প্রশ্ন ফাঁসে সরকারি লোকজন জড়িত : দুদক

image_pdfimage_print

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারি লোকজন জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন। তবে তিনি এও বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সার্কুলার দিয়েই সারাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব।

রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক বৈঠকে দুদক কমিশনার এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক কমিশনার বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির কার্যক্রমসহ প্রতিটি সাধারণ কাজ অনলাইনভিত্তিক করার ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস কীভাবে ঠেকানো যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার ওপর জোর দেন ড. নাসির উদ্দিন।

দুদক মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার স্তরে স্তরে দুর্নীতি। এসব দুর্নীতি নির্মূলে দুদকের পক্ষ থেকে বৈঠকে ৩৯টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন তিনি।

তবে প্রশ্ন ফাঁসে কিছু সংখ্যক শিক্ষক জড়িত বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আমাদের কাছে বহু পরামর্শ আসছে। এর মধ্যে পরীক্ষার আধঘণ্টা আগে শিক্ষার্থীরা রুমে প্রবেশ করার পরপ্রশ্নপত্র পাঠানোর বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে।
তবে শিক্ষকই যখন প্রশ্নফাঁসকারী তখন আধঘণ্টা আগে প্রশ্ন পাঠিয়ে কি লাভ। আমরা বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস রোধের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকের হাতে প্রশ্ন তুলে দিয়ে রাতে নিরাপদে আমাদের ঘুমাতে যাওয়া উচিত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। কিছু শিক্ষক প্রশ্ন ফাঁস করে দিচ্ছেন। এর ফলে আমরা সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আধঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করবে তারপর হলে প্রশ্ন সরবরাহ করা হবে।

Related Posts

en_USEnglish