১১৭ উপজেলায় ভোট রোববার

ঢাকা: রোববার (২৪ মার্চ) সকাল হলেই দেশের ১১৭ উপজেলায় তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোট। এজন্য ভোটের এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। যান চলাচলেও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ  জানিয়েছেন, প্রথমে ১২৭ উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। চারটি উপজেলায় ভোট পিছিয়েছে। এগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের লোহাগড়া ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত করা হয়েছে। আর নরসিংদী সদর ও কক্সবাজার সদরের নির্বাচন ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপের ভোটে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ছয় উপজেলার সবগুলো পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় রোববার ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সচিব বলেন, আইন অমান্য করে প্রচারে অংশ না নেওয়ার জন্য এ পর্যন্ত তিনজন সংসদ সসস্যকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারাও আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচন এলাকা ত্যাগ করেছেন। তাই অন্য কোনো অ্যাকশনে আমাদের যেতে হয়নি।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও তিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাহার করেছি। এছাড়াও বেশ কিছু ওসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।

ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় সকল উপকরণ পৌঁছে গেছে। তৃতীয় ধাপে রংপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও মেহেরপুর সদরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

২৫ জেলার ১১৭ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৪০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৮৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে নয় হাজার ২৯৮টি ভোট কেন্দ্রে এক কোটি ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

সচিব জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপে ২৪ উপজেলায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা সদা তৎপর থাকবে। আর ভোটের এলাকায় টহল দেবে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ভ্রাম্যমাণ টিম। সব মিলে বিভিন্ন বাহিনীর লক্ষাধিক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

ইভিএমে ভোট নেওয়ার জন্য প্রতি কেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর দু’জন করে নিরস্ত্র সদস্যও নিয়োজিত থাকবেন। প্রয়োজনে তারা সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের সহায়তা নিতে পারবেন।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে সম্পন্ন করছে ইসি। ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে এবং ১৮ জুন পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।




কমলনগরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকাসহ বিভিন্ন মাছ নিধন

লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুরেরর কমলনগরে প্রতিদিন সারি-সারি নৌকা নিয়ে শত-শত জেলে মহোৎসবে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করছেন। মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় তৎপরতা না থাকায় এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় মাছ শিকার চলছে। দাদনদার-মহাজনরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে জেলেদের নদীতে পাঠাচ্ছেন, এমন অভিযোগ সবার মুখে মুখে। এমন পরিস্থিতিতে  মাছের উৎপাদন ব্যহত হয়ে সরকারের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন না  হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল থেকে শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল পর্যন্ত কমলনগরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করছেন। বেশির ভাগ জেলে জাটকা শিকারে ব্যবহার করছেন অবৈধ কারেন্ট জাল। বাঁধা জাল দিয়ে মারছেন ইলিশের পোনা। মশারি জাল দিয়ে নিধন করছেন পোয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে হাট-বাজার ও আড়তে। সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

কমলনগরের মাতাব্বারহাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্টগার্ড এর উপস্থিতিতেও জেলেরা সাড়ি সাড়ি নৌকা নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরছেন। এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে  কোস্টগার্ড ও মৎস্য কর্মকর্তারা ছোট একটি নৌকা নিয়ে জেলেদের ধাওয়া করলেও জাল জব্দ করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এ যেন ইদুর বিড়াল খেলা।

কিছু সময় পর ওই এলাকা থেকে মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্টগার্ড চলে যাওয়ার পর জেলেরা জাল টেনে মাছ শিকার করে ঘাটে তোলেন। এভাবেই চলেছে ‘মাছ রক্ষার অভিযান’।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে মেঘনা নদী থাকে পুরো অরক্ষিত। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে  সারা রাত ধরে জেলেরা মাছ শিকার করেন। ভোরে ঘাটের আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী ঘাটে জেলেরা মাছ তোলেন। লাখ-লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয় প্রতিদিন। মাছ বিক্রির সময় একটি চক্র জেলেদের কাছ থেকে টাকা নেয়, ওই টাকায় ম্যানেজ করেন সংশ্লিষ্টদের।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইন মানছেন না জেলেরা। কমলনগরের মেঘনায় নানা কৌশলে ব্যাপকহারে মাছ নিধন চলছে। এছাড়া রামগতিতেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল চলমান অভিযান নিয়ে অন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। তবুও রাত-দিন নির্বিচারে চলছে মাছ নিধন।

চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার মাছের অভয়াশ্রম। প্রজনন ক্ষেত্র হওয়ায় এখানে মাছ ডিম ছাড়ে; মাছের পোনা বড় হয়; মাছ বেড়ে উঠে। মার্চ-এপ্রিল দুই মাস এখানে মাছ ধরায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এসময় মেঘনায় জাল ফেললেই জাল ভরে মাছ উঠে। এই সুযোগে অসাধু জেলেরা আইন অমান্য করে মাছ শিকার করেন। দাদনদার-মহাজনদের চাপে জেলেরা বাধ্য হয়ে নদীতে যান। তাছাড়াও মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে জেলেদের সরকারিভাবে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার হয় তা যথাসময়ে বিরতরণ না করায় এবং নিবন্ধিত সকল জেলে খাদ্য সহায়তার আওতায় না আসায় মাছ ধরার মহোৎসব চলছে।

কমলনগরের জেলেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি থেকে জেলেদের ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও বিতরণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে জেলে পরিবারগুলোর চরম দুর্দিন কাটছে। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় সংসার চালাতে তারা নদীতে মাছ শিকারে যায়। কেউ-কেউ বলছেন খাদ্য সহায়তার তালিকায় তাদের নাম নেই; মাছ শিকার না করলে খাবে কি?

কমলনগরের দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. হুমায়ুন বলেন, দীর্ঘ নদী এলাকায় অভিযান চালাতে তাদের সেই সক্ষমতা নেই। দ্রুতগতির ইঞ্জিন চালিত ট্রলার কিংবা স্পিডবোট নেই। জেলেরা মাছ ধরার সময় আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় জাল টেনে তোলাও সম্ভব হয়না। শ্রমিক নিয়োগ করার বাজেট নেই, যে কারণে জাল জব্দ করা যায় না।

কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, তাদের জনবলের অভাব রয়েছে। যে কারণে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তবুও জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে। খাদ্য সহায়তার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলেদের ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম মহিব উল্লাহ বলেন, লক্ষ্মীপুরে ৪৯ হাজার ৫৫৮ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে ২৫ হাজার ৯৪৭ জন জেলে খাদ্য সহায়তা পাবেন। বাকি ২৩ হাজার ৬১১ জন জেলে বাদ পড়েছেন। তারাও যাতে খাদ্য সহায়তা পায় এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা ওপর নিষেধাজ্ঞা জরি করা হয়েছে। এসময় মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও সংরক্ষণ অন্যায়। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।




সাজেদা আক্তার সুমি অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজেদা আক্তার সুমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি। তিনি কলস প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জে, প্রচার-প্রচারণা ও পথসভা করেছেন। পাড়া-মহল্লা, এবং বাড়ি-বাড়ি করেছেন উঠান বৈঠক। ঘরে ঘরে গিয়ে চেয়েছেন ভোট্ ও দোয়া। ইতিমধ্যে কলস প্রতিকে জনমত সৃষ্টি হয়েছে। সাড়া পাচ্ছেন সবার।

বিপুল সংখ্যক ভোটার সুমির ডাকে সাড়া দিয়ে তার জন্য ভোট করছেন।বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। তাকে দেখতে চান ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, কলস প্রতিকের প্রার্থী সাজেদা আক্তার সুমি অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে।ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সুমী। তিনি কর্মী গড়ার কারিগর। তার হাত ধরে কমলনগরের মহিলা আওয়ামী লীগ চাঙ্গা। তার নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। তিনি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যক্তি হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছেন। সর্বমহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে সবসময় নিবেদিত্ এ প্রার্থী।

সাজেদা আক্তার সুমি বলেন, সাধারণ মানুষের আগ্রহে প্রার্থী হয়েছি। সবার সাড়া পাচ্ছি। সর্বস্থরের জনগন আমার কলস প্রতিকের জন্য ভোট চাইছেন। আমি আশাবাদি মহান আল্লাহর রহমতে নির্বাচনে জয়ী হবো। জয়ী হয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সচেতনতার জন্য কাজ করবো। নারী নির্যাতন, যৌতুন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করবো।

সাজেদা আক্তার সুমি, সাবেক থানা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক উপজেলা মহিলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ছাড়াও তিনি কমলনগর থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর মহিলা বিষয় সম্পাদক; উপজেলা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল কমিটির সদস্য।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭১জন ভোটার রয়েছে।




ইন্টারনেটের যে জগৎ আমাদের অচেনা

জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের লাখো কোটি ওয়েবসাইট আমাদের সামনে থাকলেও এর পেছনেও রয়েছে আরও একটি জগৎ। সেই জগৎকে বলা হয় ডিপ ওয়েব। ডিপ ওয়েবের কোনো কিছুই সাধারণের জন্য অ্যাকসেসযোগ্য নয়। আর ডিপ ওয়েবেরও গভীরে আরও গোপনে থাকে রহস্যময় ডার্ক ওয়েব। ডার্ক ওয়েবকে বলা হয় অপরাধ ও অপরাধীদের স্বর্গ। প্রচলিত ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ডার্ক ওয়েবের কোনো অ্যাকসেস নেই। এর জন্য আলাদা ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য মানুষকে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা নয়। কারণ ডার্ক ওয়েব ব্যবহার বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সচেতনতা এবং জানার পরিধি বাড়ানোর জন্যই আজ আমরা ইন্টারনেটের অচেনা জগৎ সম্পর্কে জানব।

 

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা WWW

ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসে আমরা WWW ব্যবহার করি। এর মানে হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব। এটি একটি তথ্যভাণ্ডার, যেখানে তথ্য বা নথিপত্র থাকে। আর এগুলো ইন্টারনেট দ্বারা অ্যাকসেস করা যায়। ১৯৮৯ সালে টিম বার্নার্স লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবন করেন। এটি হলো ইন্টারনেট অ্যাকসেস করার প্রাথমিক সরঞ্জাম। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ওয়েবসাইটগুলোকে হাইপারটেক্সট লিঙ্কগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। হাইপার লিঙ্কগুলো ব্যবহারকারীদের একটি ডোমেইনের অধীনে, একাধিক ওয়েব পেজ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের তিনটি স্তর। যথা :

এক. সারফেস ওয়েব বা ইন্টারনেটের দৃশ্যমান অংশ। দুই. ডিপ ওয়েব বা গভীর অংশ। আর তিন. ডার্ক ওয়েব বা ইন্টারনেটের অদৃশ্য বা লুকায়িত অংশ। ডার্ক ওয়েব দিয়ে ব্যবহারকারীদের এবং ওয়েবসাইট মালিকদের পরিচয় লুকিয়ে রাখা যায়।

 

সারফেস ওয়েব

সারফেস ওয়েব ইন্টারনেটের একমাত্র দৃশ্যমান অংশ। স্পষ্ট করে বললে আমরা সচরাচর ইন্টারনেটের যে অংশটিতে বিচরণ করে বেড়াই সেটিই সারফেস ওয়েব। সারফেস ওয়েবের সব ওয়েবসাইট  সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনেই খুঁজে পাওয়া যাবে। সারফেস ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি ছোট অংশ, যেটি জনসাধারণের জন্য একমাত্র অ্যাকসেসযোগ্য অংশ। বলা হয়ে থাকে সারফেস ওয়েব হচ্ছে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাত্র ১০ শতাংশ।

গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি ওয়েবসাইট সাধারণ সারফেস ওয়েবের অন্তর্ভুক্ত। সারফেস ওয়েবের সাইটগুলো সাধারণত .com, .org, .in, .ae   ইত্যাদি ডোইমেন ব্যবহার করে। এসব ওয়েবসাইটে অ্যাকসেস বা প্রবেশ করতে কোনো বিশেষ কনফিগারেশন প্রয়োজন পড়ে না। বলা হয়ে থাকে এই অংশের সাইজ ১৯ টেরাবাইট, যেখানে প্রায় ১০০ কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে।

 

ডিপ ওয়েব

ডিপ ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি লুকানো অংশ। এই অংশটি গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন থেকে লুকানো থাকে। সার্চ ইঞ্জিন বিভিন্ন ওয়েবসাইটগুলোকে ইনডেক্স করে রাখে। যেন খুঁজলে সেগুলো পাওয়া যায়। তবে কোনো ওয়েবসাইট যদি সার্চ ইঞ্জিনকে ইনডেক্স করার অনুমতি না দেয়, তাহলে সেগুলো সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে পাবে না। আর এটাই ডিপ ওয়েব। একটি ওয়েবসাইটের ব্যাক এন্ডে যা যা থাকে সেগুলো ডিপ ওয়েবের অংশ। ডিপ ওয়েব সাধারণের জন্য অ্যাকসেসযোগ্য নয়। ডিপ ওয়েব সাধারণত ব্যাংকিং, ক্লাউড স্টোরেজ, সরকারি তথ্য, ওয়েবমেইল বা অন্যান্য পেমেন্ট পরিষেবা ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা হয়। ডিপ ওয়েবে প্রবেশ করতে আইপি ঠিকানা কিংবা সরাসরি ইউআরএল দরকার। অনেক ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ডসহ অন্যান্য সিকিউরিটি থাকে। ডিপ ওয়েবকে ডিপ নেট, দ্য ইনভিজিবল ওয়েব, হিডেন ওয়েব, আন্ডার নেট ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়।

 

ডার্ক ওয়েব

ডার্ক ওয়েব বা ডার্ক নেট হচ্ছে ডিপ ওয়েবেরও গভীরে আরও একটি লুকায়িত অংশ। ইন্টারনেটের এই অংশে নিজের ছদ্ম অবস্থা বজায় রেখে কাজ করতে পারেন। সাধারণ সাইটে কেউ ব্রাউজ করলে আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে তাকে ট্রেস করা সম্ভব। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে সেটা সম্ভব নয়। ডার্ক ওয়েব ডিপ ওয়েবের তুলনায় অনেক ছোট। মূলত নিষিদ্ধ ও বেআইনি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় ডার্ক ওয়েব। এই ওয়েব অ্যাকসেসের জন্য আলাদা কনফিগারেশনের সফটওয়্যার প্রয়োজন পড়ে। টর ব্রাউজার ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে ডার্ক ওয়েবের ওয়েবসাইট অ্যাকসেস করা যায়। ডার্ক  ওয়েবের ওয়েবসাইটগুলোর নাম যেমন অ™ভুত হয়, তেমনি এর ডোমেইন নামও অ™ভুত হয়ে থাকে। সারফেস ওয়েবের ডট কম ডট নেটের মতো ডার্ক ওয়েবের ডোমেইন নেমে থাকে ডট অনিয়ন। টর ব্রাউজার বা ডার্ক ওয়েবে সারফেস ওয়েবের সাইটগুলো ভিজিট করা গেলেও ডার্ক ওয়েবের সাইটগুলো সাধারণ ব্রাউজারে ওপেন হয় না। বেশির ভাগ হ্যাকারই ডিপ ওয়েব ও ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে থাকে।

ডার্ক ওয়েবে অবৈধ কার্যকলাপ, জুয়া, ড্রাগ, শিশু পর্নোগ্রাফি, অস্ত্র ইত্যাদির মতো খারাপ কার্যক্রম হয়ে থাকে। সেখানে প্রফেশনাল হ্যাকার থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধী ভাড়া করা যায়। ডার্ক ওয়েবে সাধারণ অনলাইন কারেন্সিতে লেনদেন হয় না। সেখানে বিট কয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয়। আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট প্লেসের সবচেয়ে বড় অংশই ডার্ক ওয়েবে। অনলাইনে টাকা চুরি, ওয়েবসাইট হ্যাকিং, ব্যক্তিগত ইনফরমেশন চুরি, সরকারি গোপন নথি, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি, চোরাকারবার ইত্যাদি ডার্ক ওয়েবের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

 

কীভাবে সৃষ্টি হলো ডার্ক ওয়েব?

ব্যক্তিগত, গোপন তথ্যাদি এবং ব্যাক অ্যান্ড ডাটা সুরক্ষার জন্য অটোম্যাটিক্যালি সূত্রপাত হয়েছে ডিট ওয়েবের। কিন্তু ঠিক কীভাবে ডার্ক ওয়েবের জন্ম হলো এ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের শুরু থেকেই মানুষ বিভিন্নভাবে নিজের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টায় রত ছিল। মূলত এই ধারণা থেকেই প্রক্সি সার্ভার, ভুয়া আইপি ইত্যাদির প্রচলন ঘটে। এগুলোকেও অনেকে ক্ষেত্রে ডার্ক ওয়েবের আওতায় ধরা যায়। বহু আগে থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ গোপনীয়তার সঙ্গে নিজেদের অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে চাচ্ছিল। সামরিক বাহিনী, বিপ্লবী, ব্যবসায়ী, হ্যাকার, এমনকি অনেক দেশের প্রশাসনও এমন একটি ইন্টারনেট ব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছে যার মাধ্যমে তারা গোপনে নিজেদের ভিতর তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। মূলত সেই ধারণা থেকেই ডার্ক ওয়েবের উদ্ভব। সাধারণত অনলাইনে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, ডাউনলোড-আপলোড পর্যবেক্ষণ করার অ্যাকসেস থাকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা যে কারও কাছেই তারা তথ্য সরবরাহ করতে পারে। এভাবে যেন সহজেই কেউ ট্রেস করতে না পারে সে উদ্দেশ্যে ডার্ক ওয়েবের সৃষ্টি এবং আস্তে আস্তে অপরাধীরা এসে এর ছায়াতলে ভিড় করে।

 

কী আছে এখানে?

ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। এই আগ্রহের বিষয়টি হচ্ছে ডার্ক ওয়েবের কনটেন্ট। অনেকের ধারণা ডার্ক ওয়েবে বুঝি কেবল খারাপ বা নেগেটিভ বিষয়ই চর্চা হয়। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ধরুন ডার্ক ওয়েব থেকে আপনি একজন হ্যাকার ভাড়া করলেন। সেই ইথিক্যাল হ্যাকার টাকার জন্য আপনি যা করতে বলবেন তাই করে দেবে। এখন বিষয় হচ্ছে আপনি কারও ক্ষতি করার জন্য হ্যাকারকে ব্যবহার করবেন নাকি নিজের কোনো কিছু উদ্ধার বা সুরক্ষার জন্য হ্যাকারকে ব্যবহার করবেন। তাই ব্যবহারের ওপরই আসলে ভালো-মন্দটা নির্ভর করে।

তবে এটা সত্য যে, ডার্ক ওয়েবে এমন সব জিনিস আছে, যা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারবে না। বিরল মাদক, অস্ত্র থেকে শুরু করে পেশাদার খুনিও ভাড়া পাওয়া যায় এখানে। বিশ্ব কাঁপিয়ে দেওয়া উইকিলিকসের শুরু হয়েছিল ডার্ক ওয়েবেই। শুধু তাই নয়, এখানে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ চাইল্ড পর্নোগ্রাফি কিংবা এর চেয়ে ভয়ঙ্কর সব বিষয় মিলবে সহজেই। পতিতা ভাড়া করা কিংবা সারফেস ওয়েবে নিষিদ্ধ যে কোনো কিছুরই সমাধান রয়েছে এখানে। আবার ধরুন কোনো বই নিষিদ্ধ কিংবা পাইরেটেড বই-মুভি সবকিছুরই সংগ্রহ রয়েছে ডার্ক ওয়েবে। বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টও পাওয়া যায় স্বল্প দামে। বিশ্বের যে কোনো দেশের অবৈধ পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা এরকম গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট ডুপ্লিকেট কপি তৈরিতে ওস্তাদ ডার্ক ওয়েব। অবৈধ অস্ত্র, গোলা-বারুদ তৈরির উপায় জানা যাবে এখান থেকে। টর্চার, রেপ, বিকৃত রুচির মানুষের বিচরণ রয়েছে ডার্ক ওয়েবের নানা সাইটে। যারা টাকার বিনিময়ে লাইভে অন্য মানুষদের টর্চার হতে দেখে। বিভিন্ন মানুষকে জোর করে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এবং তা লাইভে দেখানো হয় যা এতই ভয়াবহ যে, সাধারণ মানুষ তা সহ্য করতে পারবে না। এমনকি, মানুষের ওপর মেডিকেল গবেষণা করার জন্য জ্যান্ত মানুষও পাওয়া যায়। অর্থাৎ, বিভিন্ন ছিন্নমূল মানুষ যাদের মৃত্যু হলেও কেউ টের পাবে না, এদের ধরে এনে অমানবিক গবেষণা চালানো হয়। ডার্ক ওয়েবে বেশকিছু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক তাদের কর্মকাণ্ড চালায় বলে তথ্য রয়েছে। আবার অনেক ভালো কিছু আছে এখানে। যেমন বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ পেপার। সাধারণ ওয়েব বা সারফেস ওয়েবে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ রিসার্চ পেপার খুঁজে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ডার্ক ওয়েব।

 

ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ বেআইনি

ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের জন্য টর [TOR] নামের একটি বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহার করা হয়। যে কেউ চাইলে তার কম্পিউটারে মজিলা কিংবা গুগল ক্রোমের মতো এই ব্রাউজারটি ইনস্টল করে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু খুব জরুরি এবং এ ধরনের বিষয়ে অভিজ্ঞ কেউ না হলে নিছক কৌতূহলবশত ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ না করাটাই উত্তম। এর অনেক কারণ রয়েছে, প্রথমত. ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ সম্পূর্ণ বেআইনি। আবার আপনি যদি নেহাত কৌতূহলবশত ডার্ক নেটে প্রবেশ করেন তাহলে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস অ্যাটাক হতে পারে। সেই সঙ্গে এরা এমন সব সফটওয়্যার ইনস্টল করতে বলে, যা কম্পিউটারের জন্য খুবই ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, অনির্দিষ্ট সার্ভারে কপি হয়ে যেতে পারে আপনার সব ব্যক্তিগত তথ্য। ডার্ক নেটের সাইটগুলোর নামও থাকে খুব উদ্ভট ধরনের। মনে হয় কেউ বুঝি ভুলে উল্টা-পাল্টা টিপাটিপি করেছে। সারফেস ওয়েবে যেমন কোনো অনিরাপদ সাইটে প্রবেশ করতে চাইলে ব্রাউজার বাধা দেয়, সতর্ক করে। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে এরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। ডার্ক ওয়েবে আপনাকে ব্রাউজ করতে হবে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে। অনেক ক্ষেত্রে অচেনা-অজানা ব্যবহারকারী ও প্রফেশনাল হ্যাকাররা ওঁৎ পেতে থাকে। তাই, নিছক কৌতূহল থেকে ডার্ক ওয়েব নিয়ে না ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

ডার্ক ওয়েব কি সত্যি অস্পৃশ্য

কেউ যদি মনে করেন যে, ডার্ক ওয়েব ব্যবহারকারীদের খুঁজে পাওয়া অসম্ভব, তাহলে সেটি কিন্তু ভুল। ২০১১ সালে খোদ টর ব্রাউজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে, এটি আসলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার নিজস্ব প্রোডাক্ট। মূলত অপরাধীদের শনাক্ত করতেই এটিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। ডার্ক নেটে প্রবেশ করতে হয় অনিয়ন নেটওয়ার্কের টর ব্রাউজারের মাধ্যমে। টর ব্রাউজারের ডিফল্ট সেটিং ব্যবহারকারীর পরিচয় লুকিয়ে রাখে। যখন কেউ এটি দিয়ে কোনো সাইটে ঢুকতে যাবে, তখন টর এই অনুরোধটি জটিল এনক্রিপশনের মধ্য দিয়ে অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠাবে। অনিয়ন প্রক্সি এই ডাটা নিয়ে আবার সাধারণ রাউটারে যাবে। সেখানে যাওয়ার আগে অনিয়ন নেটওয়ার্কের প্রবেশপথে এই ডাটা আবার এনক্রিপশনের ভিতর দিয়ে যায় এবং অনিয়নের একাধিক রাউটার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সেটি আবারও এনক্রিপ্টেড হয়। ফলে এখানে ডাটা চুরি করে এর প্রেরক এবং প্রাপক চিহ্নিত করা অনেক কঠিন। তবে একেবারে অসম্ভব নয়। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ‘সিল্ক রোড’। মাদকদ্রব্য বেচাকেনার সবচেয়ে বিখ্যাত অনলাইন ব্ল্যাক মার্কেট সিল্ক রোড ২০১১ সালে ডার্ক ওয়েবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালে এফবিআই ওয়েবসাইটটিকে বন্ধ করে দেয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা রস উইলিয়াম উলব্রিচকে গ্রেফতার করে। ফলে ডার্ক ওয়েবকে একেবারে অস্পৃশ্য ভাবার কোনো কারণ নেই।

 

ডার্ক নেটের মুদ্রা বিটকয়েন

১ বিটকয়েন =

৩১৮, ৯৭১.১৫ টাকা

ডার্ক ওয়েবে লেনদেনের জন্য বিটকয়েন নামক মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট অবলম্বনে ১ বিটকয়েন = ৩১৮, ৯৭১.১৫ বাংলাদেশি টাকা বলে জানা গেছে। কেবল ডার্কনেট নয়, অনলাইনে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েনে।

বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। তবে এটিই একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে বিটকয়েন অন্যতম জনপ্রিয়। বিটকয়েনের সাফল্যের পর এরকম হাজারখানেক ভার্চুয়াল মুদ্রা চালু করা হয়। তবে এই মুদ্রাগুলো খুব একটা জনপ্রিয় হয়নি। অধিকাংশ মুদ্রাই বিফল হয়েছে। তবে এ থেকে ভার্চুয়াল মুদ্রানির্ভর আর্থিক ব্যবস্থার ধারণা আরও প্রকট হয়।

তবে অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ কিংবা একদল সফটওয়্যার ডেভেলপার নতুন ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রার প্রচলন করে। এ ধরনের মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিতি পায়। নাকামোতোর উদ্ভাবিত সে ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম দেওয়া হয় বিটকয়েন। বিটকয়েন লেনদেনে কোনো ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যে সরাসরি (পিয়ার-টু-পিয়ার) আদান-প্রদান হয়। লেনদেনের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি নামের পদ্ধতি।

এখনো অনেক দেশে মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিটকয়েন। ফলে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েনের প্রচলন সম্ভব। অর্থাৎ সরবরাহ সীমিত। সে জন্যই বিটকয়েনকে সোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়। খনি থেকে উত্তোলনের একপর্যায়ে গিয়ে যেমন সোনার সরবরাহ শেষ হয়ে যাবে। এরপর উত্তোলিত  সোনার বিকিকিনি হতে পারে। তবে নতুন করে উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। বিটকয়েনের ধারণাও তা-ই। অ্যালগরিদমের সমাধানের মাধ্যমে বিটকয়েন ‘উত্তোলন’ করতে হয়, যা বিটকয়েন মাইনিং হিসেবে পরিচিত। আর বর্তমান হারে চলতে থাকলে ২ কোটি ১০ লাখ বিটকয়েন মাইনিং করতে ২১৪০ সাল লেগে যাবে।

বিটকয়েনের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় এর ভগ্নাংশ সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে। অর্থাৎ বিটকয়েনের ভগ্নাংশ কেনাও সম্ভব। উদ্ভাবকের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিটকয়েনের ভগ্নাংশ সাতোশি নামে পরিচিত। এক বিটকয়েনের ১০ কোটি ভাগের এক ভাগ হলো এক সাতোশি।

 

নিরাপত্তার খাতিরেই ডার্ক ওয়েবের ধারণা

সাধারণ ব্যবহারকারীদের অনেকেই প্রক্সি/ভিপিএন শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত। বিশেষ করে আমাদের দেশে যখন ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন এগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এগুলোর কাজ আসলে কী? এগুলো ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের আইপি [ক্লায়েন্ট আইপি] এবং যে সার্ভারে তথ্য পাঠানো হচ্ছে সেই সার্ভারের আইপির মাঝে একটা মধ্যবর্তী আইপি হিসেবে কাজ করে। ফলে সার্ভার সাইড আইপি থেকে মনে হয় যেন মধ্যবর্তী আইপি থেকেই রিকোয়েস্ট আসছে। ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপনের জন্য মধ্যবর্তী একটা ধাপ ব্যবহার করে। ভিপিএন বা প্রক্সি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইট অ্যাকটিভ থাকলে ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট কানেকশনের প্রকৃত আইপি অ্যাড্রেসকে লুকিয়ে রাখছে। আর এই ধারণারই উন্নততর জটিল এবং এনক্রিপ্টেড সিস্টেম অনুসরণ করা হয় টর ব্রাউজারে। যেটি আগেই বলা হয়েছে। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন ডার্ক ওয়েবে এত অপরাধ সংঘটিত হলে এর প্রয়োজনটা আসলে কী? প্রয়োজন একেবারে ফেলনা নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে নিরাপত্তার খাতিরেই ডার্ক ওয়েব ধারণাটির জন্ম হয়েছে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এমন অনেক গোপন বিষয় থাকে যেগুলো সাধারণের কাছে লুকিয়ে রাখা জরুরি। যেমন : গোয়েন্দারা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মী বা সাধারণ মানুষও নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে চায় গোপনীয়তার সঙ্গে। এর বাইরে মানবাধিকার কর্মী, হুইসেলব্লোয়ার (যারা বিভিন্ন সেনসেটিভ ব্যাপারে তথ্য ফাঁস করে), সমাজকর্মী, কোনো রাজনৈতিক বা অন্য উদ্দেশ্যে গড়া দল যারা নিজেদের সংগঠনকে প্রকাশ্যে না নিয়ে এসে গোপনে কার্যক্রম চালাতে চায়। এমন আরও অনেক কমিউনিটি আছে যারা নিজেদের গোপন রাখতে চায়। এগুলো অবশ্য ভালো কাজের নানাদিক। মূলত এই তথ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ধারণা থেকেই ডার্ক নেটের জন্ম। আর যেহেতু যে কোনো ভালো উদ্যোগকেই অপরাধী বা ক্রিমিনালরা খারাপভাবে ব্যবহার করতে পারে, এখানেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। গোপনীয়তা এবং ক্রিপ্টাকারেন্সি মুদ্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে লেনদেনের সুবিধা থাকায় অপরাধীরা বেছে নিচ্ছে ডার্ক ওয়েবকে।

 

একঝলকে ইন্টারনেট




২০৯৯ শিক্ষককে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২০৯৯ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর গঠিত কমিটির সভা বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বিজোড় মাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পদাধিকার বলে সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।
অধিদপ্তরের সভায় এমপিওর আওতাভুক্ত শূন্যপদে কর্মরত ইনডেক্সবিহীন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, ইনডেক্সধারী প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহপ্রধানদের অভিজ্ঞতার উচ্চতর স্কেল, সহকারী অধ্যাপক পদের স্কেল, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড, বিএড বা কামিল স্কেল, সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদের এমপিওসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।




১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সময় নির্ধারণ

১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টায় স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২৬ জুলাই শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ২৭ জুলাই কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেয়া হবে এবং এসএমএস পাঠিয়ে প্রার্থীদের এ বিষয়ে জানানো হবে। প্রবেশপত্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ভেন্যু ও তারিখ উল্লেখ থাকবে।

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৮ নভেম্বর ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মামলাজনিত কারণে প্রায় এক বছর পর এ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এরপর ৫ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়ে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে।




লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে আলোচনা

লক্ষ্মীপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার উদ্যেগে ভবানীগঞ্জ গাজা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবদুর রহিম, বিশেষ অতিথি সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ ছাইফ উল্লাহ হেলাল। বক্তব্য রাখেন মাষ্টার মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, মাওলানা আবদুল মোতালেব, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আবদুর রব, সদর উপজেলা সভাপতি




কমলনগরে ৫ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, যুবক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৫ বছরের এক শিশুকে ইজিবাইকে তুলে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে চালক মো. বাবলুকে (৩৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। রোববার (১৭ মার্চ) বিকালে হাজিরহাট পশ্চিম বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক বাবলু চর ফলকন গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে। সে হাজিরহাট মাতাব্বরহাট সড়কে ভাড়ায় ইজিবাইক চালায়। স্থানীয়রা জানায়, শিশুটি চকলেট কিনতে বাজারে আসার সময় বাবলু তাকে জোরপূবর্ক ইজিবাইকে তুলে নেয়। অন্যযাত্রী না থাকায় শিশুকে যৌন হয়রানি করে। কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




বিএমএসএফ কমলনগর উপজেলা শাখার সম্মেলন , সভাপতি তারেক, সম্পাদক নোমান

 কমলনগর প্রতিনিধিঃসাংবাদিকদের ১৪ দফা দাবী আদায় ও দেশব্যাপী সাংবাদিকদের মাঝে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ মার্চ শুক্রবার সন্ধা ৭টায় কমলনগর উপজেলা শাখা বিএমএসএফ সভাকক্ষে এ সম্মেলন ২০১৯ ইং অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে কমলনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক ইসমাইল হোসাইন বিপ্লবের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম (এ আই তারেক)’র পরিচালনায় সস্মেলন ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমলনগর থানা অফিসার ইনচাজ মো: ইকবাল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলার ৫ নং চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি হারুনুর রশিদ, হাজির হাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি হাজী সৈয়দ আইউব আলী। সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমলনগর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বাবলু বাংলা, বিএমএসএফ কমলনগর শাখার যুগ্ন আহবায়ক কাজী দেলোয়ার হোসেন, বিএমএসএফ কমলনগর শাখা সদস্য, নাসির উদ্দিন মাহমুদ,সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ। সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সর্ব সম্মতিক্রমে উপকূল নিউজ সম্পাদক অারিফুল ইসলাম (এ আই তারেক) কে সভাপতি ও শিক্ষাপাতা ২৪ ডটকম সহ সম্পাদক মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকীকে সাধারন সম্পাদক, নাসির উদ্দিন (বিএসসি) কে সহ-সভাপতি ও মো: সিরাজুল ইসলামকে সহ সাধারন সম্পাদক করে ১৫ সদস্যের বিএমএসএফ’র কমলনগর উপজেলা পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় সাবেক উপজেলা আহবায়ক ও কমলনগর রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি ইসমাইল হোসাইন বিপ্লব কে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট উউপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ দেশে সাংবাদিকদের মাঝে বৃহৎ ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও দাবী আদায়ের আন্দোলনে বিএমএসএফ’র পতাকাতলে সমবেত হওয়ার আহবান জানান।




প্রধানমন্ত্রীর মাঝে মায়ের ছায়া দেখতে পাই: ভিপি নুর

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে নিজের মায়ের ছায়া দেখতে পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বক্তৃতার সময় নুর এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি আড়াই বছর বয়সে মাকে হারাই। ছোটবেলায় আমার একজন স্কুল শিক্ষিকার মাঝে মায়ের ছায়া দেখতে পেয়েছি। আর একজনের মধ্যে আমি মাতৃত্বকে খুঁজে পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর মাঝে আমি মাতৃত্বের ছায়া খুঁজে পেয়েছি।’

শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব ও উন্নয়নকাজ বিশ্বে তাকে প্রশংসনীয় অবস্থানে নিয়েছে উল্লেখ করে ভিপি নুর ডাকসু কার্যকরে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।