যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের সরকার মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসী ঠেকানোর লক্ষ্যে ট্রাম্পের তৈরি একটি অস্থায়ী দেয়াল সরিয়ে ফেলতে রাজি হয়েছে। এই দেয়ালের কার্যকারিতা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর, যার নির্দেশে দেয়ালটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে এই দেয়াল অভিবাসী ঢলকে আমেরিকায় ঢুকতে বাধা দেবে।
তবে যারা এই দেয়ালের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ দায়ের করেছেন তারা এই যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
৯০০টিরও বেশি শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরি এই দেয়াল নির্মাণ করতে সরকারের অন্তত আট কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।
অ্যারিজোনার সাথে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মেক্সিকোর ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সাল থেকে এই সীমান্তের এক বিশাল অংশে বেড়া তৈরি করা হয়েছে। গভর্নর ডাগ ডুসি এ বছরের শুরুতে করোনাডো ন্যাশনাল ফরেস্টে অস্থায়ী ব্যারিয়ার নির্মাণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু মার্কিন সরকার গত সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দাবি করেছে যে সাত-কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীরটি কেন্দ্র সরকারের অধীন ভূমিতে ঢুকে পড়েছে।
তবে বুধবার ফেডারেল সরকারের সঙ্গে এক চুক্তির পর ডুসির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বলেছে যে “আগে নির্মাণ করা সব শিপিং কনটেইনার এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, উপকরণ, যানবাহন ও অন্যান্য জিনিসগুলো জানুয়ারির প্রথম দিকে সরিয়ে ফেলা হবে।”
ওই এলাকায় কাজ করে এমনি একটি পরিবেশ-রক্ষা গোষ্ঠী সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি এ দেয়ালের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করেছিল।
সংস্থাটি দাবি করেছে, কন্টেইনারের প্রাচীরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত বনকে বিভক্ত করেছে যা হুমকির মুখে থাকা প্রাণীদের আবাসস্থল এবং পানীয় জলের উৎস ও অভিবাসন রুটগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে।
এই সংস্থার একজন সদস্য রাস ম্যাকস্প্যাডেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, স্থানীয় বন্যপ্রাণীদের ট্র্যাক করার জন্য তিনি যে ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করেছিলেন তাতে কখনই অবৈধ অভিবাসী পাচারের কোনো ছবি ওঠেনি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে আগে যে তারের বেড়াটি ছিলো সেটাই ছিলো পর্যাপ্ত প্রতিবন্ধক।