Israfil took possession of the land by destroying the name of Madrasa in Kamalnagar
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর কাদিরা’র বাদামতলী বাজারে মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে জোরপূর্বক জমি ও ঘর দখলের অভিযোগ উঠে দারুল উলুম মোহাম্মদীয়া মহিলা মাদ্রাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ ইস্রাফিল বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে নানবিধ সমস্যা তুলে ধরেন স্থানীয় জনতা। তারা জানান, দ্বীনি লেবাস পরে ইস্রাফিল সাধারণ মানুষকে জমিদখলসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। তার বিমুখি’র ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ অসহায় কিছু ভুক্তভোগী পরিবার।
স্থানীয় অভিযোগকারী শামসুল আলম নিশাদ জানান, তার বাবা মৃত নুর আলম দিয়ারা ২৪ নং চর বসুমোজা, ২৭৫ নং দলিল মূলে দেড় শতাংশ জমি ২০১৪ সালে দাতা-জামাল, পিতা-আব্দুর রশিদ হতে খরিদ সূত্রে মালিক হন। জমি রেজিষ্ট্রি করে সেখানে দোকান ঘর নির্মান করেন। দীর্ঘদিন ঘরগুলো স্থানীয়দের মধ্যে ভাড়া চলছে। হঠাৎ স্থানীয় ভূমি দখলদার মোহাম্মদ ইস্রাফিল দুটি ভিটি নির্মানাধীন ঘর জবরদখল করে মাদ্রাসার পরিচালনা করছে। স্থানীয়ভাবে জানার পর তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দখল ছাড়বে না, বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
তিনি দাবি করেন, খরিদসূত্রে ভিটি ও ঘরগুলো মালিক তিনি। তিনি কিসের মূলে মালিক হয়েছে, কাগজপত্র নিয়ে আলোচনার জন্য বারবার বললেও কোন তোয়াক্কা করছে না। স্থানীয় চর কাদিরা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার তাকে কাগজপত্র নিয়ে আলোচনার করতে কয়েকবার নোটিশ করে ব্যর্থ হন।
স্থানীয় চর কাদিরা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইস্রাফিলকে বিষয়টি জানতে নোটিশ করা হলেও তিনি ধরা দেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নিকট দখলদার মোহাম্মদ ইস্রাফিলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভুমি দখলের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। তিনি উপজেলা সহকারি কমিশন (ভূমি)কে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশে সার্ভেয়ার প্রমেশ্বর রায় চাকমা সরেজমিনে গিয়ে তদন্তে করে জমি ও ভিটি ঘর দখলের সত্যতা পান। এবং জমির ঘর থেকে মাদ্রাসা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলেও বিষয়টি তোয়াক্কা করেনি দখলদার মাওলানা মোহাম্মদ ইস্রাফিল।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইস্রাফিল বলেন, তিনি জমি কিনেছে। তবে ঘর আগের তোলা ছিল স্বীকার করেন। এবং তিনি মেঠোফোনে কথা না বলে তার সাথে দেখা করতে বলেন।