লক্ষ্মীপুরে হোটেল শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ, আটক ৫

লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. রিয়াজ নামের ১৪ বছর বয়সের এক হোটেল শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিকসহ একই হোটেলের অপর এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে।

সোমবার রাত ৯টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর শহরের আলেকজান্ডার বাজারের গ্রামীন হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে মালিক পক্ষ পালিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা। এদিকে ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত শ্রমিক আবিরসহ আরো ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বলে জানায়। নিহত রিয়াজ পৌর শহরের শিক্ষা গ্রামের সফু মাঝির ছেলে।
নিহতের মা পারভীন আক্তার ও বাবা সফু মাঝি  বলেন, নদী ভাঙ্গা গৃহহীন জেলে পরিবারের সন্তান রিয়াজ। ঘর না থাকায় তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ছোট ভাইয়ের ঘরে (রিয়াজের চাচার ঘর)। দরিদ্র হওয়ার কারণে ৫ম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে পারেনি সে। পরিবারের অভাব মেটাতে ৩ বছর পুর্বে স্থানীয় গ্রামীন হোটেলে শ্রমিক হিসেবে চাকুরী নেন রিয়াজ। প্রতিদিন সকাল ৮টায় কাজে বের হয়ে রাত ১০ টায় বাড়ি ফেরা হতো তার।
সোমবার রাতে হোটেলের রান্না ঘরে তার সহকর্মী আবিরের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আবির ও হোটেল মালিক জাহেরসহ তাকে মারধর করে।
এসময় রিয়াজ গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে নেয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এসময় হাসপাতালে তার মরদেহ ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। প্রতিদিনের মতো রাত ১০টার দিকে রিয়াজ বাড়ি না ফিরলে স্বজনরা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন রিয়াজ আর নেই। এঘটনার বিচার দাবী করেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
এব্যাপারে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামীন হোটেলের কর্মচারী রিয়াজকে মারধর করলে সে মারা যায়। এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত আবিরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেল মালিকের ভাই জগলুসহ আরো ৪জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।




শতাধিক পদ শূন্য লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে

দীর্ঘদিন ধরে কৃষিতে বিপুল সম্ভাবনাময় লক্ষ্মীপুর জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ৭৮ কর্মকর্তাসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় শতাধিক পদ শূন্য রয়েছে। এতে উৎপাদন-সংশ্লিষ্ট পরামর্শ ও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।  লোকবলের অভাবে কৃষিসম্প্রসারণ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হচ্ছে।

কৃষকদের কল্যাণ ও দেশের কৃষি-অর্থনীতি আরও গতিশীল করতে জরুরি ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর কৃষি বিভাগের জনবল বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি।

লক্ষ্মীপুর একটি উপকূলীয় জেলা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি কৃষি উপযোগী। এজেলার উর্বর মাটিতে সয়াবিন, ধান, নারিকেল, সুপারি, পান, বাদাম, মরিচ ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলন হয়।

লক্ষ্মীপুর সয়াবিন উৎপাদনের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে। এই জেলাকে ‘সয়াবিনের রাজধানী’ বলা হয়। দেশের উৎপাদিত মোট ৭৫ ভাগ সয়াবিন লক্ষ্মীপুরেই উৎপাদিত হয়ে থাকে।এ কারণে সয়াবিনের সাথে মিল  রেখে লক্ষ্মীপুরের অলিখিত ব্র্যান্ড নেম রাখা হয়েছে ‘সয়াল্যান্ড’।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে জানা গেছে, জেলায় রামগতি, রায়পুর, কমলনগর, রামগঞ্জ ও সদরসহ পাঁচ উপজেলায় মোট ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌর এলাকায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মোট ১৭৮টি পদ রয়েছে। অথচ এসব পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১১৫ জন; বাকি ৬৩ জনের পদ শূন্য। প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পদ থাকলেও রামগঞ্জ ছাড়া বাকি চার উপজেলায় পদগুলো শূন্য। প্রতি উপজেলায় দুইজন করে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার স্থলে রামগঞ্জে ও সদরে দুইজন আছেন, আটটি পদে জনবল নেই। জেলায় উপ-পরিচালক শস্য, উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও উদ্যান এই তিন পদও খালি; কেউ নেই। এছাড়া, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বেশি কয়েকটি পদ শূন্য রয়েছে।

চরাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তারা কখনোই কাছে পান না।

অপরদিকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বক্তব্য হচ্ছে, তিনজনের স্থলে ইউনিয়নে মাত্র একজনকে সব দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই একাই তাকে এতো এতো কাজ সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।

লক্ষ্মীপুর  কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খাঁন বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।




এক মোটরসাইকেলে ৫৮ জন সফর করে বিশ্ব রেকর্ড!

এক মোটরসাইকেলে ৫৮ জন চড়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। রবিবার ইন্ডিয়ান আর্মি সার্ভিস কোরের টর্নেডো টিম-এর ৫৮ জন সদস্য একটি ৫০০ সিসি রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক বুলেটে একসঙ্গে চেপে ১২০০ মিটার সফর করে এ বিশ্ব রেকর্ড গড়েন৷

এর পাশাপাশি ২০১০ সালের রেকর্ড ভেঙে দিল তারা৷ ২০১০ সালে এক মোটরসাইকেলে ৫৬ জন চড়েন।

রবিবার মেজর বানি শর্মার নেতৃত্বে এই সফর শুরু হয়৷ মোটরসাইকেল চালকের আসনে ছিলেন সুবেদার রামপাল যাদব৷ টর্নেডো টিম-এর ১৯টি বিশ্ব রেকর্ড এবং রাষ্ট্রীয় রেকর্ড এর আগে থেকেই রয়েছে৷ এই টিমে মোট ৩৯ সদস্য রয়েছে৷ ২ কমিশনড অফিসার, ২ জেসিও এবং ৩৫ অন্য সদস্য রয়েছে৷ এই টিম এখনো পর্যন্ত মোট ১০০০টি শো করেছে৷




রাখাইনের সঙ্কট সমাধানে কী চায় চীন?

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন তাতে রয়েছে তিনটি ধাপ।

মিয়ানমারে আসাম সম্মেলনের যোগদানের উদ্দেশ্যে ওয়াং এখন রাজধানী নেপিদ’তে রয়েছেন।
তিনি এই পরিকল্পনা নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে কথাবার্তা বলেছেন। পরিকল্পনাটি তিনি তার ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ সরকারের কাছেও ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশী দুই দেশ মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য কোন পরিকল্পনাই বর্তমান সঙ্কটের সমাধান করতে পারে।

অস্ত্রবিরতি
চীনা সরকারি বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার খবর অনুযায়ী, ওয়াং তার পরিকল্পনার প্রথম ধাপে রাখাইনে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে, যাতে সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র চলে যেতে না হয়।

তবে এই চীনা পরিকল্পনায় যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আছেন, তাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সরাসরি কোন কথা বলা হয়নি।

সংলাপ
শিনহুয়া বলছে, চীনা পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে এই সঙ্কটের সবগুলো পক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আলোচনার প্রক্রিয়া চালু রাখার তাগিদ দেয়া হয়েছে, যাতে ‘সমতার ভিত্তিতে এবং সৌহার্দপূর্ণভাবে’ সঙ্কটের সমাধান করা যায়।

উন্নয়ন
চীনা পরিকল্পনার তৃতীয় ধাপে রাখাইনের উন্নয়নের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে রাখাইন রাজ্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর।
কিন্তু সেখানে উন্নয়নের ধারা থমকে গেছে। রাখাইনের উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা করার ব্যাপারেও চীনা পরিকল্পনায় তাগিদ দেয়া হয়েছে।

চীনা সংবাদ মাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, এই পরিকল্পনার পেছনে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ উভয় সরকারের সমর্থন রয়েছে। তবে এই ব্যাপারে এককভাবে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানা যায়নি।




ফেসবুকে ভাইরাল ওড়না পরিহিত রোবট

পশ্চিমা দেশগুলোর অনুসরণ করে ঢাকার রেস্তোরাঁয় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে রোবটের ব্যবহার। রোবট এখন কাজ করছে রেস্তোরাঁ কর্মী হিসেবে।
গত সপ্তাহ থেকে রাজধানীর ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় চালু হয়েছে এ ‘রোবট রেস্টুরেন্ট। কিন্তু শুরুতেই বিতর্কের সৃষ্টি হল এ রোবটকে নিয়ে। মূলত রোবট দুটির একটির পরনে ওড়না থাকায় সৃষ্টি হয়েছে এ বিতর্কের। আর ইতোমধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে পড়েছে ফেসবুকে।

রোবট দুটির মধ্য একটি রোবট, যেটি মূলত নারীর আদলে তৈরি, সেটির ওড়না পরিহিত ছবিটিই ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। রোবটের পরনে ওড়না বিষয়টি মানুষের নজরে এসেছে। চলছে আলোচনা- সমালোচনা। অনেকেই সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।

বিমান ধর নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওড়না পরানোয় পরিষ্কার হলো রোবট যন্ত্র হলেও ক্লীবলিঙ্গ নয়।
ইহা স্ত্রীবাচক। তাই প্রাণীবিদ্যা আর ব্যাকরণ বইগুলো নতুন করে লেখার দাবী জানাচ্ছি। ‘

তানভীর মৃদুল নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘রোবোট এর ওড়না লাগে এই দেশে । লাগার ই কথা । আমাদের নেক পুরুষদের কুনজর থেকে রোবট বাদ যাবে এটা ভাবা কঠিন। যদিও মালিক বলেছেন নারী রোবটকে সনাক্ত করতে তিনি ওড়না পরাইসেন। রোবট এর নারী পুরুষ কি, কে জানে ! তবে পুরুষ রোবট এর জন্য তিনি কি পরাবেন। ‘

জাকিয়া শিশির নামে একজন লিখেছেন, ‘রোবটও আজকাল ওড়না পড়ে৷ আর যে দেশে এত বেকার সেদেশে রোবট চালিত রেস্টুরেন্ট৷’

নাট্যাভিনেতা রওনক হাসান ওড়না পরিহিত রোবটের ছবি নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপ করে লিখেছেন- ‘রোবট রেস্টুরেন্ট এ রোবটের গায়ে ওড়না! এই রেস্টুরেন্টের মালিক কে জানতে মন চায়! লজ্জা লজ্জা লজ্জা! এদের খাবার অমৃত হলেও তো যাব না। মানসিক বিকৃত এই প্রাণীগুলোকে বয়কট করা উচিত’।

তবে রোবটের গায়ে ওড়না কেন? এ প্রশ্নের জবাবে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক তানভীর তন্ময় জানান, ‘মূলত নারী রোবটটিকে সনাক্ত করা বা আলাদা করার উদ্দেশ্যেই এর গায়ে ওড়না জড়ানো হয়েছে’




ফেল করা শিক্ষার্থীদের কান্ড ! রামগতিতে বিদ্যালয় ভাঙচুর, শিক্ষকের বাড়ি ঘেরাও

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় ফরমপূরণ থেকে বাদপড়া (ফেল করা) শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ভাঙচুর ও প্রধান শিক্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে তাকে অবরুদ্ধ করে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজগর আলী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর আগে রোববার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা ভাঙচুর ও প্রধান শিক্ষকে বাড়িতে গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে।
প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম ফিরোজ জানান, এবার কুমিল্লা বোর্ডের সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য কোন পরীক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষার ফরমপূরন করতে দেয়া যাবে না। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বিদ্যালয়ের ২০৪ জন শিক্ষার্থীর ফরমপূরণ করে বোর্ডে তথ্য পাঠানো হয়। এদিকে, ফরমপূরণ থেকে বাদপড়া ৪০/৫০জন শিক্ষার্থী স্কুল ভাঙচুর করে, বাড়ি ঘেরাও করে আমাকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, ফরমপূরণ থেকে বাদপড়া শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তারা প্রধান শিক্ষকের বাড়িতেও যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তারা পালিয়ে যায়। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার লক্ষ্যে আলেকজান্ডার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৮২ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ৭৯জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করে।




লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের ৫ নেতা গ্রেফতার 

নিজস্ব সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের সভাপতি আবুল ফারাহ নিশানসহ পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রায়পুর উপজেলার সোনাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জামায়াত নেতা আবুল ফারাহ নিশান, রায়পুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল আওয়াল রাসেল ও উপজেলা শাখার সুরা সদস্য আবুল কাশেম। অপর দু’জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

থানা পুলিশ জানিয়েছে, সোনাপুর এলাকায় নাশকতার উদ্দেশ্যে জামায়াতের নেতারা গোপন বৈঠক করছিল। এ খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় রাস্তায় গাছ কেটে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যাপক নাশকতা চালানোর একাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন তারা পলাতক ছিলেন।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।




লক্ষ্মীপুরে কওমি মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থী প্রাণে রক্ষা পেলো

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে অপহরণকারীদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পেলো কওমি মাদ্রাসার তিনি শিক্ষার্থী। আজ রবিবার সন্ধ্যায় জকশিন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

শিশু শিক্ষার্থীরা হলো, তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম, আলী আহমেদের ছেলে মোঃ ফাহিম, মহিউদ্দিনের ছেলে মোঃ রায়হান।

শিক্ষার্থী ও স্থানিয়রা জানায়, বশিকপুর কওমি মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থী দোকান থেকে টিস্যু পেপার কেনার জন্য মাদ্রাসা থেকে বের হয়। এসময় একটি সিএনজিতে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মুখোশধারীরা তিন শিক্ষার্থীর মুখ ছেপে ধরে সিএনজিতে তুলে নেয়। সিএনজিটি জকশিন বাজারে পৌছলে জ্যামে পড়ে। এসময় ওই তিন শিশু শিক্ষার্থী আশে পাশে মানুষ দেখে চিৎকার দেয়। একপর্যায়ে চিৎকার শুনে বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা শিশুদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পোদ্দার বাজার পুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার ও তিন শিশুর অভিবাকদের খবর দেওয়া হয়েছে।




ধর্ষনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার-এক

লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তোরাবগঞ্জ এলাকায় এক নারীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ ও চুল কেটে  দেয়ার ঘটনায় আবুল কালাম ও তার দুই সহযোগীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায়  বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাববার ভোররাতে সদর উপজেরার ভবানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবুলকে  গ্রেফতার করা হয়। তিন আসামীর মধ্যে এক জনের নাম অঙ্গাত হলেও গ্রেফতারকৃত বাবুল ওই এলাকার সিরাজের ছেলে। এছাড়া মামলার আসামী  আবুল কালাম একই  উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার আনোয়ার আলীর ছেলে। বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এর আগে নির্যাতিত ওই নারীর মা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতিন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান,ঘটনার দুই দিন চল্লে এখনো পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামী আবুল কালাম ও অন্য অজ্ঞাত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ঘটনার শিকার ওই নারীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ।
পুলিশ,নির্যাতিত নারীও তার স্বজনরা জানায়, কয়েক মাস আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে আবুল কালামের সাথে ওই নারীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ থেকে সিএনজি যোগে লক্ষ্মীপুর আসার পথে আবুল কালামসহ আরো কয়েকজন অটোচলিত  সিএনজি থেকে ওই নারীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে চোখ বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে কালাম ও তার বন্ধুরা বাবলুসহ দলবেধে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষনকরে।  এসময় কালামের দুই বন্ধু ধর্ষণশেষে মারধর করে চুল কেটে নির্যাতন করে ওই নারীর। শনিবার রাতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই নারীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ^াস জানান, গনধর্ষনের ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামী আবুল কালামসহ অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 http://pollinews.com/%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4/



বছরে ২০টি পরমাণু বোমা তৈরিতে সক্ষম উ. কোরিয়া!

উত্তর কোরিয়া বিশ্বকে আতঙ্কিত করে একের পর এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক সফল বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে মিসাইল ছোঁড়ার ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ বিশ্ববাসী।

তাছাড়া উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার প্রস্তুত রেখেছে৷ প্রয়োজনে সেই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নিতে পারে দেশটি৷ আগামী তিন বছরের মধ্যে অন্তত ৬০টি পরমাণু বোমা তৈরির ক্ষমতা রাখে উ. কোরিয়া৷ এমনই চাঞ্চল্যকর গবেষণা রিপোর্ট দিয়েছে সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি৷ এই মার্কিন প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট পেয়েই নড়েচড়ে বসেছেন পেন্টাগনের সেনা কর্তারা৷

কলকতা টুয়েন্টিফোর’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে- ১৯৯৯ সালের হিসেব অনুসারে মার্কিন প্রতিরক্ষা গবেষকরা ধারণা করতেন পিয়ংইয়ংয়ের হাতে মাত্র দু’টি পরমাণু বোমা রয়েছে। সেটা বেড়ে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি হতে পারে৷ সেই হিসেব উল্টে যাচ্ছে৷ বিভিন্ন সূত্র বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখছেন, পরমাণু কর্মসূচিতে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ পরমাণু বোমা তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ যেহেতু পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক পরমাণু কর্মসূচি মেনে চলে না। তাই তারা পারমাণবিক শক্তি বাড়িয়েই যাচ্ছে৷

উল্লেখ্য, গত কয়েক দফায় ধারাবাহিকভাবে ছোট-বড় মিলিয়ে একাধিক মিসাইলের পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। যার জেরে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কার্যত তা উড়িয়ে দিয়েই বারবার মিসাইলের পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে উত্তর কোরিয়ার কিছু অস্বাভাবিক চিত্র। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন করে ফের পরমাণু অস্ত্র ছুঁড়তে পারে উত্তর কোরিয়া।