প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়ার গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। তাদের পুরস্কৃত ও পুনর্বাসন করাটা ছিল তার বহুদলীয় গণতন্ত্র।
রবিবার বিকেলে যশোরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির জনককে হত্যার পর এ দেশ পরিণত হয়েছিল হত্যা, ক্যু, কারফিউর দেশ। লুটপাটের রাজত্বে কায়েম করা হয়েছিলো এ দেশে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কারফিউ জারি করে দেশ চালাতো। জিয়া কারফিউ দিয়ে ভীতিকর পরিবেশে দেশ চালাতেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়ার গণতন্ত্র ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। যে যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এ দেশের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে, পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে তুলে দিয়েছে, নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে পুরস্কৃত করাটা ছিল জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন।
এর আগে জনসভা মঞ্চে পৌঁছেই যশোরের উন্নয়নে ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।