রামগতিতে পাওনা টাকা চাওয়ায়, মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

জমি ক্রয় সূত্রে টাকা বায়না দেয়া হয়। জমি অথবা বায়না টাকা দিতে কালক্ষেপ করেন মিরণ। দীর্ঘদিন টাকা চাওয়ার পর দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদে অভিযোগ দায়ের করেন জমি ক্রেতা আব্দুল হান্নান । অভিযুক্ত মিরণ চেয়ারম্যান পরিষদে টাকা দেনার দায়ে অভিযুক্ত প্রমানিত হন। টাকা না দিতে জুটঝামেলা শুরু করে এবং সময় নিয়ে অভিযোগ কারি ও স্বাক্ষীগণের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন এমন অভিযোগ করেন মামলার আসামীগণ।

মামলার আসামী আব্দুল হান্নান বলেন, স্থানীয় প্রতারক ইব্রাহিম মিরণের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল হান্নান (৩৪) পিতা মৃত নুরল হুদা, বুলবুল আসাদ নুরুল্লা (৪২) পিতা মৃত হাবিব উল্লাহ, আব্দুর রহমান (২২) পিতা সোহরাব উদ্দিন, মো.আলমগীর (৫৫) পিতা মৃত গোলাম রহমান, এমরান হোসেন পাটোয়ারী (৩৫)পিতা মো.আলমগীর এদের তার মামলায় স্বাক্ষী দেয়ায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় দিয়ে হয়রানি করছে। এরা সবাই রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউপি’র চর গোসাই গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী নুরুল্লা, আলমগীর, এমরান বলেন, স্থানীয় মো. ইব্রাহিম মিরণ নামে ব্যক্তি তাদের বিভিন্নভাবে হামলা-মামলা, ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে এবং জেলা আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে। মামলার বাদি মিরণে কাছে হান্নান টাকা পাবে। হান্নান চেয়ারম্যান পরিষদে তার বিরুদ্ধে আমাদের স্বাক্ষী দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। আমরা যেন স্বাক্ষী দিতে না পারি যার জন্য আমাদের আসামী করে মিথ্যা, বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল হানান বলেন, মিরণ এবং তার বাড়ি পাশাপাশি থাকায় ৪৮ শতক জমি ৬ লক্ষ ষাট হাজার টাকা মূল্যে নির্ধারণে ২ লক্ষ টাকা স্বাক্ষীগণের মোকাবেলা মিরণকে বায়না করেন। জমির কাগজপত্রে ঝামেলা থাকায় জমি রেজিস্ট্রি দিতে সমস্যা করে মিরণ। দীর্ঘদিন পর জমির বায়না বাবত ২ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে মিরণ। টাকা চাইলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি দেয়। আমি সাধারণ মানুষ, পল্লী চিকিৎসা করে জীবিকা নির্বাহ করি। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য স্থানীয় চর রমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেই। মিরণ অভিযোগ তোয়াক্কা না করে জেলা জজ আদালতে আমি এবং অভিযোগে সাক্ষীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেয়। সাক্ষীরা যেন সঠিক তথ্য আদালতে উপস্থাপন করতে না পারে।এজন্য সাক্ষীদের আসামী করেন মিরণ। এছাড়াও মিরণ এক এক জায়গায় তার এক এক রকম নাম লিখেন ও স্বাক্ষর করেন যথেষ্ট প্রমান রয়েছে। সে সম্পূর্ণ প্রতারক..।

মামলার অন্য আসামী আব্দুর রহমান বলেন, তিনি বাদি ইব্রাহিম মিরণের কাছে জমির বায়না বাবত টাকা পাবে। টাকা দিচ্ছে না। উল্টো তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেয়া হয়।

স্থানীয়দের সাথে আলাপে অনেকেই জানান, মামলার বাদি ও আসামীদের মধ্যে জমির সংকান্ত লেনদেন চলছিল। হঠাৎ জমির টাকা নিয়ে এদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পরোক্ষণে টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধগুলো প্রখোর আকার ধারণ করে থানা ও আদালত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

মিরণের চাদাঁবাজির মামলায় স্বাক্ষীগণের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বাদি মিরণের চাদাঁবাজির মামলা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। তবে তাদের মধ্যে জমি সংকান্ত টাকা লেনদেন ছিল। মিরণ স্থানীয়ভাবে জমি বেচা-বিক্রি করতেন। জমি কেনা-বেচা সূত্রে লেনদেন হয় এবং জমির টাকার লাভ-ক্ষতির হিসেবে তাদের সম্পর্কে বেগাত ঘটে।

বাদি মো.ইব্রাহিম মিরণের সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলার চর রমিজ ইউপি’র চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন, জমির টাকা সংকান্ত বিষয়ের আব্দুল হান্নান ইউনিয়ন পরিষদে মিরণকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করেন। মিরণকে নোটিশ প্রধান করে বিষয়টি তদন্ত করতে সময় দেয়া হয়। কিন্তু পরোক্ষণে মিরণ স্থানীয় ইউপি পরিষদকে তোয়াক্কা না করে অভিযোগটি জেলা আদালতে নিয়ে যায়। এখানে মিরণসহ তাদের কিছু লোক জমির দালালী করে। এদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগিতে সমস্যা হয়। মিরণ এবং মিজান প্রাথমিক তদন্তে হান্নানের টাকা আত্মসাৎ করে স্থানীয় সাক্ষীরা জানান।

Related Posts

en_USEnglish