Dengue fever: If you see any symptoms, go to the hospital immediately.

image_pdfimage_print

বর্তমানে ডেঙ্গু প্রোকোপ বেড়েছে। হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসা বাড়িতেও দেওয়া যায়। অনেকেই টের পান না তারা যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। আবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু এরপরও হাসপাতালে ভর্তি হননি। কারণ লক্ষণ মৃদু। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিপদ হয়ে যেতে পারে। তাই কখন হাসপাতালে নিতে হবে সেটি জেনে নিন।

ডেঙ্গুর জ্বরের লক্ষণসমূহ:

১) জ্বর

২) মাথা ব্যথা

৩) হাত-পা সহ সারা শরীরে ব্যথা

৪) চোখের পিছনে ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া

২) বমি বা বমি ভাব, খাবারে অরুচি

৩) গায়ে লাল র‌্যাশ ওঠা

৪)  চুলকানি বা ডায়েরিয়া শুরু হওয়া

৪) দাঁতের মাড়ি, নাক দিয়ে অথবা মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া

৫) গলাব্যথা বা ঢোক গিলতে কষ্ট

বিশেষজ্ঞদের মতে এই জ্বরে রোগীকে বাড়িতে রেখে সেবা দেওয়া যেতে পারে। তবে রোগী যেন বেশি বেশি তরল খাবার খায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে, জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরের সময়টাই আসল। এই সময় প্লাটিলেট কমতে শুরু করে। তাই ডেঙ্গু ধরা পরার সাথে সাথে রক্তের প্লাটিলেট নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। জ্বর আসলে বেশি দেরি না করে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে ফেলা উচিত। অনেক বেশি দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে নেবার কারণে রোগী শকে চলে যেতে পারে। এমন কী মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

বাড়িতে যদি রোগীকে চিকিৎসা দেন তাহলে, কিছু লক্ষণ দেখা দিলেই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

১) পেটে ব্যথা।

২) পায়খানা বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত।

৩) শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তক্ষরণ হলে, যেমন মাড়ি ও নাক থেক রক্তপাত।

৩) প্রস্রাব এর পরিমাণ কমে যাওয়া।

৪) শ্বাসকষ্ট।

৫) ত্বকে লাল লাল র‍্যাশ।

৬) ডেঙ্গু শক সিনড্রোম থেকে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। পাল্‌স রেট বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ খুব কমে যায়। শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। শ্বাসপ্রশ্বাস খুব দ্রুত চলে। রোগী অস্থির হয়ে ওঠেন। তখন সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

Related Posts

en_USEnglish