কমলনগরের মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার; নেই প্রশাসনের তৎপরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় তৎপরতা না থাকায় এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় মাছ শিকার চলেছ। দাদনদার-মহাজনরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে জেলেদের নদীতে পাঠায় এমন অভিযোগ সবার মুখে মুখে। এমন পরিস্থিতিতে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হয়ে সরকারের কাঙ্খিত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গেলেও যেন কিছুই দেখছেন না । জেলেরা করছে না তোয়াক্কা । এদিকে কোস্টগার্ড দেখেও না দেখার বান করছে।

সোমবার বিকালে ও মঙ্গলবার সকালে কমলনগরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নিবিঘেœ মাছ শিকার করছেন। বেশির ভাগ জেলে জাটকা শিকারে ব্যবহার করছেন অবৈধ কারেন্ট জাল। বাঁধা জাল দিয়ে মারছেন ইলিশের পোনা। মশারি জাল দিয়ে নিধন করছে পোয়ামাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে হাট-বাজার ও আড়তে। সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কমলনগরের মাতাব্বারহাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরার ফাঁদ পেতেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে মেঘনা নদী থাকে পুরো অরক্ষিত। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে সারা রাত ধরে জেলেরা মাছ শিকার করেন। ভোরে ঘাটের আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী ঘাটে জেলেরা মাছ উঠায়। লাখ-লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয় প্রতিদিন। মাছ বিক্রিকালে একটি চক্র জেলেদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেন; ওই টাকায় ম্যানেজ করেন সংশ্লিষ্টদের। কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, তাদের জনবলের অভাব রয়েছে। যে কারণে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তবুও জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইন মানছেনা জেলেরা। প্রতিদিন কমলনগরে সারি-সারি নৌকা নিয়ে শত-শত জেলে মহোসৎবে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করছেন।

প্রসঙ্গত, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা ওপর নিষেধাজ্ঞা জরি করা হয়েছে। এসময় মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও সংরক্ষণ অন্যায়। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।




কমলনগরে সড়ক দূর্ঘটনায় ছাত্রের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফররুখ আহমেদ ইমন (১৭) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার রহিমগঞ্জ এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইমন হাজীরহাট উপকূল সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং চর কাদিরা গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে ইমন মোটরসাইকেল যোগে রহিমগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলো। পথে মোটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে। এতে ইমন মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেন।




মৌলক সাক্ষরতা প্রকল্পে সুপারভাইজার ও শিক্ষকদের মতবিনিময়

আমজাদ হোসেন আমু,কমলনগর(লক্ষ্মীপুর):

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পে সুপারভাইজার ও শিক্ষকদের সম্মানী ও যাতায়াত ভাতা প্রদানে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন এর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন,প্রকল্প জেমস সহ সভাপতি প্রাক্তন প্রফেসর মোবাশ্বের হোসেন,সহ সভাপতি মোবারক হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এফএম আবদুল ওয়াজেদ তালুকদার, প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এহসানুল হক,প্রকল্প কর্মকর্তা মো. জহির হোসেন,সুপারভাইজার মো. আলা উদ্দিন সহ প্রমুখ। সভাটি সঞ্চালনা করেন, প্রকল্প পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান।

সভা শেষে নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন সুপারভাইজার ও শিক্ষকদের সম্মানি ভাতা প্রদান করেন।




লক্ষ্মীপুরে ৬ জেলের জেল-জরিমানা

লক্ষ্মীপুর:

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরায় দায়ে ছয় জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (৩০ মার্চ) দিনগত রাতে জেলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মৎস্য বিভাগ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খবিরুল আহসান তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদার, সহকারী পরিচালক (এনএসআই) মানিক দে ও সহকারী পরিচালক (এনএসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চর রমনী মহন এলাকার আব্দুল কাদের মাঝির ছেলে সুফিয়ান হোসেন (২৬), সালাহ উদ্দিন (৩০), চাঁন মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৩৪), ভোলার বাসিন্দা আবদুল মতলবের ছেলে আবু কালাম (২৫)। এদের প্রত্যেকে ১০দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় ভোলার রাজাপুর এলাকার নবী মাঝির ছেলে মো. রাজিবকে (১৯) পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কুমিল্লা জেলার হোমনার বাসিন্দা খোরশেদ মোল্লার ছেলে হুমায়ুন কবিরকে (৩২) এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় এক হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে জব্দ হওয়া জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম মহিব উল্লাহ  বলেন, ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ও জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১শ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসময় মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও সংরক্ষণ অন্যায়। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।




কমলনগর-রামগতি মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা হবে

বিকল্পধারা মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান

 

কমলনগর(লক্ষ্মীপুর)সংবাদদাতা: বিকল্পধারা মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর ০৪, কমলনগর-রামগতি আসনের সংসদসদস্য মেজর (অব.) আবদু মান্নান বলেছেন, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর-রামগতি উপজেলায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিস্তৃর্ণ জনপথ বিলীনহয়ে গেছে। সারা বছর ধরে মেঘনার ভাঙ্গনে এখানকার মানুষ অসহায়।এ ভয়াবহ ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় কাজ করা হবে । শীঘ্রই প্রায় ১৪০০মিটার কাজ করা হবে। এছাড়াও আরও ১৫ কি:মি: কাজের জন্যমন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টায় মাতাব্বরহাট বাঁধ নির্মাণপরিদর্শণ কালে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাবলেন। তিনি আরও বলেন আমি কোন দলের নয়; সকলের এমপি। সবাই আমার কাছে সমান। আমি তাদের সবাই’র কথা শুনবো এবং এলাকারউন্নয়নের চেষ্টা করবো। সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকবো। কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিনমাস্টারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সহধর্মিনী উম্মে কুলসুম, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় নেতা আবদুজ জাহের সাজু, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা, কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু, বিকল্প যুবধারার কেন্দ্রিয় নেতা মো. শহিদ উল্যাহ, বিকল্পধারার কমলনগর উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. ছিদ্দিক মিয়া, রামগতি উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ মোল্লা,উপজেলার নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোখসানা আক্তার রুক্সি,কমলনগর প্রেস ক্লাব সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল খায়ের, মো. নিজাম উদ্দিন, হাজী হারুনুর রশিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুর রহমান দিদার, যুবধারার নেতা মিজানুর রহমান, মাহফুজুর রহমানসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, গত ৩ যুগেরও বেশী সময় ধরে কমলনগের মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে বিস্তৃর্ণ জনপথ। হুমকির মুখে রয়েছেউপজেলা কমপ্লেক্সসহ সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা। এলাকা বাসীরদাবীর মুখে ১ কি:মি: নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হয়েছে। অনিয়মও নিন্মমানের কাজ হওয়াও গত দেড় বছরে ৮ বার ধস নামে। দ্রুতসময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া বাঁধের সংস্কার ও বর্ষার আগে আরও ৮ কি:মি: বাঁধ নির্মান করার দাবী জানান এলাকাবাসি।




একাদশে ভর্তির আবেদন ১২ মে থেকে

আগামী ১২ মে থেকে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া হবে। ৩০ জুনের মধ্যে ভর্তি শেষ করে ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা হবে। এবারও কলেজের সব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই সরকার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময়সূচি নির্ধারণ করেছে। তবে এবার ভর্তি কার্যক্রমে সরকারি খাতের ব্যয় বাড়ছে। আবেদন নিশ্চায়ন (রেজিস্ট্রেশন) ফি ১৮৫ টাকার পরিবর্তে ১৯৫ টাকা করা হচ্ছে। ভর্তিতে বিলম্বের ভর্তি ৫০ টাকার স্থলে ১শ’ এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের (ইয়ারলস) ফি ১ টাকার পরিবর্তে দেড়শ’ টাকা দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ অন্যান্য ফি গত বছরের মতোই রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভর্তিকালে কলেজ-মাদরাসাগুলো কত টাকা নেবে তা আগেভাগেই নোটিশ দিয়ে ঘোষণা করতে হবে। প্রতারণা করে ঘোষণা ছাড়া ভর্তির পর অর্থ নিলে এবং এর অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা  বলেন, বিগত প্রায় দেড় দশক আগে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল। ভর্তি সংক্রান্ত কাজে ব্যয় বেড়ে গেছে। এ কারণে ফি কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে।

ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেয়া প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১২ মে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন নেয়া শুরু হবে। এবারও তিনটি ধাপে নেয়া হবে আবেদন। অনলাইন ও মোবাইল ফোনে এসএমএস করে ভর্তির আবেদন করা যাবে। কলেজ পছন্দের ঝক্কি দূর করতে এবার প্রথম ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ না করা পর্যন্ত আবেদন তালিকায় কলেজের পছন্দক্রম রদবদল করতে পারবে।

ভর্তির জন্য কলেজ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চায়ন (রেজিস্ট্রেশন) করতে হবে। এর জন্য গত বছর ১৮৫ টাকা নেয়া হয়। এবার এর সঙ্গে আরও ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৫ টাকা নেয়া হবে। ভর্তি বিলম্ব ফি ৫০ টাকার বদলে ১০০ টাকা দিতে হবে। পাঠ বিরতি বা ইয়ার লস শিক্ষার্থীদের ১০০ টাকার বদলে ১৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

খসড়া নীতিমালায় গত বছরের মতোই অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদরাসায় আবেদন করা যাবে। এর জন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা।

মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। এবারও ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

নীতিমালায় একাদশ শ্রেণিতে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য সব মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে।

তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভুয়া ভর্তি ও নিশ্চায়ন বন্ধে একটি মোবাইল থেকে একটি আবেদন হবে যাতে অভিভাবক হিসেবে বাবা অথবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যুক্ত করতে হবে।

এবার ভর্তির সব আসনই মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে। তবে বিভিন্ন কোটার মধ্যে আছে- মুক্তিযোদ্ধা-রাজধানীতে ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদরে ৩ শতাংশ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন সব দফতরে ২ শতাংশ, বিকেএসপিতে ০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশ করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।




নিজ তাড়নাতেই হাত বাড়ায় শিশু নাঈম

Dhaka:

বনানীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মরেছে ২৫টি তাজা প্রাণ। আগুন লাগার পর থেকেই ভবনে অবস্থান করা মানুষগুলো যখন জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলো, তখন নিচে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন হাজারো মানুষ। তাদের অনেকই আহাজারি করছিলেন কেউবা তুলছিলেন ছবি।

আগুন লাগা ভবনের নিচে ও আশপাশে বিপুলসংখ্যক মানুষ ভিড় করায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে সমালোচনা। তবে বেশকিছু মানুষ মানুষ হাত মিলিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে। তারা সার্বক্ষণিক রাস্তা খালি করে পানির গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াতে সহায়তা করে গেছেন।

হাজারো উৎসুক জনতার মাঝে একটি ছবি নজর কেড়েছে সবার। একটি ছোট্ট শিশু ফায়ার সার্ভিসের ফাটা পাইপ দিয়ে বের হয়ে যাওয়া পানি আটকে রাখার চেষ্টা করছে। শিশুটির চোখেমুখে চরম উদ্বেগ আর ‍উৎকণ্ঠা। বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার ছবি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বনানীর এফ আর টাওয়ারের সামনে আবার এসেছিলো শিশুটি। এ সময় সে জানা যায়, তার নাম মো. নাঈম ইসলাম। কড়াইল বস্তিতে বাবা-মা ও এক বোনের সঙ্গে বসবাস তার। স্থানীয় আরবান স্ল্যাম আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে।

আগুনের খবর শুনেই বনানীতে ছুটে আসা নাঈম জানায়, তার বাবা রুহুল আমিন বনানীতে ডাব বিক্রি করেন। তাই আগুনের খবর শুনে বনানীতে ছুটে আসে নাঈম। আসার পর ভিড় ঠেলে আগুন লাগা এফআর টাওয়ারের সামনে চলে আসে। এসে নিজ তাড়নাতেই ফায়ার সার্ভিসের পাইপ ধরে অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতার চেষ্টা করে।

এরপর যখন ভবনের গ্লাস ভেঙে পড়ে তখন অন্যরা নাঈমকে দূরে সরিয়ে নেয়। গ্লাস ভাঙা একটু কমতেই নাঈম দেখে একটি পানির পাইপ ফেটে তা থেকে পানি বের হয়ে যাচ্ছে। তখন পাশ থেকেই একটি পলিথিন কুড়িয়ে তা দিয়ে পাইপের ফাটা অংশটি চেপে ধরে নাঈম।

নাঈম বলে, আমি কোন ভয় পায়নি, ওই সময় আল্লার কাছে সবাই দোয়া করছিলো ভেতরের মানুষগুলা যেন বাঁচে। আমিও চাইছিলাম একটু সাহায্য করে যদি কাউকে বাঁচানো যায়।

নাঈম আরো জানায়, বাসায় যাওয়ার পর তার নানী ও এলাকার অন্যরা সবাই তাকে বাহবা দিয়েছে। সবাই জড়িয়ে ধরেছে। নানী বলেছে, তোর ছবি দেখছি, ভালো কাজ করছিস!

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।




এফআর টাওয়ারের আগুনে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু

বনানীর বহুতল ভবন এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আগুনে কমপক্ষে ২৮ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬), মনির (৫০) ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র।
বৃহস্পতিবার বিকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত বনানী থানার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।




বনানীর ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে জেএসডি’র শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি জনাব আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল মালেক রতন এক বিবৃতিতে বনানীর ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই ধরনের ঘটনা অপরিকল্পিত নগরায়নের ই কুফল। অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা ছাড়া এ ধরনের সু-উচ্চ ভবন নির্মাণ যে কতটা অযৌক্তিক তা আজকে কয়েকজনের মৃত্যু, অসংখ্য আহত ও বিপুল সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার পরও কয়েক ঘন্টায় এখনো আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে না পারাই এর প্রমান। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের সু-উচ্চ ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়ার আগে কার পার্কিং, অগ্নি নির্বাপন ও ভূমিকম্প সহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলার সবধরনের সুযোগ আছে কিনা তা তলিয়ে দেখাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।




বনানীর আগুন সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী

Dhaka:

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে মন্ত্রী, এমপি সহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা জানান।

তিনি জানান, চেষ্টা করা হচ্ছে জীবন এবং সম্পদের ক্ষতি যতো কম হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং আটকে পড়া মানুষ উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে লাগা আগুণে এখন পর্যন্ত এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ ৫ জন মারা যাওয়ার খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে এখনো ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর কর্মীরা এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।