মোঃ মোবারক হোসেন,নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীতে আলমারির ভেতর থেকে শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার যশোর ইউনিয়নের আখড়া মন্দিরের পাশে আজিম উদ্দিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়া নামে এক ব্যক্তির ঘরের আলমারির ভেতর থেকে শিশু সায়মা (৮) এর লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
নিহত শিশু সায়মা জাহান (৮) নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার যশোর ইউনিয়নের যশোর গ্রামের মুন্সিবাড়ি এলাকার সারোয়ার জাহানের মেয়ে এবং চর মরজাল মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া হানিফা ও তার স্ত্রী শেলী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে দিকে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু সায়মা জাহান। সায়মাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন এলাকার বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকে। খোজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিকাল বেলায় সায়মার সন্ধান কোথাও না পেয়ে প্রতিবেশি ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়ার শিশু সন্তানের মাধ্যমে নিহত শিশুটির পরিবার জানতে পারে শিশু সায়মা তাদের ঘরেই আছে।
পরে ভাড়াটিয়া হানিফ মিয়ার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আলমারির ভিতর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশু সায়মার লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী । এঘটনায় জড়িত ভাড়াটিয়া হানিফা ও তার স্ত্রী শেলীকে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। শিশু সায়মার স্বজনরা ধারণা করছেন সায়মা জাহানের কানে স্বর্ণের দুটি দুল ছিল। এই দুল দুটো নিতে গিয়ে সায়মাকে হত্যা করতে পারে। নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসি শিশু সায়মা জাহানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো.সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোক্ত হানিফা ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তবে কি কারনে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছেনা। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।