লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী, এক দিনে ভর্তি ১০

 জেলায় এ মৌসুমে ১০ জন শিশুসহ ১৩৯ জন রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সদর হাসপাতালে ১০ জন রোগী ভর্তি হোন। ৩ জন শিশুসহ ১৪ জন রোগী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায় হাসপাতালে ইসমাইল হোসেন আলম (৫২), কুশাখালির কাঠালি গ্রামের সোহাগ (২১) জেলা শহরের আল হেকমা একাডেমি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তৌহিদুর রহমান ইমতিয়াজ (১২), রায়পুরের আফরিন জাহান (৫), সদরের ভবানীগঞ্জের আবু তালহা (৫) ও আবদুল কাদের লাবিবসহ (২৫) বিভিন্ন বয়সী ১৪ জন নারী-পুরুষকে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।

ডেঙ্গু আক্রান্ত ইমতিয়াজের মা শারমিন আক্তার জানান, মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে ইমতিয়াজ পড়ালেখা করে। সেখানে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকবার বমি করেছিল। জানতে পেরে তাকে এনে হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়েছি। পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে এ মৌসুমে ১৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ১৩২ জন সদর হাসপাতালে ও ৭ জন কমলনগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই ৬৯ জন রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সদর হাসপাতালে ৪ জন শিশুসহ ১৪ জন রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন জানান, গত ১ মাসে সদর হাসপাতালে ৬৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এতে কয়েকজন শিশুও ছিল। অধিকাংশ রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন (সিএস) আহম্মদ কবির জানান, ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ। মশার কামড় থেকে এ রোগটি ছড়ায়। মশা নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশা ধ্বংসে আমরা জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের সঙ্গে সভা করেছি। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।

Related Posts

en_USEnglish