অবসর-কল্যাণে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের আদেশ জারি

কারিগরির পর এবার সাধারণ স্কুল ও কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের ফান্ডে মোট ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের আদেশ জারি হয়েছে। এতদিনে অবসর ফান্ডের জন্য ৪ শতাংশ ও কল্যাণের জন্য ২ শতাংশ হারে চাঁদা কর্তন হতো। ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন করে দুটি ফান্ডে জমা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ১৫ এপ্রিল আদেশ জারি করেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের বেতন থেকে এ চাঁদা কর্তন করা হবে। এর আগে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তন কার্যকর হয়। শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তাদের অদক্ষতায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ সত্ত্বেও ১০ শতাংশ কর্তন কার্যকর করতে পারেনি।




২১ এপ্রিলেই শবে বরাত

ঢাকা:

শাবান মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আলোচনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত আগামী ২১ এপ্রিল দিনগত রাতেই লায়লাতুল বরাত বা শবে বরাত পালনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।
চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে আলেম-ওলামাদের নিয়ে গঠিত ১১ সদস্যের উপ-কমিটির সুপারিশে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গত ১৩ এপ্রিল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ওই উপ-কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির প্রধান ছিলেন বিশিষ্ট আলেম এবং মারকাযুদ দাওয়া আল ইসলামিয়ার শিক্ষা সচিব মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল মালেক। সেই উপ-কমিটি সকালে বৈঠক করে সুপারিশমালা তৈরি করে এবং তা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

কমিটির প্রধানকে পাশে রেখে সুপারিশমালা প্রকাশকালে প্রতিমন্ত্রী আবদুল্লাহ জানান, ২১ এপ্রিল (রোববার) দিনগত রাতেই শবে বরাত পালনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।

এর আগে, গত ৬ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সভা করে জানিয়েছিলো, ওই দিন দেশের আকাশে কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৮ এপ্রিল থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে এবং ২১ এপ্রিল দিনগত রাতে পবিত্র লায়লাতুল বরাত পালিত হবে।

তবে ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ নামে একটি সংগঠন দাবি করে বসে, সেদিন খাগড়াছড়িতে চাঁদ দেখা গেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, ২০ এপ্রিল দিনগত রাতে শবে বরাত পালিত হওয়ার কথা। এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে জরুরি বৈঠক ডাকে সরকার, গঠন করে উপ-কমিটি। শেষ পর্যন্ত এই উপ-কমিটি আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখার সুপারিশ করলো সরকারকে।

লিখিত সুপারিশ সাংবাদিকদের পড়ে শোনান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে উপ-কমিটির সদস্যরা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে শরীয়তের আলোকে পর্যালোচনা করেন। উপ-কমিটি আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দু’জন কর্মকর্তাকে পাঠান, যারা চাঁদ দেখেছেন মর্মে দাবি করেছেন তাদের সাক্ষ্য দিতে আনার জন্য। কিন্তু তাদের আহ্বানে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে না এসে অপ্রাসঙ্গিক কিছু শর্ত জুড়ে দেন। বিষয়টি উপ-কমিটিকে অবহিত করা হলে সভার সদস্যরা ওই শর্তগুলো শরীয়তের সাক্ষ্য প্রদানের নিয়মবহির্ভূত আখ্যা দিয়ে শরীয়া নিয়ম অনুযায়ী কমিটির সদস্য সচিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমানকে পাঠান। কিন্তু এরপরও তারা সাক্ষ্য দিতে আসেননি এবং আগের মতো অপ্রাসঙ্গিক শর্ত জুড়ে দেন।
লিখিত সুপারিশ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সাক্ষীরা উপ-কমিটির বারবার অনুরোধের পরও সাক্ষ্য দিতে সভায় উপস্থিত হননি, বরং সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এমন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন যেভাবে সাক্ষ্যগ্রহণের কোনো ভিত্তি নেই শরীয়তে। তাই চাঁদ দেখার কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য না পাওয়ায় ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির গত ৬ এপ্রিল ঘোষিত সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে। অর্থাৎ ৮ এপ্রিল থেকে শাবান মাস শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। সেই মোতাবেক ২১ এপ্রিল দিনগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শরীয়া মোতাবেক আমাদের যে উপ-কমিটি গঠিত হয়েছিল সর্ব সম্মতিক্রমে তারা এই ঘোষণাটি পেশ করেছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি (সিদ্ধান্ত) পুরোপুরি ধর্মভিত্তিক এবং অরাজনৈতিক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা (চাঁদ দেখা দাবিকারীরা) কারা আমরা জীবনেও শুনিনি। তারা হাইকোর্ট পর্যন্ত গেছে। হাইকোর্ট পরিষ্কার বলেছেন- এটা অত্যন্ত পবিত্র, ইসলামের বিষয়। এটা নিয়ে যুক্তি-তর্কে না গিয়ে তারা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেটিই ফাইনাল হওয়া উচিত ও ফাইনাল হবে। তারা (চাঁদ দেখা দাবিকারীরা) যদি সুন্দর কোনো সিদ্ধান্ত চাইতেন, তাহলে তারা উপস্থিত হতেন এবং কথাবার্তা বলতেন।

শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, আলেম-ওলামারা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই, কোনো দলাদলি নেই, কোনো হিংসা-বিদ্বেষ নেই; এর মধ্যে আছে একমাত্র শরীয়তের বিধান, তারা শরীয়তের বিধান অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমরা একবাক্যে মেনে নিয়ে ২১ তারিখ বরাত পালন করি।

এসময় ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান ছাড়াও মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।




কমলনগরে চাঁদা না পেয়ে নৌকায় মৎস্য কর্মকর্তার আগুন

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে এক মাঝির নৌকা আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মাঝি মো. মাকছুদ দাবি করছেন।

সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ভূক্তভোগী ওই ব্যক্তি জেলা প্রশাসক, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

মাকছুদ কমলনগর উপজেলার পাটওয়ারীর হাট ইউনিয়নের চরফলকন গ্রামের আতিক উল্যাহ মাঝির ছেলে।

অভিযোগে বলা হয়, মাকছুদ তরমুজের মৌসুমে চরফলকন গ্রামের আক্তার মাঝির কাছ থেকে ভাড়ায় নৌকা নিয়ে চালায়। মূল পেশা জেলে হলেও বছরের এ মৌসুমটিতে তিনি মাছ ধরেন না। গত ১২ এপ্রিল তিনি নৌকাতে উপজেলার পাতাবুনিয়া থেকে মাঝের চর এলাকায় তরমুজ পরিবহণের জন্য শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কমলনগর মৎস্য কর্মকর্তা তার নৌকার গতিরোধ করে তল্লাশী চালায়। ওই নৌকায় মাছ ও জেলের সরঞ্জমাদিও পাননি তারা। কিন্তু মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মাকছুদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় মৎস্য কর্মকর্তা সহযোগীদের নিয়ে ওই নৌকাটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

মো. মাকছুদ বলেন, জেলে হলেও তরমুজের মৌসুমে আমি মাছ শিকারে যাই না। নৌকা ভাড়া নিয়ে এসময়টিতে চর থেকে তরমুজ আনা-নেওয়া করি। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় মৎস্য কর্মকর্তা আমার নৌকাটি পুড়িয়ে পেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ বলেন টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বলেন, ওই নৌকাটিতে অবৈধ কারেন্ট জাল ছিল। জালগুলোতে আগুন দিলে নৌকার কিছু অংশ পুড়ে যায়। তবে নৌকার মাঝির থেকে কোন টাকা দাবি করা হয়নি বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন।




চাকরি জাতীয়করণে লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকদের মতবিনিময়

 লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

চাকরি জাতীয়করণের আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার চরমনসা খাজা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়। জেলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী। এসময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব তাজুল ইসলাম ফরাজী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইউসুফ ছিদ্দিকী, লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছাইফ উল্যা হেলাল, শিক্ষক আবদুর রব, মাকছুদের রহমান, আবু ইউসুফ ও রায়হান উদ্দিন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড হতে রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করন করতে হবে। কোডবিহীন মাদ্রাসাগুলোকে কোড প্রদান করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষককে বহাল রাখতে হবে। তাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানানো হয়।




নতুন বছরে মানুষের জীবন আরো সুন্দর হোক: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা:

নতুন বছরে মানুষের জীবন আরো সুন্দর ও সফল হোক সেই কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) গণভবনে দলীয় ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান থেকে দেশবাসীর জন্য এ শুভ কামনা করেন তিনি।

প্রবাসী বাঙালি ও দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরের নতুন সূর্য মানুষের জীবনকে সুন্দর করুক, উদ্ভাসিত করুক, সফল করুক সেটাই আমি কামনা করি।

দেশ আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, সে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতি সম্মানের সঙ্গে চলবে।

সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। ইনশাআল্লাহ দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। আর সে লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে এলে পর পর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসো এসো হে বৈশাখ, আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে, আলো আমার আলো এবং সলিল চৌধুরীর ধিতাং ধিতাং বোলেসহ বেশ কয়েকটি গান সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিট প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং সবার জন্য শুভ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবনে আসা অতিথিদের মুড়ি, মুড়কি, মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন ধরনের বাঙালি ঐতিহ্যের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।




নুসরাতের খুনিরা ছাড় পাবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত খুনিরা ছাড় পাবে না। শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনিদের কয়েকজন ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। অন্যরাও শিগগির গ্রেফতার হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘কোন কারণ ছাড়া একজন মাদরাসাছাত্রীকে একজন অধ্যক্ষের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার মতো জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।’

নুসরাতের জীবন বাঁচাতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মেয়েটিকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এমনকি আমরা মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠাতে সেখানকার চিকিৎসকদের মতামত নিয়েছি কিন্তু আমরা কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’

গত ৬ এপ্রিল ফেনীর একটি মাদরাসায় গায়ে আগুন দেয়ার পর নুসরাত ১০ এপ্রিল মৃত্যুর সাথে লড়াইয়ে হেরে যায়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে ২০১৩ ও ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার সংস্কৃতি চালু করে।

প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ব্যাপক আকারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বছরব্যাপী জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগ ও দলের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। এই কর্মসূচি সফলভাবে উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যেই একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাবকমিটিও গঠন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। আগামী ১৪ এপ্রিল সারাদেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হবে।




কমলনগর-রামগতিতে বর্ষার আগেই ১৩’শ মিটার নদী রক্ষা বাঁধ শুরু হবে

কমলনগরে– পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর ও রামগতির নদী ভাঁগা পরির্দশন শেষে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন আগামী র্বষা মৌসুমের আগেই কমলনগর ও রামগতি উপজেলার দুই ১৩’শ মিটার নদী রক্ষা বাঁধ শুরু হবে। এছাড়া ২য় পেইজের ১৬ কিলোমিটার এই শীতের শুরুতে কাজ শুরু করা হবে,যাতে কমলনগর ও রামগতি উপজেলা আর নর্দী গর্ভে বিলীন না হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাই নদী রক্ষা বাঁধ শুরু হবে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) কমলনগর মাতাব্বরহাট নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন এক পথ সভায় এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সারা দেশে নদী ভাংছে। ভোলা বরিশাল, কুড়িগ্রাম সিরাজগঞ্জ সব এলাকায় নদী ভাংছে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসাবে রামগতি ও কমলনগরে দ্রুত কাজ শুরু হবে। আপনারা র্নিভয়ে বাড়ি ঘর দালাল কোঠা র্নিমান শুরু করেন। এই এলাকা আর নদীতে ভাংবে না। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো।
সভায় সভাপত্বি করেন কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন মাষ্টার, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) আব্দুল মান্নান, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, কমলনগর উপজেলা নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়াম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী, চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, আবুলখায়েরসহ প্রমূখ।




আগামিকাল কমলনগরে আসছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

কমলনগর(লক্ষ্মীপুর):
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নদী ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আগামী কাল শুক্রবার (১২ এপ্রিল) আসছেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মাতাব্বরহাট এলাকায় এক পথভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এ সময় উপস্থিত থাকবেন লক্ষ্মীপুর-০৪ সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আবদুল মান্নান।

সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আবদুল মান্নানের একান্ত সচিব আবু নোমান মো. আবদুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান কমলনগর-রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এ সফরে আসছেন। লক্ষ্মীপুর-০৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মন্টু কুমার বিশ্বাস তার সফর সঙ্গী হবেন।
মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে কে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে মাতাব্বরহাট এলাকায় পথসভায় তারা যোগ দেবেন। সভাশেষে পানিসম্পদ মন্ত্রী নোয়াখালীর মান্নান নগর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।




নুসরাতের ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের বোর্ড গঠন

ঢাকা:

আগুনে ঝলসে দেয়া ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহার রাফির ময়না তদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস এ কথা জানান।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই নুসরাতের ময়নাতদন্ত শুরু হবে।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ইন্দনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ঝলসে পাঁচদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন তিনি।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।

ওই ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্যে, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার চিকিৎসায় গঠিত হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানোরও ব্যভস্থা করেন তিনি।

কিন্তু প্লেন ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে সেখানে নেয়া হয়নি। কিন্তু সবার প্রার্থনা-চেষ্টাকে বিফল করে চলেই গেলো ‘প্রতিবাদী’ নুসরাত।




বাঁচানো গেলো না নুসরাতকে

ঢাকা: মা-বাবার আর্তি, সতীর্থদের প্রার্থনা আর চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টায়ও বাঁচানো গেলো না দুর্বৃত্তদের আগুনে ঝলসে যাওয়া ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে সে। তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

আধঘণ্টা আগেই ৯টার দিকে নুসরাতের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল কালাম জানিয়েছিলেন, এই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার ‘মারাত্মক অবনতি’ ঘটেছে।ঢামেক হাসপাতালে আনার পরই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, নুসরাতের অবস্থা গুরুতর। তার শরীরে প্রায় ৮০ শতাংশই পুড়ে গেছে।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।

এই ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্যে, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। তার চিকিৎসায় গঠিত হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সবার প্রার্থনা-চেষ্টাকে বিফল করে চলেই গেলো ‘প্রতিবাদী’ নুসরাত।