In Ramganj, students and parents are in trouble after accusing the teacher of eve-teasing

আবু তাহের,রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন চন্ডিপুর মনসা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

৫সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকালে এর প্রতিকার ছেয়ে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী সামীরা ইসরাতের পিতা মোঃ সেলিম পাটোয়ারী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মনসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ এনে ৬জন ছাত্রী গত ৩১ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে শিক্ষক শিক্ষাথী ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের মেধ্য নানান আলোচনা সমালোচনার মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতি উপ্তপ্ত হয়ে উঠে। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ইউএনওর নিকট অভিযোগ দায়ের পর থেকে শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস তার লোকজনকে দিয়ে ছাত্রীদের অভিভাবকদের হুমকি, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীদেরকে স্কুল থেকে বাহির করে দেওয়ার হুমকী দিয়ে মেয়েদেরকে নানা অশ্লীল কথা বলা, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযোগের বিরুদ্ধে মানববন্দন করা, সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া। মুখে আরো বেশী অশ্লীল কথা বলে আসছে।

এ মর্মে আজ সোমবার( ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং) বিকেলে চন্ডিপুর পাটোয়ারী বাড়ির এক অভিভাবক মোঃ সেলিম পাটোয়ারী পুনরায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা জানান,আবেদনের প্রেক্ষিতে চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইভটিজিং সহ চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

। উল্লেখ্যঃ চন্ডিপুর মনসা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন ধরে শ্রেণী কক্ষে ছাত্রীদের বিভিন্ন অজুহাতে টেনেহিঁচড়ে ছাত্রীদের মূখের নেকাব খুলে ফেলা, গাল, নাক টেনে ধরা হাত টিপা সহ শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে হাত দিয়ে আসছে এছাড়াও বিভিন্ন কটুক্তিমূলক ও ইভটিজিং মূলক কথা বলেন। ফলে শিক্ষার্থীরা লজ্জায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে।তাই গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দশম শ্রেণির ৬জন ছাত্রী উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৌলিক ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Related Posts

en_USEnglish