মইনুল আবেদীন খান,বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনির গাড়ি বহরে রবিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়ার সিএন্ডবি এলাকায় গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ।
তেল, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য ঢাকা থেকে আসছিলেন সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি। তার গাড়ি বহর পাথরঘাটার সিএনবি এলাকায় ঢুকলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সেখানে শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পিটিয়ে আহত করে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীকে। এই ঘটনায় এলাকায় বর্তমানে চরম থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় আসছেন বিএনপি নেতা ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি। জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আহুত বিক্ষোভ ও সমাবেশে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি পাথরঘাটায় আসছিলেন। পাথরঘাটা উপজেলা শহরের সোমবারে বিক্ষোভ ও সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মনির। তাঁর আসার খবরে এলাকার আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। আমাকেও তারা নির্মমভাবে পাঠিয়েছে। শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেছে। আহত হয়েছে কয়েক শত নেতাকর্মী। বর্তমানে আমরা আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের ভয়ে জীবন রক্ষার্থে বিচ্ছিন্ন অবস্থা পড়ে আছি। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত তেল গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে চেয়েছি।
ইতোমধ্যে আমরা পাথরঘাটা থানায় লিখিত অনুমতি চেয়েছি, আশা করছি প্রশাসন অনুমতিও দিয়েছে। আমরা চাইনি কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক। শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সমাবেশ করবো এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। তাছাড়া দীর্ঘদিন পর সাবেক এমপি ও সাবেক বরগুনা জেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম মনি তার নির্বাচনী এলাকায় এসে আমাদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নেবেন আমরা সেভাবেই চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা (সার্কেল) মোঃ তোফায়েল আহমেদ জানান, ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যতটুকু জানতে পেরেছি, ইতিমধ্যে ১০-১২ জন আহত হয়েছে এবং ৩০/৩৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে।