রামগঞ্জে হুমকী-ধামকী দিয়ে হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা

image_pdfimage_print

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের উত্তর নোয়াগাঁও গ্রামের ধুপিবাড়ির ৪/৫ টি পরিবারের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে উচ্চেদের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যশোরের বসবাসকারী নুরুল হক। সে যশোরে অবস্থান করলেও নোয়াগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন প্রতিনিয়ত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হয়রানি করে আসছে যেন তারা নিজ বাড়িঘর সম্পত্তি ছেড়ে অন্যত্রে চলে যায়।
প্রায় তিন একর ছিয়াশি শতাংশ সম্পত্তি মধ্যে ১ একর সাড়ে ৯৪ শতক সম্পত্তির মধ্যে নুরুল হক ১৯৬৭ সালের বায়নাচুক্তির একটি কাগজ দেখিয়ে নিজকে মালিক দাবি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে উচ্ছেদের জন্য হয়রানি করে আসছে।
অথচ উক্ত সম্পত্তির ডিএস,এমাআর ও আরএসসহ সকল রেকর্ডপত্র গোপাল দাস ও তার পূর্বপুরুষগনের নামেই রয়েছে।

রবিবার ১৬ অক্টোবর ২০২২ইং সরজমিন গেলে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ও স্হানীয় লোকজন জানান, একটি প্রভাবশালী গ্রুপ হুমকী-ধামকী আর ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে মাদকের নেশার আখড়া বসিয়ে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ধুপী বাড়ি থেকে কয়েকটি সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গোপাল দাসসহ ঐ বাড়ির লোকজন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে জনৈক বাদী নুরুল হকের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় মোহাম্মদ আলী লোকবল নিয়ে ওই হুমকী-ধামকী আর মাদক ও নেশার আখড়া চালিয়ে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন। এমতাবস্থায় পরিবার গুলোর নারী শিশু সদস্যরা দৈনন্দিন চলাচলসহ পুকুরে গোসল করা দূরহ হয়ে পড়েছে।

জানাযায়, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে নুরুল হক ১ একর সাড়ে ৯৪ শতক সম্পত্তি নিজ মালিকানা দাবি করে ১৯৯২ইং সালে লক্ষ্মীপুর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করে যাহা ১৯৯৭ইং বাদীর আরজি যথাযথ নয় বলে খারিজ করে দেয়। ঐ বছরই উক্ত মামলা লক্ষ্মীপুর জজকোর্টে বাদী আপিল করেন, যাহা ১৯৯৮ইং সালে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে মামলাটি পূনরায় খারিজ করে দেয়। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে চলমান রয়েছে।

ভুক্তভোগী গোপাল দাস আরো বলেন, দীর্ঘ বেশ কয়েকযুগ থেকে আমরা বংশনুক্রমে উক্ত সম্পত্তিতে বসবাস ও ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ গত ত্রিশ বছর থেকে নুরুল হক একটি বায়না চুক্তি নিয়ে মোহাম্মদ আলী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন আমাদের অযথা হয়রানি করে আসছে।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী বলেন, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান। রায়ের পরই বলা যাবে এই সম্পত্তি কার? অপরদিকে মামলার বাদীর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এজন্য আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে সেটাই আমরা মেনে নিবো।

Related Posts

en_USEnglish