Policy to ban coaching business is valid: High Court

image_pdfimage_print

কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১২ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা’ জারি করে। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কোচিং সেন্টার নিয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজিক আল জলিলের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।

কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা ও কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ করে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি এসব রিটের রায় ঘোষণার জন্য রাখেন আদালত। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন ফিদা এম কামাল।

কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিস দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওইসব নোটিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ নিয়ে ওই শিক্ষকেরা হাইকোর্ট রিট আবেদন করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ নোটিশ দেয় সরকার। এসব নোটিশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

আদালত গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই চিঠির কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেন।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করে। গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ গত বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চেকে এ রুলের নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিল।

পরে আদালত এ রুল নিষ্পত্তির জন্য সাবেক দুই অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামালকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়।

Related Posts

en_USEnglish