কমলনগরের মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার; নেই প্রশাসনের তৎপরতা

image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় তৎপরতা না থাকায় এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় মাছ শিকার চলেছ। দাদনদার-মহাজনরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে জেলেদের নদীতে পাঠায় এমন অভিযোগ সবার মুখে মুখে। এমন পরিস্থিতিতে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হয়ে সরকারের কাঙ্খিত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গেলেও যেন কিছুই দেখছেন না । জেলেরা করছে না তোয়াক্কা । এদিকে কোস্টগার্ড দেখেও না দেখার বান করছে।

সোমবার বিকালে ও মঙ্গলবার সকালে কমলনগরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নিবিঘেœ মাছ শিকার করছেন। বেশির ভাগ জেলে জাটকা শিকারে ব্যবহার করছেন অবৈধ কারেন্ট জাল। বাঁধা জাল দিয়ে মারছেন ইলিশের পোনা। মশারি জাল দিয়ে নিধন করছে পোয়ামাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে হাট-বাজার ও আড়তে। সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কমলনগরের মাতাব্বারহাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরার ফাঁদ পেতেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে মেঘনা নদী থাকে পুরো অরক্ষিত। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে সারা রাত ধরে জেলেরা মাছ শিকার করেন। ভোরে ঘাটের আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী ঘাটে জেলেরা মাছ উঠায়। লাখ-লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয় প্রতিদিন। মাছ বিক্রিকালে একটি চক্র জেলেদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেন; ওই টাকায় ম্যানেজ করেন সংশ্লিষ্টদের। কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, তাদের জনবলের অভাব রয়েছে। যে কারণে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তবুও জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইন মানছেনা জেলেরা। প্রতিদিন কমলনগরে সারি-সারি নৌকা নিয়ে শত-শত জেলে মহোসৎবে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করছেন।

প্রসঙ্গত, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা ওপর নিষেধাজ্ঞা জরি করা হয়েছে। এসময় মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও সংরক্ষণ অন্যায়। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।

Related Posts

en_USEnglish