আজ আত্মবিশ্বাসী মেসি

কণ্ঠটাই শোনা যায় কেবল। চেহারা দেখা যায় না ঠিকঠাক।

তবুও ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে বেশ। কেন? ‘জানি না ফাইনালে কী হবে তবে এটুকু বলতে পারি আপনি সবাইকে আনন্দিত করতে পেরেছেন…প্রভাবও রেখেছেন জীবনে’ বা এমন কিছু লাইনের জন্য। এতক্ষণে টের পাওয়ার কথা নিশ্চয়ই- বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের পর লিওনেল মেসিকে কথাগুলো বলেছিলেন এক আর্জেন্টাইন সাংবাদিক।
দায়িত্ব ভুলে তিনি ক্ষণিকের জন্য হয়ে গিয়েছিলেন অনেকের প্রতিনিধি। দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে তার সেসব কথা। ব্রায়ান লারা তার ক্যারিয়ার সায়াহ্নে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আমি কি আপনাদের বিনোদন দিতে পেরেছি?’ লিওনেল মেসি লারা নন। নির্লিপ্ত, বিনয়ী, আলাভোলা। ‘ফুটবল না খেললে হয়তো হালচাষ করতেন…’ আড্ডার আনন্দে ডুবে তাকে নিয়ে বলা হয় এমন। তিনি তাই প্রশ্ন করবেন, ভাবা যায় না তেমন কিছু।

তবুও তাকে উত্তর জানিয়ে দেন কেউ, ‘পেরেছেন’ বলেন জানতে না চাইলেও। কোটি ভক্ত সেসব কথা শুনে বিস্ময়ে ডুবে থাকেন, ‘আরে, আমার মন কীভাবে পড়ে ফেললো…!’ ভদ্রমহিলা মহিলা বলেন, ‘আপনি কোটি আলবিসেলেস্তের হৃদয় ছুঁয়েছেন। ফেক হোক অথবা কল্পনায়; আপনার জার্সি আছে বেশির ভাগেরই…’

তিনি মিথ্যা বলেননি অবশ্যই। ইন্টারনেটের কল্যাণেই ক’দিন পরপর ভেসে উঠে সেসব। ছেঁড়া জামায়, ফুটপাতে দাঁড়ানো কোনো এক কিশোরের পেছনে ইটের কণায় লেখা হয় ‘মেছি’। বানান একদমই মূখ্য হয় না এখানে, বড় হয় বরং ভালোবাসা। দারিদ্রতাতে একটু সুখের খোঁজ এনে দেন ফুটবলের ‘দুঃখী রাজা’।

এসব তো দূর দেশের গল্প। হুলিয়ান আলভারেসের কথাই একবার ভাবুন। বছর এগারো আগের একটি ছবি এখন ভাইরাল বেশ। লিওনেল মেসির সঙ্গে কোথাও একটা দেখা হয়েছিল তার; কোনোরকমে একটি ছবিও তুলে রেখেছিলেন। পরে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নের কথা।

কী? ‘দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারা…’। ফুটবলের আইডল? ‘লিওনেল মেসি…’।

আপনি নিশ্চয়ই খণ্ড খণ্ড ছবিগুলো মেলাতে শুরু করেছেন এতক্ষণে। অথবা আপনার কল্পনায় ভেসে উঠে এসেছে মেসির অমানবিক অ্যাসিস্টকে গোল বানিয়ে ফেলার পর তার সঙ্গে আলভারেসের ছবিটা।

বিশ্বকাপের সেরাদের একজন, বহু বড় ক্লাবের কাঙ্ক্ষিত ডিফেন্ডারকে স্রেফ বোকা বানিয়েছিলেন। পরে কেউ একজন লিখেছিলেন, ‘মেসি পাঁচজনকে ড্রিবল করে কাটিয়ে যাননি। তবে একজনকে পাঁচবার পরাস্ত করেছেন…’ ড্রিবলিংয়ের সেই সেকেন্ড বিশেকের অনেক অনেকগুলো, আলভারেসের শট, মেসিকে জড়িয়ে ধরা…

ওসব ছবি জোড়া লাগিয়ে ফ্রেম তৈরি করা যায় চাইলে। তবুও স্বীকৃতির জন্য দরকার হয় জয়। কেন? ২০১৪ বিশ্বকাপের পর লিওনেল মেসির গোল্ডেন বলের ট্রফি আনতে যাওয়া ছবি প্রমাণ তার। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা শূন্যতা ব্যক্তিগত শিরোপায় মেটানো যায় না, অনুভব করা যায় তেমন।

সময় বয়ে চলে। ২০১৫ আসে, ‘১৬ও। তিন ফাইনাল হারের পর আলাভোলা ছেলেটি বলে ফেলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে আমার আর কিছুই বাকি নেই…’। হৃদয় ভেঙে যায়। পৃথিবীজুড়ে শত কণ্ঠ জেগে উঠে ফিরে আসার আবদারে। তিনি আসেন।




কাতারের জাতীয় দিবসে নামছে বিশ্বকাপের পর্দা

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজক হয়েই চমকে দিয়েছিল কাতার। এরপর মহাসমারোহে মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট কিন্তু ধনী রাষ্ট্রটি উপহার দিয়েছে একের পর এক চমক।

বিশ্বের সেরা সব স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাট, হোটেল বানিয়ে অপেক্ষায় ছিল মূল মঞ্চে আলো জ্বালানোর। সেই আলো জ্বলে ওঠার পর নানান জাদুকরী মুহূর্ত, টুইস্ট আর আপসেটের ছড়াছড়ি দেখেছে ফুটবলবিশ্ব।
কঠোর নিয়মের বেড়াজালেও কাতার ফুটবল পর্যটকদের দিয়েছে নতুনত্বের স্বাদ। এরপর একে একে মঞ্চে আগমন ও বিদায় ঘটেছে বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকাদের। আর আজ রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার ঐতিহাসিক ফাইনালের মধ্য দিয়ে নামতে চলেছে সেই ২০২২ বিশ্বকাপের পর্দা।

আজই শেষবারের মতো আজ মঞ্চ আলোকিত করতে উঠবেন মেসি-এমবাপ্পেরা। এরপরই মঞ্চের আলো নিভে যাবে। সেই আলো সঙ্গী করে এক দল ফিরবে বীরের বেশে। আরেক দল ফিরবে বিষণ্ণ ও ভগ্ন হৃদয় নিয়ে। কাতারে আজ রাতে যখন এক দল বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়বে; তখন কিছু না জিতেও উৎসব করবে কাতার।

একে তো বিশ্বকাপ আয়োজন করেই অনেক বড় সাফল্য পেয়ে গেছে কাতারিরা। তার ওপর আজ (১৮ ডিসেম্বর) দেশটির জাতীয় দিবস। এক যুগের প্রস্তুতি আর ত্যাগ- তিতিক্ষার ফল হাতে পাওয়ার দিনে তাই পুরো কাতার ভাসবে উৎসবের জোয়ারে। জাতীয় দিবসের দিনে বিশ্বকাপ ফাইনাল- কাতারিদের জন্য দিনটি একেবারে সোনায়-সোহাগা! কাতারে যারা বিশ্বকাপ উপভোগ করতে গেছেন, তাদের জন্যও আজ বিশেষ দিন। প্রায় এক মাস কাতারের মতো রক্ষণশীল দেশে বৈশ্বিক ফুটবলের আসর কেমন হবে; তা নিয়ে শুরু থেকে অনেকের সংশয় ছিল। কিন্তু কাতার সব সংশয় দূর করে দিয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন কিংবা খেলাধুলার পরিবেশ তো আছেই- এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যাতায়াত এবং সমর্থকদের আনন্দ-ফুর্তি করার জন্য যে ব্যবস্থা তারা করেছে তা দেখেও চমকে ওঠেছেন সবাই।




কমলনগরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে আলোচনা

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)ফেরদৌস আরা।
এ সময় উপিস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর. মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আলম, সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ আলম, সমবায় কর্মকর্তা মো, হানিফ, তথ্য আপা সাহানা ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।




রামগঞ্জে স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল ও হুডি বিতরন করছে আলোচিত সামাজিক সংগঠন স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশন।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় রামগঞ্জ পৌরসভার চতলা আউগানখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রায় ৪ শতাধিক শীতার্তদের মাঝে এ কম্বল বিতরন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি মাহাবুব রাব্বানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও ৫নং চন্ডীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামছুল ইসলাম সুমন, উপদেষ্টা ও পৌর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী হাসান সুমন, উপদেষ্টা ও রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাউছার হোসেন, উপদেষ্টা ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য কামরুল হাসান মাসুম, উপদেষ্টা ও রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার- প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরমান রাসেল, ফয়েজ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ হোসেন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান সৌরভ, রিপন হোসেন, সোহেল আহম্মেদ, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ইয়াছিন আরাফাত জীবন, মোঃ শাওন হাসনাত, কোষাধ্যক্ষ কাজী রাব্বানী, সহ কোষাধ্যক্ষ মিল্লাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক কাজী আশরাফ, সহ-প্রচার সম্পাদক ফারহান আহম্মেদ ফাহাদ, সমাজসেবা সম্পাদক শেখ মাকসুদ আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সালমান মাহামুদ, দপ্তর সম্পাদক এনায়েত হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক জহির কাজী, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন।
কার্যনির্বাহী সদস্য তসলিম মোল্লা, কামাল হোসেন, রাজু হোসেন,গোলাম মোস্তফা, ইমন হোসেন, কামাল হোসেন, ওমায়ের বিন সাত্তার, আবদুল আজিজ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটি এ পর্যন্ত বিভিন্ন রোগীদের বিনা মূল্যে রক্ত প্রদান, বিভিন্ন স্থানে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদেরকে ফ্রিতে ঔষধ প্রদান, গরীব, অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা সরঞ্জাম বিতরনসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।
এছাড়াও করোনা কালীন বিনামূল্যে মাক্স বিতরণ, গরীব ও অসহায় ব্যক্তিদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্ন সময়ে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরন করেছে সংগঠনটি।
এছাড়াও সমাজের আরো অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে এবং সমাজের উপকার হবে এই ধরনের কাজের সাথে সব সময় সম্পৃক্ত রয়েছে, স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশন।




নেত্রকোণায় এনসিটিএফ এর বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

সারা দেশব্যাপী শিশু অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করা জাতীয় শিশু সংগঠন (এনসিটিএফ) এর নেত্রকোণা জেলা শাখার বার্ষিক সাধারন সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে । শনিবার ( ১৭ ডিসেম্বর) দুপরে
নেত্রকোণা পৌরসভা মিলনায়তনে এই সাধারণ সভা ও নির্বাচন এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মীর বাবলুর রহমান।

হোমায়রা আমীন সায়মা এর সভাপতিত্বে ও সর্বজিত দাসের সঞ্চালনায় এসময় তিনি বলেন এনসিটিএফ এর নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে শিশুদের সাংগঠনিক কাজ করার আগ্রহ সৃস্টি হবে। একই সাথে আগামী দিনের যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে হবে আশা ব্যক্ত করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন এনসিটিএফ নেত্রকোণা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান ঈশান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিয়া ইসলাম এবং ইয়েস বাংলাদেশ এর জেলা ভলান্টিয়ার আলমগীর হোসেন
আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শিশু টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) নেত্রকোণা জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষে দুপুর ১২ থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সু-শৃঙ্খলভাবে লাইন দারিয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এবং শিশুরাই এই নির্বাচন পরিচালনা করে থাকেন। নির্বাচনে অর্ধশতাধিক এনসিটিএফ সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গাজী
মিথিলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ বিশ্বাস সহ এনসিটিএফ এর ১১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করে থাকেন।

১২ থেকে ১৮ বছরের শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় শিশু টাস্ক ফোর্স নেত্রকোণা জেলা কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।




চাটখিলে বিএনপির ৪ নেতা আ.লীগে যোগদান ফুল দিয়ে বরণ করেন এমপি এইচ.এম ইব্রাহিম

মোঃবদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর চাটখিলে ১৭ ডিসেম্বর শনিবার ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের সাথে পূর্ব দেলিয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও ব্যাপক জনসমর্থনের ফলে বিএনপির ৪ নেতা ও সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি, বর্তমান ইউপি মেম্বার মামুনুর রশীদ (৬নং ওয়ার্ড পূর্ব দেলিয়াই-বালিয়াধর), আবুল কালাম (বালিয়াধর), আবদুল মালেক মানিক, মোঃ আজাদ (৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ দেলিয়াই) আওয়ামী লীগে যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে নোয়াখালী( ১)চাটখিল সোনাইমুড়ী আসনের সংসদ সদস্য ( এমপি) এইচ. এম ইব্রাহিম তাদের ফুল দিয়ে বরন করে নেয়। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে সর্বাত্তকভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন।




যুবসমাজকে শিক্ষাদীক্ষায় ও খেলাধুলায় সেরা হতে হবে: আনোয়ার খান এমপি

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ। আজকের যুবসমাজ হবে আগামী বাংলাদেশের কান্ডারি। সেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে যুব-সমাজকে প্রস্তুত হতে হবে। শিক্ষাদীক্ষায় ও খেলাধুলায় হতে হবে সেরা। একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু হুন্ডা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ২য় আসরের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। রামগঞ্জের পানাপাড়া স্কুল মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় আনোয়ার খান এমপি আরো বলেন, আমাদের যুব সমাজ খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চায় এসব দিকে যেন আন্তরিক হয়, নিজেদেরকে আরও সম্পৃক্ত করে। সেটা আমার আকাঙ্ক্ষা। সরকার ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়ন কাজ করছে। দেশের শিশুরা থেকে শুরু করে যুব সমাজ পর্যন্ত যাতে সবাই খেলাধুলার সুযোগ পায় এবং সাংস্কৃতিক চর্চায় পারদর্শী হয় সে লক্ষ্যে নিয়ে সরকার কাজ করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রুহুল আমিন, রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক, সাবেক মেয়র বেলাল আহম্মেদ, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন খান, লামচর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্ল্যা জিসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী দল মজুপুর একাদশ ও রানার্সআপ লামচর স্পোর্টিং ক্লাবের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।




রামগঞ্জে বিঘা মাদ্রাসার ভবন উদ্ভোধন

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ড আনোয়ার হোসেন খান বলেছেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। এর আগে আমরা দেখেছি বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে স্কুল-মাদ্রাসা খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিলো। এখন আর জরাজীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। দেশের কল্যাণে আত্মনির্ভরশীল নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।

তিনি বলেন, দেশে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কারণেই বাংলার জনগণ আওয়ামী লীগকে বার বার চায়। যেই সব মানুষ দেশের মানুষের ভবিষ্যত পরিকল্পনাকে ব্যাহত করতে চায় তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেন আনোয়ার খান এমপি।

১৭(ডিসেম্বর)শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বিঘা আহমদিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় ১কোটি ২২ লাখ ৩৯হাজর টাকা ব্যয়ে নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার খান এমপি এসব কথা বলেন।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আখতার হোসেন খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রুহুল আমিন, রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন খান, রামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক উপাধক্ষ্য মোঃ শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন সূফী, গোলাম রুসুল, জেলা পরিষদের সদস্য সৈকত মাহমুদ শামছু, পৌর কাউন্সিলর মামুনুর রশীদ, ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মোল্লাসহ উপজেলার ভিবিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




সোনাইমুড়ী বারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম( বিএসসির) শীতবস্ত্র বিতরণ

মোঃ বদিউজ্জামান (তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী ২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী)আস­নের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোরশেদ আলম এমপির পক্ষে বারগাঁও ইউনিয়নের গরীব দুঃখীর মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরন করেন বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শামছুল আলম( বিএসসি)।এ সময় উপস্হিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক মাইন উদ্দিন সোহাগ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।




School Admission start from tomorrow, have to obey the instructions

আগামীকাল রোববার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

১৫ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকারি (সব) ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাক্রমে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল শিট (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি গ্রহণের সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।

১) ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে।

২) নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।

৩) মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোনও শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।

৪) একই শিক্ষার্থী অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বার বার পরিবর্তন করে, মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) জালিয়াতির কারণে তাকে ভর্তি করা যাবে না।

৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওই কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটাসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্যান্য সংরক্ষিত কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে, সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমানুসারে ওইসব শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

৬) সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই/বোনের ভর্তির বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।