Addressless party and alliance

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভোটের মাঠে পরস্পরের প্রবল প্রতিপক্ষ। প্রতিবারই সংসদের ভোট সামনে রেখে এই দুই রাজনৈতিক দল নতুনভাবে সাজায় জোটের মঞ্চ। এবারও জোটে একের পর এক দল ভিড়িয়ে শক্তির জানান দিতে চাইছে দু’দলই। তবে তারা জোটের পাল্লা ভারী করতে এমন নামসর্বস্ব দল বা সংগঠনকে টানছে, যা নিয়ে চলছে হাস্যরস, দেখা দিয়েছে নানামুখী প্রশ্ন। এমনও দল আছে যাদের শুধু এক নেতাই আছেন, আর কেউ নেই। দলীয় কার্যালয়, সাংগঠনিক কমিটি কিছুই নেই। ‘খুচরা’ এসব দল নিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী আর বিএনপি আন্দোলনমুখী।

গুনে গুনে সাড়ে চার ডজন, সংখ্যাটা ৫৪। সবাই সরকারবিরোধী। এর মধ্যে আছে ‘এক নেতার এক দল’! সংগঠনের শীর্ষ নেতা হিসেবে আছেন পল্টন মোড়ের মোজা বিক্রেতা, আছেন আদম কারবারিও। কর্মসূচিতে ব্যানার ধরার মতো কর্মী নেই এমন দলও আছে। এই ৫৪ দলে যেমন আছে রাজপথের প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি; তেমনি রয়েছে ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দারের মতো সংগঠন। তাদের নেই দলীয় কার্যালয়, জোটেনি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন। তবু আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে এসব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংকট কাটাতে ডান, বামসহ সব দল, সংগঠন, সুশীল, বুদ্ধিজীবী ছাড়াও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এখানে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী নয়, সবাইকে নিয়েই এগোতে চাইছে দলটি। তাই জোট, দল, সংগঠন কিংবা ব্যক্তির সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে বিএনপি তাদের চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে পরিমাপ করছে না; গুরুত্ব দিচ্ছে ঐক্যকে।

এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এখন দেশে রাজনীতিতে অনেক রকম খেলা হয় এবং হচ্ছে। আসলে এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নীতি-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে শুধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করছে। নীতি-আদর্শ থাকলে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এমন হতো না। সুবিধা আদায়ের জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে এ রকম আরও অনেক দলের সৃষ্টি হচ্ছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের ভোটাধিকার থেকে শুরু করে সব নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যার যে অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করতে হবে। সেখানে কে কত বড়, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। মূলত এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে যারাই এগিয়ে আসবে, তাদেরই সাধুবাদ জানাব। সেটা সংগঠন হতে পারে, পেশাজীবী কিংবা ব্যক্তিও হতে পারেন।

জানা গেছে, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, চার দলের বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য, ১৫ সংগঠনের সমমনা গণতান্ত্রিক জোট ছাড়াও এলডিপি, গণফোরাম রয়েছে। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও একই দাবিতে ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আন্দোলন করছে জামায়াত। এসব জোট ও দলের মধ্যে মাত্র সাতটি ইসি নিবন্ধিত। ১৩টি বিভিন্ন দলের খণ্ডিত অংশ। আবার সাম্যবাদী দল ও ইসলামী ঐক্যজোট রয়েছে দুই জোটেই। সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের ১৫ সংগঠন কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় প্রেস ক্লাবকেন্দ্রিক আলোচনা সভা, মানববন্ধনের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

৫৪ ঘোড়ার ডিম!: সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৫৪ দল গণমিছিল ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল বাদে এসব জোটের নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক। ১২ দলীয় দুই জোটের সর্বশেষ গণঅবস্থানে ১০০ নেতাকর্মীও ছিল না। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যেমন ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছেন, তেমনি বিএনপির নেতাকর্মীরাও এসব জোটের অস্তিত্ব নিয়ে অসন্তোষ দেখিয়েছেন।

জোটের এই অবস্থা নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও উষ্ফ্মা প্রকাশ করেন নেতারা। বিশেষ করে ১৫ সংগঠনের জোট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। কার পরামর্শে, কার উদ্যোগে এই কাজ করা হয়েছে- তা নিয়েও নেতারা কথা বলেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি উপহাস করে বলেছেন, ৫৪ রাজনৈতিক দল আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবস্থানে কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টা ঘোড়ার ডিম পাড়বে ৫৪ বিরোধী দল। এর মধ্যে নয়াপল্টনে মোটামুটি অবস্থান ছিল, অন্যরা ভুয়া।

জোটে যারা, কেমন কারা: গণতন্ত্র মঞ্চের সাত দলের মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ইসিতে নিবন্ধিত। এর বাইরে নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন রয়েছে নিবন্ধনের বাইরে।

জোটের নেতা আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, কমরেড সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, ড. রেজা কিবরিয়া আর ভিপি নুরুল হক নুরের মতো হেভিওয়েট নেতা থাকলেও রাজপথে তাঁদের কর্মী নেই। শেষ গণমিছিল আর গণঅবস্থানের মতো বড় দুটি কর্মসূচিতে নেতাকর্মীর অবস্থানের প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি এ জোট। এ নিয়ে এরই মধ্যে জোটের ভেতর সন্দেহ-অবিশ্বাস আর দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

জোটের শরিক পাঁচ রাজনৈতিক দল বেশ কয়েক বছর রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও অন্য দুটি সংগঠন হিসেবেই কাজ করেছে বিগত দিনে। এর মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের কমিটি ভেঙে সম্প্রতি রাজনৈতিক আদল দেওয়া হয়েছে। ইসিতে নিবন্ধনের জন্য আবেদনও করা হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও একই অবস্থা। তবে এই দলটির ব্যাপ্তি মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতাকর্মীতেই সীমাবদ্ধ।

১২ দলীয় জোটের মধ্যে কল্যাণ পার্টি ও মুসলিম লীগ ইসি নিবন্ধিত। তবে মুসলিম লীগ দ্বিখণ্ডিত হয়ে উভয় জোটের মধ্যেই আছে। কোন পক্ষের হাতে নিবন্ধন রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। দলটির সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান খান মারা যাওয়ার পর এর জৌলুস আরও কমেছে। নেতাকর্মী নেই বললেই চলে। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে আসা নেতাদের নিয়ে জাপা (কাজী জাফর) অংশ রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে হেভিওয়েট নেতা থাকলেও কর্মী নেই অবস্থা দলটির। নেই দলীয় কার্যালয়ও। প্রয়াত নেতা শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁর গড়া জাতীয় গণতান্ত্রিক দলও (জাগপা) দুই টুকরা। বাতিল হয় ইসির নিবন্ধনও। এর একটি অংশে তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য অংশে রয়েছেন খন্দকার লুৎফর রহমান। পুরোনো হলেও এখন কর্মী সংকটে ভুগছে দলটি।

এ ছাড়া জোটের এনডিপির আবু তাহের আদম ব্যবসায়ী। গিয়েছিলেন কারাগারেও। নেই নিজস্ব কার্যালয়। ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক পার্টি দলগুলো মূল দলের খণ্ডিত অংশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে এসব দল বেরিয়ে যাওয়ার পর খণ্ডিত এসব দলকে জোটে রেখে জোটের কলেবর ঠিক রাখা হয় তখন। নেতাসর্বস্ব এসব দলের কর্মী নেই। সাম্যবাদী দলেরও একই হাল। কেউ চেনেন না এর নেতা কিংবা কর্মীকে। তবে সাম্যবাদী দলটি এখন এই জোটে নেই। লেবার পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশ এলডিপি নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণে কাজ করছে। কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে লেবার পার্টি তৎপর রয়েছে। সাবেক এমপি আবদুল করিম আব্বাসী ও সাবেক ছাত্রনেতা শাহাদাৎ হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপি থেকে বেরিয়ে নতুন বিএলডিপি দল গঠন করেন তাঁরা।

১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের অন্তর্ভুক্ত কোনো শরিক দলেরই নিবন্ধন নেই। কার্যালয় নেই বেশিরভাগ দলের। আবার বেশিরভাগ দলই মূল দল থেকে ছিটকে আসা খণ্ডিত অংশ। প্রয়াত শেখ শওকত হোসেন নীলুর এনপিপি থেকে বেরিয়ে আসা একটি অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি নীলুর নেতৃত্বাধীন দলের মহাসচিব ছিলেন। এখন তিনি এই জোটের সমন্বয়ক। জাগপার সাবেক মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমানের নেতৃত্বাধীন একটি অংশ এই জোটে রয়েছে। জাগপার বেশিরভাগ নেতাকর্মী এই অংশের সঙ্গে রয়েছে। তবে নেই নিজস্ব কার্যালয়। অনেক পুরোনো দল এবং নব্বই দশকের সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক লীগ এখন আর আলোচনায় নেই। ২০ দলীয় জোট থেকে ইসলামী ঐক্যজোট বেরিয়ে গেলে একটি খণ্ডিত অংশ জোটের সঙ্গে থেকে যায়। এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিব। দলটির এমনই হাল- সংগঠনের ব্যানার পর্যন্ত সভাপতিকে টানতে হয়। আবার তাঁর দলটি ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট- দুটোতেই রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মাওলানা আবদুর রকিব বলেন, দুই জোটের উদ্দেশ্য একই হওয়ায় তিনি দুই জোটেই রয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইসি নিবন্ধিত বাংলাদেশ ন্যাপের ঢাকা মহানগরের একজন সম্পাদক পর্যায়ের নেতা এম এন শাওন সাদেকীর নেতৃত্বে গঠিত একটি অংশ জোটে থেকে যায়। তাঁর যেমন রাজনৈতিক পরিচিতি নেই, তেমন নেই কোনো কার্যালয়। একাদশ নির্বাচনের আগে বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়া দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী এবং দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলের বিকল্পধারার নেই কোনো কার্যালয়। নেই গঠনতন্ত্র। নেতাকর্মীর উপস্থিতিও দেখা যায় না। নোটারি পাবলিক সংগঠনের নেতা আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ-ভাসানীর নেই কোনো দলীয় কার্যালয় ও নেতাকর্মী। জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন গণদল। ‘গণদল’ নাম রাখলেও সংগঠনটির নেই কোনো নেতা, নেই কর্মী।

১৫ সংগঠনের সমমনা গণতান্ত্রিক জোটে বেশিরভাগেরই অস্তিত্ব নেই। ওয়ান-ইলেভেনপরবর্তী বছরগুলোতে জাতীয় প্রেস ক্লাবভিত্তিক কোনো কর্মসূচিও ছিল না তাদের। এরপরও কী প্রক্রিয়ায় এসব সংগঠনকে নিয়ে জোট গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে খোদ বিএনপির মধ্যেই তুষের আগুন জ্বলছে। এমনকি প্রেস ক্লাবভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আদর্শের অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীও এ নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছে অভিযোগ তুলেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করেন তাঁরা।

জানা গেছে, এই জোটের সমন্বয়ক ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান। আগে কিছু সংগঠনের ইস্যুভিত্তিক তৎপরতা থাকলেও বেশিরভাগেরই পরিচিতি নেই। এমনকি তাঁদের কোনো কর্মকাণ্ডও ছিল না। যাদের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে, তাদের মধ্যে ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। তিনি এ সংগঠনের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। ‘মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি’ সংগঠনের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মাগুরা কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। ‘বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ’ সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক একসময় পল্টন মোড়ে মোজা বিক্রি করতেন। ‘জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি হিসেবে মো. শাহজাহানের নাম উল্লেখ থাকলেও মূলত এই সংগঠনের সভাপতি বাবু রেজা। এসব সংগঠনের বাইরে গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল বিভিন্ন সময় কর্মসূচির আয়োজন করে বলে জানা গেছে।

এই জোটের সমন্বয়ক সাইদুর রহমান জানান, তাঁর জোটের সবক’টি সংগঠনই সক্রিয়। বিগত দিনে তাঁরা অনেক কর্মসূচি পালন করেছে। যেটা বলা হচ্ছে, সেটা অপপ্রচার।

Related Posts

en_USEnglish