আমজাদ হোসেন আমু, লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চর কাদিরা ইউনিয়নে ভুলুয়া নদী ওপর নির্মিত স্ট্রীল ব্রীজ। এ ব্রীজে চলাচলে নেই জন নিরাপত্তা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ব্রীজে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ জনগন। ব্রীজটি এতটাই জরাজীর্ণ, মরিচা ধরে স্টিলের সিটগুলো গর্ত হয়ে রয়েছে। যা চলাচলের খুবই অনুপোযোগী। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবুও ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হয়। কারণ এই ব্রিজটি কমলনগর-সোনাপুর-নোয়াখালী সদরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিনিয়ত যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটায় এ অঞ্চলের মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এছাড়াও এসব অঞ্চলের মানুষগুলো প্রায় চিকিৎসা সেবার জন্য নোয়াখালী সদরে হাসপাতালে যেতে হয়। এ পথটি সময় ও অর্থের সহজ যোগান দেয়। এ জন্য দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করা দরকার মনে করছে স্থানীয়রা।
ব্রিজটি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার এখানকার কৃষকরা কৃষি উৎপাদিত পণ্য বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় করতে পারে না। কারণ যাতায়াতের কারণে বড় মাল বাহী ট্রাক ব্রীজটি দিয়ে যাতায়াত করতে ঝুঁকিতে পড়ে। বড় যানবাহন চলাচলে জোরে শব্দের সৃষ্টি হয়। যা আতংক সৃষ্টি করছে। এতে স্কুলে ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। ব্রীজটির স্ট্রীলে ফাঁকা হওয়ায় নিচে দুরত্ব দেখা যায়। যা অনেক সময় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সহ যাতায়াত করা বাচ্চাদের আতংকে পেলে।
এতে ভয়ে ছোট বাচ্চারা স্কুলে যায় না। এ পথটি যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। তাছাড়া এ অঞ্চল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য প্রায় ছাত্র-ছাত্রীদের নোয়াখালী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। ব্রীজে বড় বড় গর্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল, রিকসা , অটো,সিএনজি চলাচলে বির্ঘ্র ঘটছে। প্রায় সময় গর্তে চাকা পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়।
জানা গেছে, উপজেলার ফজুমিয়ার হাট এলাকায় ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত স্টিলের ব্রিজ। ব্রিজের স্টিলের সিটগুলোও মরিচা ধরে গর্ত হয়ে গেছে। এতে গর্তে পা পড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। গত ৬-৭ বছর ধরে ব্রিজটি এ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এটি সংস্কার কিংবা নতুন করে যোগাযোগের নির্মাণ করা হচ্ছে না। এতে ঝুঁকি নিয়েই কয়েক গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচল করতে হয়। দুর্ভোগে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার গ্রামবাসী। প্রতিদিনই চলাচলে তাদেরকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুলুয়া নদীর ওপর এই ব্রিজটি কমলনগর-নোয়াখালী সদরে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় যাতায়াতের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু গাড়ি চলাচলে অনুপোযোগী হওয়ায় তাদের প্রচুর কষ্ট করতে হয়। চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে এসব অঞ্চলের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার কিংবা নতুন ব্রিজ নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে । এতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের দুঃখ লাগব হবে।
উপজেলার প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার জানান, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য ৭৫ মিটার লম্বা ডিজাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাক্কলনের কাজ চলছে। খুব দ্রুত কাজটি অনুমোদন হবে।