খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে সুষমা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর রবিবার রাত ৮টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বৈঠকে বসেন তিনি।

বৈঠকে খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মইন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৭ সদস্য উপস্থিত রয়েয়েছেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন সুষমা। এছাড়া রাতে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গেও তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে।




নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি জেলেদের

লক্ষ্মীপুর: ইলিশ শিকারে সরকার নির্ধারিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রোববার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টায়। প্রজনন মৌসুম শেষ হলে দেশের অন্য স্থানের মতো লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতেও জেলেদের মাছ শিকারে আর কোনো বাধা থাকবে না। ফের নদীতে ইলিশ শিকারে যাবে লক্ষ্মীপুরের প্রায় ৬০ হাজার জেলে।
ইতোমধ্যে জেলেরা বেশ প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন। অবসর সময়ে ঠিকঠাক করিয়েছেন জাল-নৌকাসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে যাবেন।
১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। এ ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। নিষেধাজ্ঞা থাকায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এসময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি ছিল নিষিদ্ধ। এ আইন আমান্য করায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকশ জেলের জেল-জরিমানা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করা হয়েছে লাখ লাখ মিটার কারেন্ট জাল।
সরেজমিনে ঘুরে ও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। বিগত বছরের চেয়ে চলতি ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নির্বিঘ্নে পোনা ছাড়তে পেরেছে। জেলেরা নদীতে নামেননি। প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ ছিল অনেক বেশি তৎপর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষিদ্ধ সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল সরকারের। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও লক্ষ্মীপুরের ৬০ হাজার জেলে তা পায়নি। এসময় জেলেরা ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন, তবুও নদীতে মাছ শিকারে যাননি।
স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেঘনা নদীতে মাছ ধরাই তাদের একমাত্র পেশা। নদীতে মাছ ধরতে না পারায় তাদের অলস সময় পার করতে হয়েছে। নির্ধারিত এই ২২ দিন তাদের সংসার কষ্টে কেটেছে। মহাজনদের কাজ থেকে তাদের টাকা নিতে হয়েছে। হাট-বাজার থেকে বাকিতে চাল-ডাল কিনেছেন।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জেলেরা বলেন, সুযোগ থাকলেও নদীতে নামিনি। গত কয়েক বছর ডিমওয়ালা ইলিশ না ধারায় নদীতে প্রচুর ইশিল পেয়েছি। অতীতের ধার-দেনাও পরিশোধ করেছি।
চর কালকিনি গ্রামের জেলে রইজল মিয়া বলেন, অভিযানের সময় যদি সরকার আমাদের চাল-ডাল দিয়ে সহযোগিতা করতো তাহলে কেউ ঝুঁকি নিয়ে নদীতে শিকারে যেতো না।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে তারা নৌকা মেরামত, ছেঁড়া জাল ঠিকঠাক করে নবউদ্যোমে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানান।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা যায়, আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমার আগের চার দিন, পূর্ণিমার দিন ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন সময়। এসময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ এসে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ডিম ছাড়ে। একটি বড় ইলিশ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়তে পারে। বেশি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে নিবিঘ্নে যাতে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারে সে জন্যই ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমের নির্ধারিত সময় শেষ হবে ২২ অক্টোবর রাত১২ টায়। এর পর থেকে মাছ শিকারে কোনো বাধা থাকবে না। প্রজনন মৌসুমে আইন অআন্য করায় ১৪ জন জেলের জেল ও দুজনের জরিমানা করা হয়েছে।
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ৩৭ হাজার ৩২৬ জন জেলেকে সরকার ভিজিএফ সহায়তা দেবেন বলেও জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।




প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তোনিও গুতেরেস টেলিফোনে প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন। তারা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিতে এবং তাদের নিরাপদ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ থেকে মিয়ানমারকে চাপ দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

গেল মাসে জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেয়া ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়নে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া ফোন করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গা সংকটে ধারাবাহিকভাবে সম্পৃক্ত থাকা এবং সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, আপনি যথেষ্ট সচেতন আছেন এই সমস্যার মূল মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও পাওয়া যাবে মিয়ানমারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং এর বাস্তবতা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইর্য়ক সফর করবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার পাঠাচ্ছি।

এ সময় স্রোতের মতো লাখ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে আসার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সেবার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রশংসাও করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে পক্ষে আনতে ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।

সাম্প্রতিক সময়ে আসা ৬ লাখ সহ ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওগুলোকে কক্সবাজার এলাকায় কাজ করতে পুরোপুরি প্রবেশাধিকার দেয়ার কথা এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান প্রধানমন্ত্রী।




কমলনগরে ৩ রাখাল নিঁেখাজ, ভেসে গেছে ৭০০ গরু-মহিষ

 

লক্ষ্মীপুর  : লক্ষ্মীপুরের কমলগনগরের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চর কাঁকরা থেকে জলোচ্ছ্বসে ৩ জন রাখাল নিখোঁজ হয়েছেন। এসময় ওই চর থেকে তীব্র জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে ৬০০ মহিষ ও  ১০০ গরু। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে গরু-মহিষ রাখার কিল্লা। নদীতে ভাসতে দেখা গেছে মৃত গরু ও মহিষের বাচ্চা।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা কাঁকরার চরে ফিরোজ বাঘার মহিষ কিল্লা থেকে রাখাল ও গরু-মহিষ ভেসে যায়। এতে নিখোঁজ হয় তিন জন রাখাল।

নিখোঁজ রাখালরা হলেন- পাটারিরহাট ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবদুর জাহের (৫০), চর ফলকন গ্রামের কালু পলোয়ানের ছেলে হান্নান (৩৫) একই গ্রামের দুলালের ছেলে মো. বাহার (২৫)।

কমলনগর মহিষ খামার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান স্বপন তিনজন রাখাল নিখোঁজ ও ৭০০ গরু-মহিষ নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গেছে পাটারিরহাট ইউনিয়নের মো. ফিরোজ বাঘার ২০০ মহিষ, ফলকন ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের ১০০ মহিষ, গরু ২০টি। একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ১০০ মহিষ, নুর নবী বাঘার ১০০ মহিষ, দুলাল বাতানের ৫০ মহিষ, ৩৫টি গরু, জসিমের ১০০ মহিষ, শাহ আলমের ২৫টি মহিষ, গরু ৩টি, সালাহ উদ্দিনের মহিষ ৫০টি, আলা উদ্দিনের ৩০ মহিষ ও গরু ৫টি, জামাল উদ্দিনের ২০টি মহিষ, গরু ৫টি জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায়। এর পর থেকে গরু ও মহিষগুলো নিখোঁজ রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত মহিষ মালিক ও চরে কিল্লা স্থাপনকারী মো. ফিরোজ বাঘা বলেন, জেগে ওঠা ওই চরে ৭ লাখ টাকায় নির্মিত কিল্লা তৈরী করে ১০জন মালিক প্রায়  ১ হাজার মহিষ ও দুইশতাধিক গরু লালন-পালন করে আসছেন। শুক্রবার গভীর রাতে জলোচ্ছ্বাসে কিল্লা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এসময় ৩ জন রাখাল ও প্রায় ৭০০ গরু মহিষ ভেসে যায়। এর পর থেকে ওই ৩ জন রাখাল নিঁেখাজ রয়েছে। ভেসে যাওয়া গরু মহিষেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পাটারিরহাট, ফলকন  ও কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ের বাসিন্দারা জানান, জোয়ারের সাথে বেশ কিছু মহিষের মৃত বাচ্চা ও গরু ভেসে যেতে দেখা গেছে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে কেউ এখনো থানায় জানায়নি।

 




অতিবৃষ্টি, তীব্র জোয়ারে কমলনগর-রামগতি প্লাবিত

 

লক্ষ্মীপুর : নিন্মচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও তীব্র জোয়ারে রামগতি ও কমলনগরের অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে উপকূলীয় রাস্তাঘাট। পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে ৪ হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৬ শতাধিক কাঁচা ঘর, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ২ শতাধিক পরিবার। তীব্র জোয়ারে মেঘনা জেগে উঠা চর আবদুল্লাহ থেকে ১৫০টি মহিষ নিখোঁজ হয়। ভেসে গেছে মাছের ঘের ও উপড়ে পড়েছে গাছপাল। এদিকে মেঘনা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ পড়েছে মারাতœক হুমকির মুখে। ভাঙনের শিকার হয়েছে অন্তত ৫০টি পরিবার।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকাল পর্যন্ত টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের উপকূলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

 

অতিবৃষ্টি, ঝড় ও তীব্র জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম ইউনিয়নগুলো হলো-রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার, চর আলগী, চর আবদুল্লাহ, চর রমিজ, বড়খেরী, চর গাজী। কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, সাহেবেরহাট, চর কালকিনি, পাটারিরহাট, চর মার্টিন, চর লরেন্স, হাজিরহাট, চর কাদিরা ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়। এসব ইউনিয়নের মেঘনা পাড়ের প্রায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ জানান, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও তীব্র জোয়ারে রামগতির উপকূলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার চর আলগী, চর আবদুল্লাহ, চর রমিজ, বেড় খেরী ও চর গাজী ইউনিয়নের প্রায় ৬শ’ কাঁচা ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। বসত ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে সুরাইয়া বেগম নামের এক নারী আহত হয়েছেন। চর আলগী ও রড়খেরী ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার দুইটি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। চর আবদুল্লাহ থেকে তীব্র জোয়ারের প্রায় ১৫০টি মহিষ ভেসে গেছে। এর মধ্যে ১১টি মহিষ উদ্ধার করে বড় খেরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের জিম্মায় রাখা হয়। মাছ চাষিদের প্রায় শতাধিক মাছের ঘের জোয়ারে ভেসে গেছে। বেশ কিছু গাছ পালা উপড়ে পয়েছে। ডুবে গেছে ফসলের মাঠ ও সবজি খেত।

এদিকে,কমলনগরের ফলকন, কালকিনি, পাটারিরহাট ও সাহেবেরহাট ইউনিয়নে নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত দুই দিনের ভাঙনে ৫০ পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বিলীন হয়েছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। মারাতœক হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীর রক্ষা বাঁধ। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে কমলনগরবাসী। এ উপজেলাতেও জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে দুই  হাজার পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।

কমলনগরে চরফলকন ইউনয়িন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী হারুনুর রশিদ, সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু বলেন, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৪টি ইউনিয়নের সব কয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্ধি হয়েছে শত শত পরিবার।




লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ নেই: ৪৮ ঘন্টা অন্ধকারে কমলনগর

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাগরের নিম্নচাপের ফলে ৩দিনের প্রবল বর্ষণের ৩য় দিন শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ৩টা পর্যন্ত পুরো লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় ৮৫ ভাগ এলাকায়  বিদ্যুৎ নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকারে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে কমলনগর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বৃস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। অন্যদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রামগঞ্জ, চন্দ্রগঞ্জ, রামগতি এবং রায়পুর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

 

বিদ্যুতের অভাবে বাসাবাড়িতে থাকা ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবার নষ্ট হচ্ছে, মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ সারতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করছে। কখন আসবে বিদ্যুৎ। কিন্তু দেখা নেই। কি কারণে বিদ্যুৎ নেই বা কখন বিদ্যুৎ ফিরবে তাও কেউ জানে না। আবার জানতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ তথ্য জানার একমাত্র উপায় লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুতের হেল্প লাইনগুলোতে কলের পর কল করলেও কেউ রিসিভ করছে না। কি সমস্যা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এমন কোন বিষয়ও মানুষ কে জানানো হয়নি।এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের মাত্রা বাড়ছে।

 

অন্যদিকে সকাল থেকে কমলনগর, রামগতি, রায়পুর এবং রামগঞ্জের বিদ্যুৎ কর্মীদের কে মাঠে দেখা গেছে।




কমলনগরের অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকানঘর পুড়ে ছাই

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়েছে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

শনিবার (২১ অক্টোবর) ভোররাত ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, ভোর রাতে যখন বিদ্যুৎ ছিলো না, বৃষ্টি হচ্ছিলো ঠিক তখনই বাজারে আগুন লাগে। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ও রামগতির ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মুহূর্তেই মালামালসহ ছয়টি দোকানঘর পড়ে ছাই যায়।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত এখনো জানা সম্ভব হয়নি।




বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে

ত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আবাহওয়া অধিদফতরের এক সতর্ক বার্তায় এসব কথা বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।




লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের পুরষ্কার বিতরণ

লক্ষ্মীপুরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার জেলা স্টেডিয়াম মাঠে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এ সময়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

খেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে লক্ষ্মীপুর সদরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কমলনগর। অপরদিকে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে রামগতিকে ড্রাইবেকারে হারিয়ে রায়পুর চ্যাম্পিয়ন হয়।




সংবাদকর্মী জুলহাসের চিকিৎসায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের বাসিন্দা সাবেক আনসার ব্যাটলিয়নের সিপাহী ও সংবাদকর্মী হাছনাইন আহাম্মদ (জুলহাস) (৩৫) গত ৭ বছর ধরে শারিরীক ও মানসিক রোগে ভুগছেন। তার চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। সবার আর্থিক সহযোগিতায় সুস্থ্য হয়ে আবারও সাংবাদিকতায় ফিরতে চান তিনি।

জুলহাস উপজেলার চরফলকন গ্রামের মৃত আবু সাঈদ মাস্টারের ছেলে। ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় রামগতি উপজেলার প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আনসার ব্যাটলিয়নে সিপাহী পদে চাকরি করেন। অসুস্থতার কারণে এক বছর পর তাকে চাকরি ছাড়তে হয়। চিকিৎসার জন্য বসতবাড়ির জমি বিক্রি করে এতদিন চিকিৎসা চালিয়েছেন। বর্তমানে টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। জুলাহাসের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা ও সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার। সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানা : গোলেনুর বেগম, চলতি হিসাব নম্বর ৫১১৫, সোনালী ব্যাংক কমলনগর শাখা, লক্ষ্মীপুর। বিকাশ ০১৭৪৫৭৭০৯০৫।