রামগঞ্জে শিক্ষকের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপরের রামগঞ্জ চন্ডিপুর মনসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজ শিক্ষক আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিচার চেয়ে মানবন্ধন করেন অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন৷ ৬ সেপ্টেম্বর (মজ্ঞলবার) দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগকারী দশম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর পিতা সেলিম পাটোয়ারী সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মারুফ হোসেন,আলাউদ্দিন আলো, ফাহিম হোসেন,বাবুল রায়, মুন্নি বেগম, ফয়েজ উল্যাহসহ দুই শতাধিক নারী পুরুষ অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন শিক্ষক পিতার সমতুল্য, সে শিক্ষক কর্তৃক যদি ছাত্রীরা অশ্লীলতার স্বীকার হয় এটা অত্যান্ত লজ্জাকর৷ এ ঘটনায় তাঁরা তীব্র ঘিন্না ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ বক্তরা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষক আঃ কুদ্দুসের বিচার দাবী করেন। উল্লেখ্য- বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস সোমবার(২৯ আগস্ট) দশম শ্রেণীর ৬ জন ছাত্রীকে পড়া না পারার জন্য দাঁড় করিয়ে গাল,নাক ও হাত ধরে টিপে দেয় এবং মুখে অশ্লীল কথা বলে।

এ ধরনের অনৈতিক কাজ একই শিক্ষক কর্তৃক বার বার ঘটেছে দাবী করে দশম শ্রেনীর ৬জন শিক্ষার্থী বুধবার (৩১ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করে।

এ দিকে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি ধাপা চাপা দিতে একটি মহল আঃ কুদ্দুসের পক্ষ আভিযোগকারীদেরকে হুমকী ধমকী, স্কুলে পরিক্ষায় পেল করিয়ে দেওয়া ও অন্য ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়াসহ নানা হয়রানি অভিযোগে তুলে গতকাল সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আরেকটি অভিযোগ করে৷ শিক্ষার্থীদের আবেদন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তাকে প্রদান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে৷ তদন্ত কমিটির অন্য,সদস্যরা হলেন,উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন ,মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদ মোস্তফা ও রামগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ রফিক উল্লা মাষ্টার ৷




শিগগিরই তিস্তা চুক্তির আশা করছেন শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেছেন।

শেখ হাসিনা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইসহ দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত সব সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা তার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি আবার বলছি যে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশী ভারত। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।’ গত এক দশকে উভয় দেশ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারপ্রধান বলেন, দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করেছে। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইসহ সব অমীমাংসিত ইস্যু দ্রুত সমাধানের আশা করছেন তারা।

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠক করেছি। সামনের দিনগুলোয় আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আমরা বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’




সালমানকে নিয়ে যা বললেন শাকিব খান

আজ ঢালিউডের দুঃখের দিন। কেননা এ দিন জীবনের মায়া কাটিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন চির সবুজ নায়ক সালমান শাহ।

বছর ঘুরে দিনটি এলেই শোক তার চাদরে ঢেকে দেয় চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষজন এবং তার অসংখ্য অনুরাগীর হৃদয়। ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানকে ব্যাথিত করে অসময়ে চলে যাওয়া এই নায়কের শূন্যতা। তিনি তা প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

নিজের ফেসবুকে সালমান শাহর ছবি প্রকাশ করে শাকিব লিখেছেন, ‘আজ ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী। নব্বই দশকে তিনি বিদায় নেন রূপালি পর্দা থেকে। স্বল্প ক্যারিয়ারেই দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন তিনি।’ অনুরাগীরাও অনুসরণ করেছেন শাকিবকে। তার সেই পোস্টে প্রিয় তারকার মতো তারাও বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন অকালপ্রয়াত সালমান শাহর প্রতি।

সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা এক নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। নব্বই দশকের চলচ্চিত্রে তাকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল তা শেষ হয়ে যায় তার অপমৃত্যুর মধ্য দিয়ে।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।




আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন লিজ ট্রাস

আনুষ্ঠানিকভাবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাতে ব্রিটেনের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস।

ভঙ্গুর অর্থনীতি ও জ্বালানি অস্থিরতার মাঝেই দেশটির দায়িত্বভার পেলেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বালমোরালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ট্রাস। পরে রানী তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে বালমোরাল ক্যাসেলে নির্ধারিত অফিস বরাদ্দ দেন।

এ সময় আনুষ্ঠানিক এই দায়িত্বগ্রহণের ঠিক আগ মুহূর্তেই রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

এর আগে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে দলীয় সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস। পার্টির প্রভাবশালী এক হাজার ৯২২ সদস্যের কমিটিতে ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি। আর ৬০ হাজার ৩৯৯টি ভোট পেয়ে ট্রাসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সানাক।




জলবায়ু সহনশীল ফসল জাত উদ্ভাবনের পরামর্শ পরিবেশমন্ত্রীর

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ভবিষ্যতে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপ খাওয়াতে সক্ষম ফসলের নতুন জাত ও কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

একই সাথে কৃষি উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারেও সচেতন হতে হবে। দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ১৭তম জাতীয় সম্মেলন ও সেমিনার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রশমন ও অভিযোজন-উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে হালনাগাদ এনডিসি-তে মোট ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে কৃষি সেক্টরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কৃষিক্ষেত্রে অল্টারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রাইং পদ্ধতির ব্যবহার, ধানের নতুন প্রজাতির উদ্ভাবন ও উন্নয়ন, সার ব্যবস্থাপনা ও উন্নততর ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কার্বন ও মিথেন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।




ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তিন বছর আগেই অবসর নিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় এ ব্যাটার। আইপিএলের শেষ মৌসুমে তাকে দলে ভেড়ায় নি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি।

এবার আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও অবসরের ঘোষণা দিলেন সুরেশ রায়না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন রায়না। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তও জানালেন সেই একইভাবে।

ভারতের হয়ে ১৮টি টেস্ট, ২২৬টি ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রায়না। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের অন্যতম সফল ক্রিকেটার ছিলেন রায়না। ২০৫ ম্যাচে ৩২.৫ গড়ে ও ১৩৬.৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫৫২৮ রান।

এক টুইট বার্তায় অবসরের ঘোষণা দিয়ে রায়না বলেন, ‘দেশ এবং আমার রাজ্য উত্তর প্রদেশের খেলাটা অনেক গর্বের ছিল। এখন আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা, চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজীব শুক্লাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আর আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য সমর্থকদেরও ধন্যবাদ।’




আবরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নকিয়া ফোন

এক সময় ফোনের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল নকিয়ার। দক্ষিণ এশিয়ার মোবাইল ফোনের বাজারে ৭০ শতাংশ দখল ছিল ফিনল্যান্ডের এই হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির।

কিন্তু অ্যানড্রয়েড ফোনের প্রচলন শুরু হলে বাজার হারাতে থাকে নকিয়া। হারানো বাজারে একটু একটু করে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে এইচএমডি গ্লোবালের মালিকানায় থাকা বিশ্বখ্যাত নকিয়া। বিক্রি বাড়িয়ে ফের একবার শিরোনামে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বিক্রির নিরিখে এই মুহূর্তে বিক্রির নিরিখে পঞ্চম স্থানে রয়েছে নকিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির নিরিখে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে আইডিসি।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে বিক্রির নিরিখে ১৫তম  স্থানে রয়েছে নকিয়া সি১০০। চলতি বছর নকিয়া সি২০০ মডেল বিক্রিতেও জোয়ার দেখেছে স্ক্যান্ডেনেভিয়ার সংস্থাটি। একই সঙ্গে চলতি বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রথম ত্রৈমাসিকের থেকে বিক্রি বেড়েছে নকিয়ার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্টফোন বাজারে নিজের জমি ইতিমধ্যেই সংস্থাটি।মনে করা হয় যে ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আমেরিকায় নকিয়া ফোন বিক্রি আরও বাড়তে পারে।




বানিয়াচংয়ে দুরারোগ্যদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুদান

জুয়েল রহমান হবিগঞ্জ ,প্রতিনিধিঃ

বানিয়াচং উপজেলার দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি’র (ইউএনও ভারপ্রাপ্ত) সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রধান’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বেসরকারি সদস্যদের বিল ও বেসরকারি সদস্যদের প্রস্তাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এডঃ আব্দুল মজিদ খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তজিমুল হক চৌধুরী। উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সার, প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগী,থ্যালাসেমিয়া, লিভারসিরোসিস সহ ছয়টি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

বানিয়াচং উপজেলা সমাজসেবা অফিসে পূর্বেই আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ২৬ জন কে মোট ১৩ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই চালু করা হয়েছে। এবং এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে ও জাননো হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড

আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় অস্ত্র মামলায় জুয়েল হোসেন (৩১) নামের এক যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম আসামির
উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা  করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েল হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরপাড়া
গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার চল্লিশপাড়া
গ্রামের মাঠের মধ্যে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জুয়েল হোসেনকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগজিনসহ তাকে আটক করে।

এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা
আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক এ মামলার
আসামিকে এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এ রায়ের
বিষয়টি নিশ্চিত করেন।




মেঘনার ইলিশ আর পদ্মার ইলিশের মধ্যে তফাৎ কি?

জুনাইদ আল হাবিব:

নদীপ্রধান বাংলাদেশে মেঘনা আর পদ্মা নদী ইলিশ সম্পদের বিশাল ক্ষেত্র। এ জন্য মেঘনা ও পদ্মার সীমারেখায় এ পেশার মানুষদের সারিটাও বেশ লম্বা। সাধারণত পদ্মা আর মেঘনার ইলিশের মধ্যে যে পার্থক্যগুলো দেখা যায়, তা আমরা অনেকেই জানি না। ইলিশ বিশেষজ্ঞ লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মুহিবুল্লাহ বলছেন, সাগরের কাছাকাছি মোহনার ইলিশের স্বাদটাই বেশি। এ ইলিশ সাগরের মোহনা থেকে যত দূর যায়, তত তার ফ্যাট কমে যায়, যার সাথে স্বাদের বিষয়টাও জড়িত। সে দিক বিবেচনায় মেঘনার ইলিশের স্বাদ পদ্মার ইলিশের তুলনায় অনেক বেশি।

এ কর্মকর্তা আরো বলেন, সাগরের কাছে মোহনায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট খাবার থাকে। যা মোহনার ইলিশ খেতে পারে। এতে তাদের পেট মোটা থাকে ও আকৃতি মধ্যম হয়। এটা বলতে গেলে মেঘনার ইলিশের বেলায় প্রযোজ্য। অন্যদিকে সাগর থেকে পদ্মা নদীর দূরত্ব অনেক। সাগর থেকে যত দূরত্বে ইলিশ উপরে আসবে তত ইলিশ খাবার কম পাবে এবং ইলিশের আকার লম্বা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বলা চলা মেঘনার ইলিশ আর পদ্মার ইলিশ চেনার উপায় স্বাদ এবং আকৃতিতে।

মেঘনাতীরের মতিরহাট ইলিশঘাটের সাবেক সভাপতি ও কমলনগরের চর কালকিনি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান লিটন নদীতে ইলিশ কম আসার কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, নদীতে ডুবোচরগুলোর কারণে ইলিশ আসতে সমস্যা। তিনি বলেন, নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠার কারণে ইলিশ আসতে বাঁধা পায়। যার কারণে মেঘনায়ও বিগত বছরগুলোর তুলনায় ইলিশের পরিমাণ অনেক কমেছে। আর মেঘনায় ইলিশ না আসলে পদ্মায় যাবে কিভাবে৷ এ অবস্থার কারণে ইলিশ তাঁর গতিপথ বদল করে সাগরেই থাকছে। যার কারণে সাগর থেকে ঘাটে প্রচুর ইলিশ আসে। যেগুলোর স্বাদ নেই তেমন। যদি ডুবোচরগুলো খনন করা যেত, তাহলে অবাধে ইলিশ মেঘনার মোহনায় বিচরণ করতে পারতো। তাহলে ইলিশের উৎপাদনও বাড়তো, আমরা স্বাদের ইলিশ পেতাম। আর ইলিশের অভিযানের বিষয়েও আমাদের আপত্তি আছে। ইলিশের অভিযান আরো পিছিয়ে দেয়া উচিত।

সারা বছর ইলিশের মৌসুম বা মৌসুম ছাড়াও জেলেদের বিচরণ নদীগুলোতে চোখে পড়ে। তো এ পেশার মানুষগুলো কেমন আছেন? খোঁজ নিতে কথা হয়েছিলো মেঘনাপাড়ের মতিরহাট ইলিশ ঘাটের বেশ কয়েকজন জেলের সাথে। মেঘনায় ১৫বছর ধরে ইলিশ ধরেন জাহাঙ্গীর আলম(৩৭)। তিনি বলছিলেন, ইলিশ ধরে কোন রোকম(রকম) জীবনডা পার করি। চলতে অসুবিধা, খাইতে অসুবিধা। নদীতে কামাই করে মোটামুটি চলি। এই নৌকা কিনতে এক লাখ টাকা ঋণ নিছি, এখনো শোধ করতে পারিনাই। নদীতে মাছ কয় দিন আছে, কয় দিন নাই। ডাকাতের কারণে রাত নদীতে নাউ বাইতে পারি না। আমাদের আটকিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেয় ডাকাতরা। মুখ থেকে কিছু বললেতো শেষ করে দিবে।

জেলে মুহম্মদ নুর নবী। বয়সের সীমানা ৬৫গড়িয়েছে। মেঘনায় ইলিশ ধরেন ২০বছর ধরে। শুরু থেকে অন্য মাঝিদের সাথে ইলিশ ধরলেও এখনো তার অবস্থার বদল হয়নি। তিনি বলেন, ইলিশ আমরা ধরি ঠিকই। লাভের বেলায় আমরা জিরো। এখানে মহাজনদের লাভ বেশি। আমরা দাদন নেই, ১৫হাজর, ২০হাজার করে। দাদন থেকে যে টাকা নেই, সেটাও শোধ করতে পারি না। কারণ, ইলিশ খুব কমই ধরা পড়ে। এ জেলে আরো জানান, মহাজনের কাছ থেকে ১লাখ টাকা দাদন নিলে ১০হাজার টাকা বছরে দিতে হয়। এছাড়াও নদীতে চোর-ডাকাতের আতংক, ঝড়-ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগের ভেতর আমাদের মাছ ধরতে নদীতে যেতে হয়। না গিয়েও পারি না। আশায় থাকি, অন্তত দুইটা মাছ পেলেও পেট চলবে। আমাদের অবস্থা এমনই থাকে। বদলায় না।

মেঘনায় ইলিশ শিকার করে বেঁচে থাকা এ জেলেদের জীবনটাও স্বাভাবিক সময়েও অস্বাভাবিক থাকে। দেশের মূল ধারার জনগোষ্ঠীর চেয়ে এ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নানান সুযোগ-সু্বিধা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু জেলে এবং তাদের বিভিন্ন সংগঠনের কোন অভিযোগই যেন রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী মহলে পৌঁছেই না।

জেলেদের অভিযোগ, নদীতে এসে কারেন্ট জাল পোড়ার প্রয়োজন কি। কারেন্ট জালের উৎপাদন ফ্যাক্টরি থেকে বন্ধ করে দিলেই ঝাটকা ইলিশ নিধন হবে না। এ ছাড়াও জেলেরা বলছেন, তাদের জন্য পর্যাপ্ত জেলে কার্ড নেই। যে সব জেলের জমি-জমা নেই, তাদের মাঝে চরের খাস জমি বন্টন করার দাবিও তুলছেন এসব জেলেরা।

ডুবোচর খনন করলে একদিকে যেমন নদীভাঙন ঠেকানো সম্ভব অন্যদিকে এ ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন নিয়ে এক ধরণের সমাধানও মিলবে। আর অন্যদিকে জেলেদের যে সব দাবি দাওয়া রয়েছে, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে একদিকে যেমন জেলেদের জীবনের পরিবর্তন ঘটবে, ঠিক অন্যভাবে নদীতে ইলিশ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে।