ভ্যাট হয়রানির অভিযোগ! লক্ষ্মীপুরে দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে লক্ষ্মীপুর শহরের বিক্ষুদ্ব ব্যবসায়ীরা।

১৯ ডিসেম্বর (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে শহরের আজিম শাহ মার্কেট এলাকায় অভিযানে নামে জেলা কাস্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তারা। এসময় ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ খুলে হিসাব খাতা, ক্যাশ মেমো ও অর্ডার কপি জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। এঘটনায় দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ তুলে নেন।

জানা যায়, বিকেলে লক্ষ্মীপুর বিভাগীয় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জে এম শোয়াইব রুমীর নেতৃত্বে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেনসহ ৪/৫ জন সদস্য লক্ষ্মীপুর শহরে অভিযানে নামে। এসময় তাঁরা রিয়া এন্টারপ্রাইজ, নিউ লক্ষ্মীপুর পর্দা গ্যালারী, মেঘনা এন্টারপ্রাইজ ও ম্যাক ওয়াল্ড নাম প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে হিসাব খাতা, ক্যাশ মেমো ও অর্ডার কপি জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ ভ্যাট কর্মকর্তারা তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযানের নামে দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ে। এসময় প্রতিষ্ঠানের হিসাব খ্যাতা ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে যায় কর্মকর্তারা। ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বাবলু জানান, আমি দোকানে ছিলাম না, ভ্যাট কর্মকর্তারা আমার প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে। এসময় কর্মচারীরা একটু অপেক্ষা করতে বলে। কিন্তু তাঁরা অপেক্ষা না করে আমার দোকানের হিসাবের খ্যাতাসহ যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে যায় এবং কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করে।

নিউ লক্ষ্মীপুর পর্দা গ্যালারী প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ হাছান জানান, ভ্যাট কর্মকর্তারা আমার প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এসময় আমার প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশে ভ্যাট অফিসারদের হাত দেয়ার অধিকার নেই। আমি এসব কর্মকর্তার বিচার চাই।

লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভ্যাট অভিযানের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ নিয়ে রাস্তায় নামে। এসময় বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীদের শান্ত করি এবং ভ্যাট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলি। আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর বিভাগীয় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জে এম শোয়াইব রুমী জানা, আমরা কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে হিসাব খাতা, ক্যাশ মেমো ও অর্ডার কপি নিয়ে আসি। তবে কারো সাথে খারাপ আচারণ করা হয়নি।

Related Posts

en_USEnglish