জাতীয় ধারাভাষ্যের মঞ্চে রাজীবপুরের পলাশ

সাব্বির মামুন,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ভাবুন আপনি খেলা দেখছেন কিন্তু কোনো ধারাভাষ্য নেই তাহলে কেমন হবে? নিশ্চয়ই আপনার বুঝতে বাকী নেই। অর্থাৎ ধারাভাষ্য একটি শিল্প যা কোনো খেলাকে আরও উপভোগ্য ও প্রানবন্ত করে তোলে। আর এই মহান দায়িত্ব পালন করে ধারাভাষ্যগণ।

সম্প্রতি জাতীয় মিডিয়ার হয়ে এই প্রথম দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা সদরের সবুজবাগ গ্রামের শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসাইন পলাশ। বাংলাদেশ বেতারে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এক প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন।

এসম্পর্কে পলাশের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন,অষ্টম শ্রেণী থেকেই রাজীবপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ধারাভাষ্য ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতাম।সে-সময় বাংলাদেশ বেতার বা বিটিভিতে চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত, খোদাবক্স মৃধাসহ গুনী ধারাভাষ্যকারদের ধারাভাষ্য শুনতাম।

কিন্তু ভাবিনি আমিও কখনও বাংলাদেশে বাংলা ধারাভাষ্যের অন্যতম এই শীর্ষ স্থানটিতে ধারাভাষ্য দেব। আলহামদুলিল্লাহ, রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার আহবানে জাতীয় মাইক্রোফোনে ধারাভাষ্য  দেব এটা ভাবতেই এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। যারা দোয়া ও সাহস যুগিয়েছেi তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নবাগত এই জাতীয় ধারাভাষ্যকার। শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসাইন পলাশ রফিকুল ইসলাম ও আঞ্জুমান আরা বেগমের বড় সন্তান। এছাড়াও আসমাউল হুসনা (শাপলা) নামের তার একটি বোনও রয়েছে।তিনি সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত করেছেন।

তবে তার এমন অর্জনে আনন্দের জোয়ার বইছে উপজেলার খেলোয়াড় থেকে শুরু করে তরুন-তরুনীদের মনে।তারা বলছেন,আমরা সত্যিই আজ অনেক আনন্দিত আমাদের এলাকা থেকে এই প্রথম কেউ জাতীয় ধারাভাষ্যে। পলাশের বাবা-মা বলছেন,ছোট বেলা থেকেই ওর এটার প্রতি অনেক নেশা ছিলো। কোনো বাঁধা দিয়েই আটকানো যেতো না,কোনো অনুষ্ঠান বা খেলা হলেই ছুটে যেতো, আবার মাঝে মাঝে লোকজন বাসায় এসে ডেকে নিয়ে যেতো। ও আজ এমন জায়গায় যাবে আমরা কখনও ভাবিওনি। আমরা আজ অনেক আনন্দিত। আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।

Related Posts

en_USEnglish