কমলনগরে ফাজিল ব্যাপারী হাট বাজারে আগুনে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

আমজাদ হোসেন আমু,কমলনগর( লক্ষ্মীপুর):

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তোরাবগন্জ এলাকার ফাজিল ব্যাপারী হাট বাজারে ভয়াবহ আগুনে পাঁচটি দোকান ঘর পুড়ে গেছে।

রবিবার(২৭ জানুয়ারী) রাত ০৩ টায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটে। এতে বাজারের পাঁচটি দোকান ঘর পুড়ে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আশেপাশে থাকা প্রায় ৮-১০ টি দোকান ঘরও ক্ষতির সম্মুখীন হন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে মুদি দোকান,
পল্ট্রিফার্ম, কাঠের ফার্নিসার, সিএনজি রাখার দোকান ঘর ছিল। সিএনজি রাখা দোকানে দুটি সিএনজি ও একটি অটোরিকশা ছিল।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস লিডার মোঃ ইসমাইল জানান, অগ্নিসংযোগের বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে অগ্নিসংযোগ কারণটি জানা যায়নি।




ঐক্যফ্রন্টকে ‘শুভেচ্ছা বিনিময়ে’ আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর

Dhaka:

বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।




ভূঁইফোড় অনলাইন চিহ্নিত করার কাজ চলছে: তথ্যমন্ত্রী

Dhaka:

যেসব অনলাইন সংবাদপত্র সত্যিকার অর্থে ভালো সংবাদ পরিবেশন করে আজকের দুনিয়ার বাস্তবতায় সেগুলোর প্রয়োজন আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে অনলাইনের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করলে ভূঁইফোড়গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নবম সংবাদপত্র ওয়েজ বোর্ড সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ওয়েব বোর্ড বাস্তবায়নে পুনর্গঠিত কমিটির প্রধান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ অংশ নেন।

এছাড়াও নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনেক ভূঁইফোড় অনলাইন মিডিয়ার জন্য সাংবাদিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেখানে আপনাদের কী ব্যবস্থা থাকবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চিহ্নিত করছি।’

আর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন নিয়ে আমি শুরু থেকেই বলেছি, কিছু অনলাইন আছে যেগুলো সত্যিকার অর্থে ভালো সংবাদ পরিবেশন করে। যেগুলোর প্রয়োজন আছে। অনলাইনের অবশ্যই প্রয়োজন আছে। এটা আজকের পৃথিবীর বাস্তবতা।

‘কিন্তু কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন আছে যারা আসলে সত্য সংবাদের চেয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর কাজে লিপ্ত। এগুলোকে আমরা চিহ্নিত করে, সম্প্রচার নীতিমালা যখন হবে এগুলোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেকের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে আমরা এগুলোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে যেগুলো ভূঁইফোড় তখন সেগুলো অটোমেটিক্যালি ফেইস আউট হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে এবং সহসা আমরা এটা করবো।’

অনেক সময় নাম স্বর্বস্ব পত্রিকার নামে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করতে দেখা যায়- এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো আমরা রিভাইস করবো




বিভেদ ভুলে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য: প্রধানমন্ত্রী

Dhaka: বিভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দেশকে এগিয়ে নিতে দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতাও চান তিনি।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিটিভি, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করে। নতুন সরকার গঠনের পর এটিই জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভাষণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমাদের প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের যোগসূত্র হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাম্য ও ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি। বিজয়ের পর আমরা সরকার গঠন করেছি।

বহিঃবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যেকোন সময়ের চাইতে সুদৃঢ় এবং গভীর।

দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করবেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের দৃষ্টিতে দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক সমান। আমরা সবার জন্য কাজ করব।

নতুন মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে আমি আমার মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর নবীনদের উদ্যম- এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

তিনি বলেন, আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখে যে রায় দিয়েছেন, কথা দিচ্ছি আমি প্রাণপণ চেষ্টা করব সে আস্থার প্রতিদান দিতে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের সমর্থন এবং সহযোগিতা চাই। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাআল্লাহ।

শেখ হাসিনা বলেন, কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় বলতে চাই:
‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ / প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, / এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- / নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’

বিরোধী জোট থেকে নির্বাচিতদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একাদশ সংসদে বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা নিতান্তই কম। তবে, সংখ্যা দিয়ে আমরা তাদের বিবেচনা করব না।

তিনি বলেন, সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যেকোন সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/আলোচনা/সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। আমি বিরোধীদলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহ্বান জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের কারণগুলো তুলে ধরে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের আগে দেশি-বিদেশি জরিপগুলিও এ রকমই ফলাফলের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

তিনি বলেন, লন্ডন-ভিত্তিক ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট এবং রিসার্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টারের জরিপের ফল আপনারা লক্ষ্য করেছেন। আমাদের এই ল্যান্ড-স্লাইড বিজয়ের কয়েকটি কারণ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।

মোটাদাগে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের ১৫ এবং বিএনপির ভরাডুবির ৭টি কারণ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কথামালার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দেই, তা বাস্তবায়ন করি। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম তার অধিকাংশই ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করেছি।

তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ স্লোগান সম্বলিত নির্বাচন ইশতেহার ঘোষণা করেছি। ইশতেহার ঘোষণাকালে আমি এর সারাংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম। আপনারা অনেকেই এই দলিলটি ইতোমধ্যে পড়েছেন।

ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমাদের যেকোন নীতিমালা প্রণয়নে এবং উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই ইশতেহারটি পথ-নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।

টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর দায়িত্ব বহুগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের এই নিরঙ্কুশ সমর্থন আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দুর্নীতির নির্মূলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি, দুর্নীতি নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে অস্বস্তি রয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের শোধরানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি উচ্ছেদ করা হবে
তিনি বলেন, আমরা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির নির্মূল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি বন্ধে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। তাই, গণমাধ্যমের সহায়তায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির কাজ অব্যাহত থাকবে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি সেবাখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় জীবনের সর্বত্র আইনের শাসন সমুন্নত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করব। জাতীয় সংসদ হবে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু।

সন্ত্রাস-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে ইতোমধ্যেই মাদক, জঙ্গি তৎপরতা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সফলতা অর্জন করেছি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানি থাকবে না। সকল ধর্ম-বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। সকলে নিজ নিজ ধর্ম যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে পারবেন।

নিজের ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি- আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া-পাওয়া নেই।

তিনি বলেন, বাবা-মা-ভাই, আত্মীয়-পরিজনকে হারিয়ে আমি রাজনীতি করছি শুধু জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তাবায়নের জন্য; এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। এ দেশের সাধারণ মানুষেরা যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হতে পারেন- তা বাস্তবায়ন করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন: ‘মহৎ অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগের প্রয়োজন।’ আমরা ত্যাগের পথ অনুসরণ করেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমার বর্তমানকে উৎসর্গ করেছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে যে ২৯৯টিতে ভোট গ্রহণ এবং তার মধ্যে ২৯৮টির ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৫৯টি আসন পেয়েছে নৌকার প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮ আসন।

অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে।




আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিওতে একযোগে ভাষণটি সম্প্রচার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জিতে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ওই দুই মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরে টানা তৃতীয়বার ও মোট চারবারের মতো সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।




লক্ষ্মীপুরে স্কুল শিক্ষক নিহত, সড়ক অবরোধ

লক্ষ্মীপুরে পিকআপভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মিজানুর রহমান রুবেল নামের এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এর প্রতিবাদে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের পেট্রোল পাম্প এলাকায় রাস্তায় শুয়ে ও মিয়া রাস্তার মাথা নামক স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর থেকে রামগতির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া নাম্বার বিহীন একটি পিকআপ ভ্যান ঘটনাস্থলে এসে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী রুবেলকে চাপা দেয়। এসময় পিকআপ ভ্যানের চাকায় তার মাথা পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে বিক্ষুব্ধরা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ওই রুটে চলাচলকৃত সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

এ দিকে নিহতের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত রুবেল পৌর শহরের আবির নগর এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে ও দক্ষিন টুমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। সদর থানার ওসি তদন্ত মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন




জেএসসির উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফল আজ

২০১৮ খ্রিস্টাব্দের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। প্রত্যাশিত ফল করতে না পারা লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে। ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট এসব শিক্ষার্থীর বেশির ভাগ আবেদন করেছেন গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে। মূলত জিপিএ-৫ ও গোল্ডন জিপিএ-৫ বঞ্চিত হয়েই আবেদন করেছেন বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী। যদিও অফিসিয়ালি গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ বলতে কিছু নেই।

২০১৮ শিক্ষাবর্ষে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় মোট ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এ বছর গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে পাসের হার ২ দশমিক ১৮ শতাংশ বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর জেএসসি ও জেডিসির ফলাফল প্রকাশিত হয়। উভয় পরীক্ষার ফলাফলের পাসের হার কিছুটা বাড়লেও সবগুলো সূচকেই গতবারের তুলনায় খারাপ হয়েছে।

পুনর্নিরীক্ষার ফল আবেদনকারীদের নিজ নিজ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটেও দেয়া হবে।




উপজেলায় প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখতে পারে আ’লীগ

Dhaka:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে দলের অন্যদের প্রার্থী হওয়া উন্মুক্ত করে দিতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই সঙ্গে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো জোট থাকছে না। দলীয়ভাবেই প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে দলটি।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে যেকোনো মূল্যে দলের একক প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে। সদ্যসমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই একক প্রার্থী নিশ্চিত করার ব্যাপারে কঠোর হবে দলটি। আর যদি বিএনপি অংশ না নেয় তাহলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। দলীয় মার্কার প্রার্থীর পাশাপাশি দলের অন্যদেরও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকবে। আওয়ামী লীগ একজনকে মনোনয়ন দেবে আর দলের অন্য কেউ প্রার্থী হতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে। এ ক্ষেত্রে দল থেকে বাধা দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের ওই নেতারা আরও জানান, উপজেলা নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশগ্রণের কোনো সম্ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোটের শরিকরা আলাদা আলাদাভাবে নিজ নিজ দলের প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিলেও ১৪ দল আলাদাভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে নেতারা জানান। গত উপজেলা নির্বাচনেও জোটগতভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ  বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। উপজেলা নির্বাচন এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়া হবে। এমনিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনেক বেশি। এখানে জোটের কোনো সুযোগ নাই।

আগামী মার্চে কয়েক ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন চালু হওয়ার পর এই পদ্ধতিতে উপজেলা নির্বাচন এবারই প্রথম হতে যাচ্ছে। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতে থেকে কয়েক ধাপে উপজেলা নির্বাবচন হয়। এরপর সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠানের আইন করে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনে যে নিরঙ্কুশ বিজয় এসেছে উপজেলা নির্বাচনেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কেন্দ্র থেকে জেলা ও উপজেলা কমিটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর করা এ চিঠি দলের জেলা ও উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম পাঠাতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীর মতামতের ভিত্তিতে সম্ভব হলে একজন প্রার্থী চূড়ান্ত করে নাম পাঠাতে হবে। আর সেটা না হলে সর্বোচ্চ তিনজন প্রার্থীর নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে নাম পাঠাতে হবে।

সূত্র আরও জানায়, উপজেলা পর্যায় থেকে পাঠানো নামের ওপর ভিত্তি করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। এমপি, মন্ত্রীর আত্মীয় বা তৃলমূল নেতাকর্মীর মতামত উপেক্ষা করে এমপি, মন্ত্রীর কাছের কেউ যাতে মনোনয়ন না পায় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সে জন্য হাতে সময় রেখেই উপজেলা পর্যায় থেকে নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে নাম পাঠানোর পর কেন্দ্র থেকেও যাচাই-বাছাই করা হবে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আগামী শনিবার (২৬ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা আছে। এই সভায় প্রস্তুতির বিষয় এবং প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং একটি দিক নির্দেশনা আসতে পারে। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে। তবে ইতোমধ্যেই আমাদের দলের যারা আগ্রহী প্রার্থী তারা তো মাঠে নেমে গেছেন।




বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদ তালিকায় শেখ হাসিনা

বিশ্বের শীর্ষ ১০০ চিন্তাবিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্য ফরেন পলিসি’ তাদের ১০ম বার্ষিকীর বিশেষ সংস্করণে এসব চিন্তাবিদের নাম ও কাজের বর্ণনা প্রকাশ করেছে।

সাময়িকীর তথ্যানুযায়ী, গত ১০ বছরে বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১০টি বিভাগে ১০ জন করে সেরা ব্যক্তিত্ব বেছে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ১০০ জনের তালিকা। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তালিকায় তার জায়গা করে নেওয়ার কারণ হলো, গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা করে দেওয়ার ঘটনা।
খবরে বলা হয়, এ জন্য ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা’ বিভাগে জায়গা করে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি ঢুকে পড়েছেন এই তালিকায়। ১০ জনের সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় রাশিয়ার এক কর্মকর্তার পরই আছেন শেখ হাসিনা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিস্লাভ সুরকভ আছেন অষ্টম অবস্থানে। আর শেখ হাসিনার অবস্থান নবম।




মোবাইল বৈধ কিনা জানা যাবে এসএমএসে

মোবাইল বৈধ নাকি অবৈধ, আমদানি নাকি দেশে উৎপাদিত, তা যাচাইয়ে তথ্যভান্ডার চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহকেরা সহজেই বৈধ বা অবৈধ মোবাইল চিহ্নিত করতে পারবেন।

কেউ যেন অবৈধ সেট কিনে প্রতারিত না হন- সে কারণেই মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হয়েছে এই আইএমইআই ডাটাবেজের। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই ডাটাসেন্টারের উদ্বোধন করেন।

তবে এখনই সব হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীর তথ্য ডাটাবেজে উঠেনি। এর জন্য কিছুদিন সময় লাগবে। শুধুমাত্র গত পহেলা জানুয়ারি থেকে যেসব সেট আমদানি হচ্ছে সেগুলো ডাটাবেজে উঠছে।
এখন থেকে যে কেউ নিজের সেটের তথ্য যাচাইয়ের জন্য KYD লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে দিলে ফিরতি মেসেজে জানানো হবে, তার সেটটি ডেটাবেইজে সংরক্ষিত রয়েছে কি-না। ‘এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেইজ (এনএআইডি) সেবা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে ব্যবহৃত সব নম্বর এ ডেটাবেইজে এখনই পাওয়া যাবে না। শুধু ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বৈধভাবে আমদানিকৃত এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের বেশিরভাগ আইএমইআই নম্বর এই তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত আছে। পর্যায়ক্রমে সব নম্বর ডাটাবেজে ঢুকবে।

অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসে এটি মাইলফলক মুহূর্ত। চুরি করে হ্যান্ডসেট আমদানি করায় যে রাজস্ব ক্ষতি হত, তা ঠেকানো প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব নয়, এখন ঠেকানো যাবে। শুধু রাজস্ব নয়, নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।’