ফরিদপুর প্রতিনিধি –
ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ১৭ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে শনিবার চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, ১৪ জনের মধ্যে ফরিদপুরের জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ফারুক হোসেন। যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালনের পর কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। স্কুলজীবন পার করে ফরিদপুরের ইয়াছিন কলেজের ছাত্রাবস্থায় ফারুক হোসেন ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮০ সালে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৮১ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত টানা ৪ বছর এরশাদ শাসনামলে তিনি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৩ সালে জেলে থাকা অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হন। জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৮৬ সালে যুবলীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের সভাপতি ও তার পরের বছর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হন। ২০০০ থেকে ২০০৩ সময়ে তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ২০১২ সালে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ জানান, জেলায় যারা মনোনয়ন কিনেছিলেন আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকেই যোগ্য। তবে এর মধ্য থেকে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমরা সবাই তাকে নিয়ে আগামী দিনে নির্বাচন জয়লাভ করবো।
ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারুক হোসেন পল্লী নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ করেছি, যুবলীগ করেছি- দলীয় প্রধান আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যেভাবে দলীয় কর্মীদের পাশে থেকেছি, আজ এই নির্বাচনে দলীয় কর্মীরা ঠিক তেমনি আমার পাশে থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ। তফসিল অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৮ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর।