গুজরাটের মাচ্চু নদীর ওপর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে আহতও হয়েছেন বহু মানুষ।
অভিযোগ উঠেছে, এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সংকেত নেওয়া হয়নি। সেতুর কোনো ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি।
রোববার সন্ধ্যায় এটি ভেঙে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
গুজরাটের মোরবিতে নদীর ওপর যে ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়েছে, তা সংস্কারের পর কিছু দিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতু ফের চালু হওয়ার ৬ দিনের মাথায় এ বিপর্যয়। সংকীর্ণ সেতুটিতে রোববার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ মানুষ উঠে পড়েছিলেন। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে কীভাবে লাফালাফি করছেন অনেকে। এর পরেই নদীর ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি।
সেতুটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ সাত মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর তা খোলা হয়। রোববার সারা রাত ধরে মাচ্চু নদীতে উদ্ধারকাজ চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং উদ্ধারকারীসহ অন্তত ২০০ জন উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন।
গুজরাটে রোববারই তিন দিনের সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে গুজরাট সরকার চার লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের জন্য দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। সেতু বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।