Land officials held hostage by sand pirates, later rescued

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধুলশুরা ইউনিয়নে পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে বালুদস্যুদের হাতে জিম্মি হন হরিরামপুর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা। পরে দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।

হরিরামপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়া বলেন, হরিরামপুর উপজেলা ধুলশুরা ইউনিয়নে পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিনজন পুলিশ সদস্য ও একজন আনসার সদস্য। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর অবৈধভাবে পদ্মায় বালু উত্তোলন করায় একটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। এ সময় বালু উত্তোলনকারীরা কৌশলে তাঁর স্পিডবোট বাল্কহেডের সঙ্গে বেঁধে দোহার উপজেলার সীমানায় নিয়ে যায়। এরপর একটি স্পিডবোটে করে বালু উত্তোলনকারীদের পক্ষে প্রথমে ১৫ জনের মতো লোক আসে। এর কিছুক্ষণ পর ট্রলারে করে আরও এক থেকে দেড়শত লোক আসে। তারা তাঁকে বহনকারী স্পিডবোটটি জোর করে দোহারের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি বিষয়টি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসককে জানান। তাঁর স্পিডবোট যখন দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে আসে, তখন দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এসএম মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জব্দ করা বাল্কহেডটি দোহার উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে নদী পথে হরিরামপুর ফিরে আসেন।

তাপসী রাবেয়া আরও জানান, তিনি গুগল ম্যাপ দেখেই মানিকগঞ্জের সীমানায় পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে যান। কিন্তু দোহার এলাকার বালুদস্যুরা মানিকগঞ্জের সীমানায় এসে বালু উত্তোলন করছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, দোহার এলাকার বালুদস্যু মুত্তার ও শহীদের নেতৃত্বে তাঁর স্পিডবোটকে জিম্মি করে দোহার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।

দোহার উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এসএম মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তাঁকে দোহারের ইউএনও জানান হরিরামপুর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তাপসী রাবেয়া পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। ইউএনওর নির্দেশে দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে গিয়ে তাপসী রাবেয়াকে দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ওই কর্মকর্তাকে তাঁর নিজ উপজেলায় যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জব্দ বাল্কহেড মৈনট ঘাটে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Posts

en_USEnglish