কমলনগরে নৌকাসহ ৬ প্রার্থী মাঠে

 
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা, দুই যুবলীগ নেতাসহ ৫ বিদ্রোহী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন । দলীয় মনোনয়ন চেয়েও না পেয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তারা নিজদের বিদ্রোহী নয়; স্বতন্ত্র দাবি করছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের ছড়াছড়ি। তবে যতই ঝড় আসুক নৌকা ডুবি হবে না এমনটাই প্রত্যাশা করছেন নৌকার মাঝি-মাল্লারা। আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে কমলনগর উপজেলা নির্বাচন। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এক ডজনেরও বেশি প্রার্থী। তাদের মধ্যে থেকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে চার জনের নাম। অবশেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার নৌকার টিকেট পেয়েছেন। নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহীরা হলেন ১৪ দলীয় জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক (কাপ পিরিচ), উপজেলা যুব লীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি (দোয়াত-কলম), যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ হিরন (আনারস), জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুর রহমান দিদার (হেলিকপ্টার), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আমিন অপি (মোটরসাইকেল)। নির্বাচনে জয়ী হতে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা করছেন। হাট-বাজারে, গ্রামগঞ্জে মিটিং-মিছিল ব্যস্ত। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন, করছেন উঠান বৈঠক। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জনপ্রতিনিধিরাও (চেয়ারম্যান-মেম্বার) নৌকার বিজয়ের লক্ষে কাজ করছেন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ দেখা গেছে। ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে দেখা গেছে গণসংযোগ ও পথসভা। কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম নুরুল আমিন মাস্টার বলেন, নৌকাকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীও সমর্থক নৌকার ভোট করছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাই নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালি করবে। উপজেলা ১৪ দলীয় জোটের সভাপতি অ্যাডভোটেক আনোয়রুল হক বলেন, বিগত দিন কমলনগরে দল ও উপজেলার উন্নয়নে কাজ করেছি। সেবার করার প্রত্যয় নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। যুবলীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা বিদ্রেীহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পির পক্ষে ভোট চাইছেন। যুবলীগ নেতা বাপ্পি বলেন, বিদ্রোহী নয়; আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোট চাইছি। প্রত্যাশা করছি সবাই দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে। জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুর রহমান দিদার বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন চাইনি। ভোটারদের আগ্রহে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। দলমত ভুলে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আমিন অপি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রচার-প্রচারণা করছি। সবার কাছে ভোট ও দোয়া চাইছি। লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের উল্লেখ আছে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে দল হতে তিনি সরাসরি বহিস্কার হবেন।



রামগতিতে নিহতের ঘটনায় ৯জন আটক

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জমির বিরোধে আবুল বাশার (৬৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত তাদের আটক হয়। আটকরা হলেন হোসেনের ছেলে জমির উদ্দিন, অহিদুর রহমানের ছেলে আবদুল আলী, মাহফুজুল হকের ছেলে নুর উদ্দিন, মন্তাজুল হকের ছেলে দুলাল, মজিবুল হকের ছেলে মিলন, আলীম উল্লাহর ছেলে জাকির হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে জমির, আবদুর রশিদের ছেলে নোমান ও বারেক মিয়ার ছেলে আরমান। সকালে জেলার রামগতির রামদয়াল উত্তর বাজার এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল বাশার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি উপজেলার চর আলগী গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছেলে আব্দুল মুকিত সোহেল (৪২)। নিহতের ছেলে আবুল হাসনাত শওকত জানান, রামদয়াল বাজারের উত্তর পাশে আমাদের জমিতে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাবেদ আমিন রাসেল অস্ত্র-শস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে মাটি ভরাট করতে আসে। এসময় আমার বাবা ও ভাই বাধা দেয়। তখন তাদের হামলা ও কিল-ঘুষিতে আমার বাবার মৃত্যু হয়, ভাই গুরুতর আহত হন। অভিযুক্ত রাসেল সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের ভাগিনা। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এসময় ভয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আবুল বাশার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্ততি চলছে।




রামগতিতে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা নিহত

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল বাশার (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছেলে আব্দুল মুকিত সোহেল (৪২)। শনিবার (০৯ মার্চ) সকালে উপজেলার রামদয়াল উত্তর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল বাশার চর আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে। নিহতের ছেলে আবুল হাসনাত শওকত জানান, রামদয়াল বাজারের উত্তর পাশে আমাদের একখন্ড জমিতে স্থানীয় প্রভাবশালী জাবেদ আমিন রাসেল অস্ত্রশস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে মাটি ভরাট করতে যায়। এসময় আমার বাবা ও ভাই বাধা দেয়। তখন তাদের হামলা ও কিল-ঘুষিতে আমার বাবার মৃত্যু হয়, ভাই গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এসময় ভয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আবুল বাশার নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




কমলনগর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী কলস মার্কা- সুমি

কমলনগর(লক্ষ্মীপুর):

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (কলস মার্কা) সাজেদা আক্তার সুমি। তিনি নির্বাচনী প্রচারে সাধারন জনগনের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। নারী নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। পাড়া-মহল্লা ও গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজে তুলে ধরছেন। কম কথায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারে ইশতেহার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোটে সবাইকে সচেতন করছেন। কিভাবে নারী নেতৃত্ব ও সমাজের জন্য কাজ করতে হয়। সাজেদা আক্তার সুমি বলেন, নারী নেতৃত্ব বিকাশে সমাজের নারীদের ভূমিকা থাকতে হবে। এখন আর নারীরা পিছিয়ে নেই। প্রতিটি নারী শিক্ষিত হলে সমাজে নারী নেতৃত্বের বিকাশ হবে।নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা,বাল্য বিবাহ বন্ধ হবে। প্রতিটি নারী সমাজের অহংকার। মা শিক্ষিত হলে সন্তান তথা জাতি শিক্ষিত হবে। নারী ক্ষমতা নিশ্চিতকল্পে এবং বাল্যবিয়ের মতো অসামাজিক কাজ রোধে আমি কাজ করেছি। নদীভাঙনের শিকার হওয়া অসহায়, ছিন্নমূল শিশুদের পাশে থেকে সবসময় কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, উপজেলার সাধারণ জনগনের সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। নারী নেতৃত্বে বিকাশসহ সাধারণ জনগনের জন্য যতটুকু পারি সবার পাশে থাকতে চাই। আমি আশা করছি, দল মতের উর্ধে সাধারন জনগন আমাকে ( কলস মার্কা) ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। সাজেদা আক্তার সুমি, সাবেক থানা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক উপজেলা মহিলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি কমলনগর থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর মহিলা বিষয় সম্পাদক এবং উপজেলা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।




কমলনগরে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলম অপি’র মিছিল

 কমলনগর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক প্রাপ্তির পর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন অপি বিশাল মিছিল বের করেছেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকালে কাঙ্খিত প্রতীক মোটরসাইকেল পাওয়ার পর তিনি শোডাউন ও মিছিল করেন। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন। মোটরসাইল মার্কার প্রার্থী অপি উপজেলার হাজিরহাট বাজার বিশাল মিছিল বের করে তার অবস্থান জানান দেন। এছাড়াও নুরুল আমিন গত কয়েকদিন থেকে নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করে আসছেন। ভোট চেয়ে করেছেন উঠান বৈঠক ও মতবিনিময়। তিনি প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে ইতিমধ্যে সাধারণ ভোটারদের নজরে আসেন। নুরুল আমিন অপি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোটের মাঠে আছি। ভোটে জয়ী হয়ে মেঘনা ভাঙন কবলিত মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আশা করছি, দল মতের উর্ধে সাধারণ জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন। নুরুল আলম অপি ফলকন ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত বাঘা পরিবারের সন্তান। তিনি জেলা পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন বাঘার ছোট ভাই। তিনি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন।




রামগতি ও কমলনগর উপজেলা নির্বাচনে ২৭ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

 

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রামগতি- কমলনগরে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৭ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান ভুঁইয়া তাদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে কমলনগর উপজেলায় ১৬ জন এবং রামগতি উপজেলায় ১১ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পান।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কমলনগরে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। একই সময়ে রামগতি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন রয়েছে।
কমলনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার (নৌকা), উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী (দোয়াত-কলম), কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক (কাপ-পিরিচ), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, আবদুর রহমান দিদার (হেলিকপ্টার), বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুর রাজ্জাক চৌধুরী (ঘোড়া), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহসান উল্যাহ হিরন (আনারস) ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আমিন অপি (মোটরসাইকেল) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সাগর (টিয়াপাখি) কেন্দ্রীয় ওলামা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ইস্রাফির (মাইক), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হক মিয়া (চশমা), যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন সবুজ (তালা) ও জাহিদুল ইসলাম রনি (টিউবওয়েল) প্রতীক পান।
নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মহিলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী শারমিন জাহান অরিন (হাঁস) মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আক্তার সুমি (কলস), মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহাদ আক্তার শাহিদা (সেলাই মেশিন) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

অন্যদিকে রামগতিতে, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ (নৌকা), শরাফ উদ্দিন সোহেল আজাদ (কাপপিরিচ), মোহাং হারুনুর রশিদ মোল্লা(আনারস) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

 




কমলনগরে নারী দিবস পালিত

আমজাদ হোসেন আমু, কমলনগর(লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে “সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো, নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষষক অধিদফতরের আয়োজনে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলা চত্বরে প্রদক্ষিণ করে হল রুমে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্যে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, নারীরা কোন কাজে পিছিয়ে নেই। সমাজে নারীদের ভূমিকা অন্যন্য। সু-শিক্ষিত নারী জাতি গড়ার কারিগর। প্রতিটি নারীকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নারী নির্যাতন,বাল্যবিবাহ,যৌতুক প্রথা, যৌন হয়রানি, নারী আন্দোলনে কাজ করতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার, তওহিদুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা ইকতারুল ইসলাম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ।

সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদ আলম।




আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চের এদিনে ঢাকায় রমনার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র জাতির আকাঙ্ক্ষাকে আত্দস্থ করে ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু জনগণকে মুক্তিসংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী টালবাহানা শুরু করে। সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে বাংলার জনগণ।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও মূলত ৭ মার্চের ঘোষণাই গোটা জাতিকে প্রতিরোধ ও মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিল।

দিকনির্দেশনামূলক সেই ভাষণের পথ ধরেই ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিল মুজিব নগরে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল অস্থায়ী সরকার। এ সরকারের নেতৃত্বেই দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তান বাহিনী আত্দসমর্পণ করে। অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতীয় জীবনেই শুধু নয়, মুক্তিকামী সারা বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের কাছে এক অনন্য সাধারণ ভাষণ হয়ে আছে।

৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। আওয়ামী লীগ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে।

দুপুর ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়াও আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ৭ মার্চ উদযাপন করবে।




রামগতিতে চেক জালিয়াতি মামলায় দুই আসামী গ্রেফতার

আমজাদ হোসেন আমু,রামগতি(লক্ষ্মীপুর):লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চেক জালিয়াতি মামলায় দুই আসামী কে পুলিশ গ্রেফতার করেন । আসামীরা হলেন, মিজানুর রহমান ও ফিরোজ আলম। গতকাল মঙলবার দিবাগত রাতে পুলিশ জমিদার হাট কেরামতিয়া এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করেন। দু’জনই আদালত কতৃক ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। রামগতি থানা (তদন্ত) মো. ইউছুফ আলী জানান, গোপন সূত্রের খবর পেয়ে এ এস আই রবিউল সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিজানুর রহমান ও ফিরোজ আলমকে গ্রেফতার করা হয়।উক্ত অাসামীগণ ২০/০৯/২০১৮ ইং তারিখে বিজ্ঞ অাদালত কর্তৃক চেক প্রতারণার মামলায় ছয় মাসের সাজা এবং চেকের সমপরিমান জরিমানার সাজা রায়ের পলাতক আসামী ছিলেন।




বঙ্গবন্ধুর ভাষন ও বিশ্ব বরেন্য নেতাদের ভাষনের একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ

শোষিত অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালি জাতিকে মুক্তির দ্বার প্রান্তে এনেছিল যে ভাষন সেটাই হল ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চের ইতিহাস প্রসিদ্ধ বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ ভাষন।জাদুমুগ্ধ এই ভাষনটি তুলনামূলক বিশ্লেষনে যেমনি আপন বৈশিষ্ঠ্যে অনন্য, তেমনি বিশ্ব বরেন্য শ্রেষ্ঠ ভাষনগুলোর সাথে তুলনীয়।বঙ্গবন্ধুর এক হাজার একশত সাতটি শব্দের ১৯ মিনিটের এই কালজয়ী ভাষনে যেমনি কোন বিরক্তকর পুনরাবৃত্তি নেই,কোন বাহুল্য নেই,তেমনি আছে শুধু সারকথা,সারমর্ম।দু একটি স্থানে পুনরাবৃত্তি থাকলেও তা বক্তব্যের প্রকৃত তাৎপর্যককে বেগমান করেছে।যোগাযোগ বিজ্ঞান অনুযায়ী শ্রেষ্ঠ ভাষনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল ১. Good beginning for speech তথা ভাষনের চমৎকার সূচনাপর্ব ২.জনযোগাযোগে speech idiom ব্যবহার ৩. Ask question and then answer এর ব্যবহার ৪. Declarative system ৫. শ্রোতা উদ্ধুদ্ধ ও অনুপ্রানিতকরন প্রক্রিয়া ৬.যুক্তিবিন্যাস ও তথ্যচয়ন প্রক্রিয়া ৭.Put up the attribution first নীতিমালা ৮. Agenda setting function ৯. Humanistic approach ১০. Status conferral function ১১.Possing a challenge ১২.Don’t dragout conclusion ১৩.Public address system ১৪. Humanistic kindness প্রভৃতি। বঙ্গবন্ধুর ভাষনে উপরিউক্ত সকল নিয়মাবলীর উপস্থাপন পাওয়া যায়। পেরিক্লিসের ভাষন বনাম বঙ্গবন্ধুর ভাষন: প্রাচীন গ্রীসের বক্তৃতাবিদ্যার পারদর্শী শিক্ষক পেরিক্লিসের বাগ্মিতা ছিল অসাধারন।তিনি তার বক্তব্যে বিবেকমান মানুষকে জাতীয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহনের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন।সে ভাষনে যোগাযোগ বিজ্ঞানের ১৪ টি গুনের Humanistic approach, don’t dragout conclusion, Possing a challenge সহ ৫ গুনাবলী অনুপুস্থিত ছিল। আব্রাহাম লিংকন বনাম বঙ্গবন্ধুর ভাষন : আব্রাহাম লিংকনের ভাষনে গৃহযুদ্ধ জয়ের পর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান ছিল সে ভাষনে।গনতন্ত্র সম্পর্কে আজ থেকে ১৫৩ বছর আগে ১৮৬৩ সালে ১৯ শে নভেম্বর গেটিসবার্গে মাত্র ২৭৮ শব্দের ৩ মিনিটের সে ভাষনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন উক্তি করে বলেছিলেন ” That government of the people by the people and for the people, shall not perish from the earth.তার এই ভাষন বিশ্লেষনে যে বিষয়টি চোখে পড়ে তা হল ক. এই ভাষনের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংকটের পরিসমাপ্তি তিনি এর মাধ্যমে টেনেছিলেন। খ.পৃথিবীর সকল গনতন্ত্রকামী মানুষের জন্য তাঁর ভাষনটি সমান গুরুত্ব বহন করে।গ. তাঁর ভাষনটি ছিল লিখিত,পরিশীলিত, প্রস্তুতিমূলক ভাষন, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাষনে ছিল ক. মুক্তিযুদ্ধের ডাক খ.মুক্তি প্রত্যয়টি বহুমাত্রিক – মুক্তির সংগ্রাম নিরন্তর। তাই সকল মানুষের মুক্তির জন্য এই ভাষনটি গুরুত্বপূর্ণ অথচ আব্রাহাম লিংকনের ভাষনেপৃথিবীতে শুধু যারা গনতন্ত্র চায় তাদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে।গ. বঙ্গবন্ধুর ভাষন ছিল extempore speech অর্থাৎ পূর্বপ্রস্তুতিহীন, অলিখিত কিন্তু অগ্নিগর্ভ ভাষন।তুলনামূলক বিশ্লেষনে আরও প্রতীয়মান হয় যে আব্রাহাম লিংকনের ভাষনের সময়ের তুলনায় বঙ্গবন্ধুর ভাষনের সময়ের পরিবেশ ছিল অতি নাজুক, সংকটময় ও উত্তাল।তাই তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী প্রভাবের বিচারে বঙ্গবন্ধুর ভাষনটিই শ্রেষ্ঠ ও অনন্য। উইনস্টন চার্চিল বনাম বঙ্গবন্ধুর ভাষন: বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষনকে সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় প্রদত্ত বেতার ভাষনের সাথেও তুলনা করা যায়।১৯৪০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।২য় বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশ জাতি ও সৈনিকদের উদ্ধুদ্ধ করার জন্য চার্চিলতাঁর ভাষনে বলেছিলেন “We shall fight on the beaches, we shall fight on the landing grounds,we shall fight in the fields and in the streets,we shall fight in the hills,we shall never surrender অর্থাৎ আমরা সমুদ্রতীরে,স্থলে,মাঠে,রাস্তায়,পাহাড়ে যুদ্ধ করব, আমরা কখনোই আত্মসমার্পন করবনা।তিনি আরো বলেছিলেন “I can give you blood and toil and sweat and tearsঅর্থাৎ আমি আপনাদেরকে দিতে পারি রক্ত- শ্রম,স্বেদ ও চোখের জল।তাঁরভাষন বিশ্লেষনে বলা হয় ” His rich prose and the measured cadeness of his speeches gave the British a sense of the majesty of their history.তাঁর ভাষন ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ কেন্দ্রিক অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাষন ছিল দেশের মুক্তির জন্য। মার্টিন লুথার কিং বনাম বঙ্গবন্ধুর ভাষন: বর্ণ- বৈষম্যবাদ বিরোধী আমেরিকার কালো মানুষের প্রিয় নেতা মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৩ সালের ২৮ শে আগস্ট তাঁর ঐতিহাসিক ভাষনে বলেছিলেন ” I have a dream, dream is equality ” তিনি আরো বলেছিলেন “I have a dream that one day this nation will rise up and live out the true meaning of its creed.we hold these truths to be self evident,that all men are created equal.I have a dream that my four children will one day live in a nation where they will not be judged by the colour of their skin but by the content of their character. অর্থাৎ আমার একটি স্বপ্ন আছে যে একদিন এ জাতি জাগ্রত হবে এবং তাদের ধর্মবিশ্বাসের সঠিক অর্থ বুঝবে।আমরা সাক্ষ্য হিসেবে এই সত্যগুলোকে রাখতে পারি যে সকল মানুষকে বানানো হয় সমান করে।আমার একটি স্বপ্ন আছে যে আমার চার সন্তান একদিন এমন একটি জাতি হয়ে বাস করবে, যেখানে তাদের গায়ের রং দিয়ে বিচার করা হবেনা বরং চারত্রিক কাঠামোই হবে তাদের পরিমাপক।তাঁর এই ভাষনে পৃথিবীতে যেখানেই মানুষ বর্ণ বৈষম্যের শিকার হবে তার পরিত্রানে এটি গুরুত্বপূর্ণ অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাষনে সারা পৃথিবীর যেখানেই মানুষ মুক্তি বঞ্চিত হবে সেখানেই ভাষনটি অর্থবহ।কারন তাঁর ভাষনে সুস্পষ্ট ঘোষনা ,এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।
উপরের সকল সেরা ভাষন বিশ্লেষনে প্রতীয়মান হয় যে বাগ্মিতা ও শ্রোতার উপর সম্মোহনী ক্ষমতার বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর ভাষনটি নি:সন্দেহে পৃথিবীর সেরা ভাষন।যোগাযোগ বিজ্ঞানের হিসেব অনুযায়ী পৃথিবীর সেরা ভাষনের ১৪ টি গুনাগুনের সবকটিই একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষনেই পাওয়া যায়।এছাড়াও শোষিত নির্যাতিত বাঙ্গালির জন্য মুক্তির বার্তা, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা অর্জনের বার্তা,বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির বার্তা,স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি বিশ্ব বিবেককে জাগিয়ে তোলার বার্তা তাঁর ভাষনে উপস্থিত ছিল। অলিখিত,নির্দলীয় ভাষন,কঠিন- কোমলের অসাধারন মিশ্রন সংযুক্ত ভাষন,অপূর্ব অভিব্যক্তি,বাচনভঙ্গি,তেজদীপ্ত কন্ঠসর,গনমুখী ভাষন,অত্যন্ত সুকৌশলে স্বাধীনতার ঘোষনা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে বাঙ্গালির বিজয় সম্পর্কে পূর্ন আস্থাজ্ঞাপন প্রভৃতির বিবেচনায় ৭ ই মার্চের এ ভাষনটিই শ্রেষ্ঠ।
ফিরোজ আলম, প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান, আয়েশা (রা:) মহিলা কামিল ( অনার্স,এমএ) মাদ্রাসা,লক্ষীপুর ও সাধারন সম্পাদক বিএমজিটিএ লক্ষীপুর জেলা শাখা।