প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তুলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ছেলের বিয়ের মধ্যে ১৬৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা তুলে সেই টাকা দিয়ে শিক্ষকদেরকে ফ্রিজ, টেলিভিশন গিফট দিতে বাধ্য করেছেন এবং সেই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতেও বাধ্য করেছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা) এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে। আর তারা বলে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। তারা বলে একটা করে আরেকটা। আওয়ামী লীগের হাত দুইদিকে থাকে কাউকে ভয় দেখাতে হলে ঘাড়ে চেপে ধরে আর বিপদে পড়লে পা চেপে ধরে।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক সকল দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে আলাল বলেন, ‘শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জামায়াত ও জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে ১৩ মাস আগে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিল। বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। হরতাল ডেকে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলেছিল। আজ সেই শেখ হাসিনাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে এবং উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগ) ভালো হবে না এটা বলছি না। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা ছিল এখন ৭০ টাকা কেজি। এটা ভালো লক্ষণ না। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। তারা ঘরে ঘরে মামলা দিয়েছে। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে। বিনামূল্যে সার দেওয়ার কথা বলেছিল, সারের দাম শতগুণ বেড়েছে। কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় না। বাসা বাড়ি থেকে যে ময়লা দেওয়া হয় সেখান থেকেও তারা ট্যাক্স নেয়। রাস্তাঘাটে ভিক্ষুকরা ভিক্ষা করে তাদের কাছ থেকেও চাঁদা নেয় ছাত্রলীগ।’
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুকসহ ঢাকা উত্তর দক্ষিণ মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।