দাঁতের ব্যথা কমানোর সহজ উপায়

সাধারণ একটি স্বাস্থ্যসমস্যা দাঁতের ব্যথা। ছোট মনে হলেও এটি বেশ গুরুতর। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারাই একমাত্র বোঝেন এটি কতোটা ভয়ানক। সাধারণ ভাষায় একে মোলার বা মূলের ব্যথাও বলা হয়।

এই ব্যথা তীব্র হলে মুখ ফুলেও যেতে পারে।  ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণের কারণে দাঁতে ব্যথা হতে পারে। আমাদের দাঁতের ভেতর সজ্জা থাকে। যা স্নায়ু টিস্যু ও রক্তনালীতে ভরা থাকে। সজ্জাসহ এই স্নায়ুগুলি শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। এই স্নায়ুগুলি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হলে তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে। কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা কাজে লাগিয়ে দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জানুন-

বেকিং সোডার পেস্ট

দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এই উপাদানটি বেশ উপকারি। আপনার নিয়মিত টুথপেস্টের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁত মাজুন। কয়েক মিনিটের মধ্যে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

ব্যথার স্থানে বরফ 

এনসিবিআই এর রিপোর্ট অনুযায়ী, যেকোনো প্রদাহ নিরাময়ে কাজ করে বরফ। দাঁতে ব্যথা হলে বরফের প্যাক দিয়ে ঠান্ডা স্যাঁক দিন। কমপক্ষে ১৫ মিনিট কাজটি করুন।

টি ব্যাগ

দাঁতের ব্যথার কারণে যে ব্যথা সৃষ্টি হয় তা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরনের টি ব্যাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। চায়ের উষ্ণতা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া টি ব্যাগ সরাসরি ব্যথা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চায়ে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

লবঙ্গও উপকারি 

দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য লবঙ্গের ব্যবহার বেশ পুরনো। বেদনাদায়ক দাঁতের ঠিক ওপরে একটি গোটা লবঙ্গ রাখুন, আরাম পাবেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই মসলাটির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে লবঙ্গ তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গরম পানি ও লবণ দিয়ে গারগল 

সমীক্ষা অনুযায়ী, লবণ প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। কুসুম গরম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গারগল বা কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যথায় তাৎক্ষণিক উপশম হয়। চিকিৎসকরাও প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মুখে পানি নিয়ে কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন। এরপর থুতু ফেলে দিন। দিনে ৪/৫বার প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।

দাঁতের ব্যথায় কষ্ট না পেয়ে এই পদ্ধতিগুলো কাজে লাগান, সুস্থ থাকুন।

Related Posts

en_USEnglish