শাকিব-অপুর কি আদৌ বিয়ে হয়েছে?

image_pdfimage_print

ঢালিউডের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের বিয়ে ও ডিভোর্স নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে মিডিয়া পাড়ায় রীতমত তোলপাড় চলছে। দু’জনের দেওয়া তথ্যে গড়মিল থাকায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে তাদের বিয়ের বিষয়টি।

বিয়ের তারিখ, কাবিনের টাকার পরিমাণ, সাংসারিক বিষয় নিয়ে দু’জনের দেয়া তথ্যে মিল না থাকা ও ডিভোর্সের সময় শাকিব খান কাবিননামা দিতে না পারায় তাদের দু’জনের আদৌ বিয়ে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মুখেই।

অন্যদিকে, শাকিব-অপুর ডিভোর্স ঝড় শেষ না হতেই নতুন করে শুরু হয়েছে তাদের দেনমোহর বিতর্ক।

শাকিব আর তার আইনজীবী বলছেন, কাবিননামায় দেনমোহর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৭ লাখ ১ টাকা। আর অপুর দাবি, ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। শাকিবের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপু নতুন করে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। ৭ লাখ ১ টাকাকে সে উল্টে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা বানাতে চাইছে। দেনমোহর যদি ১ কোটি টাকাও হয় এরপর ভাঙা টাকা হিসেবে ৭ লাখ টাকা কেমন করে হবে। নিশ্চয়ই একটি রাউন্ড ফিগার হওয়ার কথা। তার এই জালিয়াতির অপরাধে তাকে আইনগতভাবে শাস্তি পেতে হবে।

অপু বলছেন, যদিও আমার কাছে কাবিননামার কোনো কপি নেই, তারপরও মনে পড়ছে কাবিননামায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকাই উল্লেখ ছিল। আমাকে ডিভোর্স দিলে এই অঙ্কের টাকাই দিতে হবে।

শাকিব খান এ কথা শুনে হেসে উঠে বলেন, আমি আর কোনো ঝামেলার মধ্যে নেই। আইনই সব দেখবে।

শাকিব খান বলেন, সংসার জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। তারপরও যখন বিষয়টি ঘোলাটে হচ্ছে তাই বলব, যার সঙ্গে মতের মিল হয় না, তার সঙ্গে কখনো এক ছাদের নিচে বসবাস করা যায় না।

অনেক কষ্ট সহ্য করে ৯ বছর সংসার করেছি। এখন আমার একটি সন্তান আছে। তার সামনে যদি খুনসুটি লেগেই থাকে তাহলে তার মন-মানসিকতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সেপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। বিষয়টি পৃথিবীতে আমার ক্ষেত্রে প্রথম নয়। সচেতন মানুষরা সব সময় সন্তানের ভালোর চিন্তা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়। আমিও তাই নিয়েছি। যখন মনের মিল হচ্ছে না তখন দূরত্ব বজায় রেখে চললেও কারও সমস্যায় আমি তো হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। আমি চাই, আমার ছেলে দেখুক তার বাবা ভালো ভালো কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তার মধ্যে গর্ব কাজ করুক। আমার প্রত্যাশা, জয় ডিজনি ওয়ার্ল্ডসহ বিশ্বসেরা স্থানগুলোতে বিচরণ করুক। দুঃখ, কষ্ট আর অভাব তাকে যেন ছুঁতে না পারে সে চেষ্টাই করে যাব। তাকে আমার চেয়েও উন্নত স্থানে দেখতে চাই। শাকিবের কাছে প্রশ্ন ছিল আপনার নতুন জীবন কেমন হবে?

আত্মপ্রত্যয়ী এই শীর্ষনায়ক বলেন, জীবন তো মানুষের একটাই। সবাইকে একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। মানুষ বেঁচে থাকে কাজের মাধ্যমে। আমি আরও উন্নত কাজ করে যেতে চাই। বলিউডের ছবিতেও কাজ করার কথা ছিল। ব্যস্ততা আর নানা ঝামেলায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন তো আমি বাংলাদেশ আর কলকাতা দুই দেশের ছবিতেই কাজ করছি।

এবার বলিউডের ছবিতেও অভিনয় করব। নিজেকে প্রয়োজেনে হলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে দেব। এটি ব্যক্তি শাকিবের জন্য নয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্যই আমার এই চিন্তা-চেতনা। বিশ্ব আবারও দেখুক এবং জানুক বাঙালি জাতি সাহসী এবং বীরের জাতি। তারা সব সময় শ্রেষ্ঠত্ব এবং বিজয় অর্জন করতে জানে। আমাদের দেশ ক্রিকেট দিয়ে যদি বিশ্বে আলাদা এবং গর্বের পরিচিতি অর্জন করতে পারে, তাহলে চলচ্চিত্র দিয়ে কেন পারবে না।

চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমাদের সেই সোনালি অতীত তো রয়েছেই। সেই ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে জীবনবাজি রেখে লড়ে যাব। এখন ব্যক্তিজীবন বলে আর কিছু নেই। চলচ্চিত্র জীবনই সব। চলচ্চিত্র আর সন্তান জয়ের সমৃদ্ধির জন্যই শুধু ভূমিকা রেখে যাব। অন্য কিছু নয়।

Related Posts

en_USEnglish