডেন্টদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের খবর সংগ্রহ করে থাকে।

নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে-
# নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

# ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। তবে কোনো ক্রমেই গোপন কক্ষের ছবি সংগ্রহ কিংবা ধারণ করতে পারবেন না।

# একই সঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোট কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।

# ভোট কক্ষের ভেতর হতে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।

# ভোট কেন্দ্রের ভেতর হতে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোট কক্ষ হতে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে তা করতে হবে।

# কোনোক্রমেই ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না।

# সাংবাদিকগণ ভোট গণনা কক্ষে গণনা দেখতে পারবেন, তবে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না।

# ভোট কক্ষ হতে ফেসবুকসহ কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা যাবে না।

# ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

# ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং অফিসারের আইনানুগ নির্দেশ মেনে চলবেন।

# নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।

# কোনো প্রকার নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না।

# নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যে কোনো ধরনের প্রচারণা বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা হতে বিরত থাকবেন।

# নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনী আইন ও বিধিবিধান মেনে চলবেন।

নীতিমালা দেখতে ক্লিক করুন

Journalist_Guide_Line20181222215718




লক্ষ্মীপুর-০৪, রব-মান্নার মর্যাদার লড়াই

লক্ষ্মীপুর:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে দুই হেভিয়েট প্রার্থী রব ও মান্নান নির্বাচনে লড়ছে। এদের একজন বিএনপির শরিক ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। অপরজন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক যুক্তফ্রন্ট নেতা ও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। এরা লড়ছেন নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে।
জেলার মেঘনা উপকূলীয় এ আসনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, ২০০১ ও ০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন নিজান। জোটগত কারণে এদের দু’জনই এবার দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন। এখন ভোটের মাঠে লড়ছেন ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের দুই নেতা। তারা দু’জনই সাবেক মন্ত্রী ছিলেন।
আ স ম রব লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এ আসনে বিকল্পধারার কুলা প্রতীকে নির্বাচন করে হেরেছেন। ওই নির্বাচনে রব ভোট করেছেন জেএসডি থেকে ‘তারা’ প্রতীকে। তাদের দু’জনকেই পরাজিত করে বিএনপি প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন নিজান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, মেজর মান্নান ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
বিগত সব কয়েকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল পর্যাবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এখানে বিএনপির শক্ত অবস্থান। যে কারণে এটি বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। এখানকার ভোটাররা প্রার্থী নয়; ধানের শীষ প্রতীক দেখে ভোট দেয়। তবে ব্যক্তি রবেরও নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। জেএসডি ও বিএনপি জোটের ভোটে ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
এদিকে, মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের জনপ্রিয়তা আছে। তিনি নিজ উদ্যোগে মেঘনা নদী ভাঙনরোধে উদ্যোগ নিয়েছেন। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান অনুদান দিয়ে বিগত সময় বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তবে এখানে তার দলীয় ভিত মজবুত নয়। তাকে পুরোপুরি নির্ভর করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের ওপর।
নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে তিনটি রাজনৈতিক দল পালাক্রমে সরকার গঠন করেছে। সব সরকারের কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরপর দুই মেয়াদে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বাংলাদেশে ইতিহাসে প্রথম। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও সরকার প্রধান করতে হবে।
নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলে রামগতি ও কমলনগরের নদী ভাঙনরোধে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। অস্বচ্ছল পরিবারগুলোর তালিকা করে প্রতিটি পরিবার থেকে অন্তত একজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকদের জন্য সার-বীজের সহজ প্রাপ্তি ও মৎস্যজীবীদের জন্য মৎস্য সংরক্ষণ ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
আসম আবদুর রব বলেন, মা-বোনেরা যেন ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদ থাকতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের দিন গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে ভোট বিপ্লব ঘটাতে হবে।
রামগতি উপজেলার আটটি ও কমলনগর উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত লক্ষ্মীপুর-৪। এ আসনে বর্তমান ভোটার তিন লাখ ১০ হাজার ৮৪৭ জন। গত সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলো দুই লাখ ৬৬ হাজার ৭২৬ জন। সে হিসেবে এ আসনে গত পাঁচ বছরে ভোটার বেড়েছে ৪৪ হাজার ১২১ জন।




Auspicious Inauguration of “Learning Center Teaching” Program at Kamalnagar Basic Literacy Project.

আমজাদ হোসেন আমু, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নিরক্ষরতা দুর করার লক্ষে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পে শিখন পাঠদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর পশ্চিম চর জাংগালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্কুল গুলোর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী পরিচালক উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো জেলা শাখার, বিদ্যুৎ রায় বর্মন, জেমস পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী, প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক মো. ওয়াজি উল্যাহ জুয়েল, সাংবাদিক মিজান মানিক, স্কুল সভাপতি আবুল কালাম, সমন্বয়ক, রাশেদুল আমিন সহ প্রমুখ।
এসময় জেমস পরিচালক বলেন, কমলনগরে (জেমস) এনজিও কতৃক নারী-পুরুষের জন্য তিন’শ স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। এসব স্কুলে এ অঞ্চলে যাদের নূন্যতম অক্ষর জ্ঞান নেই। তাদের শিক্ষাও পাঠদান করা হবে। কোন লোক যেন অক্ষর জ্ঞানহীন না থাকে। তার জন্য সর্বচ্চো কাজ করবে জেমস। বই দেওযার মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিটি স্কুলে সুপারভাইজার, শিক্ষক বৃন্দ।
আযোজনে – জেন্ডার এন্ড এ্যানভারমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি ( জেমস্)




Which is in the election manifesto of BNP

Dhaka: Basic rights of citizens including education and health have been given importance in the manifesto of BNP in the 11th National Assembly elections. The party has laid special emphasis on ensuring jobs for the youth and youth, facilitating their higher education and creating employment.

BNP has promised to spend 5 percent of GDP on education and 5 percent on health if it comes to power. The party has promised not to give opportunities to foreign policy that threatens other countries. The manifesto also talks about amending the constitution to transfer the control of the lower courts from the hands of the President to the hands of the Supreme Court.

BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir announced the manifesto at Hotel Lakeshore in Gulshan in the capital on Tuesday (18 December) at 11:30 am. He read out the manifesto on behalf of the party's chairperson, Khaleda Zia, who was imprisoned.

BNP Standing Committee member Dr. Abdul Moin Khan, Nazrul Islam Khan and Amir Khosru Mahmud Chowdhury.

In the manifesto, democracy and rule of law, judiciary, freedom of expression have been emphasized in 19 points. Other 19-point issues emphasized in the manifesto include—decentralization of power, economy, freedom fighters, youth, women and children, education and employment, energy, information and technology, sports and culture, foreign and expatriate welfare, agriculture and industry, health and medical, defence. and police, housing, establishment of pension fund and rationing fund, environment, foreign affairs and minorities and minority communities.

BNP has prepared the manifesto for the 11th National Assembly elections in the light of 'Vision 2030'. The manifesto of the party has been prepared on the occasion of the election keeping in mind the slogan 'Move forward together, vote in the grain of rice'. The complete manifesto of BNP has been presented.

Democracy and rule of law
1. BNP will make election day democracy a daily practice.

2. The necessary amendments to the Constitution will balance the powers of the President and the Prime Minister in the executive power of the Republic.

3. Provision will be made not to have a prime minister for more than two terms in a row.

4. The constitutional obligation of the Prime Minister, along with the Cabinet, to be accountable to Parliament will be ensured.

5. The Deputy Speaker will be appointed from the opposition party.

6. By amending Article 70 of the Constitution, the right of parliamentarians to free expression will be guaranteed conditionally.

7. The 'Upper House of the National Parliament' will be established involving people from different classes and professions. The democratic rights of the people will be restored by reintroducing the 'referendum' system in the constitution.

8. Significant representation of women in all constitutional institutions will be ensured.

9. The National Assembly will be made the focal point of all national activities.

10. A government system will be developed to conduct the elections so that there is no repeat of the agrarianization of power. The nature of this supervisory system will be determined in the light of past problems and for this purpose transparent dialogue will be held with all political parties.

11. A national commission will be formed to reach a new social contract to establish a future-oriented political culture against the politics of vengeance and revenge. The members of this commission will be the leader of the government party in the parliament, the leader of the opposition party and respected national personalities.

12. It will be ensured that there is no recurrence of one-party rule.

13. A culture of tolerance will be encouraged to curb offensive criticism of national leaders.

14. The functioning of the administrative machinery, police and institutions of the state shall be ensured by relying only on honesty, skill, talent, ability, patriotism and judicial power, without regard to individual's creed and party loyalty.

15. An 'Ombudsman' will be appointed as per the Constitution to ensure administrative transparency and accountability.

16. Accountability of law and order forces including RAB will be ensured. Additional armed police battalions will be formed by changing the current structure of RAB. This battalion will be under the Ministry of Home Affairs. All military and civilian institutions and organizations of the state shall be governed by their respective charters.

17. All forms of lobbying and extortion in employment and admission to educational institutions shall be prohibited and shall be treated as a punishable offence. There will be no time limit for conditional entry into government service except for Defense, Police and Ansar.

18. All inquiry reports related to BDR murder and theft of Bangladesh Bank reserves will be released and further investigation will be initiated.

19. Special measures will be taken to ensure that the general public does not suffer during the movement of the President and the Prime Minister.

20. Assets of the Prime Minister, Ministers, MPs and senior government officials will be published annually.

21. Traffic congestion on roads will be put to an end and appropriate measures will be taken to reduce road accidents.

22. All measures will be taken to control corruption.

Department of Justice
1. By amending Article 116 of the Constitution, the control of the lower courts will be transferred from the hands of the President to the hands of the Supreme Court.

2. Competent judges will be appointed and institutional arrangements will be made to clear the backlog of cases.

3. A Judicial Commission will be constituted to reform the present judicial system.

Freedom of expression
1. Freedom of expression will be ensured. Even if there is disagreement with the government, no one's voice will be suppressed. By removing online monitoring, people will be given the opportunity to speak and express their opinions freely.

2. Digital Security Act, Official Secrets Act and all other laws will be repealed. The RTI Act will completely remove existing barriers to speed up access to information.

3. End extrajudicial killings, disappearances, murders and inhumane physical and mental torture to establish the value of human life.

4. The Special Powers Act 1974 will be repealed.

5. Political leaders shall have free right to reasoned criticism.

Decentralization of power
1. The responsibility of the development activities of the country will be in the hands of the elected local government.

2. Instead of spending 5 percent of the budget through the local government at present, it will be increased at the rate of 5 percent every year and at least 30 percent of the budget will be spent through the local government in five years.

3. Zilla Parishad will be elected by direct vote of the people.

4. City government will be introduced in municipal areas with all service agencies under the mayor.

5. Commissions will be formed to reorganize the administrative structure in public welfare and determine the level of local government.

the economy
1. The national economic growth rate will be increased to 11 percent.

2. The export growth rate will be tripled. Export products will be diversified.

3. In light of the bitter experience of share market, bank and social security fund looting, qualified, honest and efficient persons will be appointed in the Securities and Exchange Commission and the Board of Directors of State-owned Banks so that no one can commit such corruption in the future. Political interference in bank operations will be stopped. By abolishing the Banking Division of the Ministry of Finance, the management and supervision of state-owned banks will be entrusted to the Central Bank.

4. No ongoing development projects will be stopped. However, organized corruption in mega projects will be investigated and the culprits will be brought to justice.

5. The committee will be formed to review the projects rushed in the last two years of the current government.

6. All foreigners working in the country will be covered by work permits to prevent money laundering and bring them under tax.

7. A task force will investigate the reasons for the high cost of the rental power project.

freedom fighter
1. Corruption will be eradicated in the name of declaring all freedom fighters as 'honorable citizens of the state' and preparing a list of freedom fighters. In view of price inflation, the allowance of the martyred freedom fighter's family will be increased.

2. Monuments will be built to protect the memories of the liberation war scattered all over the country and mark the slaughter grounds and mass graves during the liberation war. An accurate list of the martyrs of the Liberation War will be drawn up on the basis of an intensive survey by the state initiative and they will be given due status and state recognition.

Youth, women and children
1. Participation of youth, women and children in national development will be ensured.

2. A Youth Parliament will be constituted to protect the interests of the youth up to the age of 25 years.

3. BNP will directly involve women society in all activities for the bright future of the country. All obstacles to the implementation of this process will be removed.

4. The development of women in the field of sports will be sponsored.

5. Strict and effective legal measures will be taken to prevent women abuse, dowry system, acid throwing, sexual harassment, rape, trafficking of women and children. Effective practical steps will be taken to prevent child labour.

6. Government and private initiatives will be taken to build more day care centers so that women can concentrate on their work while keeping their children.

7. In order to provide more encouragement to women entrepreneurs, necessary support in project proposal formulation, low-interest bank loans and tax exemptions will be provided.

8. Unemployment allowance will be paid to the educated unemployed for a period of one year or till employment, whichever is earlier. Financial assistance will be given to their rational economic initiatives.

9. Women will be given equitable inheritance of property. Existing laws conflicting with this objective will be examined.

Education and employment
1. 5 percent of GDP will be spent on education.

2. Higher education will be rich in excellence in knowledge, science and technology. Emphasis will be placed on subject-oriented education, training and research. A world-class university will be built.

3. A separate education channel will be launched on National TV to improve and expand the quality of education.

4. More opportunities will be created to learn Bengali language as well as English and other foreign languages to add a new dimension to the world talent world and international labor market.

5. Low interest education loans will be introduced for students from low income families.

6. A special fund will be created to provide scholarships to the meritorious to facilitate the acquisition of the highest degree from reputed universities abroad.

7. By ensuring the election of student parliaments in all universities and higher education institutions, including Dhaka University, the way to develop future leadership from among the students will be facilitated.

8. Madrasa education will be made more modern and up to date. Their curriculum will include various vocational and vocational subjects.

9. Respective 'honorary allowances' will be introduced for mosque khatibs, imams and muezzins at the upazila and ward levels based on specific policies.

10. All kinds of legal, remedial and institutional measures will be taken to prevent the chaos created in the education sector and the collapse of the education system due to the leakage of various examination papers.

11. All types of VAT will be waived from the students. All cases brought against students affected by anti-VAT, quota reform and safe roads movement will be withdrawn and compensation will be given to the victims of these movements.

12. Seats will be reserved for poor meritorious students in government and private educational institutions. PEC and JSC examination system will be abolished.

13. In the first three years, two lakh people will be given jobs in government jobs based on merit and merit in a corruption-free system.

14. A 20-year loan will be introduced for young couples and entrepreneurs to become self-sustainable.

15. One crore new employment measures will be taken in the next five years.

16. Unemployment allowance will be paid to the educated unemployed for a period of one year or till employment, whichever is earlier. Financial assistance will be given to their rational economic initiatives.

fuel
1. Steps will be taken to modernize and rehabilitate inefficient old power plants on an urgent basis. Dependence on domestic gas and furnace-oil will be gradually reduced. In order to permanently solve the power crisis and reduce carbon emissions, various steps will be taken including the establishment of small, medium and large eco-friendly power plants, as well as renewable energy extraction, especially solar energy, wind energy, geo-thermal, ocean waves, biogas, electricity generation from waste.

2. Major power plants, reservoirs, gas extraction and supply industries will be set up in the public sector and as necessary public/private joint ventures.

3. Electricity and residential gas prices will not be increased in the first year of assuming power. All discrepancies in electricity and gas prices will be removed.

Information and Technology
1. All kinds of unreasonable barriers will be removed in bringing money earned from abroad in the information and technology sector. Global Payment Gateway will be offered at low charges to facilitate all those involved in freelancing and outsourcing.

2. Nationwide Telecommunication Transmission Network (NTTN), Internet Service Provider (ISP) and International Internet Gateway (IIG) markets will be opened up. This will create competition, increase efficiency and reduce Internet costs.

3. Research and investment in the manufacturing sector of augmented reality, animation and robotics will be encouraged. The START UP FUND and IT Innovation Fund and Venture Capital will be encouraged to develop information technology solutions for the local problems of the country.

4. The government will focus on using indigenous technologies to develop cloud based enterprise applications to fully implement e-Government within five years.

5. By opening up the VoIP system, open competition will be provided in this sector.

6. The intellectual property rights of the creative person will be guaranteed. Local companies will be assisted in execution of international contracts and not just sub-contracts. At the same time local companies will be encouraged to use locally developed software. IT incubator and laboratory facilities will be added to each university with acceleration funds.

7. Internet infrastructure development will ensure timely high-speed internet for mobile data and affordable broadband in the fastest possible time.

8. Zero duty facility will be maintained on all types of materials used in information and communication technology.

9. Metropolitan areas, municipalities, all educational institutions and other administrative centers will be gradually transformed into smart cities, smart municipalities, smart villages and smart campuses.

Sports and Culture
1. Planned and effective steps will be taken to make Bangladesh an acceptable place on the world map in several fields of sports within the next 5 years. A state-of-the-art sports academy will be established in every district to achieve international standards in sports.

2. Countercultural practices contrary to national ideology will be discouraged. Democratic norms will be followed for fair reflection of independent thought and ideologies through culture.

Foreign and Expatriate Welfare
1. Expanding foreign employment, ensuring risk-free migration and establishing good governance in migration management. Remittance sending system will be developed with sufficient number of exchange houses/banks with incentive facilities so that expatriates can remit their hard earned income to Bangladesh through legal channels. It will be ensured that Bangladeshi embassies abroad play their due role in the welfare of expatriate Bangladeshis especially expatriate workers.

2. Harassment of expatriates at the airport will be stopped. Various projects will be undertaken for the welfare of expatriates returning from abroad by preparing a proper list.

3. Expatriate Bangladeshis will be given the opportunity to vote in the national elections and their participation in the governance of the country will be ensured. Adequate consular assistance and financial assistance will be provided to rescue and return citizens in danger or stranded abroad.

Agriculture and Industry
1. A right combination of price-support and input subsidies will ensure that farmers get a fair price for their produce. The list of farmers eligible to receive state support will be prepared by developing a database through open discussion in every union council. Crop Insurance, Animal Insurance, Fisheries Insurance and Poultry Insurance will be introduced, albeit subsidized if necessary, to deal with various risks in agriculture.

2. Interest will be waived on agricultural loans of poor and natural calamity farmers.

3. Within two years, the minimum wage of garment workers will be increased to Tk 12,000. Accommodation will be provided by construction of multi-storied buildings for workers in all other industrial areas including garments.

4. Minimum wages will be fixed for workers in all sectors.

5. With a view to making agricultural production a profitable occupation, the price of all agricultural products will be determined through local cooperative societies, ensuring a reasonable profit with the cost of production.

6. Subsidized rationing will be introduced for rural and urban poor including laborers and farm labourers.

7. Agricultural subsidies will be significantly increased to make fertilizers, seeds and other agricultural inputs available.

8. The lease of Jalmahal and Haor will be completely canceled and made available to fishermen and poor people.

9. City slum dwellers and hawkers will not be evicted without rehabilitation.

10. Through health insurance workers will get all the medical benefits through a fixed amount of premium per month.

11. Within a year, people will be guaranteed access to safe food free of adulteration and chemicals.

Health and Medicine
1. 5 percent of GDP will be spent on health. The price of medicines will be reduced at a reasonable rate ensuring reasonable profit for the manufacturer, wholesaler and retailer.

2. National Accreditation Council (Accreditation Council) will be formed with the aim of improving and controlling the quality of medical education with the combination of prominent doctors and medical educators.

3. Special health care arrangements will be made for the mentally and physically challenged and the elderly.

4. The majority of medical expenses are spent on diagnostic tests. In this case, adequate diagnostic booths will be set up under government initiative to reduce public suffering.

5. Necessary programs will be taken to solve diabetes and growth problems of children.

Defense and Police
1. An efficient, transparent, dynamic, talented, accountable contemporary and people-oriented public administration will be developed. Adequate reforms will be made in the recruitment process to ensure evaluation of merit. The quota system will be abolished except for the children of freedom fighters, women and marginalized ethnic groups. An appropriate civil service law will be framed in the light of the Constitution in keeping with the dynamic globalization. Armaments and other equipment required for defense forces will be procured on priority basis. Welfare schemes will be taken up for the members of the armed forces.

2. Accommodation problem of all ranks of officers working in armed forces will be solved in a planned way. Rational rationing system will be introduced for retired members of armed forces.

3. Risk allowance of police force will be increased. Steps will be taken to increase the professionalism of the police force. Effective measures will be taken to increase police participation in UN forces. Welfare schemes will be taken up for the police.

4. The salaries of inspectors and sub-inspectors will be upgraded within six months and ration benefits will be provided to members of the police force even after retirement.

Establishment of housing, pension fund and rationing system
1. Allowance for distressed widows and widows and destitute elderly will be increased in line with inflation. A 'Pension Fund' will be constituted through legislation to alleviate the distress of old age for those employed in the private and self-employed sectors. Rationing system will be introduced for poor and low income people.

the environment
1. Sustainable strategies will be adopted to address climate change. Appropriate measures will be taken to protect the natural environment and biodiversity of the Sundarbans and other forests including intensive afforestation across the country including coastal areas.

Abroad
1. Bangladesh's national interest will be given top priority in foreign relations.

2. BNP will not interfere in the internal affairs of any other state and will not give any space to any activities that may create security problems for any other state. Similarly, if any other country interferes in the internal affairs of Bangladesh and poses a threat to the national security of Bangladesh, strong resistance will be raised.

3. Special friendly relations with Muslim countries and neighboring countries will be strengthened. Strong bilateral and multilateral initiatives will be taken for the safe return of Rohingya refugees who have taken refuge in Bangladesh.

4. Active initiatives will be taken to consolidate and effectively develop various regional organizations including the United Nations, European Union, SAARC, BIMSTEC, BCIM, BBIN etc.

5. Initiatives will be taken to increase cooperation with various activities including BRI, Indo-Pacific Strategic Initiative.

6. The connectivity of Bangladesh with other countries will be enhanced and the connectivity of the people of West Bengal, Bihar, Tripura, Meghalaya, Nepal, Bhutan and development will be facilitated.

7. According to the international river law, the initiative of dialogue will be taken in the spirit of regional and mutual cooperation to get the fair share of the water of international rivers flowing in Bangladesh.

Small ethnic groups and minority communities
1. The lives, property, honor and dignity of the small ethnic groups in the hills and plains will be protected. All facilities in employment and education for the backward hill and plains minorities and development activities in hilly areas will be strengthened.

2. Social, political, economic and religious rights and full security of life, dignity and property will be provided to all ethnic groups regardless of party, creed, caste, religion and caste. Ministry of Religious Minorities will be established for this purpose.




PROTESTS AGAINST WRITER DESPITE ARREST WARRANT

Yesterday a large Chhatra League protest took place against Md Abdul Malik, the writer of the controversial book “International Crimes Tribunal” that was published on 10 November 2018. This is despite a warrant for his arrest was issued on 29 November 2018.

The writer makes serious accusations against the Awami League, and the International Crimes Tribunal that was set up to bring to justice those that participated in the murder and rape of Bangladeshi citizens with the help of the Pakistani Army during the liberation war. The writer claims the tribunal was set up to kill and torture all political opponents. The writer even called Prime Minister Sheikh Hasina and her family - dictators and traitors

Protesters claim the book is still in circulation and they are worried it can influence people during the election in the coming days. They want to see the writer dead, and want all book copies destroyed immediately. They say the whole book is nothing but propaganda and lies against the Awami League.

Police have asked the agitated public for calm. They confirmed that books are being destroyed with the help of the publisher, Megna Mofas in Shahbag, and it will take some time to locate all the copies already sold, but assured the public that law enforcement will not rest until all copies of the book are destroyed. Police also confirmed that the writer was outside the country and he will be arrested and prosecuted when he returns to Bangladesh.