নেত্রকোণায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী শিলা হাজং এর পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ

আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী শিলা হাজং এর পাশে দাঁড়িয়েছে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন। রোববার নেত্রকোণা জেলার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এই শিক্ষার্থীকে তার কার্যালয়ে এনে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা তুলে দেন।

কিছুদিন আগে একটি দৈনিকে “তিন বছরের বেতন ও হোস্টেল ভাড়ার প্রায় দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত শিক্ষার্থীর” – এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে নেত্রকোণার জেলা প্রশাসকের। এরপর তিনি দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজীব-উল-আহসান এর মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সার্বিক খবর নেন।

জানা গেছে,শিলা হাজং ময়মনসিংহের ব্রাহ্ম পল্লি এলাকার স্কুলার নার্সিং ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী । তার বাড়ি দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নে। শিলার বড় ভাই পোশাক শ্রমিক, রঘুনাথ হাজং, তিনি জানান,তিনি পোশাক কারখানায় চাকরি করে যে টাকা পান তা দিয়ে তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা আর সংসারের ভরণপোষণ কোনভাবে চলে। কিন্তু একমাত্র বোন শিলাকে উচ্চশিক্ষিত করার ইচ্ছা তার। রঘুনাথ বলেন, তার বাবা রবীন্দ্র হাজং দিনমজুরি করে যে সামান্য অর্থ উপার্জন করেন তাতে সংসারের ব্যয়ভার বহন করা ও শিলার পড়াশোনার খরচ জোগানো সম্ভব নয়। তাই নার্সিং ইনস্টিটিউটে এতো বড় অঙ্কের বকেয়া পড়ে গিয়েছিলো। তবে সম্মানিত জেলা প্রশাসক যে সহযোগিতা করেছেন তাতে শিলার পড়াশোনায় আর কোন বাধা রইলো না। আমরা তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন,“ওই শিক্ষার্থীর পড়াশুনার যাবতীয় খরচ বহন করবে জেলা প্রশাসন।
এসময় তিনি শিলা হাজংকে নার্সিং এর মহান পেশার মাধ্যমে ভবিষ্যতে একইভাবে সেবার দ্বারা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান৷

জেলা প্রশাসনের সহায়তা পেয়ে শিলা হাজং বলেন,“আমি কথা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।জেলা প্রশাসক স্যারকে আমার ধন্যবাদ কিংবা কৃতজ্ঞতা দেওয়ার মত কোন ভাষা নেই। তিনি আমাদের কাছে ঈশ্বরের মতো হয়ে এসেছেন। এই টাকা না পেলে আমার পরীক্ষা দেয়া হতো না।আমি তার এই মহানুভবতার কথা সারাজীবন মনে রাখব।”

Related Posts

en_USEnglish