লক্ষ্মীপুরে সেই এডিসি ও চিকিৎসকের সমঝোতা!

image_pdfimage_print

লক্ষ্মীপুরে সমঝোতার বৈঠক শেষে ৪ ডিসেম্বরের ঘটনার ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেই এডিসি ও সাবেক সিভিল সার্জন। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন ও চিকিৎসকবৃন্দের মধ্যে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে এ সমঝোতার কথা জানানো হয়। এসময় তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ক্যামেরাবন্দী হন।
জানা যায়, দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ সার্কিট হাউজের দোতলায় বৈঠকে বসেন। দুপুর দেড়টায় বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন সবাই।
এসময় ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে যে দূরুত্ব সৃষ্টি হয়েছে সেটি নিরসন করেছি। প্রশাসনকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ওএসডিকৃত এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, এখন আমরা একে অপরকে চিনেছি, জেনেছি, বুঝেছি। একে অপরকে চিনতে না পারায় ঘটনাটি ঘটেছে। এখন আমরা লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নের স্বার্থে ৪ তারিখের ঘটনা ভুলে গেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম, পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তফা খালেদ আহমদ, ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. জাকির হোসেন ও বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: গত ৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরের দিন মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন এবং বুধবার খালাস দেয়া হয়।
এসব ঘটনায় এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরজ্জামানকে তলব করে হাইকোর্ট। এ ঘটনায় এডিসিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ে পদায়ন করা হয়।

Related Posts

en_USEnglish