রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বার্তা জানিয়েছেন।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমারের সঙ্গে একই সুরে রোহিঙ্গা সংকটকে একটি ‘ইসলামী সন্ত্রাসী ইস্যু’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। এখন তার অবস্থানের বড় পরিবর্তন হল। আর এই অবস্থান পরিবর্তনের নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।

দিল্লির একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় বাংলাদেশ বেশ বিলম্ব করেছে। দেরিতে হলেও বাংলাদেশ উদ্যোগ নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লির অবস্থান পরিবর্তনের কথা জানান।

ঢাকার একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন, সুষমা টেলিফোনে শেখ হাসিনাকে জানান যে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানেই বিশ্বাস করে ভারত। এছাড়াও, বহুপক্ষীয় এবং গোপনীয় বৈঠকেও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা বলবে ভারত।

নিউইয়র্ক সফরকালে শেখ হাসিনা ও সুষমা স্বরাজের একই ফ্লাইটে যাওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করেন ঢাকা ও দিল্লির কর্মকর্তারা। তারা আবুধাবি থেকে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একই ফ্লাইটে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জার্নি করে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমেই নামেন সুষমা স্বরাজ। তারপর বিমান থেকে শেখ হাসিনাকে বেরিয়ে আসতে দেখে সবাই নিশ্চিত হন যে, বিমানে তাদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

একাধিক কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করে যে, তাদের মধ্যে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। এ বিষয়ে দু’দেশের করণীয় নানা দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

Related Posts

en_USEnglish