চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মানববন্ধনে প্রশাসন বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তবে ১৫-২০ মিনিট পর আয়োজকদের প্রক্টর অফিসে ডেকে মানববন্ধন না করে চলে যাওয়ার জন্য বলা হয়।
মানববন্ধন বন্ধের এই ‘আচমকা স্থগিতাদেশের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুমেন চাকমা সমকালকে বলেন, ‘চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো জনগোষ্ঠীর জায়গায় পাঁচতারকা হোটেল বানানোর প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধনের ডাক দিয়েছিলাম। আগের দিন প্রক্টরের কাছ থেকে লিখিত অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। তবে ওইদিন রাত ১১টায় প্রক্টর ফোন দিয়ে মানববন্ধন না করার জন্য বলেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্নিষ্ট ইস্যু নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের মানববন্ধন করা যাবে না। মানববন্ধন করতে হলে বাইরে করতে হবে। তবে আমরা আজ (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে ২৫-৩০ শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। ১৫-২০ মিনিট পর প্রক্টর ডেকে পাঠান। আমরা প্রক্টর অফিসে গেলে শহীদ মিনার থেকে চলে যেতে বলেন। তারপর আমরা চলে আসি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি। বাধা দেওয়া বা দাঁড়াতে না দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যেহেতু এটি আমাদের অ্যাকাডেমিক বা বিশ্ববিদ্যালয় রিলেটেড নয়, তাই তাদের ফোন করে অনুরোধ করেছিলাম না করার জন্য। তারা সকালে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল এবং আমি তাদের ধন্যবাদ দিয়েছি।’