সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, আটক সাত

image_pdfimage_print

ফরিদপুর প্রতিনিধি-

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস, ক্যামেরা, পাঁচটি মোবাইলফোন বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার একাধিক ভুয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসা এলাকা থেকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

আটকরা হলেন- রাকিবুল হায়দার, রেজাউল করিম খান, আরাফাত হোসেন, শামীম হোসেন, গাড়ির ড্রাইভার আতাউর রহমান, জীবনী ও সোমা পারভিন। তারা গাজীপুর, নোয়াখালী, জামালপুর ও শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার ইউসুবেরবাগ মাদরাসা ও এতিমখানায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মাদরাসার অধ্যক্ষের কাছে আটকরা জানান, তারা সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে অডিটের জন্য এসেছেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়। অডিটের বিল বাবদ নগদ তিন হাজার টাকাও নেন। এসময় আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করে তা দুইদিনের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়।

একই কায়দায় পৌরসভার বাকাইল এতিমখানা মাদরাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ হাফেজ মো. ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করেন আটকরা। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিষয়টি সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের জানান।

তাদের কাছে থাকা আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায়, তারা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গায় গিয়ে বিভিন্ন মাদরাসায় প্রতারণা করছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা খবর দিলে রাতে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে ইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শরফুদ্দিন মোল্যা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Related Posts

en_USEnglish