কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা বৈধ: হাইকোর্ট

কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা’ জারি করে। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কোচিং সেন্টার নিয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।

কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা ও কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ করে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি এসব রিটের রায় ঘোষণার জন্য রাখেন আদালত। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন ফিদা এম কামাল।

কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিস দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওইসব নোটিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ নিয়ে ওই শিক্ষকেরা হাইকোর্ট রিট আবেদন করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ নোটিশ দেয় সরকার। এসব নোটিশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

আদালত গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই চিঠির কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেন।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করে। গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ গত বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চেকে এ রুলের নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিল।

পরে আদালত এ রুল নিষ্পত্তির জন্য সাবেক দুই অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামালকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়।




এইচএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়লো

এইচএসসি ও ডিআইবিএস পরীক্ষা ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ফরম পূরণের সময় ফের বৃদ্ধি করা হয়েছে।  বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করা যাবে। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের এইচএসি/ডিআইবিএস পরীক্ষায় ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ১০০ (একশত) টাকা বিলম্ব ফিসহ আবেদন ফরম পূরণের সময় ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হল।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ফরমপূরণের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।




মাদরাসা শিক্ষকদের জানুয়ারির এমপিওর চেক ব্যাংকে

এমপিওভুক্ত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি ২০১৯ মাসের এমপিওর (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) চেক ছাড় হয়েছে। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অনুদান বণ্টনকারী রাষ্ট্রায়াত্ত চারটি ব্যাংকে চেক পাঠানো হয়েছে। শিক্ষকরা আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা তুলতে পারবেন।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদেশের স্মারক নম্বর ৫৭.২৫.০০০০.০০২.০৮.০০৪.১৯-৬৪




পরবর্তী উপজেলা নির্বাচন ১৮ মার্চ

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ মার্চ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এছাড়া বাকি চার ধাপের খসড়া তফসিলও প্রস্তুত করেছে ইসি। ইসির খসড়া অনুযায়ী ১৮, ২৪, ৩১ মার্চ ও ১৮ জুন বাকি চার ধাপগুলোতে উপজেলা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ইসি সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, খসড়া তফসিল অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপে তফসিল ঘোষণা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিল ১৯ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ ১৮ মার্চ।

তৃতীয় ধাপের তফসিল হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিল ২৬ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ মার্চ ও ভোটগ্রহণ ২৪ মার্চ। চতুর্থ ধাপের তফসিল হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। এতে মনোনয়নপত্র দাখিল ৪ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মার্চ ও ভোটগ্রহণ ৩১ মার্চ।

সর্বশেষ পঞ্চম ধাপের তফসিল হবে ১২ মে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ মে ও ভোটগ্রহণ ১৮ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।[পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ মার্চ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এছাড়া বাকি চার ধাপের খসড়া তফসিলও প্রস্তুত করেছে ইসি। ইসির খসড়া অনুযায়ী ১৮, ২৪, ৩১ মার্চ ও ১৮ জুন বাকি চার ধাপগুলোতে উপজেলা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ইসি সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট

প্রথম ধাপে ১০ মার্চ যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পঞ্চগড় জেলার সদর, আটোয়ারী, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া। কুড়িগ্রাম জেলার সদর, ভুরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট, রাজিবপুর, চিলমারী ও রৌমারী। নীলফামারী জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ। লালমনিরহাট জেলার সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী।

জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ। নেত্রকোনা সদর বারহাট্টা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুরী, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, মদন, মোহনগঞ্জ, পূর্বধলা। সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, শাল্লা, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভবপুর ও তাহিরপুর। হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল, মাধবপুর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী কাজিপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া। জয়পুরহাট জেলার সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল। নাটোর সদর, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর ও সিংড়া। রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবা, মোহনপুর, বাগমারা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট ও বাঘা।

দ্বিতীয় ধাপে ভোটের সম্ভাব্য উপজেলা

ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ, হরিপুর, গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, ফুলছড়ি, বীরগঞ্জ, কাহারোল, বিরল, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর সদর, খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, সদর, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, ধুনট, কাহালু, গাবতলী, নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, রানীনগর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, সাপাহার, পত্নীতলা, বদলগাছী, নওগাঁ সদর, আত্রাই, পোরশা, ধামইরহাট, মান্দা, সদর, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, সিংড়া, কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা, কুমারখালী, মিরপুর, খোকসা, দৌলতপুর, শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, যশোর সদর, বাঘারপাড়া, অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর, দীঘলিয়া, কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, রূপসা, তেরখাদা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর, গাংনী, রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, পাংশা, বালিয়াকান্দি, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী, নগরকান্দা, সালথা, সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর, ভাঙ্গা, হাতিয়া, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী।

তৃতীয় ধাপে ভোটের সম্ভাব্য উপজেলা
চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, জীবননগর, মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা, মহম্মদপুর, নড়াইল সদর, কালিয়া লোহাগড়া, ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু, কালীগঞ্জ, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী, বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, আশাশুনি, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, তালা দেবহাটা, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, নাচোল, শিবগঞ্জ, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, চারঘাট, বাগা, সদর, আটঘরিয়া, বেড়া, ভাংগুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া, সুজানগর, সদর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর, শিবচর, কালকিনি, রাজৈর, সদর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, ডামুড্যা, গোসাইরহাট, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, ফুলপুর, গৌরীপুর, সদর, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়ীয়া, ত্রিশাল, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, গফরগাঁও, ভালুকা, সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর, সদর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী।

চতুর্থ ধাপে ভোটের সম্ভাব্য উপজেলা
বরিশাল সদর, বাকেরগঞ্জ, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া, উজিরপুর, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, মুলাদী, হিজলা, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া, ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন, মনপুরা, বরগুনা সদর, আমতলী, বেতাগী, বামনা, পাথরঘাটা, পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানী, মঠবাড়ীয়া, ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, ঝালকাঠি সদর, নলছিটি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া, ধনবাড়ী, মধুপুর, গোপালপুর, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইল, সখীপুর, কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর, কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, তাড়াইল, করিমগঞ্জ, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, ভৈরব, দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই, কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদিখান, গজারিয়া, সোনারগাঁ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, নরসিংদী সদর, পলাশ, শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব, রায়পুরা, দৌলতপুর, ঘিওর, শিবালয়, সিঙ্গাইর, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া, তিতাস, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, বুড়িচং, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চান্দিনা, বরুড়া, লাকসাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, মেঘনা, হোমনা, কচুয়া, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি, চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, নাসিরনগর, আশুগঞ্জ, সরাইল, সদর, আখাউড়া, কসবা, নবীনগর, ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ, রায়পুর, কমলনগর, রামগতি, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ।

পঞ্চম ধাপে ভোটের সম্ভাব্য উপজেলা
আটপাড়া, শেরপুর সদর, নকলা, নলডাঙ্গা, সদর, কামারখন্দ, রংপুর সদর, সুন্দরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, রাঙ্গাবালী, তালতলী, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, গাজীপুর সদর, বন্দর, মাদারীপুর সদর, কালুখালী, শায়েস্তাগঞ্জ, বাঞ্ছারামপুর, বিজয়নগর, হাইমচর, আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, সাতকানিয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর (১৯ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়




কমলনগরে জরাজীর্ণ ব্রীজ

আমজাদ হোসেন আমু, লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চর কাদিরা ইউনিয়নে ভুলুয়া নদী ওপর নির্মিত স্ট্রীল ব্রীজ। এ ব্রীজে চলাচলে নেই জন নিরাপত্তা।

সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ব্রীজে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ জনগন। ব্রীজটি এতটাই জরাজীর্ণ, মরিচা ধরে স্টিলের সিটগুলো গর্ত হয়ে রয়েছে। যা চলাচলের খুবই অনুপোযোগী। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবুও ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হয়। কারণ এই ব্রিজটি কমলনগর-সোনাপুর-নোয়াখালী সদরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিনিয়ত যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটায় এ অঞ্চলের মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়াও এসব অঞ্চলের মানুষগুলো প্রায় চিকিৎসা সেবার জন্য নোয়াখালী সদরে হাসপাতালে যেতে হয়। এ পথটি সময় ও অর্থের সহজ যোগান দেয়। এ জন্য দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করা দরকার মনে করছে স্থানীয়রা।

ব্রিজটি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার এখানকার কৃষকরা কৃষি উৎপাদিত পণ্য বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করতে পারে না। কারণ যাতায়াতের কারণে বড় মাল বাহী ট্রাক ব্রীজটি দিয়ে যাতায়াত করতে ঝুঁকিতে পড়ে। বড় যানবাহন চলাচলে জোরে শব্দের সৃষ্টি হয়। যা আতংক সৃষ্টি করছে। এতে স্কুলে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ব্রীজটির স্ট্রীলে ফাঁকা হওয়ায় নিচে দুরত্ব দেখা যায়। যা অনেক সময় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সহ যাতায়াত করা বাচ্চাদের আতংকে পেলে।

এতে ভয়ে ছোট বাচ্চারা স্কুলে যায় না। এ পথটি যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। তাছাড়া এ অঞ্চল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য প্রায় ছাত্র-ছাত্রীদের নোয়াখালী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। ব্রীজে বড় বড় গর্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল, রিকসা , অটো,সিএনজি চলাচলে বির্ঘ্র ঘটছে। প্রায় সময় গর্তে চাকা পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়।

জানা গেছে, উপজেলার ফজুমিয়ার হাট এলাকায় ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত স্টিলের ব্রিজ। ব্রিজের স্টিলের সিটগুলোও মরিচা ধরে গর্ত হয়ে গেছে। এতে গর্তে পা পড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। গত ৬-৭ বছর ধরে ব্রিজটি এ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এটি সংস্কার কিংবা নতুন করে যোগাযোগের নির্মাণ করা হচ্ছে না। এতে ঝুঁকি নিয়েই কয়েক গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচল করতে হয়। দুর্ভোগে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার গ্রামবাসী। প্রতিদিনই চলাচলে তাদেরকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুলুয়া নদীর ওপর এই ব্রিজটি কমলনগর-নোয়াখালী সদরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় যাতায়াতের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু গাড়ি চলাচলে অনুপোযোগী হওয়ায় তাদের প্রচুর কষ্ট করতে হয়। চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে এসব অঞ্চলের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার কিংবা নতুন ব্রিজ নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে । এতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের দুঃখ লাগব হবে।

উপজেলার প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার জানান, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য ৭৫ মিটার লম্বা ডিজাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজ চলছে। খুব দ্রুত কাজটি অনুমোদন হবে।




এমপিওর দাবিতে সরগরম সংসদ

ত দশম সংসদের ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদের শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার)  জোরালো দাবি উঠেছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি না করে তালিকাভূক্ত দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তির প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন করার দাবি তুলেছেন সিনিয়র সংসদ সংসদরা। সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপিভুক্তির দাবি তোলেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে অর্থ ও শিক্ষামন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেছেন, ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি না করে এমপিওভূক্তির প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা  আমরা ভঙ্গ করবো।’  শিক্ষকেরা বিগত নির্বাচনগুলোতে সরকারকে নানাভাবে সহেযাগিতা করেছেন বলেও তারা বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

এমপিওভুক্ত হলে সরকারি স্কেলের মূল বেতনের শতভাগসহ অন্যান্য কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের শতকরা ৯৭ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংসদে সম্পুরক কার্যসূচিভূক্ত সংসদীয় কমিটি গঠনের পর মোহাম্মদ নাসিম ফ্লোর নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তি নিয়ে নাসিম বলেন, ‘এমপিওভূক্তির জন্য বাংলাদেশে লাখ লাখ শিক্ষক কিছুদিন আগে আন্দোলন করেছেন। শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে আমরা এমপিরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। আমাদের সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় এসে গেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় শিক্ষকেরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। আন্তরিকতার সাথে নির্বাচনে আমাদের সাহায্য করেছেন। এটা ভুলে গেছে চলবে না।

নাসিম বলেন, এমপিওভূক্তির জন্য বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেয়া হয়েছে। এর জরিপও হয়ে গেছে। এমপিওভূক্তির জন্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা লাগবে। অর্থমন্ত্রী এখাতে ৪৩২ কোটি টাকা দিয়েছিলেন যারজন্য এটা হয়নি। নতুন অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করবো কথা বাস্তবায়ন করেন। চলতি অর্থ বছরে সম্পূরক বাজেটের মাধ্যমেই বরাদ্ধ দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে জনগণের কাছে আমরা ওয়াদা ভঙ্গ করবো।

তিনি বলেন, সরকারি বিরোধী দল সকল এমপি স্বীকার করবেন এমপিভূক্তির কোন বিকল্প হতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভূক্তি বন্ধ ছিলো। এখন এটা করার সময় এসে গেছে। এটা আমাদের করতে হবে।

শিক্ষকেরা জীর্ণ-শীর্ণ, তারা অভূক্ত আছেন উল্লেখ করে নাসিম বলেন, এমপিওভূক্তির জন্য শিক্ষক আন্দোলনের সময় আমরা এমপিওভূক্তি করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। নির্বাচন হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সদয় হবেন। সদয় হয়ে তারা পদক্ষেপ নেবেন। অনুরোধ করবো এই এমপিওভূক্তি ঝুলিয়ে না রেখে তাদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে না রেখে এটি বাস্তবায়ন করেন।  না হলে আমাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হবে। যে ওয়াদা করেছি তার থেকে আমরা সরে যাব।

অর্থ ও শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি না করে তালিকাভূক্ত দুই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভূক্তির প্রতিশ্রতি বাস্তবায়ন করুন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির দাবি শিক্ষাখাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অভূতপূর্ব বিস্তার হয়েছে। শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে একটি স্কুল ও একটি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকে লক্ষাধিক শিক্ষকদের জাতীয়করণ হয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের এমপিওভূক্তি দাবিটি উপেক্ষিত রয়েছে।

শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির দাবি তুলে তিনি বলেন, আমরা গত ৫ বছরে আমরা সংসদ সদস্যরা যতবার দাঁড়িয়েছি শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির কথা বলেছি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী টাকা বরাদ্দ করেননি। গত নির্বাচনের আগে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা বিলিবন্টন করা সম্ভব হয়নি। কাজেই এমপিওভূক্তি হয়নি। এরকম একটি পর্যায়ে এই মুহুর্তে নজর দেয়ার সময় এসেছে শিক্ষারগুণগত মান উন্নয়নের জন্য। শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে নজর দেয়ার সময় এসেছে। তাদের জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে এমপিওভূক্তি হচ্ছে প্রাথমিক পদক্ষেপ। শিক্ষকদের মর্যাদা প্রদান করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য।  সংবিধানের দিক নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের এমপিওভূক্তি জরুরী প্রয়োজন। মাত্র ৩ হাজার কোটি টাকার জন্য শিক্ষকদের এমপিওভূক্তি হবে না। এটা হতে পারে না। আমার দেশের সরকার এখন সম্পদশালী ও দক্ষ।




স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের জানুয়ারির এমপিওর চেক ব্যাংকে

স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের জানুয়ারি (২০১৯) মাসের এমপিওর (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) চেক সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ছাড় হয়েছে। বেতনের আটটি চেক নির্ধারিত অনুদান বণ্টনকারী চারটি ব্যাংকের শাখায় পাঠানো হয়েছে। অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের জন্য মোট ৬ শতাংশ চাঁদা হিসেবে কর্তন করা হয়েছে বলে জানা যায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষক-কর্মচারীরা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বেতন-ভাতার সরকারি অংশ উত্তোলন করতে পারবেন। স্মারক নং ৩৭.০২.০০০০.১০২.৩৭.০০৩.২০১৮/৯৪৫/৪।




চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী রেবেকা মহসীন

কমলনগর: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন একমাত্র নারী প্রার্থী রেবেকা মহসীন। তিনি কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে প্রচেষ্টা করছেন।

রেবেকা মহসিন কমলনগর উপজেলার আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ-নির্মূল কমিটির উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বৃহত্তর রামগতি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা হাজীরহাট মিল্লাত একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো. মহসিনের স্ত্রী।

২০০৫ সালের ২৭ নভেম্বরে পলিটিক্যাল এক্টিভিটিজ বিষয়ে ট্রেনিং শেষ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরকৃত সনদ প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রেবেকা মহসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে দলীয় সকল কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পালন করছে। উপজেলার চর লরেঞ্চ বাজারে তার ব্যক্তিগত বাসায় বিভিন্ন দলের দুর্দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতেন। নেতাকর্মীদের সব সময় সহযোগীতা করছেন তিনি।

উপজেলার একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসা ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন রেবেকা মহসীন।
জানতে চাইলে রেবেকা মহসীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় উন্নয়নের মহাসড়কে এগুচ্ছে দেশ। এসব উন্নয়নে রয়েছে নারীদের ভুমিকা। শিক্ষা, রাজনীতি, সাংস্কৃতি ও উন্নয়নে রয়েছে নারীদের অবদান। আমি জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পাবো বলে আমার বিশ্বাস।




১০ মার্চ ১ম ধাপের উপজেলা নির্বাচন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুয়ায়ী আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার আগারগাঁওয়ের কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এই তথ্য জানান।

ইসি সচিব বলেন, তফসিল অনুয়ায়ী উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি। বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি।




শান্তিপূর্ণ উপজেলাগুলোতে আগে নির্বাচন: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘আমাদের কাছে যে সমস্ত এলাকায় পিসফুল কন্ডিশন প্রতিয়মান হচ্ছে, ওই সমস্ত জেলা এবং উপজেলাগুলোতে আগে ভোট (নির্বাচন) নিতে চাই।’

আজ সকালে আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘গ্রেটার কুমিল্লা, নোয়াখালী এরপর চট্টগ্রাম জেলা- এগুলোতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকগুলো কেন্দ্রে গণ্ডগোল হয়েছে। সুতরাং আমরা ওগুলো পরে করবো। যেসব এলাকা পিসফুল, ওইগুলোতে আগে থেকে শুরু করবো।’

ইসি সচিব বলেন, ‘পার্বত্য তিন জেলায় আমরা একত্রে নির্বাচন করবো। যেহেতু ওখানে কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। তিন পার্বত্য জেলা একত্রে করলে আমরা শেষ করতে পারবো। এইভাবে আমরা একটি পরিকল্পনা করেছি। আজকে (রবিবার) আমরা কমিশন সভায় উপস্থাপন করবো। তারা অনুমোদন করলে এ বিষয়ে আপনাদের জানিয়ে দেবো।’

ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ইটিআইয়ের পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন ও বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।