লক্ষ্মীপুরে হোটেল শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ, আটক ৫
লক্ষ্মীপুর :
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. রিয়াজ নামের ১৪ বছর বয়সের এক হোটেল শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিকসহ একই হোটেলের অপর এক শ্রমিকের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর শহরের আলেকজান্ডার বাজারের গ্রামীন হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে মালিক পক্ষ পালিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা। এদিকে ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত শ্রমিক আবিরসহ আরো ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বলে জানায়। নিহত রিয়াজ পৌর শহরের শিক্ষা গ্রামের সফু মাঝির ছেলে।
নিহতের মা পারভীন আক্তার ও বাবা সফু মাঝি বলেন, নদী ভাঙ্গা গৃহহীন জেলে পরিবারের সন্তান রিয়াজ। ঘর না থাকায় তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ছোট ভাইয়ের ঘরে (রিয়াজের চাচার ঘর)। দরিদ্র হওয়ার কারণে ৫ম শ্রেণির বেশি পড়ালেখা করতে পারেনি সে। পরিবারের অভাব মেটাতে ৩ বছর পুর্বে স্থানীয় গ্রামীন হোটেলে শ্রমিক হিসেবে চাকুরী নেন রিয়াজ। প্রতিদিন সকাল ৮টায় কাজে বের হয়ে রাত ১০ টায় বাড়ি ফেরা হতো তার।
সোমবার রাতে হোটেলের রান্না ঘরে তার সহকর্মী আবিরের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আবির ও হোটেল মালিক জাহেরসহ তাকে মারধর করে।
এসময় রিয়াজ গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে নেয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এসময় হাসপাতালে তার মরদেহ ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। প্রতিদিনের মতো রাত ১০টার দিকে রিয়াজ বাড়ি না ফিরলে স্বজনরা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন রিয়াজ আর নেই। এঘটনার বিচার দাবী করেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
এব্যাপারে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামীন হোটেলের কর্মচারী রিয়াজকে মারধর করলে সে মারা যায়। এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত আবিরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেল মালিকের ভাই জগলুসহ আরো ৪জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।