বাজারে এখন কদবেল পাওয়া যাচ্ছে। টক স্বাদের ফলটি এমনিতেই আয়েশ করে খাওয়া যায়। আবার কদবেল দিয়ে জ্যাম কিংবা চাটনিও তৈরি করা যায়। সময়টা যখন কদবেলের তখন কেন খাবেন এই মৌসুমী ফল? কারণ কদবেল খেলে একাধিক শারীরিক উপকারিতা মিলবে। চলুন জেনে নেই:
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
কদবেলে প্রচুর জৈব অ্যাসিড পাওয়া যায়। অপরিপক্ক কদবেল অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হ্রাস করে। অতীতে লোকজ ও আয়ুর্বেদ ঔষধে ডায়রিয়ার চিকিৎসায় তাই কদবেল ব্যবহৃত হতো। শুধু তাই নয়, উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। আলসার নিয়ন্ত্রণেও কদবেল উপকারে আসে।
হাঁপানির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে
কদবেল পাতার নির্যাস আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ব্যাপক জনপ্রিয়। মধুর সঙ্গে ৮ থেকে ১৬ গ্রাম তাজা কদবেল পাতার নির্যাস হাঁপানির বিরুদ্ধে কার্যকর।
ডায়বেটিস আক্রান্তদের উপকারে
কদবেলে বহু খনিজ উপাদান আছে যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এই সময়টিতে কদবেল খাওয়া ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ভাল।
দেহ থেকে দূষিত পদার্থ নির্গত করে
কদবেলে রিবোফ্লাভিন ও থায়ামিন নামক রাসায়নিক উপাদান আছে যা শরীর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কদবেলের রস কিডনির রোগ প্রতিরোধে সাহায্যের পাশাপাশি অন্ত্রকেও সুস্থ থাকে। তাছাড়া কদবেল মুত্রবর্ধক ফল। কদবেল খেলে শরীরে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম বের হয়ে যায়। এজন্যই কিডনির অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে এই ফলের ব্যবহার হতো।