বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ৮৪৮ , শনাক্ত ৪ লাখের বেশি

image_pdfimage_print

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়ছে বিশ্ব। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছেন। কোটি কোটি মানুষ এখনও এ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত।

বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাব কমেছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। যদিও মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পৃথিবী। তবে অনেক দেশই এখনও করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত। বুধবার সকালে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস। ওই সকল তথ্যানুসারে, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৪৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার ১৫৯ জন। আগের দিন মারা গেছেন ৯৯২ জন ও সংক্রমিত হন ২ লাখ ৪০ হাজার ১৭৩ জন।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৩ জনে। আর বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৭ জনে। এ সময়ে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৬২ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ২৬২ জন।

বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে জাপানে। আক্রান্তের দিক থেকে তালিকার সাত নম্বরে থাকা দেশটিতে এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪২২ জন এবং মারা গেছেন ১৫৩ জন। এ পর্যন্ত সেখানে মোট মারা গেছেন ৪৩৪ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬৪ জন।

দৈনিক সংক্রমণের দিক দিয়ে জাপানের পরই ফান্সের অবস্থান। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হন ৯১ হাজার ৮১৪ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৭ জন, মারা গেছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৯ জন।

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১১ লাখ ৫ হাজার ৪৯ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৬৭। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জন। সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯৯ জন। তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে— ভারত, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইতালি, তুরস্ক, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ইরান ও কলম্বিয়া।

মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে।

করোনার প্রকোপ থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে বিশ্ব। এখন পর্যন্ত বিশ্বের যেসব দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিলো সবই প্রায় তুলে নেওয়া হয়েছে।

Related Posts

en_USEnglish