প্রেমিক যুগল উধাও কমলনগরে প্রেমিকের বাড়ীতে হামলা শিশুসহ আহত-৫

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রেমিক যুগল উধাও হওয়ার ঘটনায় প্রেমিকের বাড়িতে হামলা করেছে প্রেমিকার স্বজনরা। এতে শিশু ও নারীসহ ৫জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে চর ঠিকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে প্রেমিক মিলনের (২১) হাত ধরে প্রেমিকা সুরমি আক্তার (১৮) উধাও হয়।

প্রেমিক মো. মিলন উপজেলার চর ঠিকা গ্রামের নুরনবী ছেলে। প্রেমিকা সুরমি আক্তার একই প্রতিবেশী আবুল বাশারের মেয়ে।

প্রেমিক মিলনের পরিবারের অভিযোগ, সুরমি আক্তারে সাথে র্দীর্ঘদিন মিলনের প্রেম চলে আসছিল; তারা একে অপরকে বিয়ে করতে চায়। উভয় পরিবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিক যুগল উধাও হয়ে যায়। এ ঘটনার জের ধরে প্রেমিকার বাবা, ভাইসহ স্বজনরা প্রেমিক মিলনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে ৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে রোজিনা বেগম (২১), দুল্লবি বেগম (৩০), বকুল বেগমকে (২৭) সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। আসমা বেগম (১৯) ও শিশু জান্নাত (তিন মাস) প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

প্রেমিকার ভাই রাসেল হামলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, তারা আমার বোনকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করে নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




এলো নতুন পালসার

বাজাজের স্পোর্টস বাইক পালসার ভক্তদের জন্য সুখবর! বাজারে এসেছে নতুন পালসার। এটি ২০০ সিসির। মডেল বাজাজ পালসার এন এস ২০০ এবিএস। এটি মূলত এনএস২০০ এর নতুন ভার্সন।

নতুন পালসারে যোগ করা হয়েছে ৩০০ মিলিমিটার ফ্রন্ট ডিস্ক এবং সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস।

দুই নভেম্বর থেকে পালসারের জন্মভূমি ভারতের এই বাইকটি বিক্রি শুরু হয়েছে। দেশটির বাজারে পালসার এনএস ২০০ এবিএস মডেলের মূল্য ১ লাখ ৯ হাজার রুপি।

জাজ পালসার এন এস ২০০ এবিএস বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখী হয়েছে। বাজারে এই সেগমেন্টের অন্য বাইকগুলো হলো কেটিএম ২০০ ডিউক, টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ২০০ ভার্সন ফোর এবং ইয়ামাহা এফজেড ২৫।

বাজাজ অটোর মোটরসাইকেল বিভাগের প্রধান এরিক ভাস বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল এনএস২০০ এর এবিএস ভার্সন আনার। আমরা তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে এনএস২০০ এবিএস ভার্সন এনেছি।’

বাজাজের নতুন বাইকটি মূলত নেকেড স্পোর্টস বাইক। এর মতমাতানো ডিজাইন ও শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং শক্তপোক্ত চেসিস একে অনন্যতা দিয়েছে। বিশেষ করে অ্যান্টি-লক বেকিং সিস্টেম বা এবিএস সংযোজনের ফলে এতে চমৎকার ব্রেকিং পারফর্মন্স পাওয়া যাবে।

বাইকটিতে আছে ১৯৯.৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুলড ইঞ্জিন। ৪ স্টোকের ইঞ্জিন ২৩.৫ বিএইচডি এবং ১৮.৩এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারবে।

নতুন পালসারের ইঞ্জিন বিএস-ফোর নীতিমালা মেনে তৈরি করা হয়েছে। এতে ট্রিপল স্পার্ক এবং ডিটিএস-আই টেকনোলজি সংযোজন করা হয়েছে।

ভারতের বাজারে বাজাজ পালসার এনএস২০০ এবিএস এর মূল্য এনএস২০০ এর চেয়ে ১৩ হাজার রুপি বেশি।




লক্ষ্মীপুরে আবারও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘর তল্লাশীর পর আবারও সাংবাদিককে জড়িয়ে বোনকে দিয়ে মামলা দিয়েছে ভূমিদস্যু আজাদ। গত (৮ নভেম্বর) সাংবাদিক রাকিব হোসেন রনিসহ ৯ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করে আজাদের বোন আনোয়ারা বেগম। আজ (১৩ নভেম্বর) সোমবার সাংবাদিক রনি আদালতে আত্মসমর্থন করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মনছুর উদ্দিন জামিন মঞ্জুর করেন।
সাংবাদিক রাকিব হোসাইন রনি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের শিল্পী কলোনী এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। সে জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল (পত্রিকা) শীর্ষ সংবাদ ডটকম এর নির্বাহী সম্পাদক। ভূমিদস্যু আজাদ সোনালী কলোনী এলাকার মোহাম্মদ উল্যার ছেলে। সে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী এবং কিছু প্রভাবশালীর চত্র ছায়ায় এলাকায় সে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে।
এদিকে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক মহল। লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব ও জেলা রিপোটার্স ক্লাবসহ কয়েকটি সংগঠন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে জোর দাবী জানান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিক রনি সহ অন্যান্য বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মোহাম্মদ উল্ল্যার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, নগদ অর্থ লুটপাট ও হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটায়।
মূল ঘটনা হলো, ওই দিন আজাদ নিজের এবং পরিবারের লোকজনের শরীরের জামাকাপড় ছিড়ে মিথ্যা নাটোক সাজিয়ে পুলিশ দিয়ে সাংবাদিকের বাড়ি তল্লাশিও চালায়। অথচ ওই সময় সাংবাদিক রনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে ফোকাস বাংলা ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরা সাংবাদিক কিশোর কুমার দত্তের সাথে অবস্থান করছিলেন। মামলার ৬নং আসামী প্রবাসী জহির এমন ঘটনার পূর্বেই ওমান চলে যান। এছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামীরা এ সময় পূর্বে আজাদের দেওয়া অভিযোগের জবাব দিতে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এমন ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ভূমিদস্যু আজাদ পৌর শহরের সোনালী কলোনী এলাকায় জহির নামে এক প্রবাসীর ভাউন্ডারি দেওয়াল ভাংচুর, লুটপাট ও আহত করার ঘটনায় সাংবাদিক রনি তথ্য সংগ্রহ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজাদ ওই সাংবাদিককে পরপর দু’টি মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করছে।
সাংবাদিক রাকিব হোসাইন রনি বলেন, ওই সময় তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিক কিশোরের সাথে অন্যত্র অবস্থান করছিলাম। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ এনে আজাদ আমার ঘর তল্লাশি চালায়। পরে বিষয়টি জানতে তদন্তকারী এএসআই মুকবুলের সাথে ফোন যোগাযোগ হলে তিনি জানান, বাড়িটি সাংবাদিকের কিনা তিনি তা জানেন না। তাছাড়া সাংবাদিক রনির বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই। অথচ পরের দিন আমাকে জড়িয়েই হামলার ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করানো হয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিচারের দাবী জানাই।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, হামলার অভিযোগে এক মহিলা থানায় মামলা করেছেন। তবে এতে কোন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জয় বলেন, সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন জবুর পর এবার সাংবাদিক রনির বিরুদ্ধে পর পর দু’টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহাম্মদ হেলাল বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় উদিয়মান সাংবাদিক রাকিব হোসাইন রনির বিরুদ্ধে মামলা করেছে একটি কু-চক্রী মহল। এমন ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অভিলম্বে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান তিনি।




ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ১৫টি খাবার

ঢাকা: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আপনার প্রথমেই জানা থাকা উচিত কোন কোন খাবার তা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিছু খাবার রয়েছে যা গ্রহণ করলে টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এ খাবারগুলো টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকরী এরকম ১৫টি খাবার সম্পর্কে-

১. বাদাম
বাদাম দেহের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। বাদামে একধরনের ফ্যাট থাকে যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। অন্যান্য বাদামের তুলনায় কাজুবাদামের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি।

২. মিষ্টি কুমড়ার বীজ
মিষ্টি কুমড়ার বীজে ওমেগা-৩ নামক এক প্রকার স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বিদ্যমান। এতে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়া এটি আয়রনেরও আদর্শ উৎস। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তা খুবই কার্যকরী। সূর্যমুখীর বীজও ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

৩. মাছ
মাছ আমিষের একটি আদর্শ উৎস। মাছেও মিষ্টি কুমড়ার বীজের মতো ওমেগা-৩ বিদ্যমান। মাছ ভেজে খাওয়ার চেয়ে গ্রিল করে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. বেরি
বেরি খুবই স্বাস্থ্যকর একটি ফল। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেরি দেহের ইনসুলিন তৈরিতে সহায়তা করে। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে তা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্লু-বেরিকে প্রকৃতির সুপার ফুডও বলা হয়।

৫. শস্যদানা
তন্তু বা আঁশযুক্ত খাবার দেহের খাদ্য ভারসাম্যের জন্য খুবই দরকারি। বিভিন্ন ধরনের শস্যদানায় এ উপাদান বিদ্যমান। এসবের মধ্যে মটরশুঁটি আদর্শ। রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাপ্তাহিক নিয়মে তা গ্রহণ করা উচিত।

৬. ব্রোকলি
ব্রোকলিকে বলা হয় ডায়াবেটিসের জন্য আদর্শ সবজি। এর কিছু বিশেষ পুষ্টি উপাদান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্রোকলি হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমও স্বাভাবিক রাখে। এটি ভিটামিন-সি’য়ের আদর্শ উৎস।

৭. বাঁধাকপি
পুষ্টিগুণের দিক থেকে বাঁধাকপির কোনো তুলনা নেই। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। টাইপ-১ এর ক্ষেত্রে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। বাঁধাকপি ভালোমতো ধুয়ে কাঁচা বা অর্ধ-সিদ্ধ অবস্থায় খাওয়া ভালো।

৮. অ্যাভোকাডো
গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাভোকাডো নারীদের ক্ষেত্রে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রবণতা ২৫ শতাংশ কমায়। হৃদযন্ত্রের জন্যও তা খুবই উপকারী। দৈনন্দিন খাবার গ্রহণের পর এ ফল খেলে তা ব্লাড সুগার পরিমিত রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৯. চা
চা দেহের অবসাদ দূর করে। দেহের অভ্যন্তরের বিষাক্ত পদার্থ বিনাশেও তা কাজ করে। প্রতিদিন নিয়মিত গ্রিন-টি অথবা র-টি খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে চায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করা একেবারেই উচিত নয়।

১০. রসুন
গবেষণায় দেখা গেছে রসুন রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, এমনকি তা ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক।

১১. শতমূলী
শতমূলী টাইপ-২ ডায়াবেটিস ছাড়াও আরও অনেক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। তাছাড়া দেহের ইনসুলিন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখে এ সবজি।

১২. দারুচিনি
মিষ্টিজাতীয় খাবারে চিনির বিকল্প হিসেবে দারুচিনি খুবই কার্যকরী। দারুচিনি ক্ষুধার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এটি দেহের ব্লাড সুগারের পরিমাণও কমাতে সহায়ক।

১৩. অলিভ অয়েল
অলিভ ওয়েল বা জলপাই তেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বিদ্যমান। এটি দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য অর্জনে সহায়ক।

১৪. মিষ্টি আলু
সাধারণ আলু ডায়াবেটিসের জন্য ভালো নয়। তবে মিষ্টি আলু ব্যতিক্রম। এটি ইনসুলিন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখে, রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস করে।

১৫. স্পিনাচ
ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষজ্ঞরা স্পিনাচ খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ভিটামিনে ভরপুর এ সবজি।




শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই হলো বিয়ে

প্রতীকী ছবি

বিয়ের দিন তারিখ আগেই নির্ধারণ করা ছিল। শুধু তাই নয়, গায়ে হদুল হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু বিপত্তি বাধে কনে’কে নিয়ে। হলুদের দিনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর অন্ত্রে কিছু সমস্যা হয়েছে। চিকিৎসা শেষ হয়নি, ফলে বিয়ের আগে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

এদিকে, গায়ে হলুদের পর বিয়ে বন্ধ হওয়ায় অমঙ্গল হবে মনে করে পাত্র বরযাত্রী নিয়ে সোজা হাজির হন হাসপাতালে। রাইলস টিউব খুলে লাল লেহঙ্গা পরা ২৮ বছরের কনেকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে। তখনও হাতে ছিল স্যালাইনের চ্যানেল। সেখানেই কাজির সামনে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়।

হাসপাতাল যে নিজেদের কনফারেন্স রুমে হেরা-শাহনওয়াজের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে দিয়েছে তাতে কৃতজ্ঞ দুই পরিবার। শুধু ঘরের ব্যবস্থা করা নয়, হাসপাতাল কর্মীরা চা, কফি, সন্দেশ, বিস্কুটের আয়োজন করেন তাঁদের জন্য। এরপর কনে আবারও ফিরে যান হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডে।




ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের জুলুম ক্ষমা করে দেয়া হবে : খালেদা

ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নিপীড়নের অভিযোগ তুলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের জুলুম ক্ষমা করে দেয়া হবে।

৭ নভেম্বর উপলক্ষে রবিবার রাজাধানীর সোহরাওয়াদী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি একথা বলেন।

রবিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি জনসভাস্থলে প্রবেশ করেন। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে বিভিন্ন ধরনের স্লোগানে-স্লোগানে স্বাগত জানান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এসময় নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, এ কাজের মাধ্যমে সরকার ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন নিয়ে ইসি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে পারে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, ইভিএম বন্ধ সেনাবাহিনীকে নামিয়ে নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দিতে হবে, যাতে তারা কাজ করতে পারে।
আর সেনাবাহিনী না দেওয়া হলে ক্ষমতাসীন দল কেন্দ্র দখল করে মানুষের ওপর অত্যাচার চালাবে। ভোট চুরি করবে। ’

এর আগে, জনসভায় যোগদানের জন্য সকাল থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান নেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়




এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে খেলছেন : লক্ষ্মীপুরের রাব্বি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের একমাত্র ক্রিকেটার হাসান মাহমুদ (রাব্বি) অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলছেন। লক্ষ্মীপুরের কোন ক্রিকেটার এই প্রথম বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার গৌরব অর্জন করেছেন। হাসান মাহমুদ স্কুল ক্রিকেটসহ বয়স ভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৮ দলে লক্ষ্মীপুরের হয়ে সুনামের সাথে খেলে আসছিল। সে একজন ফাস্ট বোলার, সাথে-সাথে ব্যাট হাতেও রয়েছে সমান পারদর্শী। ইতি মধ্যে লক্ষ্মীপুরের ক্রীড়া জগতের লোকজন হাসান মাহমুদকে লক্ষ্মীপুর একপ্রেস বলে ডাকতে শুরু করেছে। হাসান মাহমুদ (রাব্বি) লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের মো. ফারুক হোসেনের ছেলে।
হাসান মাহমুদের স্থানীয় কোচ মো. ইব্রাহিম খলিল ও মো. মনির হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুরের কোন ক্রিকেটার এর আগে বাংলাদেশ দলের বয়স ভিত্তিক কোন খেলার সুযোগ পায়নি। হাসান মাহমুদ-ই লক্ষ্মীপুরের একমাত্র ক্রিকেটার যে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বর্তমানে মালেশিয়ায় এশিয়া কাপে খেলছেন। সে ইতিপূর্বে বয়স ভিত্তিক সকল খেলায় সুনামের সাথে খেলে আসছিল। আমরা লক্ষ্মীপুরবাসী তার এই সফলতার জন্য আনন্দিত। লক্ষ্মীপুরের হয়ে খেলায় তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। এশিয়া কাপে আমরা তার সফলতা কামনা করি। একই সাথে সে এশিয়া কাপে ভাল খেলে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমাদের লক্ষ্মীপুরের সুনাম বৃদ্ধি করবে বলে আশা করি।
হাসান মাহমুদের বাবা মো. ফারুক হোসেন বলেন, তার ছেলের ছোট বেলা থেকে খেলার প্রতি অনেক আগ্রহ। পরিবারের সবাই তাকে খেলার ব্যাপারে অনেক সহযোগিতা করতো। সে বর্তমানে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে খেলছে। সে ভাল খেলে দেশের সুনাম বয়ে নিয়ে আনতে পারে ও আরো অনেক দূর যেতে পারে সে জন্য আমি তার জন্য লক্ষ্মীপুর তথা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।




৪৭ বছর আগের মহাপ্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়

লক্ষ্মীপুর: আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। এ দিনটি উপকূলীয় এলাকার জন্য ভয়ঙ্কর এক দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস দ্বীপ জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে।
লাশের মিছিলে উপকূলীয় জনপদ পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই দুর্যোগে জেলার রামগতি ও বর্তমান কমলনগর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে যায়। প্রাণ হারায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। মেঘনা নদীর উত্তাল ঢেউয়ের প্রবল স্রোতের টানে ভাসিয়ে নিয়ে যায় গবাদি-পশু, ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। বিলীন হয়ে যায় দুই উপজেলার বেঁড়িবাধসহ অনেক জনপদ। যত দুর চোখ পড়তো চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ।
৮ থেকে ১০ ফুটের জলোচ্ছাসের কারণে দাফন করা যায়নি নিহত সেই মানুষগুলোকে। মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের সময় একই পরিবারের ১০/১৫ জন লোক নিহতসহ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অনেক পরিবার। ৪৭ বছর আগের ধ্বংসযজ্ঞের কথা এখনো ভুলতে পারেনি স্বজন হারা সেসব মানুষেরা। বিভৎসময় সেই দিন গুলোর কথা মনে করে বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে উপকূলীয় এলাকার মানুষজন। তখনকার সময়ে সর্বস্ব হারিয়ে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অনেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেই সময়ের ঘূর্ণঝড়ের কবলে পড়ে ৬০ ভাগ মানুষ, গরু-মহিষ, গাছ-পালা ইত্যাদি পানিতে ভেসে গেছে। এক পরিবার থেকে ৭ থেকে ৮ জন মানুষ পানিতে ভেসে গেছে। নদীতে নৌকা লঞ্চ চলতে পারেনি লাশের স্তুপের কারণে।
এদিকে দিনটিকে জাতীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষাণার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় উপকূলবাসীরা। এরইমধ্যে বিভিন্নস্থানে উপকূল দিবস হিসেবে দিনটি পালন করার প্রস্তুতি নিয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা।




বিএনপির জনসভা শুরু

 সোহরাওয়ার্দী উদ্যান : রাজধানীর সোহরাওয়াদী উদ্যানে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুরু হয়েছে বিএনপির জনসভা। রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আয়োজিত জনসভার মঞ্চে এখন দলটির মহানগর ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাস্থলে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছে। নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিতে মঞ্চ থেকে বক্তব্যের ফাকেঁ ফাঁকে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সকাল সোয়া ১১টা থেকেই মঞ্চে সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিতে থাকে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) শিল্পীরা।

বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া।

এরই মধ্যে রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে দেখা গেছে।

সকাল ১০টা থেকে মঞ্চের আশেপাশ ছাড়িয়ে উদ্যানে জমায়েত হয়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও মৎসভবন, শাহবাগ, টিএসসিসহ বেশকিছু পয়েন্টে জড়ো হচ্ছেন তারা।

দলীয় সূত্র বলছে, জনসভার প্রথম অংশে থাকছে সাংস্কৃতিক পর্ব। আর মূলব পর্বে থাকছে শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য। জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এদিকে জনসভাস্থলে উপস্থিত থেকে সেখানে আগত নেতা-কর্মীদের নানা দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ শীর্ষ নেতারা।

৭ নভেম্বর বিএনপির ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ থাকলেও ঢাকায় কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলন হওয়ায় পিছিয়ে রোববার এ জনসভা করছে বিএনপি




৩০ নভেম্বরের মধ্যে কর বিবরণী না দিলে বেতনভাতা বন্ধ

সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কর বিবরণী জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হবে। কিন্তু দুটির একটিও না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে ওই কর্মচারীর বেতনভাতা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক্সপেনডিচার ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-১ (ইনকাম ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্টট সেল) এক অফিস আদেশ জারি করেছে। ওই আদেশে বলা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস। আর সেই তারিখের পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আয়কর বিবরণীর প্রাপ্তিস্বীকার পত্রের নম্বর, বিবরণী জমা দেওয়ার তারিখ জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে কর দিবসের মধ্যে বিবরণী জমা না দিতে পারলে দেরিতে দেওয়ার অনুমোনদন নম্বর, সার্কেল নম্বর ও কর অঞ্চলের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এ আদেশ পরিপালন না করলে আগামী ডিসেম্বর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বেতনভাতা বন্ধ হয়ে যাবে বলেও জানানো হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ২৪ নভেম্বর এনবিআর এক পরিপত্রের মাধ্যমে সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আয়করযোগ্য কর্মচারীদের জন্য আয়কর বিবরণী বাধ্যতামূলক করে। আর এ বছর থেকে বেসরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করযোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক, তাদের কর বিবরণী জমা দিতে হবে। এমনকি তারা সঠিকভাবে রিটার্ন জমা দিয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখবে এনবিআর। ওই করদাতা যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের ডিসেম্বর মাসের বেতন বাবদ খরচের হিসাব-নিকাশও যাচাই-বাছাই করবেন কর কর্মকর্তারা। এদিকে গত অর্থবছরে ব্যবসা বা পেশার নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে নিয়োজিত বেতনভোগী কর্মীর কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এর ফলে গতবার সাত লাখের বেশি এমন বেসরকারি চাকরিজীবী টিআইএন নিয়েছিলেন। এ বছর তাদের রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই এবার অনেকেই প্রথমবারের মতো আয়কর বিবরণী জমা দেবেন। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে এ বছরের জুনের মধ্যে যত আয়-ব্যয় করেছেন, সেই হিসাব আয়কর বিবরণীতে থাকতে হবে। অন্যদিকে টিআইএন সনদ না নিলে কিংবা রিটার্ন জমা না দিলে প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি যে বেতনভাতা পেয়েছেন, তা নিজেদের খরচ হিসেবে দেখাতে পারবেন না।